মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অন্তরে একটি জনপ্রিয় সংগঠন – বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ যার জন্ম ১০-১০- ২০২০। জন্মের পর থেকেই সংগঠনটি এদেশের মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অন্তরে একটি জনপ্রিয় সংগঠন হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৯০% জেলাতে রয়েছে এই সংগঠনের শক্তিশালী কমিটি। এই সংগঠনটি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষক সংগঠন। আমি জানি বড় সংগঠন বলাতে অনেকের গায়ে আগুন জ্বলে ওঠবে। হ্যা তাদের গাত্রদাহ হওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক। এদেশে আছে বহু বছরের পূরানো শিক্ষক সংগঠন, কিন্তু বতর্মানে তাদের অবস্থান এদেশের সকল শিক্ষকগণ ভাল কেরেই জানেন। আমি আজ একজন শিক্ষক নেতার প্রতি এদেশের শিক্ষকদের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ দেখে আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।

শিক্ষকরা কখন একজন শিক্ষক নেতার বিরোদ্ধে এই রকম মন্তব্য করতে পারে কেউ কি বলতে পারবেন? যখন তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়,তখনই তারা বাধ্য হয়ে এরকম মন্তব্য করেন। যাইহোক একজন শিক্ষক হিসেবে বলব এরকম মন্তব্য না করাই ভাল। মীরজাফর, দালাল, বাটপার এই শব্দগুলি না বলাই উত্তম। এবার আসি আসল কথায় গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ নিয়ে কিছু লিখেছিলাম সেই সময় একজন শিক্ষক মন্তব্য করেছিল এত অপ্ল দিনের সংগঠন কিভাবে সবচেয়ে বড় সংগঠন হয়? সেই শিক্ষক কোন সংগঠনের নেতা তা আমি বলবনা। তবে এতটুকু বলব,ভাই আশরাফুল কিন্তু ১৪ বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে Test ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছিল, সেই দিন কিন্তু অভিজ্ঞ খেলোয়ারা চেয়ে চেয়ে শুধু তার বেটিং তান্ডব দেখেছিল।

বামাশিপ্রপ ইতিমধ্যে শিক্ষকদের জন্য যা দেখাচ্ছে তা কিন্তু অদ্বিতীয়। বামাশিপ্রপ শুধু প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন হওয়ায় এইটাকে অনেকে বড় সংগঠন বলতে নারাজ। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এদেশের শিক্ষক আন্দোলনে অতীতে যত শিক্ষক জমায়েত হয়েছেন তা কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নেতৃত্বেই হয়েছে। কোনো সহকারী শিক্ষকের কথায় তার প্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষক আসবে কি না আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বাস্তব উদাহর গত বছরের ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটা শিক্ষক সংগঠনের ব্যানারে যে মিটিং হয়েছিল
সেখানে কিন্তু প্রধান শিক্ষকদের নেতৃত্বেই শিক্ষকগণ উপস্থিত হয়েছিল। কোন সহকারী শিক্ষকের নেতৃত্বে কোন উপজেলা থেকে একটি বাস আসছিল তার প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না। কারণ সহকারী শিক্ষকরা ৯৮%কোন সংগঠের সাথে জড়িত নয়। অর্থাৎ তাদের প্রধান শিক্ষক যদি বলেন,তবেই তারা সভা সমাবেশে অংশগ্রহণ করে থাকেন। যাইহোক বামশিপ্রপ এদেশের শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে ও কাজ করে যাবে। তাই আসুন হিংসা বিদ্বেষ ত্যাগ করে এদেশের সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বামাশিপ্রপ এর পতাকা তলে সমবেত হয়ে সকল শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৪ দফা বাস্তবায়ন করি।এই কথা বলে আজকের মতো বিদায় নিলাম, আসসালামু আলাইকুম।
মোহাম্মদ আফজাল হোসেন
যুগ্ন সম্পাদক
বামাশিপ্রপ।

Leave a Reply