প্রখ্যাত বাংলা গানের শিল্পী কবীর সুমন তার গানে বলেছিলেন, ‘অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোনো দাবি দাওয়া, এই নশ্বর জীবনের শুধু তোমাকেই চাওয়’।
কবীর সুমনের সঙ্গে বোধহয় একমত হতে পারবেন না বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের অন্যতম জেফ বেজোস। এবার তিনি আক্ষরিক অর্থেই ছুটছেন অমরত্বের পেছনে।
ইলন মাস্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবার অমরত্বের পেছনে অর্থ ব্যয় করছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একদল বিজ্ঞানীকে তার এই স্বপ্নপূরণ করতে একত্রিত করেছেন।
এই বিলোনিয়ার ‘অলটো ল্যাব’ নামে একটি স্টার্ট-আপ তৈরি করেছেন যাদের কাজ হবে বয়সকে থামিয়ে দেওয়া, মানুষের যৌবনকে ধরে রাখা। এরই ধারাবাহিকতায় জেফ বেজোস ফার্মাসিটিক্যাল জায়ান্ট গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাল ব্যারনকে ‘অলটো ল্যাবের’ সিইও পদ দিয়েছেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যারন বলেন, আমি গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছি এমন অনন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পেরে যারা রোগবালাইকে ফিরিয়ে দেওয়ার মতো সদা পরিবর্তনশীল একটি মিশনে নেমেছে।
ব্যারন বিজ্ঞানীদের ‘এ টিমের’ সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন যেখানে ড.শিনয়া ইয়ামানাকার মতো নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী রয়েছেন। ইয়ামানাকা ২০১২ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে স্টেম সেল গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া আরও রয়েছেন ২০২০ সালে রসায়নে নোবেলজয়ী জেনিফার ডোডনা। তিনি জিনম ডেভলপিং টুলস সিআরআইএস
পিআর নির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য পুরস্কৃত হন।