এক নজরে পদ্মা সেতু | পদ্মা সেতু সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর

পদ্মা* সেতুর* অফিসিয়াল* তথ্য*
নাম : পদ্মা সেতু
দৈর্ঘ্য : ৬.১৫ কিলোমিটার
ভায়াডাক্ট (স্থলভাগে সেতুর অংশ) সহ দৈর্ঘ্য : ৯.৮৩ কিলোমিটার
প্রস্ত : ২১.৬৫ মিটার
মোট পিলারের সংখ্যা : ৪২টি
স্প্যানের সংখ্যা : ৪১টি

প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য: ১৫০ মিটার
স্প্যানগুলোর মোট ওজন: ১,১৬,৩৮৮টন
প্রতিটি পিলারে নিচে পাইলের সংখ্যা: ৬টি (কিছু কিছু পিলারে ৭টি পাইলও দেওয়া হয়েছে)
পাইলের ব্যাস: ৩ মিটার
পাইলের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য: ১২৮ মিটার
মোট পাইলের সংখ্যা: ২৬৪টি ( ভায়াডাক্টের পিলারের পাইলসহ ২৯৪টি)
জমি অধিগ্রহণ: ৯১৮ হেক্টর
ব্যবহৃত স্টিলের পরিমাণ : ১,৪৬,০০০ মেট্রিক টন
নির্মাণ কাজ শুরু : ৭ই ডিসেম্বর ২০১৪
মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু : মাওয়া প্রান্তে ৬ নম্বর পিলারের কাজ দিয়ে
সক্ষমতা : দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন
পানির স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা: ১৮ মিটার
পদ্মা সেতুর আকৃতি: ইংরেজি এস (S) অক্ষরের মতো
ভূমিকম্প সহনশীলতা : রিক্টার স্কেলে ৮ মাত্রার কম্পন
এপ্রোচ রোডের দৈর্ঘ্য: ১২ কিলোমিটার
নদীশাসন: ১৬.২১ কিলোমিটার
সেতুর আয়ুষ্কাল: ১০০ বছর
সেতুর মোট ব্যয়: ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি
ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে এমন জেলার সংখ্যা: ২১টি
সরাসরি উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা: দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ
যেসব দেশের বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা কাজ করেছেন : চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ন্যাদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, ডেনমার্ক, ইতালি, মালয়েশিয়া, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, থাইওয়ান, নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রকল্পের অঙ্গ(component) ভিত্তিক ব্যয় বিভাজন:
ক) মূল সেতুর ব্যয়: ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার ও গ্যাস লাইনের ব্যয়সহ ১১,৯৩৮.৬৩ কোটি টাকা (বরাদ্দ ১২,১৩৩.৩৯ কোটি টাকার বিপরীতে)
খ) নদীশাসন কাজ: ৮,৭০৬.৯১ কোটি টাকা (৯,৪০০ কোটি টাকার বিপরীতে)
গ) অ্যাপ্রোচ রোড: ২টি টোল প্লাজা, ২টি থানা বিল্ডিং ও ৩টি সার্ভিস এরিয়াসহ ১৮৯৫.৫৫ কোটি টাকা (১৯০৭.৬৮ কোটি টাকার বিপরীতে )
ঘ) পুনর্বাসন ব্যয়: ১,১১৬.৭৬ কোটি টাকা (১,৫১৫ কোটি টাকার বিপরীতে)
ঙ) ভূমি অধিগ্রহণ: ২৬৯৮.৭৩ কোটি টাকা
চ) পরিবেশ: ২৬.৭২ কোটি (১২৯.০৩ কোটি টাকা)
ছ) অন্যান্য বেতন ভাতা, পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা ইত্যাদি: ১৩৪৮.৭৮ কোটি (২৪০৯.৫৬ কোটি টাকার বিপরীতে)
প্রকল্পের মোট অনুমোদিত ব্যয়: ২৭,৭৩২.০৮ কোটি টাকা (৩০১৯৩.৩৯ কোটি টাকার বিপরীতে)
সেতু উদ্বোধন: ২৫ জুন ২০২২।
(তথ্যসূত্র: পদ্মা সেতু প্রকল্প অফিস, ক্যাবিনেট ডিভিশন, সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার কপি; আপডেট: ২৩ জুন ২০২২)

প্রকল্পের নাম: পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।

প্রকল্পের অবস্থান: রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

যেভাবে শুরু: ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। এরপর ২০০১ সালে জাপানিদের সহায়তায় সম্ভাব্যতা যাচাই হয়। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার সুপারিশ মেনে মাওয়া-জাজিরার মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে। মহাজোট সরকার শপথ নিয়েই তাদের নিয়োগ দেয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু করার চূড়ান্ত নকশা করা হয়।

একনেক সভায় অনুমোদন: ২০০৭ সালে ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পায়। পরে নকশা পরিবর্তন হয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ ব্যয়ও বাড়ে। ২০১১ সালে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সংশোধিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালে আবারও আট হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ালে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সবশেষ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর পুরো টাকাই সরকারি অর্থায়ন।

প্রকল্পের মেয়াদ: ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৩০ জুন ২০২৩।

প্রকল্পের মোট ব্যয়: ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

মূল সেতুর ঠিকাদার: পদ্মা সেতু নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের আওতাধীন চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি।

মূল চুক্তিমূল্য: ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

কাজ শুরু: ২৬ নভেম্বর, ২০১৪।

চুক্তি অনুযায়ী কাজ সমাপ্তির তারিখ: ২৫ নভেম্বর, ২০১৮। পরে কয়েক ধাপে সময় বাড়ানো হয়।

কাজের মূল সময়সীমা: ৪৮ মাস। বর্ধিত সময় ৪৩ মাস।

কাজ সমাপ্তির পুনঃনির্ধারিত তারিখ: ৩০ জুন, ২০২২ (বর্ধিত সময়সহ)।

রেল সংযোগ: পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে স্প্যানের মধ্য দিয়ে।

অফিসিয়াল নাম: পদ্মা সেতু।

নকশা: আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম এইসিওএমের (AECOM) নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল।

ধরন: পদ্মা সেতুর ধরন দ্বিতলবিশিষ্ট।

প্রধান উপকরণ: কংক্রিট ও স্টিল।

রক্ষণাবেক্ষণ: বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

দৈর্ঘ্য: পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

প্রস্থ: পদ্মা সেতুর প্রস্থ হবে ৭২ ফুট, এতে থাকবে চার লেনের সড়ক। মাঝখানে রোড ডিভাইডার।

ভায়াডাক্ট: পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার।

ভায়াডাক্ট পিলার: ৮১টি।

পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে বাইকের ১০০, বাসের লাগবে ২৪০০ টাকা

পানির স্তর থেকে উচ্চতা: ৬০ ফুট।

পাইলিং গভীরতা: ৩৮৩ ফুট।

মোট পিলার: ৪২টি।

মোট পাইলিং: ২৮৬টি।

সংযোগ সড়ক: পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দুই প্রান্তে (জাজিরা ও মাওয়া) ১৪ কিলোমিটার।

মোট লোকবল: পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ করছে প্রায় চার হাজার মানুষ।

প্রবৃদ্ধি বাড়বে: ১ দশমিক ২ শতাংশ।

নদীশাসন: প্রকল্প এলাকায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন করতে হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া এলাকায় ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং বাকি ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার জাজিরা এলাকায়।

ঠিকাদারের নাম: সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড চায়না।

চুক্তিমূল্য: ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

ভূমি অধিগ্রহণ: ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ২ হাজার ৬৯৩ দশমিক ২১ হেক্টর।

অ্যাপ্রোচ রোড: জাজিরা ও মাওয়া।

সেতু পাড়ে বৃক্ষরোপণ: লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪ লক্ষাধিক।

পদ্মা সেতু এখন বাংলাদেশের হট টপিক। এর মাধ্যমে প্রায় ২৯ টি জেলার সাথে সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বিভিন্ন পরীক্ষায় এই সেতু সম্পর্কে নানা প্রশ্ন থাকে। তাই আজ আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে  কিছু প্রশ্ন-উত্তর জানবো। পদ্মা সেতু নিয়ে ‍A2Z তথ্য পিডিএফ ( pdf ) ডাউনলোড লিংক নিচে দেওয়া আছে।

১. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর অফিসিয়াল নাম কী?

উত্তরঃ পদ্মা বহুমুখী সেতু ( The Padma Multipurpose Bridge )।

২. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম কী?

উত্তরঃ চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিঃ

৩. প্রশ্নঃ কত তারিখে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়?

উত্তরঃ ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ইং

৪. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত?

উত্তরঃ মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি (২০,২০০ ফুট)  এবং প্রস্থ ১৮.১০ মি (৫৯.৪ ফুট)

৫. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর স্থান কোথায়?

উত্তরঃ মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে।

৬. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর মোট পিলার সংখ্যা কতটি?

উত্তরঃ ৪২ টি।

৭. প্রশ্নঃ একটি পিলার থেকে অন্য একটি পিলারের দূরত্ব কত? / প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য কত?

উত্তরঃ ১৫০ মিটার

৮. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতুর নাম কী?

উত্তরঃ পদ্মা সেতু

৯. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেল সেতুর নাম কী?

উত্তরঃ হার্ডিস ব্রিজ

১০. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর মোট স্প্যান সংখ্যা কতটি?

উত্তরঃ ৪১ টি।

১১. প্রশ্নঃ কত তারিখে এবং কত নং পিলারে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়?

উত্তরঃ ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নং পিলারের উপর পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। ঐদিন পদ্মা সেতু প্রথম দৃশ্যমান হয়।

১২. প্রশ্নঃ কত তারিখে এবং কত নং পিলারে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান বসানো হয়?

উত্তরঃ ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর, ১২ ও ১৩ নং পিলারের উপর পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান বসানো হয়। ঐদিন সম্পূর্ণ সেতুর কাঠামো প্রথম  দৃশ্যমান হয়।

১৩. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষেণের দায়িত্ব কার?

উত্তরঃ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ( The Bangladesh Bridge Authority )

১৪. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় এবং অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ কত?

উত্তরঃ প্রায় ৯১৮ হেক্টর।

১৫. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যয় কত?

উত্তরঃ  ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

১৬. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু নিচ দিয়ে নৌ-যান চলাচলের জন্য কতটুকু ফাঁকা রাখা হয়েছে?

উত্তরঃ ১৮ মিটার(৬০ ফুট)

১৭. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুতে সড়ক পথ কত লেনের?

উত্তরঃ ৪ লেনের।

১৮. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর সড়ক পথের নিচ দিয়ে কী আছে?

উত্তরঃ রেলপথ। যা দিয়ে মিটারগেজ ও ব্রডগেজে উভয়ে ট্রেনের যেকোন একটি চলতে পারবে।

১৯. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুতে মোট  কতটি  পাইল আছে?

উত্তরঃ ২৮৬ টি । এর মধ্যে ২৬২ টি স্টিল ‍ও ২৪ টি কংক্রিটের। প্রতিটি পাইলের পরিধি ৩ মিটার। এগুলো ১১৪-১২০ মিটার মাটির নিচে আছে।

২০. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুতে সড়কের জন্য কতটি ভায়াডাক্ট আছে?

উত্তরঃ সড়কের জন্য চারটি, প্রতি পাশে দুইটি করে। ৩৮ টি স্প্যান নিয়ে ৭২০-৮৭৫ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আর রেলপথের জন্য প্রতিপাশে একটি করে দুইটি ভায়াডাক্ট আছে।

২১. কবে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে পদ্মা সেতুর ঋণের চুক্তি এবং কখন তা বাতিল করে?

উত্তরঃ ২৮ এপ্রিল ২০১১ ইং ঋণের চুক্তি হয় (১২০ কোটি ডলারের) এবং  ৩০ জুন ২০১২ ইং চুক্তি বাতিল হয়।

২২. পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক কে?

উত্তরঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম

২৩. পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজে কোন ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে?

উত্তরঃ তিয়ান-ই

২৪. পদ্মা সেতুর ভূমিকম্প সহনীয় মাত্রা কত?

উত্তরঃ রিখটার স্কেলে ৯

২৫. পদ্মা সেতুতে রেল ছাড়া আর কি কি সুবিধা রয়েছে?

উত্তরঃ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন পরিবহন সুবিধা।

২৬. পদ্মা সেতু ঢাকার সাথে কতটি জেলার সংযোগ স্থাপন করবে?

উত্তরঃ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ টি জেলার (প্রথম আলো পত্রিকার মতে ২৯ টি জেলা)

২৭. বিশ্বের বৃহত্তম সড়ক সেতুর তালিকায় পদ্মা সেতু কত তম?

উত্তরঃ ২৫ তম (এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম; এশিয়ায় প্রথম চীনের হংজুং বে সেতু ৩৫ কি.মি.)

২৮. পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ওজন কত?

উত্তরঃ ৩,১৪০ টন।

২৯. কাউই(COWI) কী?

উত্তরঃ ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ( পদ্মা সেতুর পাইল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে থাকে )।

৩০. কারা পদ্মা সেতু প্রকল্পটি তত্ত্বাবধানের কাজ করছে?

উত্তরঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বুয়েট এবং কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন(কেইসি-KEC)

৩১. পদ্মা সেতুর অবস্থান কয়টি জেলা নিয়ে?

উত্তরঃ ৩ টি জেলার ওপর। মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর(শিবচর)।

৩২. পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুই পাড়ে কত কিলোমিটার নদী শাসন হয়েছে?

উত্তরঃ ১২ কি. মি.। নদীশাসনে চুক্তি হয়েছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশনের সঙ্গে। নদীশাসনে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

৩৩. পদ্মা সেতুর লিড ডিজাইনার কে ছিলেন?

উত্তরঃ ব্রিটিশ নাগরিক রবিন শ্যাম।

৩৪. কোন প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতুর নকশা করেছিল?

উত্তরঃ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এইকম(AECOM=Architecture, Engineering, Construction, Operations, and Management) American multinational engineering firm

৩৫. কবে পদ্মা সেতুর সব বাতি একসাথে জ্বালানো হয়?

উত্তরঃ ৪ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ধাপে ধাপে সেতুর ৪১৫ বাতির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৪ জুন একযোগে সবগুলো বাতি জ্বালানো হয়।

৩৬. পদ্মা সেতু এলাকায় নিরাপত্তার জন্য গঠিত থানা কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ ২১ জুন, ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয় পদ্মা সেতু এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে, নৌ চলাচল ও পিলার কেন্দ্রিক নজরদারির লক্ষ্যে পদ্মা সেতু (উত্তর) ও পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) নামে দুইটি থানার।

৩৭. কবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়?

উত্তরঃ ২৫ জুন ২০২২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।

Leave a Reply