কেনিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি উইলিয়াম রুতো। দেশটির নির্বাচন প্রধান সোমবার উপ-রাষ্ট্রপতি রুতোকে রাষ্ট্রপতি পদে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। তবে কিছু জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ফলাফলকে অস্বীকার করেছেন। খবর রয়টার্সের।
দেশটির পূর্বের নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরেও এমন বিতর্ক দেখা গেছে। পরবর্তীতে এটি সহিংস বিক্ষোভেও রূপ নিয়েছে।
বিজয়ী ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনকে ‘হিরো’ বলে অভিনন্দন জানিয়ে রুতো বলেন, ‘পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি। সামনে এগিয়ে যেতে হলে সবার সহযোগিতা চাই।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওদিঙ্গাকে খুব কম ব্যবধানে পরাজিত করেন উইলিয়াম রুতো। অফিশিয়াল তথ্য অনুযায়ী, রুতো পেয়েছেন ৫০.৫ শতাংশ ভোট।
যে দিন ভারত স্বাধীন হল… ১৫ই অগষ্ট, ১৯৪৭
৫৫ বছর বয়সী রুতো কেনিয়ার পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য দেশটির শ্রেণি বিভাগকে তার প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছিলেন।
তিনি কেনিয়ার রাজনৈতিক রাজবংশের প্রতিও ঘৃণা প্রকাশ করেছিলেন। তার প্রতিপক্ষ রাইলা ওডিঙ্গা এবং প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা, যথাক্রমে জাতির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্টের ছেলে। কেনিয়াত্তা রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার দুই মেয়াদের ক্ষমতা পার করছেন। তিনি গত নির্বাচনের পরে রুতোর থেকে সমর্থন সরিয়ে নেন এবং এবার ওডিঙ্গাকে সমর্থন করেন।
এটি ছিল রুতোর রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হওয়ার পঞ্চম প্রচেষ্টা।
তবে ক্ষমতা পাওয়ার পরেই পূর্ব আফ্রিকার অন্যতম শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশটিতে বর্তমান যে সংকট চলছে তার মোকাবেলা করতে হবে রুতোকে। কারণ দরিদ্র কেনিয়ানরা ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯ এর প্রভাবে খাদ্য ও জ্বালানির বৈশ্বিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভুগছে।
দগ্ধ ৬ জনের মরদেহ মিটফোর্ড মর্গে
দেশটিতে চল্লিশ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক খরা দেখা দিয়েছে। কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলের ৪১ লাখ মানুষ বর্তমানে খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল করে টিকে আছে। ফলে দেশটির ঋণের মাত্রাও বেড়েছে।