দেবরের বিয়ের কথাবার্তা শুনে তার ঘরে উঠে অনশনে বসেছেন ভাবি। দাবি করছেন-দেবর তাকে বিয়ে না করলে গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। এদিকে, ঘরে অনশনরত ভাবিকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করতে গিয়ে জরিমানা গুনে বউ ছাড়াই ফিরে আসতে হয়েছে দেবরকে। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার ঘটেছে।
ওই নারীর দাবি, বিয়ের পর থেকে গত ১৫ বছর ধরে দেবর ইব্রাহিমের সঙ্গে তার সম্পর্ক চলছে। কিন্তু গত ২৫ জানুয়ারি ইব্রাহিমের পরিবার গোপনে তার বিয়ে ঠিক করে। শুক্রবার ইব্রাহিমের বিয়ের দিন ধার্য হয়। এ খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে ২৬ জানুয়রি থেকে দেবরের ঘরে অনশনে বসেন তিনি। তারপরও ইব্রাহিম কয়েকজন বরযাত্রী নিয়ে গোপনে বিয়ে

করতে যান।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারী সেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাদের সম্পর্কের কথা সবাইকে জানান। তখন পাত্রীপক্ষ ইব্রাহিমের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে অস্বীকার করে। তারা তাৎক্ষণিক সালিস বৈঠকে বসে বিয়ে বাড়িতে সব আয়োজনের খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা ইব্রাহিমের কাছ থেকে আদায় করেন। ইব্রাহিমের সঙ্গে যাওয়া বরযাত্রীদেরও না খেয়ে ফিরে আসতে হয়।
ইন্টারনেটে নিজেকে বাঁচাতে যা আপনাকে জানতে হবে
অনশনরত নারী জানান, তিনি তিনদিন ধরে দেবরের ঘরে বিয়ের দাবিতে না খেয়ে বসেছিলেন। কিন্তু শনিবার তার শাশুড়ি তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। বর্তমানে তিনি পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
অভিযুক্ত ইব্রাহিম দাবি করেন, ভাবির সঙ্গে তার কোনোরকম প্রেমের সম্পর্ক নেই। ভাবি এর আগেও তার তিনটি বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন।
মেয়ের ধ’র্ষণকারীকে আদালতের সামনেই গুলি করে হ’ত্যা করলেন বিএসএফ সদস্য
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু দায়েন কালু জানান, দু’পক্ষই মৌখিকভাবে বিচার চেয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদে তাদের ডেকে খুব শিগগির একটা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।