ছেলেদের ত্বক উজ্জ্বল করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় | ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার ৫টি সহজ উপায়

আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততম জীবনে পুরুষদের ত্বকের যত্ন নেয়া হয় না। দিনভর কাজ, ধুলাবালি, রাস্তার কালো ধোয়া, রোদের তাপ সব শেষে বাসায় ফিরে আয়নার নিজের চেহারা দেখে অবাক হওয়াটা শুধু বাকি থাকে। মুখে কালো ছোপ আর ধুলাবালিতে চেহারার উজ্জ্বলতা কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে।

এ ক্ষেত্রে শুধু পানি বা সাবান দিয়ে মুখ ধুলেই কি সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়? এমনই অনেকের ধারণা রয়েছে। কারণ অনেকে মনে করে ছেলেদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। রূপচর্চা শুধুই মেয়েদের জন্যই। কিন্তু এই ধারণাটা কখনই ঠিক নয়। কারণ যেহেতু ছেলেদের কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেশী যেতে হয়। সেহেতু তাদের ত্বক আরো দ্রুত কালচে হয় যায়। এ ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যা করলে চেহারার উজ্জ্বল্য আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব। তাই আজ তুলে ধরব কিভাবে ছেলেদের ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বল্য আমার ফিরিয়ে এনে তাকে আরো সুন্দর করা যায়।

**সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসওয়াশ বা ভালো মানের সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

**ছেলেদের ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার কয়েকটি উপায় ত্বককে বাইরের ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা করুন। কারণ বাইরের রোদের তাপ ত্বকে পিগমেন্টেশন তৈরী করতে পারে। ফলে ত্বকে সহজে কালচে ছোপ পড়ে। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় রোদের তাপ থেকে ত্বককে দূরে রাখতে হবে। বাইরে বেশীক্ষণ অতিরিক্ত ধুলাবালি ও কড়া রোদে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সারাদিনে ৩ থেকে ৪ বার মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপ্টা দিতে হবে।

**সপ্তাহে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ দিন মুখে স্ক্রাব করতে হবে। এখন বাজারে অনেক ধরনের স্ক্রাব পাওয়া যায়। বিশেষ করে সাইট্রিক এসিড, গ্লিসারিন অয়েল, ফ্রুট যুক্ত স্ক্রাবগুলো ছেলেদের স্কিন এর জন্য অনেক ভাল হয়। কারণ স্ক্রাব ত্বক থেকে ধুলা, অতিরিক্ত তেল দূর করে স্কিনকে পরিষ্কার করে তোলে।

 

**রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইস কিউব নিয়ে সম্পূর্ণ মুখে ভালোভাবে ঘষে নিন। এতে করে ত্বকে রক্ত চলাচল সচল থাকে। আর ত্বকের রক্ত সঞ্চালন প্রবাহ ভালো থাকলে ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল হয়। এরপর যেকোনো একটা মশ্চারাইজার ক্রীম লাগিয়ে আঙুল দিয়ে ঘষে ম্যাসাজ করে নিন।

**একটা লেবু কেটে খোসা সহ মুখে ভালভাবে ঘষে নিন। লেবুর সাইট্রিক এসিড আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল, পিগমেন্টেশন, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন ‘সি’ মুখের কালো দাগ দূর করে ত্বককে আরো ফর্সা করতে সাহায্য করে।

 

**প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করতে শসা খুব উপকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার আগে শসার টুকরো দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখ ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বক অনেক পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া শসার রস ত্বকে প্রাকিতিক মশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।

**এক চামচ কাঁচা হলুদের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে সম্পূর্ণ মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কাঁচা হলুদ ত্বকের কোমলতা ধরে রাখে এবং কাঁচা দুধ স্কিনের কমপ্লেকশনকে আরো ফর্সা করতে সাহায্য করে।

 

**এ্যালোভেরার জেলোতে প্রচুর পরিমাণে আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফাটা ত্বক সারিয়ে তুলতে অনেক উপকারী। সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন এলোভেরা জেলো মুখে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বকের মৃত কোষগুলো বের করে ত্বককে আরো উজ্জ্বল করে তোলে।

**শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু অনেক উপকারী। আধা চামচ মধুর সঙ্গে এক টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

**সেই সঙ্গে প্রচুর পানি, ফল আর সবজি খেতে হবে।

 

ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার ৫টি সহজ উপায়

ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলো সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। কিন্ত ভালো অথেনটিক ও সঠিক দিক নির্দেশনা না পাওয়ার কারনে, অনেকেই ত্বক ফর্সা করতে পারছে না। এই আর্টিকেলে ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন।

আপনি কি সঠিক উপায়ে ত্বক ফর্সা ও করতে চান? কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা নেতিবাচক কোন প্রভাব ছাড়াই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান? তাহলে এই অণুচ্ছেদটি আপনার জন্য।

 

এখানে আপনি জানতে পারবেন গুরুত্বপূর্ণ ৫টি সহজ টিপস যেগুলো নিয়মিত অনুসরণ করেই আপনি আপনার ত্বক খুব সুন্দর, ফর্সা, মসৃণ ও কোমল রাখতে পারবেন। আজকে আপনাদের শেয়ার করার চেষ্টা করবো কার্যকারী তথ্য বিস্তারিতভাবে ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার ৫টি সহজ উপায় সম্পর্কে। তাহলে ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

 

ত্বক ফর্সা করার গুরুত্ব

প্রায় অনেকে বলে থাকে, ছেলেদের নাকি ত্বকের তেমন যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এবং প্রকৃতপক্ষে পরিসংখ্যান করলে দেখাও যাবে বেশির ভাগ ছেলেরাই ত্বকের তেমন যত্ন নিচ্ছে না।

কিন্ত পরিশেষে দেখবেন সব ছেলেরাই মন থেকে চাই নিজেদের ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য। মুখে যেন কালো দাগ ও ময়লা না থাকে, ত্বক যেন সবসময় কোমল ও মসৃণ থাকে, দেখতে সুন্দর ও ভালো লাগে, এইটা সবাই চাই। অর্থাৎ সর্বদা উজ্জ্বল চেহারা প্রত্যাশা করে থাকে। তাহলে কেনই বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাশাটি পূরণ করছেন না, সঠিক ভাবে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন না।

আসলে ত্বকের যত্ন না নিলে, ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে ত্বকের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হয়ে যাবে, ঠিক অসুস্থ ও হয়ে যেতে পারেন। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে তাই সবার উচিত ত্বকের পরিষ্কার করা। যদি সঠিকভাবে পরিষ্কার ও যত্ন নেওয়া হয়, তাহলেই ফর্সা হতে থাকবে ধীরে ধীরে। এবং ত্বক ফর্সা থাকলে মন এমনিতে অনেক ভালো লাগে। আর ত্বক ফর্সা থাকার অনেক সুবিধা ও রয়েছে।

ত্বক ফর্সা করার অনেক উপায় রয়েছে, এখনতো বাজারে অনেক ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। তবে সব ক্রিম কিন্ত ভালো নয়, কিছু আছে যা আপনার ত্বকের ক্ষতি পর্যন্ত করতে পারে। শুধু সাধারণ সাবান, ক্রিম পানি দিয়েই কিন্তু ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করা যায় না। তবে সঠিক পরিচর্যা করার মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিভাবে করবেন পরিচর্যা, এবং কি করা উচিত বা না এই সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

যেহেতু পুরুষদের সবচেয়ে বেশি বাহিরে থাকতে হয়, খুব ব্যস্ততার মধ্যে দৈনন্দিন পার করতে হয়। এর ফলে চেহারার অবস্থা ভালো থাকে না, ধুলাবালু পরে কালো হয়ে যাই, পাশাপাশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা ও থাকে। তাই আমদের উচিত প্রতিনিয়ত পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা এবং বিশেষ করে ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য হলেও যত্ন নেওয়া।

নিচে ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার খুব সহজ ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উপায় দেওয়া আছে, যদি প্রত্যেকটা নিয়ম ধাপে ধাপে মানতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বককে আরও ফর্সা করতে পারবেন।

ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলো হচ্ছে –

০১। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসওয়াস দিয়ে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
০২। নিয়মিত ভালমানের ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
০৩। বাহিরের ধুলাবালি ও রৌদ থেকে ত্বককে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
০৪। ত্বক সুস্থ, সুন্দর ও ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া দরকার।
০৫। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৪/৫ বার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধৌত করা উচিত।

০১। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসওয়াস দিয়ে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

নিয়মিত খুব সকালে ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করতে হবে। তারপর সর্বনিম্ন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় রাখুন শুধু নিজের শরীরকে সতেজ এবং ত্বককে ভালো করে পরিষ্কার করার জন্য। ভালো মানের একটা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ছেলেদের জন্য বাজারে এখন অনেক ধরনের ফেসওয়াস পাওয়া যাই, তবে আগে দেখে শুনে অবশ্যই ভালোমানের টাই কিনতে হবে। তাহলে সঠিকভাবে কাজ করবে এবং মুখের ময়লা দূর করতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। কেনই বা ফেসওয়াস ব্যবহার করবেন? কারণ ছেলেরা প্রায় সময় বাহিরে থাকে, ফলে রাস্তাঘাটের ধুলাবালু গাড়ির কালো ধুয়া এবং রৌদ ত্বকের অনেকটা ক্ষতি করে। এছাড়া বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়ানোর সম্ভবনা ও আছে। এইসব সাধারণ সাবান বা শুধু পানি দিয়ে মুখ সম্পর্ন পরিষ্কার হয় না। এইজন্য ফেসওয়াস ব্যবহার করাই ভালো।

০২। নিয়মিত ভালমানের ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

বর্তমানে ত্বক ফর্সা করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়, ভালো মুখ ভালো করে পরিষ্কার করার পর, একটা মানসম্মত ক্রিম ব্যবহার করুন। ব্যবহার করার সময় প্রোডাক্টের সকল নিয়ম কানুন মানা উচিত। মনে রাখবেন, ছেলে এবং মেয়ের জন্য কিন্ত আলাদা ক্রিম আছে। আমার দেখা ছেলেদের জন্য সবচেয়ে উত্তম ক্রিম হচ্ছে ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম ফেয়ারনেস ক্রীমএক্স আরও অনেক আছে। যেইটা এখন সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এবং আসলেই এইটার ব্যবহার কারীর সংখ্যা যতেষ্ট পরিমাণে।

০৩। বাহিরের ধুলাবালি ও রৌদ থেকে ত্বককে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

তারপর আপনি যদি বাসা থেকে বের হন স্কুল, কলেজ, বা অফিসের উদ্দেশে, অথবা কোন কাজের জন্য বাহিরে যাবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে বাইরের ধুলাবালি এবং রৌদ থেকে দুরে থাকতে হবে। আপনাদের ত্বককে বাইরের ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা করুন। বাইরে বের হলেই এখন ধুলাবালিতে এবং তিব্র গরমে বের হওয়া ঘাম এর সাথে মিশে এবং রোদ পড়লে শরীর ও ত্বক নষ্ট হয়ে যায়। ত্বকের মধ্যে কালো দাগ পরে যাই এবং ধীরে ধীরে ত্বক নষ্ট হয়ে যাই।

দাথ সুস্থ ও সাদা রাখার ১০টি উপায় সম্পর্কে জানতে, এখানে কিল্ক করুন।

০৪। ত্বক সুস্থ, সুন্দর ও ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া দরকার।

ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলোর মধ্যে অনেক ধরনের খাবারও আছে। ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই এই ধরনের খাবার খেতে হবে নিয়মিত। খাবার গুলো হচ্ছে আপেল, গরুর দুধ, টক দুধ, ত্বক কমল ও মসৃণ করার জন্য মধু ও অনেক খানি কাজ করে। আরও অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যা খেলে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে আর এইটা যতেষ্ট পরিমাণে ভালো। তাই প্রতিদিন নিয়মিত ত্বক সুস্থ, সুন্দর, কমল, মসৃণ ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ার চেষ্টা করবো।

০৫। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৪/৫ বার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধৌত করা উচিত।

দিনে ৪/৫ বার মুখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত এবং বেশি রাত না জেগে তারাতারি ঘুমানো উচিত। ঘুমানোর আগে আবার মুখে ভালো করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। আসলে আমরা যখন বাহিরে থেকে বাসায় আসি, তখন অনেক ধুলাবালি আমাদের ত্বকে লেগে থাকে তারপর বাসায় এসে যদি ভালো করে ত্বক না পরিষ্কার করি, তাহলে ত্বকের মধ্যে ভালো ভাবে ময়লা লেগে কালো করার পাশাপাশি অনেক ক্ষতিও করতে পারে। আসলে মাত্র ৫ টি ধাপ যদি অনুসরণ করতে পারেন তাহলেই কিন্ত আপনি ত্বকের ভালো যত্ন নিতে পারছেন।

 

Leave a Reply