টাকার পরিমাণের সঙ্গে ‘মাত্র’ লেখা হয় কেন?

টাকার পরিমাণের সঙ্গে ‘মাত্র’ লেখা হয় কেন?

টাকার পরিমাণ ৫০০ টাকা হোক আর ৫ কোটি হোক, পরিমাণ লেখার পর ‘মাত্র’ লেখা হয়। আর অংকে লিখলে/= চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর কারণ কী?

প্রশ্ন জাগতে পারে, আপনি ব্যংক চেকে টাকার পরিমাণ লেখার পর কেন ‘মাত্র’ শব্দটি লিখলেন। ৫ কোটি টাকা তো আর মাত্র হতে পারে না। এটা নিশ্চয়ই অনেক টাকা! কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা বলছেন, টাকার পরিমাণ যাই হোক না কেন শেষে মাত্র লেখার একমাত্র কারণ হলো, নির্দিষ্টতা।

 

তারা বলছেন, টাকার অংক যখন শব্দের সাহায্যে লেখা হয়, তাতে যাতে অসদুপায়ে কেউ টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি না করতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেই টাকার পরিমাণ লেখার শেষে, ‘মাত্র’ লেখা হয়। অর্থাৎ, টাকার শেষে লেখা ‘মাত্র’ শব্দটি টাকার পরিমাণের নির্দিষ্টতা বুঝায় এবং নিরাপত্তা দেয়। যেমন ধরুন পঞ্চাশ হাজার টাকা মাত্র, মানে পঞ্চাশ হাজার টাকার এক টাকা কমও না আবার এক টাকা বেশিও না।

 

তাছাড়া চেক প্রদানকারী ধরুন শুধু ৫০,০০০ টাকা লিখে দিলেন। আর চেক গ্রহীতার অসদাচরণের কারণে সেখানে যদি একটা শূন্য বেশি দেওয়া হয় তাহলে তো পুরাই ধরা!

 

আরও পড়ুন: ই-কমার্সে অবৈধ ডিজিটাল সেবা বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

 

এ ছাড়া কেউ টাকার পরিমাণ, পঞ্চাশ লিখলে এবং শেষে মাত্র না লিখলে, পঞ্চাশ শব্দটির পিছনে, হাজার বা লাখ বা কোটি শব্দগুলো যোগ করার সুবিধা থাকে। তাই পঞ্চাশ হাজারের পেছনে মাত্র লিখলে, তার পেছনে আরও টাকার পরিমাণ লিখলে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে যে ‘মাত্র’ লেখার পরে আবার টাকার পরিমাণ আসবে কেন?

 

ফলে মাত্র লিখে অথবা এমাউন্ট লিখার পর এই ‘/=’ চিহ্ন দেওয়ার একমাত্র কারণ, যাতে আর কোনোভাবেই সেখানে কোনো রকম কারচুপির করার সুযোগ না থাকে। অর্থাৎ এটি প্রতারণা থেকে বাঁচার একটি অন্যতম ফাঁদও বলতে পারেন।

 

আরও পড়ুন: কার্ডের সীমার অতিরিক্ত অর্থ খরচ: রন-রিকের ক্রেডিট কার্ড ব্লক

 

সহজ কথায়, এর ফলে পরবর্তীকালে টাকার অংক পরিবর্তন কষ্টকর হয়। তাই অবশ্যই চেকে বা ডিপোজিট স্লিপে মাত্র লিখতে হবে। সেইসঙ্গে এমাউন্ট লেখার পর লম্বা টানে এমাউন্ট ঘরের বাকি জায়গা জুড়ে দাগ টেনে দিতে হবে।

 

 

Leave a Reply