নতুন কারিকুলাম যে বিশ্বমানের সে বিষয় কোন সন্দেহ নেই। সাংগঠনিক সম্পাদক  বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ। দুলাল চৌধুরী

উন্নত দেশের কারিকুলাম গবেষণা করে আমাদের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ পন্ডিত ব্যক্তিরা এটা প্রনয়ণ করেছে। এখানে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ব্যপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। শিক্ষার ১০ ক্ষেত্রে নির্বাচন করে দশটি বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। যা সত্যিই জীবন ঘনিষ্ঠ। এ কারিকুলাম যে সকল দেশে বাস্তবায়িত হয়েছে সে সকল দেশে গিয়ে আমাদের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদল সরজমিনে খুটিনাটি দেখ আসছেন। এখানে শিক্ষনকালীন মূল্যায়নে একজন শিক্ষার্থীকে তাঁর শিক্ষক, সহপাঠী ও অভিভাবক দ্বারা মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা আছে। শিক্ষা উপকরণ হবে বিশ্ব মানের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামোও হতে হবে বিশ্ব মানের। শিক্ষা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ হতে হবে বিশ্বমানের। যারা মাঠ পর্যায়ে পড়াবেন তাদের প্রশিক্ষণ হবে মাত্র পাঁচ দিনের। এই কারিকুলামের সব কিছুই বিশ্বমানের শুধু যারা এ কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাবে সেই শিক্ষকদের বেতন যে বিশ্বমানের দিতে হবে এ বিষয়টি দেখতে তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন। গবেষণায় তাঁরা এটা পেলেও এটা আমদানি করেনি।সব কিছু বিশ্বমানের হবে শুধু শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি হবে না। সবই আনতে পারলেন শুধু শিক্ষকদেরও বিশ্ব মানের বেতন দিতে হবে সেটা বলতেও পারলেন না।এ ভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য রেখে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন সম্ভব কী? দেশের প্রায় সব শিক্ষক সংগঠন এখন জাতীয় করনে দাবিতে রাস্তায়।

দ্বিশতবর্ষের সূচনায় মাইকেল মধুসূদন দত্তকে ফিরে দেখা-Michael Madhusudan Dutt

তাদের দাবির বিষয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন মাথা ব্যাথা নেই। আপনারা দিতে পারেন বা নাই পারেন তাদের ডেকে দাবিগুলো শুনুন যতটুকু সম্ভব বাস্তবায়ন করুন। শিক্ষকদের দাবিগুলো কি একেবারেই অবাস্তব। আপনারা উন্নয়নের কথা বলেন, উন্নয়ন হয়েছে এটা আমরা শিক্ষক সমাজও বিশ্বাস করি। আমরা সরকারের উন্নয়নের গল্প আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের শুনাই।যখন আমরা দেখি প্রায় ২০ বছরেও আমাদের উৎসব ভাতা ২৫%ই রয়েছে। উন্নয়নের রোল মডেলের দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পর্যন্ত প্রত্যেকে বাড়ি ভাড়া পায় মাসিক ১০০০ টাকা। চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা। সব সরকারি কর্মচারীদের সন্তান শিক্ষা ভাতা পেলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সন্তানেরা শিক্ষা ভাতা থেকে বঞ্চিত। এই বৈষম্য নিয়ে আমরা চাকরি করছি এবং আমাদের সন্তানেরা বড় হচ্ছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের ১০০ ভাগ উৎসব ভাতা দাবি যৌক্তিক। কেউ কথা রাখেনি।মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারী আপনার শিক্ষা পরিবারের সদস্য। তারা কি চায় একটু খোঁজ নিন?এই সংগঠনগুলোকে আপনার সংগঠন মনে হয় না। একটি বিশেষ সংগঠনকে আপনি গুরুত্ব দেন। শিক্ষকদের মাঝে তার কোন ভিত্তি নেই। তাঁরা স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধের হোলসেলার মনে করে। কিন্তু তাদের জন্ম কোন সালে? তারা আপনাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দালালী করে।এই দালালদের থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী প্রধান শিক্ষক সমিতি এবং সহকারী শিক্ষক সমিতি এই তিন সংগঠন যৌথ ভাবে জাতীয় করনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষক সমাবেশ করছে। সেখান থেকে আগামী ঈদের পূর্বে এ পাঁচ দফা দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবি না মানলে কর্মসূচি চলবে।

ধন্যবাদান্তে

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী

সাংগঠনিক সম্পাদক

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

Leave a Reply