নায়লা নাঈম এবার থ্রিডি সিনেমার নায়িকা | নায়লা নাঈমের জীবনী

তরুণ নির্মাতা আহমেদ সাব্বির নির্মাণ করতে যাচ্ছেন দেশের দ্বিতীয় থ্রিডি সিনেমা ‘কমলীবালা দেবী’। এর এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন মডেল, অভিনেত্রী নায়লা নাঈম। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নায়লা নাঈম বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই সিনেমায় আমি অভিনয় করবো। অভিনয়ের বিষয়ে নির্মাতার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকায় সিনেমার গল্প এখনো শুনতে পারিনি। গল্প শোনার পর সবকিছু চূড়ান্তভাবে জানাতে পারবো।’

নায়লা নাঈমের জীবনী
নায়লা নাঈমের জীবনী

নির্মাতা আহমেদ সাব্বির জানান, অষ্টাদশ শতাব্দীর অবিভক্ত বাংলার একটি রাজপরিবারকে নিয়ে এই সিনেমার গল্প। ইতোমধ্যে তারা সিনেমাটি নিয়ে ভারতের মুম্বাইয়ের স্কাইওয়ার্ক স্টুডিওয়ের প্রধান আশিষ মিত্তালের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার এর আগে ভারতের ‘রোবট টু’ এবং বাংলাদেশের ‘অলাতচক্র’ সিনেমার থ্রিডি শুটিংসহ অন্যান্য সহায়তা করেছিল।

তিনি আরও জানান, ‘কমলীবালা দেবী’র প্রযোজনা করছেন নিশাত খান শর্মী।

উল্লেখ্য, নায়লা নাঈমের জীবনী নিয়ে এর আগে ‘নায়লা নাঈম দ্য কুইন অব কন্ট্রোভার্সি: পার্ট ওয়ান’ শিরোনামে বই করেছিলেন আহমেদ সাব্বির। গত বছর বইমেলায় গ্রন্থিক প্রকাশনা বইটি প্রকাশ করে।

নায়লা নাঈমের জীবনী
নায়লা নাঈমের জীবনী

নায়লা নাঈম (জন্ম: ডিসেম্বর ১৪, ১৯৮৬) একজন বাংলাদেশি মডেল, অভিনেত্রী এবং দন্ত চিকিৎসক।[১][২] র‌্যাম্প মডেল হিসেবে শোবিজের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের শুরু, এবং পরর্তীতে তিনি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র শিল্পে যুক্ত হন

নাঈম ১৪ ডিসেম্বর ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[২][৪] তার ছেলেবেলা কাটে ঢাকার বিভাগের মাদারীপুর জেলায়।[৫] তিনি ২০১২ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ থেকে স্নাতক এবং পরবর্তীতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণ স্বাস্থ্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

নায়লা নাঈমের জীবনী
নায়লা নাঈমের জীবনী

২০১৪ সালে এক অনুষ্ঠানে নাঈম

নাঈম পেশায় একজন দন্তচিকিৎসক হলেও বিনোদন কর্মজীবনে তার পদার্পণ ঘটে মডেলিংয়ের মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে শোবিজ জগতের একজন র‌্যাম্প মডেল হিসেবে তার বিনোদন কর্মজীবনের শুরু। ২০০৯ সালে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে অলোচনায় আসেন।[১] একজন ফ্যাশন মডেল হিসেবে, পাশাপাশি একাধিক ব্র্যান্ডের টেলিভিশন বিঙাপনে কাজ করেছেন তিনি।[৬] এছাড়া তিনি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পোশাক পণ্যের মডেল হয়েছেন।[২] শোবিজ জগতে আসার কিছুদিনের মধ্যে তিনি জনপ্রিয়তা আর্জন করেন।[৭] পরবর্তিতে তিনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় শুরু করেন। এরপর ভাইকিংস সঙ্গীতদলের তন্ময় তানসেন পরিচালিত রান আউট[৮][৯] চলচ্চিত্রে একটি আইটেম গানে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে।[১০][১১][১২] পরবর্তীতে তিনি কাজী হায়াত পরিচালিত মারুফ টাকা ধরে না চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়ও তিনি ফুডপান্ডা প্রচারণায় অংশ নেন।[১৩]

 

নায়লা নাঈমের জীবনী
নায়লা নাঈমের জীবনী

আলোচনা[সম্পাদনা]

কর্মজীবনে বিভিন্ন সময় পোশাক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজের জন্যে এবং ভার্চুয়াল জগতে খোলামেলা বেশ কিছু স্থিরচিত্র প্রকাশের কারণে তিনি আলোচনায় আসেন।[১][৩][১৪][১৫] বিভিন্ন সময় সমালোচনার প্রেক্ষিতে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, “আমি পর্নো স্টার নই”।[১৬][১৭]

 

নায়লা নাঈমের জীবনী
নায়লা নাঈমের জীবনী

Leave a Reply