প্রিয়নবীর ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে ইহুদি পরিবারটি

অ্যারন কোহেন। বর্তমান বয়স ৫৯ বছর। যিনি সপরিবারে ২০০৮ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মধ্যঞ্চলীয় এলাকা বে-উগ্লুতে কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামে প্রবেশ করেন তারা।

ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার পর কোহেন বলেন, ‘আমি মহানবী সা:-কে প্রচণ্ড ভালোবাসি ও সম্মান করি।’ তাঁর ব্যক্তিত্ব কোহেনকে ইসলাম গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে বলেও তিনি জানান।

কোহেন আরো বলেন, ‘এখন আমি আসমানী ধর্মগুলোর প্রতিও যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করি। একইসাথে এটিও বিশ্বাস করি যে, ইসলাম পরিপূর্ণ ও সর্বশেষ ধর্ম।’

ধর্মতত্ত্ব পড়তে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন এই জাপানি শিক্ষাবিদ

অ্যারন কোহেনের ইসলাম গ্রহণের আরেকটি কারণ হলো- তিনি বিয়ে করেছেন এক বিধবা নারীকে। ইহুদিদের একজন ধর্মীয় ব্যক্তি হয়ে তিনি কেন এরকম কাজ করলেন- সেজন্য ওই ধর্মের পণ্ডিতদের কাছ থেকে কটাক্ষের শিকার হন। এরপরই সত্য ধর্ম ইসলাম গ্রহণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

আরবি সংবাদমাধ্যম আলুকা তুর্কি পত্রিকা হুররিয়্যাত সূত্রে জানায়, স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ইসলামে প্রবেশকারী কোহেন একসময় ইস্তাম্বুলের একটি ইহুদি উপাসনালয় সিনাগগে কাজ করতেন। তার কণ্ঠ সুমিষ্ট। উপাসনার সময় তার কণ্ঠে ধ্বনিত ধর্মীয় কবিতা অন্যদের মুগ্ধ করত।

তিনি যে নারীকে বিয়ে করেছেন, তিনিও ইহুদি পরিবারের মেয়ে। ফ্রান্সের একটি বিদ্যালয়ে চাকরি করতেন। সেখানেই কোহের সাথে তার পরিচয়। এই দম্পতির কোলজুড়ে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। মা-বাবার সাথে সেও আশ্রয় নিয়েছে ইসলামের সুশীতল ছায়ায়।

সূত্র : আলুকা ও আর-রায়

 

Leave a Reply