বিকল্প শব্দ কী

বিকল্প শব্দ কী

কোন শব্দের সমজাতীয় অর্থ কিংবা ইতিবাচক অর্থ প্রকাশের জন্যে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে বিকল্প শব্দ বলে। বাংলা ভাষাসহ পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষায় এ ধরনের শব্দ আছে।

যেমন: কপাল – ভাগ্য, ললাট, নিয়তি।

অর্থ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে, ব্যঞ্জনা প্রকাশে, ভাষার সৌকর্য বৃদ্ধিতে, বাক্য কাঠামো নির্মাণে এবং একঘেয়েমি পরিহারের ক্ষেত্রে বিকল্প শব্দ ব্যবহার করা হয়। প্রতিশব্দও কখনো কখনো বিকল্প শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শব্দভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্যে বিকল্প শব্দের প্রয়োজন রয়েছে। অন্যান্য ভাষা থেকেও শব্দ সংগ্রহ করে বাংলা ভাষার বিকল্প শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হচ্ছে।

কতিপয় বিকল্প শব্দ নিম্নে দেয়া হল

অপবাদ-কালিমা, কলঙ্ক, বদনাম, মালিন্য, দুর্নাম।

অখন্ড – সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ, অবিভক্ত।

Read More:Gender কাকে বলে ? কত প্রকার ও কি কি?

অনর্থ – অনাবশ্যক, নিষ্প্রয়োজন, শুধুশুধি, অর্থহীন।

অবশ্য – নিশ্চিত, একান্তভাবে, নিশ্চয়।

অমূলক –মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য।

অবশিষ্ট – অতিরিক্ত, শেষাংশ, উদ্বৃত্ত।

অমিত – প্রচুর, অনেক, বেশি, ভীষণ।

অবকাশ – সময়, ফুরসত, সুযোগ।

অরুণ – লাল, আরক্ত, রক্তিম।

অপূর্ব – ভালো, মনোরম, মনোহর, সুন্দর।

অচল- দুর্বল, স্থির, নিথর।

অসম- বন্ধুর, বিষম, উঁচু-নিচু, অসমান।

আগুন – দহন, শিখা, পাবক, হুতাশন।

আসল – মূলধন, মৌলিক, মৌল, প্রকৃত।

আঘাত- দুঃখ, কষ্ট, ব্যথা।

আধিপত্য- কর্তৃত্ব, সর্বাধিকার, প্রভুত্ব।

আক্ষেপ –বিলাপ, আবেগ, অনুশোচনা।

আধুনিক – সম্প্রতি, বর্তমান, নব্য।

আজ্ঞা – অনুমতি, হুকুম, আদেশ।

আকাশ- ছায়ালোক, শূন্য, অনন্ত, গগন।

আকুল – কাতর, অস্থির, উদ্বিগ্ন।

আনন্দ – সুখ, খুশি, উল্লাস, হর্ষ।

আদি – প্রথম, পূর্ব, আরম্ভ।

ইতি – অবসান, যবনিকা, সমাপ্তি।

ইদানীং – সম্প্রতি, বর্তমান, এখনকার।

ইচ্ছা – বাসনা, সাধ, আকাঙ্ক্ষা।

ইতর – অভদ্র, অশোভন, অমার্জিত।

ইন্দ্র – রাজা, অধিপতি, দেবরাজ।

ঈর্ষা – পরশ্রীকাতর, হিংসা, বিদ্বেষ।

ঈষৎ- অল্প, সামান্য, খুব কম।

ঈপ্সা – লালসা, অভিপ্রায়, প্রবল ইচ্ছা।

ঈক্ষণ – দেখা, অবলোকন করা, তাকান।

উপস্থিত – বর্তমান, বিদ্যমান, হাজির, আগত।

উপযোগ – ব্যবহার, প্রয়োগ, ভোগ।

ঔদার্য – বদান্যতা, আন্তরিকতা, উদারতা।

উপযুক্ত – যোগ্য, অনুরূপ, যথাযোগ্য, উচিত।

উপদ্রব – অত্যাচার, বিপদ, দৌরাত্ম্য।

উপকার-সাহায্য, কল্যাণ, আনুকূল্য।

উদ্দেশ্য – মতলব, অভিপ্রায়, লক্ষ্য, অভিসন্ধি।

উদর –জঠর, পেট।

উৎক্ষিপ্ত- ঊর্ধ্বে, নিক্ষিপ্ত, উৎপাটিত।

উগ্র – তীব্র, প্রখর, প্রচন্ড।

উত্তম – ভদ্র, উৎকৃষ্ট, অগ্রণী, বরেণ্য।

উজ্জ্বল – দীপ্তিমান, প্রজ্বলিত, উদ্ভাসিত, আলোকিত।

উচ্ছ্বাস – বিকাশ, উল্লাস, স্ফীতি।

উৎকট –বিকট, তীব্র, উগ্র, কঠোর।

উপকথা- কাহিনী, গল্প, কেচ্ছা, উপাখ্যান, রূপকথা।

উপচয় – সংগ্রহ, উন্নতি, নিচয়।

উরু- জানুর উপরিভাগ, উরত।

উর্বর – ভারসাম্য, আনুকূল্য, ভালো, কল্যাণময়।

উর্মি – ঢেউ, তরঙ্গ, উপচে পড়া জল।

উষর – অনুর্বর, ক্ষারযুক্ত, নোনাযুক্ত, নোনতা মাটি।

ঊন – ন্যূন, কম, উন, হীন, দুর্বল।

ঊর্ধ্ব – উচ্চ, উপরিভাগ, উপর, উন্নতি।

ঋষি – শাস্ত্রজ্ঞ, তপস্বী, মুনি, যোগী।

ঋদ্ধ – সমৃদ্ধ, উন্নতি, কল্যাণ।

ঋতু – আর্তব, কাল, নির্দিষ্ট সময়ের সমাহার।

ঋক্ষ – নক্ষত্র, সপ্তর্ষিমন্ডল।

একতা – মিলন, একত্ব, অভেদ।

একান্ত – নির্জন, নিতান্ত, ঐকান্তিক।

এড়ো – আড়, কাত, একপেশে, চওড়াদিক।

Read More: Voice কাকে বলে ? Voice কত প্রকার ও কি কি ?

এলো –এলানো, অসংগত, শিথিল।

এই – নিকটস্থ, সম্মুখবর্তী।

ঐক্য – একতা, মিল, অভিন্ন।

ঐতিহ্য – কিংবদন্তী, বিশ্রুতি, ইতিহাসলব্ধ গুণ।

ঐশ্বর্য – বিত্ত, বৈভব, প্রভুত্ব, শক্তি, ধন, সম্পত্তি।

ঐকান্তিক –একনিষ্ঠ, প্রগাঢ়, আত্যন্তিক।

ঐরাবত – হাতি, হস্তী, গজ।

ওজন – তৌল, পরিমাণ, মর্যাদা।

ওসা – শিশির, হিম, ঠান্ডা।

ওঠ –অধর, ঠোঁট, চঞ্চু।

ওস্তাদ – গুরু, শিক্ষক, চালাকি, বাহাদুরি।

ওজস্বী – বলবান, তেজস্বী, দীপ্তিমান।

ওলন- অবতরণ, অবরোহণ, উলম্ব।

ঔচিত্য –ন্যায্যতা, যোগ্যতা, উপযুক্ততা।

ঔপাধিক – উপাধিজাত, অভিধা, উপাধি, নাম।

ঔদরিক –পেটুক, খাদক।

ঔদ্ধত্য – ধৃষ্টতা, শৃঙ্খলাহীন, দর্পসম্পন্ন।

কপাল – ভাগ্য, নিয়তি, ললাট।

কাপুরুষ – ভীরু, সাহসহীন, অপদার্থ।

কিশলয় – কচি, নব পল্লব।

কিনারা – প্রান্ত, পাড়, পার্শ্ব, তীর।

কঠিন – দৃঢ়, কঠোর, মধ্যে, আয়াস, দুর্বোধ্য।

কৌতূহল – অভিপ্রায়, আগ্রহ, আমোদ, পরবশ।

কল্প – বিধি, নিয়ম, ব্রত, অনুকল্প।

কল্যাণ – শুভ, কুশল, সুখী, মঙ্গল।

কাটা – ছেদন, খন্ডন, খোদাই, অঙ্কন।

কারণ – নিমিত্ত, হেতু, প্রয়োজন, উদ্দেশ্য।

কিরণ – প্রভা, জ্যোতি, দীপ্ত।

কোপ – রাগ, রোষ, ক্রোধ, বিরাগ।

কপোত – কবুতর, পায়রা, পারাবাত।

কন্যা – দুহিতা, তনয়া, পুত্রী।

কড়া – কঠিন, দৃঢ়, শক্ত, খর, তীব্র।

কটি – কোমর, কাঁকাল, মাজা।

কটু – কর্কশ, ঝাল, তিক্ত, কষা।

খাটা –পরিশ্রম করা, কাজে লাগা।

খর – প্রখর, উগ্র, কর্কশ, কঠোর।

খসা – বিচ্যুত হওয়া, ধসা, আলগা হয়ে পড়া।

খাজা – মূর্খ, শক্ত।

খেয়াল – কল্পনা, শখ, অনুমান, ঝোঁক।

খোলসা – মুক্ত, স্পষ্ট, বিশদ, খোলাখুলি।

খারাপ – মন্দ, দুষ্ট, নিকৃষ্ট, অভদ্র।

খাঁটি – আসল, সারগর্ভ, ভেজালহীন।

খুব – ভীষণ, প্রচন্ড, অনেক।

গতি – গমন, যাত্রা, ধারা, চলন।

গৃহ – নিবাস, নিলয়, নিকেতন, আলয়।

গর্জন – গম্ভীর ধ্বনি, উচ্চ শব্দ, নাদ।

গলিত – তরলকৃত, দ্রবীভূত, প্রবাহিত।

গূঢ় – দুর্বোধ, গহন, আচ্ছাদিত, নিভৃত, অজ্ঞাত।

গণ – দল, বর্গ, শ্রেণী, সমূহ।

গন্তব্য – মনজিল, অভীষ্ট, স্থান, লক্ষ্য।

গম্ভীর – বাক্যহীন, দুর্বোধ্য মেজাজ।

গ্রহণ – নেয়া, গ্রাস।

গুণ – দড়ি, দড়া, কাছি।

ঘাট – নামিবার স্থান, অপরাধ, উৎপাদন স্থান।

ঘাত – চোট, প্রহার, কোপ, ঘা, ক্ষত।

ঘৃণা – অবজ্ঞা, অপমান, লজ্জাবোধ।

ঘোচা – লোপ পাওয়া, শেষ করা।

ঘোটক- অশ্ব, তুরঙ্গ, বাজী, ঘোড়া, হয়।

ঘন – পুরো, মোটা, জমাট, ঘোর, গম্ভীর।

ঘোর – গভীর, নিবিড়, গাঢ়, আবেশ।

ঘর – আবাস, নিলয়, নিকেতন।

চপল – চঞ্চল, তরল, ক্ষণস্থায়ী।

চরণ – বিচরণ, পা, পদ, ভ্রমণ।

চরিত- আচরণ, চরিত্র, জীবনচরিত।

চলন – চলা, রীতি, রেওয়াজ, আচরণ।

চাপা – প্রয়োগ, টেপা, গোপন করা, ঢাকা।

চারু – মনোরম, ললিত, সুকুমার।

চিত্র – আলেখ্য, প্রতিমূর্তি, বিচিত্র, নকশা।

চূড়া – শীর্ষ, ঝুঁটি, টিকি, শ্রেষ্ট।

চিহ্ন – রেখা, ছাপ, নিদর্শন, অভিজ্ঞান।

চড় – চাপড়, থাপ্পড়, প্রহার করা, মারা।

চক্ষু – নয়ন, লোচন, নেত্র, চোখ, আঁখি।

চক্র – ঘুরপাক, ভ্রমণ, আবর্তমান।

চিত্ত – হৃদয়, মন, অন্তর, আত্মা, প্রাণ।

ছাড়া – ত্যাগ, বদলানো, প্রস্থান।

ছবি – দীপ্ত, শোভা, কান্তি, চিত্র।

ছেদ – কর্তন, খন্ড, বিরাম, যতি।

ছল – প্রতারণা, নিন্দা, ভান, কৌশল।

ছাঁচ – সাদৃশ্য, প্রতিকৃতি, মডেল।

ছার – অধম, নগণ্য, পোড়া, মন্দ।

ছিটা – ছাট, ছড়া, বিন্দু, ফোঁটা।

জড় – একত্র, নিস্ক্রিয়, মূল।

জল – অপ, উদক, নীর, বারি, সলিল।

জলাশয় –পুষ্করিণী, জলের আধার।

জাত – গোষ্ঠী, মৌল, বংশ, শ্রেণী।

জোর – শক্তি, উচ্চতা, তীব্রতা, জবরদস্তি।

জন্ম – উৎপত্তি, আগমন, দেহাশ্রিত অবস্থা, ভূমিষ্ঠ।

জোড়া – মিলিত, আরম্ভ, যুক্ত।

জমা – সঞ্চয়, পুঁজি, সমাবেশ।

ঝোঁক – টান, আগ্রহ, আকর্ষণ, আসক্তি, ঝোঁক, মায়া, ভালবাসা।

ঝাড়া –একটানা, বিরামহীন, নিক্ষেপ।

ঝাঁজ –আঁচ, উত্তাপ, তাপ, দ্যুতি।

টান – আকর্ষণ, আসক্তি, ঝোঁক, মায়া, ভালবাসা।

টানা – পক্ষপাত, একদিকে নেয়া।

টোপা – মোহনীয়, উঁচু নকশা, লোভনীয়।

টোলা – পল্লী, পাড়া, নগরের অংশ, বসতি।

ট্যাক্স – মাসুল, কর, খাজনা, রাজস্ব, টোল।

ঠেলা – ধাক্কা দেয়া, বর্জন করা, অবজ্ঞা।

ঠিক – নির্ভুল, উত্তম, সত্য, আসল।

ঠাহর – মনোযোগ, দৃষ্টি, উপলব্ধি।

ঠেকা – লাগা, বাঁধা, সংকটে পড়া।

ডাক – ধ্বনি, চিৎকার, আহ্বান, সম্বোধন।

ডগা – আগা, শীর্ষ ভাগ, অগ্রভাগ।

ডঙ্কা – জয় ঝংকার, জয়ঢাক, প্রমোদ ধ্বনি, টেটরা।

ডাল – শাখা-প্রশাখা, কান্ড।

ঢালা – পতিত করা, প্রবাহিত, পাত্রস্থ।

ঢিলা – আলগা, শীতল, অমনযোগী।

ঢের – প্রচুর, অনেক, বেশি।

ঢেউ – দোলা, তরঙ্গ, ঊর্মি, হিল্লোল ।

ঢাকা – আচ্ছাদিত, ছাদ দেয়া, ছাউনি।

ঢাকনা – আবরণ, আবৃত করা, আচ্ছাদন।

তৎকাল – সমসাময়িক, সেই সময়।

তর্জন – ভর্ৎসনা, তিরস্কার, ক্রোধে গর্জন।

তাক – নিশানা, আলমারির তাক, অনুমান, লক্ষ্য ঠিক।

তীর্থ – পুন্যস্থান, দেবতা-মহাপুরুষের জন্য বিখ্যাত স্থান।

তত্ত্ব – শৃঙ্খলিত জ্ঞান, মূল বিষয়, স্বরূপ।

তনয়া – দুহিতা, মেয়ে, কন্যা।

তরঙ্গ – ঊর্মি, হিল্লোল।

তর্ক – বিতর্ক, যুক্তি, বিচার, হেতু্।

তৈয়ার – নির্মাণ, গঠন, প্রস্তুত, বানানো।

থামা – গতি সংবরণ করা, নিশ্চল হওয়া, চুপ থাকা।

থলিয়া – ঝুড়ি, বস্তা, আধার।

থাকা – অবস্থান করা, সময় কাটানো, বেড়ানো।

থালা – পাত্রবিশেষ, প্লেট, খাবারের পাত্র।

থানা – কেন্দ্র, অঞ্চলবিশেষ।

দয়া – করুণা, কৃপা, প্রবৃত্তি, অনুকম্পা, সমবেদনা।

দক্ষিণ – অবাক, অবাচী, অনুকূল, ডান।

দখল – অধিকার, অধিকারী, আয়ত্ত, ব্যুৎপত্তি।

দগ্ধ – পোড়া, উত্তপ্ত, সন্তপ্ত।

দন্ড – লাঠি, কাঠি, শাস্তি, খেসারত।

দান- অর্পণ, বিতরণ, সম্প্রদান।

দাহ – পোড়া, সৎকার, জ্বলা।

ধর্ম – পুণ্যকর্ম, সৎকর্ম, স্বভাব, আচরণ, আইন, মনুষ্যত্ব, পুণ্য।

ধবল – শ্বেত, ধলা, শুভ্র, শুক্ল।

ধারা – প্রবাহ, নির্ঝর, ঝরণা, শৃঙ্খলা, বারি।

ধ্বংস- নাশ, উচ্ছেদ, বধ, অপচয়।

ধরা – পৃথিবী, ধরণী, হাত দেয়া, স্পর্শ করা।

ধরণী – পৃথিবী, বসুধা, ধরা, নশ্বর।

নদী – তটিনী, প্রবাহিণী, তরঙ্গিণী, স্রোতস্বিনী।

নবীন – নতুন, উদগত, আধুনিক, অধুনা।

নাম – সুনাম, উল্লেখ, অভিধা, পরিচয়, মর্যাদা।

নিকট – থেকে, কাছে, অদূরবর্তী।

নম্র – ভদ্র, বিনয়ী, বিনয়াবনত।

নব – নতুন, নবজাত, নয়া।

নরম – কোমল, মৃদু, শান্ত, দয়া, স্নেহ।

নাড়া – দোলায়িত করা, নাড়ানো, বিচালন।

নাশ – ধ্বংস, বিনাশ, শেষ, ভস্ম।

নিজ – আপন, স্বীয়, স্বকীয়, স্বয়ং, নিজস্ব।

পক্ষ – পাখা, পাখির ডানা, পালক, সহায়, ছল, পনের দিন।

পতন – পাত করা, অবনতি, ধ্বংস, স্থলন।

পরম – শ্রেষ্ঠ, মহৎ, অত্যন্ত, চরম।

পল্লব – পত্র, পাতা, কিশলয়।

পত্নী – জায়া, ভার্যা, জীবনসাথী, স্ত্রী।

পতাকা – কেতন, ঝাণ্ডা, ধ্বজা, নিশান।

পত্তন – নগর, পট্রন, নির্মাণ, প্রতিষ্ঠা, আরম্ভ, স্থাপন।

পায়রা – কবুতর, পারাবত, কপোত।

ফাঁকা – ব্যবধান, অন্তর, অনাবৃত অংশ, খালি, অবকাশ।

ফাটা – বিদীর্ণ, চিড়, আঘাত, দুভাগ, ছিদ্র।

ফেলা – নিক্ষেপ, পতিত, শেষ, চুকা, পরিত্যক্ত, বাদ।

ফোটা – বিদ্ধ, ব্যক্ত, উন্মুক্ত, বিকশিত।

ফের – আবার, পুনরায়, বন্ধন, সংকট, বদল, পরিবর্তন।

বিমান – ব্যোমযান, আকাশ, উড়োজাহাজ, হাওয়া জাহাজ, আকাশযান।

বদ- রুক্ষ, মন্দ, অসাধু, অসৎ, কর্কশ, খারাপ।

বহু – অধিক, অনেক, প্রচুর, বেশি, মহা, একাধিক।

বন – অরণ্য, কানন, গহন, জঙ্গল।

বল – শক্তি, জোর, ক্ষমতা, সামর্থ্য।

বিষয় – ধন, সম্পত্তি, ভোগ্যপদার্থ, অঞ্চল, অধিকারভুক্ত জায়গা।

বলা – উল্লেখ, বর্ণনা, জ্ঞাপন, কথন।

ব্যবস্থা – নিয়ম, উপায়, পন্থা।

বিচিত্র – ভিভিন্ন রঙের।

বদন –মুখ।

বন্ধ – বাঁধা, আবদ্ধ, রুদ্ধ, যুক্ত, বিন্যাস।

বাছা – নির্বাচন, বাছাই করা, পৃথক করা।

ভর – অবলম্বন, নির্ভর, সহযোগিতা।

ভাব – সত্তা, অস্তিত্ব, স্থিতি হওয়া, উৎপত্তি, অবস্থা, চিন্তা, ভাবনা, অভিপ্রায়।

ভেদ – বেধন, বিদারণ, ছেদন, পার্থক্য, অনৈক্য।

ভোগ – অনুভব, উপভোগ, সুখ।

ভ্রমর – অলি, মধুকর, মধুপ, মধুরত, ভোমরা।

মারা – প্রহার, আঘাত, হত্যা, নষ্ট, আত্মসাৎ।

মরা – নিঃশেষ ত্যাগ করা, ইহলোক ত্যাগ করা, নিহত, মৃত।

মাটি – মৃত্তিকা, জমি, কবর, আশ্রয়।

মত – সম্মতি, অভিমত, অভিপ্রায়, স্বীয়, চিন্তা।

মতলব – অভিসন্ধি, কৌশল, উপায়।

মতি – প্রবৃত্তি, ইচ্ছা, অভিপ্রায়, জ্ঞান।

মন্দ – খারাপ, অপকৃষ্ট, অশুভ, অসৎ, দুষ্ট।

মর্ম – তাৎপর্য, গূঢ়, অর্থ, রহস্য।

মহৎ – শ্রেষ্ঠ, উদার, পরম, প্রবল, অত্যন্ত।

মায়া – মমতা, স্নেহ, কপটতা, প্রকৃতি।

যোগ – ঐক্য, সংযোগ, সংযুক্ত, মিলন।

যশ – কীর্তি, খ্যাতি, প্রথিতযশা।

যুদ্ধ – আবহ, বিগ্রহ, রণ, লড়াই, সংগ্রাম, সমর।

যোগ্য – উপযুক্ত, সমর্থ, যথাযোগ্য।

রাত – বিভাবরী, যামিনী, রজনী, রাত্রি, নিশা, শর্বরী।

রণ – সমর, লড়াই, যুদ্ধ, জঙ্গ, সংগ্রাম।

রস – নিঃস্রাব, জল, আর্দ্রতা, নির্যাস, স্বাদ, তাৎপর্য, কৌতুক, উল্লাস, ভোগ, অশ্রু।

রাখা – ধারণ করা, পালন করা, রক্ষা করা, গচ্ছিত করা, মর্যাদা দান করা, স্থাপন করা, আশ্রয়দান করা।

রক্ত – শোণিত, রুধির, রাঙা, লাল, আবীর, অনুরক্ত।

রীতি – প্রণালি, প্রথা, দস্তুর, ধারা, নিয়ম, আইন।

রুচি – ইচ্ছা, স্পৃহা, প্রবৃত্তি, সুরুচি।

রূপ – আকৃতি, চেহারা, সৌন্দর্য, স্বরূপ।

রোষ – ক্রোধ, কোপ রাগ, আক্ষেপ।

লজ্জা – শরম, সংকোচ, সংশয়, অনুচিত, ব্রীড়া।

লাগা – লিপ্ত হওয়া, স্পর্শ করা, ভিড়া, থামা, উপযোগী হওয়া।

লীলা – বিলাস, কেলী, ক্রীড়া, প্রমোদ।

লোভ – লিপ্সা, কাম্যবস্তু, আকাঙ্ক্ষা, লালসা।

শক্তি – ক্ষমতা, বল, সামর্থ্য, দেবী দুর্গা, কমলা, কালিকা, মাত্রা।

শীল – চরিত্র, স্বভাব, প্রবৃত্তি, রীতি, নীতি, আচরণ।

শিষ্ট – শান্ত, সুশীল, ভদ্র, শিক্ষিত, নীতিমান।

শূন্য – চিহ্ন, অস্তিত্ব, আকাশ, রিক্ত, রহিত, বিহীন, খালি।

শ্যাম – শ্যামল, মেঘবতি, অমিত, সবুজ।

ষোড়শ – আসন, স্বাগত, পাদ্য, অর্ঘ্য, আচমনীয়, মধুপর্ক, স্থানীয় বসন, ভূষণ, গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, তর্পণ, গতি, ষোল।

সংকলন – মিলন, অংকযোগ, সংগ্রহ, সংকলিত, গোছানো।

সংক্রান্ত – সঞ্চারিত, ব্যাপ্ত, সম্পৃক্ত, সম্বন্ধীয় প্রাপ্ত, প্রবিষ্ট, সংশ্লিষ্ট বিষয়।

সমর্পণ – স্থাপন, সম্যক অর্পণ, সমস্ত স্বত্ব ছাড়িয়া দান।

সোনা – সুবর্ণ, স্বর্ণ, কাঞ্চন, কনক, হেম, হিরণ।

সংহার –বিনাশ, প্রলয়, প্রত্যাহার, সংকোচন, গুটানো।

সুন্দর – মনোহর, শোভন, রমণীয়, চারু, অভিরাম, চমৎকার, সু্শ্রী, রূপবান, মনোরম।

সূর্য – আদিত্য, দিননাথ, তপন, দিনেশ, প্রভাকর, দিবাকর, সবিতা, মিহির, রবি।

সমুদ্র – অর্ণব, সিন্ধু, পাথার, পয়োধি, বারিধি, সাগর, নীলাম্বু।

হীন – নীচ, অক্ষম, নিন্দনীয়, অবনত, অতিশয়, শূন্য।

হাতি – গজ, হস্তী, দন্তী, দ্বিপ।

হত – নাশ, মৃত্যু, নষ্ট, লুপ্ত।

Leave a Reply