বলিউডের (Bollywood) রোমান্স কিং শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) নিজস্ব লাভ লাইফও কিছু কম আকর্ষণীয় নয়। দিল্লিতে প্রেমিকাকে ছেড়ে মুম্বাইতে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন শাহরুখ। স্বপ্নেও ভাবেননি, স্বপ্ননগরীতেই পাবেন প্রেমিকার দেখা। তারপর? তারপর কেটে গিয়েছে আড়াই দশকেরও বেশি সময়। সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার মেলায় শাহরুখ-গৌরী (Gouri Khan) আজও বলিউডের পাওয়ার কাপল।
প্রেম মানেনা কোনও বাধা। জাতি-ধর্ম-বর্ণের বাধাও সেখানে তুচ্ছ। শাহরুখ খান, জন্মগত সূত্রেই মুসলিম। অপরপক্ষে গৌরী হিন্দু কন্যা। তবে তাদের প্রেম-বিয়েতে ধর্ম বাধা হতে পারেনি। ধর্মের বাধা উপেক্ষা করে আজও মন্নতে গণেশ চতুর্থী পালন হয়, দীপাবলির রোশনাইয়ে সেজে ওঠে শাহরুখ-গৌরীর রাজপ্রাসাদ। পালন হয় খুশির ঈদ।
এরপর শাহরুখ মজা করে বলেন, “ওনারা পুরোনো ধর্মাবলম্বী মানুষ, যদিও আমি ওনাদের সম্মান করি তাও কিছু কথা বলেছিলাম। আমি গৌরীকে বলেছিলাম বোরখা পড়তে ও আমার সাথে নামাজ পড়তে। এই কথা শুনে গোটা পরিবার আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। তারপর আমি বলি যে গৌরীর নাম বদলে আয়েশা করে দেওয়া হবে। সারাক্ষন সে বোরখা পরে থাকবে ও ঘর থেকে বেড়াবে না। ”
সাক্ষাৎকারে এমন কথা শাহরুখ যে নিতান্তই মজার ছলে বলেছেন তা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। কারণ বিয়ের পর গৌরীকে বাইরে বেরোতে বা কাজ করতে বাধা দেননি শাহরুখ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শাহরুখ এবং গৌরির ২৬ আগস্ট, ১৯৯১ ‘নিকাহ’ হয়েছিল, তারপরে ২৫ অক্টোবর, ১৯৯১ হিন্দু মতে তাদের বিয়ে হয়। এই দুই বইয়ের আগে শাহরুখ ও গৌরীর কোর্ট ম্যারেজ হয়। শাহরুখ একজন মুসলিম এবং গৌরী একজন পাঞ্জাবি হওয়ায়, এই দম্পতি উভয় ধর্মীয় ঐতিহ্যের মাধ্যমে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।