Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
ভাষা কি/ভাষা কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি ?

ভাষা কি/ভাষা কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি ?

বাগযন্ত্রের মাধ্যমে উচ্চারিত অর্থপূর্ণ ধ্বনিসমষ্টি কোনো মানুষের ভাবের প্রকাশ করলে তাকে ভাষা বলা হয়।পৃথিবীতে অসংখ্য প্রাণী রয়েছে।  এসব প্রাণী থেকে মানুষকে আলাদা করা হয়েছে শুধুমাত্র তার বুদ্ধীমত্তা দ্বারা। এবং এই প্রাণীকূলের মাঝে শুধু মানুষই তাদের মনের ভাব, আকাঙ্খা, চিন্তা-চেতনা, আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের জন্য ভাষার ব্যবহার করে। মানুষ একজন আরেক জনের  সাথে কথা বলে ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে।

গযন্ত্রের সাহায্যে তৈরিকৃত অর্থবোধক ধ্বনির সংকেতের সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকেই ভাষা বলে। এখানে বাগযন্ত্র হলো গলনালি, মুখবিবর, কন্ঠ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদির সমাবেশ।

আরো সহজভাবে, মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য কন্ঠনিঃসৃত বা মুখ থেকে বেরিয়ে আসা অর্থপূর্ণ কতগুলো আওয়াজ বা ধ্বনির সমষ্টিকে ভাষা বলা হয়।

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “মনুষ্যজাতি যে ধ্বনি বা ধ্বনিসকল দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করে, তার নাম ভাষা”

ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “মনের ভাব প্রকাশের জন্য, বাগযেন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি দ্বারা নিষ্পন্ন, কোনো বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত, তথা বাক্যে প্রযুক্ত, শব্দসমষ্টিকে ভাষা বলে”

ভাষা কত প্রকার ও কি কি?

ভাষা দুই প্রকার। যথা:

মৌখিক ভাষা ও

লিখিত ভাষা।

মৌখিক ভাষা কী ?

যে ভাষায় কোনো লিখন ব্যবস্থা নেই তাকেই মৌখিক ভাষা বলা হয়। আদিতে লিখিত ভাষার প্রচলন ছিল না। মানুষ তখন মনের ভাব প্রকাশ করত শুধু মৌখিক ভাষার দ্বারা। এখনো পৃথিবীর অনেক ভাষা শুধু মৌখিক অবস্থাতেই রয়েছে।

 

লিখিত ভাষা কী?

যে ভাষার লিখন ব্যবস্থা রয়েছে তাকেই লিখিত ভাষা বলে।

মানুষ মারা গেলে পরে তার সম্পর্কে জানতে কিংবা তার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি সম্পর্কে  জানার তেমন কোনো সুযোগ থাকে না মৌখিক ভাষার সীমাবদ্ধতার জন্যে।

কিন্তু লিখিত ভাষায় লিখন ব্যবস্থার ফলে মানুষ মারা গেলেও বেঁচে থাকে তার ভাষার মাধ্যমে।

ভাষার লিখন ব্যবস্থা কত প্রকার ও কী কী?

ভাষার লিখন ব্যবস্থা তিন প্রকার। যথা:বর্ণভিত্তিক,অক্ষরভিত্তিক ও ভাবাত্মক।

বর্ণভিত্তিক : যে সব ভাষার বর্ণ রয়েছে যেমন: বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি ইত্যাদি। এইসব ভাষার লিখন ব্যবস্থা হচ্ছে বর্ণভিত্তিক।

অক্ষরভিত্তিক : অক্ষর ( কথার টুকরো অংশ) অনুযায়ী সেসকল ভাষা লেখা হয় তাকে অক্ষরভিত্তিক লিখনরীতি বলে। যেমন: জাপানি ভাষা।

ভাবাত্মক: যেসব ভাষায় লেখার জন্য বর্ণ কিংবা অক্ষর কোনোটাই ব্যবহার করা হয় না, ছবি এঁকে এসব ভাষা লেখা হয়, এই লিখন ব্যবস্থাকেই ভাবাত্মক বলা হয়। যেমন: চীনা, কোরীয় ভাষা।

ভাষা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে।

ধ্বনির সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি হয়। আর ধ্বনির সৃষ্টি হয় বাগযন্ত্রের দ্বারা।

ভাষার মূল উপাদান হলো ধ্বনি। আর অর্থপূর্ণ ধ্বনিই হলো ভাষার প্রাণ।

বর্তমানে পৃথিবীতে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ভাষা প্রচলিত আছে।

বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৩০ কোটি লোকের মুখের ভাষা বাংলা।

#ভাষাকি? #ভাষাকাকেবলেকতপ্রকারকিকি

Leave a Reply