মোটরসাইকেল চালানোর সময় যেসব কাগজ সঙ্গে রাখবেন

মোটরসাইকেল চালানোর সময় যেসব কাগজ সঙ্গে রাখবেন

আমাদের অনেকের চলার পথের একমাত্র বাহন হচ্ছে মোটরসাইকেল। রাস্তার ঝামেলা, গণপরিবহন ওঠার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হলে প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্রগুলো সঙ্গে রাখতে হয়।

আমরা বেশির ভাগ সময় মোটরসাইকেল কেনার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করি। এসব কাগজপত্র পেতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। তবে সঠিক নিয়ম হলো মোটরসাইকেল কেনার আগেই এসব কাগজপত্র তৈরি করা।

দেশে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তাদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করে আসছে। এর জন্য কঠোর করা হচ্ছে আইন। তাই মোটরসাইকেল চালানোর সময় প্রয়োজনোয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখলে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই বাইক চালানো যায়। পাশাপাশি এসব কাগজ আপনার ও আপনার মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক মোটরসাইকেল চালানোর সময় যেসব কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে-

 

লাইসেন্স

মোটরসাইকেল চালানোর সময় একজন চালক অবশ্যই সঙ্গে লাইসেন্স রাখবেন। মোটরসাইকেল ক্রয়ের সময় ক্রেতার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার প্রমাণপত্র দাখিল করতে না পারলে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন দেবে না বিআরটিএ। অর্থাৎ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল কিনলে ড্রাইভিং লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত চালক এবং মোটরসাইকেল দুটোই অবৈধ। পুলিশ অথবা যে কোনো আইন প্রয়োগকারী বাহিনী যেকোনো সময় আপনাকে আটক করতে পারে।

রেজিস্ট্রেশন নম্বর

 

ঝামেলাহীনভাবে মোটরসাইকেল চালাতে রেজিস্ট্রেশন নম্বর খুব গুরুত্বপূর্ণ। রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাইকের বৈধ অস্তিত্ব সঙ্গে আপনার মালিকানা নিশ্চিত করে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া বাইক চালালে, বাইক ডাম্পিংয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

 

ট্যাক্স টোকেন

ট্যাক্স টোকেনটি মূলত বাংলাদেশের রাস্তায় বৈধভাবে বাইক চালানোর অনুমতিপত্র। সহজ ভাষায় বললে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৈধভাবে বাইক চালানোর জন্য সরকারকে যে ট্যাক্স দেওয়া হয় তার রশিদ।

 

আরও পড়ুন: শীত সকালে মাঝেমাঝেই মোটরবাইক চালু হয় না, কী করবেন তখন?

ইনস্যুরেন্স

ইনস্যুরেন্স বাইকের জন্য রক্ষা কবজ। বাংলাদেশর আইন অনুযায়ী রাস্থায় বৈধভাবে বাইক চালাতে বাইকের ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক।

 

এসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় আছে সেগুলো হলো-

 

হেলমেট

মোটরসাইকেল চালানোর সময় অবশ্যই হেলমেট পরিধান করতে হবে। আপনার মাথাকে সুরক্ষা রাখতে এবং মোটরসাইকেল চালানোর সময় পোকা বা অন্য কিছুর হাত থেকে রক্ষা পেতে হেলমেট পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হেলমেট পরলে যেমন আপনি নিরাপদ থাকবেন তেমনি পুলিশি ঝামেলাও এড়িয়ে যেতে পারবেন।

 

সম্পূর্ণ পোশাক

মোটরসাইকেল চলানোর সময় ফুল হাতা জামা ও ফুল প্যান্ট বাধ্যতামূলক। বেশির ভাগ ট্রাফিক সার্জেন্ট এ বিষয়টিতে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। তবে নিজেকের সুরক্ষা রাখতে এবং নিয়ম মানার জন্য হলেও সম্পূর্ণ পোশাক পরা উচিত।

 

সু বা কেডস

বাইক চালানোর সময় অবশ্যই সু বা কেডস পরা বাধ্যতামূলক। স্যান্ডেল পরে বাইক চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব সু বা কেডস না পরার কারণে মামলার সম্মুখীন হতে পারেন।

 

নিরাপদ চলাচলের জন্য আপনাকে অবশ্যই ট্রাফিক আইন এবং নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। নিরাপত্তার জন্য মোটরসাইকেল সেফটি গিয়ারগুলো পরে নিবেন। বাইক চালানোর সময় অযথা ঝুঁকি নেবেন না এবং নিজের নিরাপত্তার পাশাপাশি আশেপাশের মানুষের নিরাপত্তার কথাও বিবেচনা করবেন।

 

 

Leave a Reply