Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
অনুপ্রেরণা ও সফলতার গল্প ,কষ্টের জীবনে সফলতার গল্প,

অনুপ্রেরণামূলক 20টি বক্তব্য গল্প যা আপনার জীবনকে অনুপ্রাণিত করতে পারে | #সফলতার_গল্প_অনুপ্রেরণামূলক

এক কথায় সফলতার গল্পটা সৃস্টির সূচনা থেকেই মানুষ্যকুলকে ঘিরে আবর্তিত। জীবনে সবাই সুখী ও সফল হতে চায়। সফলতা বলতে আমরা বুঝি ভালো ফ্ল্যাট, সুন্দর বাড়ি, দামী গাড়ি, আর্থিক নিশ্চয়তা সর্বোপরি একটি সুন্দর ও গোছানো জীবন যাপনের অধিকারী হওয়া।
বক্তব্য 01.
এই ছবিটা দেখার সাথে সাথেই এক দমক কস্ট আমার চোখের পাড়া ঝাপসা করে দিয়েছে। দারুন আনন্দের এই ছবিতে এক অদ্ভুত কষ্ট মিশে আছে এই ছবিতে, আছে জীবনযুদ্ধে হতোদ্যম হয়ে পড়াদের জন্য সত্যিকারের মোটিভেশন।

Motivation story
Motivation story

আল্লাহ তায়ালা আমাকে যা দিয়েছেন তার কোন কিছুরই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই জীবদ্দশায় শেষ করা যাবেনা।

যারা অল্পতেই অনেক হতাশ হয়ে পরেন তাদের উচিৎ এই ছবিটা বাধাই করে দেয়ালে টানিয়ে রাখা। আর আল্লাহ যা যা আপনাকে দেন নাই তার জন্য হা হুতাশ না করে যা যা আল্লাহ আপনাকে দিয়েছেন তার জন্য নামাজ পড়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা।
এই যে ছবিটা আপনারা দেখছেনঃ
এক পা হারানো লোকটির নাম মুনজির, সিরিয়ার অধিবাসী। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার এক শহর ইদলিব। এই শহরেরই এক বাজারের মধ্য দিয়ে যাবার সময় বোমা হামলার শিকার হয়ে ডান পা হারান তিনি।
এবার আসা যাক মুনজিরের স্ত্রী যয়নবের কথায়। আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনীর ছোড়া নার্ভ গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। নিয়মিত ওষুধ সেবন ছাড়া সুস্থতার উপায় ছিল না। ওদিকে এই ওষুধের প্রভাব কেবল তার দেহেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং গর্ভে থাকা তার অনাগত সন্তানও এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়। যার ফলে এই দম্পতির পুত্রসন্তান মুস্তাফা পৃথিবীর আলো দেখে ঠিকই, কিন্তু জন্মগতভাবেই হাত-পা নেই মাসুম এই বাচ্চার। সংগৃহীত।
বক্তব্য 02.
কারো পাজেরো গাড়ি থামছে রাতের গভীরে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে..
কেউ ভাঙা ঘরে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত স্বপ্নের জোয়ারে ভাসছে।
কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি। কেউ একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করে চলছে।
কেউ সন্তান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে। কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!
কেউ বছরে কতোজন ভালবাসার মানুষ বদলে ফেলছে! কেউ শুধু একটা সত্যিকারের ভালবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করে চলছে।
কেউ দামি শাড়ি হাতে পেয়ে তবু খুশি নয়! কেউ তাঁতের নতুন শাড়ির বারবার গন্ধ শুঁকছে।
কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পারছেনা! কেউ পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কচলিয়ে গোগ্ৰাসে ভাত গিলছে।
কারো দামি খাটে শুয়েও আবার ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! হিমেল হাওয়ায় কেউ অঘোরে ঘুমোচ্ছে।
কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়তে ইচ্ছে
করছেনা। কেউ পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!
কেউ বিলাস বহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তানগুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো? কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, মনে মনে ভাবছে… সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই জীবনটা এখন গড়ে নিবে।
সত্যিই নানান রঙের মানুষ, নানান রঙের স্বপ্নের ঘুড়ি…! জীবনের নিজস্ব আলাপনে, বাস্তবতার হাত ধরে!!
🥺সংগৃহীত😀
বক্তব্য 03
Motivation story
‘টাকার পাহাড়’
তিনি এতটাই ধনী ছিল যে ব্রিটিশ সরকারকে প্রয়োজনে ঋণ নেওয়ার জন্য তাঁর দরজায় যেতে হয়েছিল। তিনি নিজের বিশাল ধনকে তাঁর বিশাল প্রাসাদে গোপন কোণে রেখেছিলেন। ধনভান্ডারের জ্ঞান তিনি ছাড়া রাজবাড়ির অন্য কারও জানা ছিল না।
একদিন তিনি তার কোষাগারে প্রবেশ করলেন, কোষাগারের চাবিটি নিতে ভুলে গেলেন, কোষাগারের দরজা তাঁর উপর বন্ধ হয়ে গেল, তখন মোবাইল প্রযুক্তির কোনও যুগ ছিল না। তিনি চিৎকার করতে থাকলেন কিন্তু তাঁর কণ্ঠ কারও কাছে পৌঁছেনি।
প্রাসাদের বাইরে কর্মচারীরা ভেবেছিলেন যে তিনি সম্ভবত কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন, কারণ তিনি প্রায়শই কাউকে কিছু না বলে দিন এবং সপ্তাহ এমনকি মাস ধরে ভ্রমণ করতেন।
তাঁর সামনে সোনার গহনা ও হীরা জহরত ছিল কিন্তু তিনি ক্ষুধা ও পিপাসায় ভুগছিলেন।
আর মারা যাওয়ার আগে তিনি নিজের আঙুলকে সোনার ইট দিয়ে আঘাত করেছিলেন এবং তাঁর রক্ত দিয়ে দেওয়ালে একটি বাক্য লিখেছিলেনঃ-‘বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মারা যান।’
শিক্ষনীয় বিষয়:
এটি ছিল বিখ্যাত ব্রিটিশ বিলিয়নেয়ার রথসচাইল্ড’র অন্তিম মূহুর্তের ঘটনা। তার সম্পদ তাকে এই দুনিয়াতেও সাহায্য করতে পারেনি।
©️গোপাল বর্মন
✅পোষ্ট: Daily News Times Bd
বক্তব্য 04
Motivation story
#সফলতার_গল্প
২০০১ সালে বগুড়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে আমার জন্ম। অভাব থাকলেও কিছুটা সুখেরই ছিল আমার শৈশব। বাবা-মার সব খুশি, আনন্দ সবই যেন ছিল আমি কেন্দ্রিক। কিন্তু সেইদিনগুলো খুব দীর্ঘ ছিল না। তখন আমি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। শুনতে পাই বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ব্যাস, বাবার বিয়ের সাথে সাথে আমার সুখগুলো যেন বিচ্ছেদ করে হারিয়ে গেল দূর অজানায়। বাবা সৎমাকে নিয়ে থাকতেন ঢাকায়, আমি আর মা থাকতাম বাড়িতে। কিন্তু এভাবে আর খুব বেশিদিন থাকার নসীব হলো না। পঞ্চম শ্রেণিতে বাবা মাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন। ১১ বছর বয়সে মাকে হারালাম। বাবার স্নেহও পেলাম না খুব বেশিদিন। আমি ৭ম শ্রেণিতে পড়াকালীন বাবাও সৎমাকে নিয়ে চলে এলেন ঢাকায়। আমায় রেখে আসলেন সৎ নানীর বাড়ি। সেখানেই থাকলাম বছর দুয়েক। কিছু কারণে সেখানে থাকা আর হয়ে উঠলো না। নবম শ্রেণিতে গিয়ে উঠলাম চাচার বাসায়। এর মধ্যে বাবা + কিছু শুভাকাঙ্খী মরিয়া হয়ে উঠলেন আমায় গার্মেন্টসে কাজ করানোর জন্য। পড়ালেখা ছেড়ে এসেও পড়েছিলাম ঢাকায়। কিন্তু ভুলটা ভাঙলো দ্রুতই। আবার ফিরে গেলাম বাড়ি। সেখান থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলাম। তারপর বাবা আর কিছুতেই পড়াশোনা করাতে দিবেন না। তিনি চাইতেন আমি যেন ঢাকায় এসে রিকশা চালিয়ে হলেও উপার্জন করি। (যদিও এখন তার ভুলগুলো বুঝতে পারেন)। এসএসসির রেজাল্ট দেওয়ার তখনো ৩ মাস বাকি। বাড়িতে থাকলাম না আর। ৩ মাস কোথাও কাটানোর ইচ্ছায় বেড়িয়ে পড়লাম কাজের উদ্দেশ্যে। কাজ করলাম নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এরই মধ্যে ফলাফল দেওয়ারও সময় হয়ে এলে বাড়িতে চলে আসলাম।
ফলাফল প্রকাশের পর আবারও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমাদের মাদ্রাসায় আবাসিক ব্যবস্থা ছিল যা আমায় কিছুটা স্বস্তি দিল। দেরি না করে চলে আসলাম মাদ্রাসায়। অধ্যক্ষ স্যারকে বললাম সবকিছু, যাতে আমায় আবাসিকে ফ্রী থাকা-খাওয়ার একটা ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। তিনি প্রথমে হোস্টেলে ফ্রী রাখতে রাজি হলেন না। চোখের পানি মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলাম অফিস রুম থেকে। বাহিরে এক ওস্তাদজী আমার সব শুনে হাত ধরে অফিসে নিয়ে গেলেন। প্রিন্সিপাল স্যারকে বললেন আমার সমস্ত খরচ চালাবেন উনিই। এভাবে হুজুরদের সহায়তায় এইচএসসির দুই বছরের বন্দোবস্ত হয়ে গেলেও চিন্তায় পড়লাম হাত খরচ + বই খাতার টাকার। কালবিলম্ব না করে দু’জন ছাত্রকে পড়াতে লাগলাম। এভাবেই হুজুরদের সহায়তায় শেষ হলো এইচএসসি জীবন। আলহামদুলিল্লাহ এইচএসসিতে মাদ্রাসায় প্রথম হলাম। তারপর আর কোথাও খাকার জায়গা না থাকায় চলে আসলাম ঢাকায়। এডমিশন কী! বুঝতাম না তখনো। বিক্রি করে দিয়েছিলাম বাংলা প্রথম পত্র বই। কিন্তু ভুল ভাঙে দ্রুতই। বড় আপুর দেওয়া কিছু শীট দিয়েই যাত্রা শুরু করলাম। দরিদ্রতার কারণে কিনতে পারিনি একটি বইও, কোচিং তো ছিল বিলাসিতা। আবেদন + কেন্দ্রে যাতায়াতের সমস্ত খরচ বহন করেছেন এক শুভাকাঙ্ক্ষী। যার নাম ব্যতীত কিছুই জানিনা আমি। আরো অবাক করা বিষয় হলো, আমার ভর্তির খরচ যোগাতে চাঁদা তুলেছেন বেশ কয়েকজন মানুষ, যাদের অনেককে চিনিও না আমি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ ইউনিটে চান্স পেলাম।
(আলহামদুলিল্লাহ)
মোঃ আল-আমিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (খ ইউনিট)
মেরিট পজিশন: ৬১০
Motivation story
বক্তব্য 05
প্রশান্ত মহাসাগরে জাপানি মাছ ধরার ট্রলারের জালে একবার একটি পেঙ্গুইন আটকা পড়ল। জেলেটি টের পেয়ে দ্রুত জাল কেটে পেঙ্গুইনটিকে মুক্ত করে দেয়। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে পেঙ্গুইনটি চলে যাচ্ছিলো না। তাড়িয়ে দেয়া হলেও বারবার সে ফিরে আসছিলো। উপায় না পেয়ে জেলেটি পেঙ্গুইনটিকে সাথে করে বাসায় নিয়ে আসে।
পেঙ্গুইনটির থাকার জন্য আলাদা একটি ঘরের ব্যবস্থা করে। অতিরিক্ত গরমে বাঁচবে না বলে তার জন্য বিশেষভাবে এয়ারকন্ডিশনের ব্যবস্থা করা হয়।
জেলে পরিবার নিজের ছেলের মত পেঙ্গুইনটিকে এডপ্ট করে নেয়, আদর করে তার নাম রাখে ‘লা লা’।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, লালা পুরো মানুষের বাচ্চার মত পুরো মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে বেড়াতো। এলাকাবাসীও তাকে নিজেদের একজন ভেবেই ট্রিট করত। সবচেয়ে কিউট ব্যাপার হচ্ছে, প্রতিদিন সে পিঠে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে মহল্লায় টহল দিতে বের হত। প্রতিদিন নিয়ম করে সে স্থানীয় মাছের দোকানে ঢুঁ মারত আর দোকানদার তাকে একটি মাছ খাইয়ে আরও কিছু মাছ তার ব্যাকপ্যাকে ঢুকিয়ে দিত! লালা ১৯৯৮ সালে মৃত্যুবরণ করে।
বক্তব্য 05
বক্তব্য 06
ছবির লোকটি সাদিও মানে, একজন ফুটবলার। বর্তমানে লিভারপুলের হয়ে খেলছেন। তাঁর শুধু সাপ্তাহিক আয় প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
ছবিটি দেখুন। হাতে তাঁর ভাঙ্গা আইফোন। এমন ভাঙ্গা ফোন ব্যবহার করেন কেন, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমি সার্ভিসিং করে নেব।
উনাকে বলা হলো, আপনি নতুন একটি মোবাইল কেন নিচ্ছেন না?
উনি বললেন, “এমন মোবাইল চাইলে হাজারটা কেনা যায়। চাইলে ১০ টা ফেরারি, ২ টা জেট বিমান, হাজার খানেক ডায়মন্ডের ঘড়ি কিনতে পারি। কিন্তু এসব কী আমার সত্যিই প্রয়োজন? এগুলো শুধু বৈষয়িক বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়।
মানুষের রুচি খুবই নিম্নমানের না হলে কেউ বিশ-ত্রিশ হাজার ডলারের ঘড়ি হাতে দিয়ে ঘুরবে না। আর এসবের মাধ্যমে আমার এবং সমাজের কোনো উপকারে আসবে? যেই মুহুর্তে আমার নিঃশ্বাস শেষ, সেই মুহুর্ত থেকে এসবের মালিকানাও শেষ।”
সাদিও মানে আরও বলেন, দারিদ্র্যের কারণে আমি পড়ালেখা করতে পারিনি। আমি শিক্ষিত না। তাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেছি। দরিদ্র ছিলাম বলেই হয়তো জীবনের আসল অর্থ বুঝেছি। কিন্তু দুনিয়ায় আজ যারা বড় শিক্ষিত, তারাই শিক্ষার গুরুত্বটা ঠিকঠাক বুঝছেন না। যদি বুঝতেন, তবে দুনিয়াতে এতো অভুক্ত শিশু না খেয়ে রাতে ঘুমোতে যেত না। মানুষ দিন দিন এভাবে ভোগ-বিলাসের কয়েদি হয়ে উঠত না।
সাদিও মানে আরো বলেন
আমি নিজের বিলাসবহুল বাড়ির পরিবর্তে অসংখ্য স্কুল তৈরি করেছি, দামি পোষাকে ওয়াড্রব ভর্তি না করে বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দিয়েছি, নিজে দামি গাড়ি চালানোর পরিবর্তে অগণিত স্কুল শিক্ষার্থীদের স্কুল বাসের ব্যবস্থা করেছি, প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে দামি রেস্টুরেন্টে না খেয়ে অগণিত ক্ষুধার্ত শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমি কোথা থেকে উঠে এসেছি, এটা আমি জানি।
Motivation story
বক্তব্য 06
অন্য দীপাবলি
🌹🌹🌺🌺🌹🌹
রাস্তার ধারে দেখলাম যেখানে এক পরিবারের দুটি ছোট শিশু মাটির প্রদীপ বিক্রি করছে, সেখানে কিছু পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে,। ভাবলাম “এই পুলিশ গুলো এই অসহায় শিশুদেরও বিরক্ত করবে” ? কাছে গিয়ে দেখলাম পুলিশরা প্রত্যেকেই মাটির প্রদীপ কিনছে । আশ্চর্য হতে হলো কেননা সব মানুষইতো চীনের বাতি আর ঝাড় গুলো কিনছে তাহলে পুলিশরা মাটির প্রদীপ কিনছেন কেন ?
শিশুদুটোর বাবা মা প্রায় গত দু সপ্তাহ যাবৎ ধরেই রাস্তার পশে প্রদীপ বিক্রির দোকান করেছিল কিন্তু দু একজন ছাড়া কেউই কেনেনি । জানলাম আজ দীপাবলিতেও কেউ কিনছেনা দেখে তারা চরম দুঃখ পেয়ে শিশু দুটোকে বসিয়ে বাড়ি চলে গেছে ।
আরো আশ্চর্য হওয়ার বাকি ছিল। পুলিশ অফিসার নীরজ কুমার নিজে তো প্রদীপ কিনলেনই , সব পুলিশ কে নিয়ে অন্য ক্রেতাদেরও অনুরোধ করতে লাগলেন “চিনেবাতি নয়, ওই শিশুদের কাছ থেকে মাটির প্রদীপ কিনুন”। পুলিশকে একেবারে অন্য ভূমিকায় দেখে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছিলোনা, এমনও হতে পারে
#Collected……..
Motivation story
বক্তব্য 07
স্যার একটা কথা বলবো?
-কি বল?
-আজ আমার সারে ১২টায় ছুটি দেবেন?
-কেন? কি করবি?
-বাড়ি গিয়ে ভাত খাবো, পেটে খুব ক্ষিধা লাগছে।
-কেন সকালে খেয়ে আসোনি?
-না।
-কেন?
-তরকারি নেই। আর লবণ দিয়ে ভাত খেতে পারি
না।
তাই খেতে পারিনি।
কথাটা শুনতেই বুকের মধ্যে কেমন যেন
লাগলো স্যারের?
-রাতে কি খেয়েছো?
-গরম ভাতে পানি দিয়ে ডাল মনে করে ভাত।
-এখন কি দিয়ে খাবে?
-মা বললো ইস্কুল ছুটির পর গেলে কচু
রান্না করে রাখব। সেটি দিয়ে মজা করে ভাত
খাবো।
মায় খুব মজা করে কচু রান্না করতে পারে।
কখন যে চোখটা ঝাপসা হয়ে আসল বুঝতে পারিনি।
একদিন তোমার মায়ের হাতের রান্না করা কচু
খেয়ে আসব। নিয়ে যাবে তোমার বাসায়?
যাবেন স্যার সত্য?
হ্যাঁ যাব। যাও বাড়ি গিয়ে পেট ভরে ভাত খাও।
মুখে পৃথিবী জয় করা হাসি নিয়ে বই হাতে নিয়ে
তার
চলে যাওয়ার দিকে মন্ত্র মুগ্ধের মত তাকিয়ে
রইলাম।
তরকারির জন্য ভাত খেতে পারছে না। অথচ
আমাদের এই সমাজে কত মানুষ আছে যাদের
খাবারের মেনুতে কত আইটেম থাকে।
যা তারা
খেয়ে শেষ করতে পারে না।
অবশিষ্ট অংশ চলে যায় ডাস্টবিনে।
এমন অনেক বাবা মা আছেন যারা ছেলেকে বিভিন্ন নামি দামি
স্কুলে
পড়ান। গাড়ি করে নিয়ে যান। ছেলের কত আবদার!
সব পূরণ করতে ব্যস্ত। অথচ রাস্তায় পড়ে থাকা
মানুষ
গুলোর দিকে ফিরেও তাকান না। তাকাবেন কেন??
তাকালেই তো ঘাড়ে এসে পড়বে। আমরা তো
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। হাজার টাকার বডি স্প্রে
গায়ে দিয়ে ঘুরে
বেড়াই। ঈদ আসলে ব্যস্ত হয়ে
পড়ি শপিং নামক
টাকা উড়ানোর খেলায়। বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানির
সব পোশাক
কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু বুঝতে চাই না এই
বাইরের পোশাক গুলোতে আমাকে কি
মানাচ্ছে?
অথচ একটা গরীব লোক এসে বলছে-দুটো
টাকা
দেন। তখন বলি-খুচরা নাই। মাফ কর।
গার্লফ্রেন্ডকে
নিয়ে চাইনিজ খেতে যায়। কত টাকা খরচ হয় হিসাব
রাখে না অথচ
গরীব রিক্সাচালক যখন বলে-পাঁচটা টাকা বাড়তি দেন।
তখন তার গায়ে হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না। ঐ
গরীব লোক গুলোর অপরাধ কি?
অপরাধ একটাই যে সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে
গরীবের
ঘরে সৃষ্টি করেছেন।।
আমি ছেলে মেয়ে কাউকে উদ্দেশ্য করে এই
পোষ্টটা দেইনি। আমি আমাকেই এখানে কল্পনা
করছি।,,,,,,
সবাই এগিয়ে চলো,,,,
সংগৃহীত
Motivation story
বক্তব্য 08
আসুন আমরা গরীব অসহায়দের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই মনকে প্রশস্ত করি !
কেনো এই মানুষটাকে নিয়ে ফেসবুকে এতো তোলপাড়!!
তার অবদান গুলো আগে শুনুন। তিনি কিছুদিন আগে মারা যান৷ তিনি কন্নড় ভাষার বিখ্যাত অভিনেতা পুনীত রাজকুমার। তিনি
✳️ 45টি বিনামূল্যের স্কুল
✳️ 26টি এতিমখানা
✳️ 16টি বৃদ্ধাশ্রম
✳️ 19টি গোশালা
✳️ 1800 ছাত্র শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান তৈরী করেন।
এবং তিনি নিজের ২টি চোখও দান করে গেছেন।
শ্রদ্ধা রইল এই অভিনেতার প্রতি। 🤍 🙏
Motivation story
বক্তব্য 09
অবশেষে বৃদ্ধাশ্রমেই আশ্রয় হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের😪😪
তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে সবার বড়, নাম রেজিনা ইয়াছমিন আমেরিকা প্রবাসী।
বড় ছেলে উইং কমান্ডার (অব.) ইফতেখার হাসান। ছোট ছেলে রাকিব ইফতেখার হাসান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। জীবনে এত কিছু থাকার পরও আজ তার দু’চোখে অন্ধকার। থাকেন আগারগাঁও প্রবীণ নিবাসে।
দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন সুনামের সঙ্গে।
২০০৬ সালে অবসর নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অব.) ড. এম আব্দুল আউয়াল (৭০)। অবসরের পর কিছুদিন ভালোই চলছিল তার। অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের সংসারে দুই ছেলে, এক মেয়ে।
আব্দুল আউয়াল জানান, শিক্ষকতার আগে ১৯৬৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জিতে চাকরি করেছি। এরপর শিক্ষকতা। জীবনে অনেক টাকা-পয়সা উপার্জন করেছি।
২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছি। এর পর ছেলে-মেয়েরা আমার খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়।
কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটে নিজের ফ্ল্যাট ছিল আব্দুল আউয়ালের। এছাড়া পল্লবীতেও বেশ কিছু জমি ছিল। কিন্তু এসব বড় ছেলে কৌশলে বিক্রি করে টাকা পয়সা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন, আক্ষেপ করেই বলেন অধ্যাপক আউয়াল।
তিনি বলেন, ওরা আমাকে এতো কষ্ট দেয় কেন। আমাকে নিয়ে এতো ছলচাতুরি করে কেন? বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠেন অধ্যাপক। তিনি বলেন, আমি কি এই জন্য এতো কষ্ট করে ওদের মানুষ করেছিলাম?
অধ্যাপক আউয়াল বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছু দিন বড় ছেলের সঙ্গেই থাকতাম। ছেলের সংসারে থাকার সময় জানতে পারি ছেলে ও বউয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একদিন বাসায় থাকা অবস্থায় বউয়ের মুখে গালি শুনে বাসা থেকে নেমে আসি। আর ফিরে যাইনি। ওরাও কেউ খোঁজ নেয়নি।
ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসে ২০১৪ সালে। এসে মিরপুর-১ নম্বরে একটি দোকানে আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে। সেখানে গেলে আমাকে জানায় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি ওর বাবা অথচ আমাকে জানালও না যে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়ে করে আবার চলে যাবে, একথা শুনে ছেলের বউকে দেখতে চান তিনি। কিন্তু তার সাথে দেখা করা যাবে না বলে জানায় ছেলে।
এ অধ্যাপক আফসোসের সুরে বলছিলেন, অথচ এই ছেলের পড়ালেখার জন্যও পেনশনের টাকা থেকে ২৬ লাখ পাঠিয়েছি। সেই ছেলেও আমাকে কোনো দিন ফোন করে না। মাঝে মাঝে ইমেইলে চিঠি লেখে।
🇯🇵অতি উচ্চ শিক্ষিত হতে গিয়ে আমরা দিন দিন আরও অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। অথচ অনেক গরিব, মূর্খ আছে যারা বাবা মাকে নিয়েই একসাথে থাকে।
তাহলে তারা কি আমাদের মতো মুখোশধারী শিক্ষিতের চেয়ে ভালো নয়? তাই উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা ও মনুষ্যত্ববোধটাও সবার শিক্ষাগ্রহন করা উচিৎ🇯🇵
সৌজন্যে: Md. Romjan
সফলতার_গল্প
বক্তব্য  10
©অনুপ্রেরণা ও সফলতার গল্প
সকাল বেলা নিজেকে মনে হয় সোলায়মান সুখন; মোটিভেটেড।
মার্ক জাকারবার্গ, বিল গেটস- এরা পারলে তুমিও পারবে! তুফানের বেগে কাজ শুরু হয়।
দুপুরে ভাত খাওয়ার পর মনে হয় আমি আসলে কুদ্দুস বয়াতি।
কী হবে এতকিছু করে? এই দিন দিন না। সবই তো শেষ হবে একদিন। এই লোভ লালসার দুনিয়া ত্যাগ করে গা-টা চেয়ারে এলিয়ে দিয়ে সুফি সাধক হয়ে যেতে মন চায়।
বিকাল নাগাদ মনে হতে থাকে আমি আসলে জাফর ইকবাল;স্মার্ট। চা/কফি খেতে খেতে শেয়ার মার্কেট, ই-কমার্স, নানা ধান্দা মাথায় ঘোরে।
সন্ধায় রাস্তায় বেরিয়ে বুঝতে পারি আমি আসলে আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ। কাওরানবাজারের সিগনালে বুটভাজা খেতে খেতে ভাবি, নাহ, আলোকিত মানুষ চাই। বই টই পড়তে হবে। প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে হবে, তবে না সাফল্য আসবে। সফল তো চোরও হয়, আমার দরকার সাফল্য।
রাত নয়টার দিকে জ্যামে বসে থাকতে থাকতে মনে হয় আমি কবি সাইয়েদ জামিল। আমার আশেপাশে উপরে নিচে সব বেকুব।
বাসায় ফিরে মনে হয় সব ভুল।
আমি আসলে নায়ক জসিম। সারাদিন ঠেলাগাড়ি চালিয়ে ভাত খেতে বসি, শাবানা ভাত বেড়ে দেয়। মনে মনে ভাবি, এই তো আর কদিন মাত্র, তারপরই লটারি পেয়ে চৌধুরি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক হলাম বলে!
Copied..🤣
হার না মানা, একজন “মা
বক্তব্য 11
মা এখনও অংক বোঝেনা,
১ টা রুটি চাইলে ২ টো নিয়ে আসে।
কোথাও যাওয়ার সময় ২০ টাকা চাইলে ৫০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়।
মা ইংরেজিও বোঝে না,
I hate u বললে উল্টে না বুঝে ছেলেকে ভালোবেসে বুকে টেনে নেয়।
মা মিথ্যেবাদী,
না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা ছেলের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে।
মা বোকা,
সারাজীবন কলুর বলদের মতো রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের পিছনে কাটিয়ে দেয়।
মা চোর,
বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাব বললে রাতেই বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করে আমাকে দিয়ে দেয়।
মা নির্লজ্জ,
মাকে কতবার বলি আমার জিনিষে যেন হাত না দেয়। তবুও মা নির্লজ্জের মতো আমার এলোমেলো পড়ে থাকা জিনিসগুলো নিজের হাতে গুছিয়ে রাখে।
মা বেহায়া,
আমি কথা না বললেও জোর করে এসে বেহায়ার মতো গায়ে পড়ে কথা বলে। রাতে ঘুমের ঘোরে আমাকে দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে যায়।
মায়ের কোন কমনসেন্স নেই,
আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে কেমন জানি করে। খোকা এতো খাবার কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। এতো খাওয়ার পরেও মায়ের চোখে যেন কত দিনের না খাওয়া ছেলে।
মা কেয়ারলেস,
নিজের কোমরের ব্যথা, পিঠের ব্যথায় ধুঁকে ধুঁকে মারা গেলেও কখনো ঔষধের কথা বলে না। অথচ আমাদের একটা কাশিতে তাঁর দিনটা যেন ওলটপালট হয়ে যায় ডাক্তার, হাকিম, বৈদ্য সব এক করে বসে।
মা আনস্মার্ট,
অনেকের মায়ের মতো করে মা দামী দামী শাড়ি পড়ে না। ভ্যানিটিব্যাগ ঝুলিয়ে, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘুরতেও যায়না। সারাদিন খালি রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের চিন্তায় পুরোনো হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেয়।
মা স্বার্থপর,
নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সব কিছু ত্যাগ করতে পারে।
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ বোধহয় মা। তাই বুঝি আমরা সন্তানেরা তাঁদের এত কষ্ট দেই। তবুও তাঁদের পরিবর্তন হয়না। প্রতিদিন এসব আচরণগুলো বারবার তাঁরা করে। একটু বড় হয়ে গেলেই আমরা তাদের বৃদ্ধাশ্রমে বা জীবন থেকে দূরে রাখি। তবুও তারা বোকার মতো আল্লাহুর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করে।
সারাজীবনটা আমাদের খালি ভালোবাসা দিয়েই যায় বিনিময়ে দিনে একবার হলেও সন্তানের মুখে আদর করে ‘মা’ ডাক শুনতে চান। তাঁরা কতো নির্বোধ তাই না😥😥
আসুন যাদের মা বেঁচে আছেন তাদের কে সন্মান করুন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা মূল্য করুন।যাদের মা মারা গেছেন তাদের জন্য নিয়মিত দোয়া করেন।
আমিন
মা ছাড়া দুনিয়া অন্ধকার❤️❤️❤️❤️😭😭😭😭😭
anthologized by
pc collected
ছবি ঃইন্টারনেট সংগ্রহ
লেখাঃ ইন্টারনেট সংগ্রহ
ফাঁসীর-মঞ্চে-ক্ষুদিরাম
বক্তব্য 12
ক্ষুদিরাম বসুর মামলা পরিচালনায় রংপুরের তিন সাহসী উকিল ~~~
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল গ্রেফতার হন ক্ষুদিরাম বসু। মজফফরপুর সেশন আদালতে ক্ষুদিরামের বিচার কাজ শুরু হলো ০৮ জুন ১৯০৮। কিন্তু সারা পশ্চিম বাংলা থেকে কোন আইনজীবী মামলায় আসামী পক্ষের হয়ে কোন আইনজীবী আদালতে দাঁড়াতে সাহস পাননি। তখন পূর্ব বঙ্গ থেকে রংপুর বারের উকিল বাবু সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী, বাবু কুলকমল সেন ও বাবু নগেন্দ্রনাথ লাহিড়ী ক্ষুদিরামের পক্ষে মামলায় সহযোগীতায় এগিয়ে আসেন। বিচার শুরুর কয়েকদিন আগেই তাঁরা মজফফরপুর চলে যান। ইতোমধ্যে বিচারক করন্ডারফের অনুরোধে কালিদাস বসু নামে স্থানীয় এক আইনজীবী এগিয়ে আসেন আসামী পক্ষের হয়ে। ৮-১৩ জুন চললো দায়রা বিচার। বিচারের শুরুতেই ক্ষুদিরাম স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। কিন্তু দায়রা জজ এই স্বীকারোক্তিকে এড়িয়ে আদালতের প্রচলিত নিয়মেই বিচার করা হবে মর্মে ঘোষণা দিলেন। রংপুর থেকে যাওয়া তিন আইনজীবী বাবু সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী, বাবু কুলকমল সেন ও বাবু নগেন্দ্রনাথ লাহিড়ী দুই দিন সরকারী সাক্ষীদের জেরা করেন। কিন্তু ক্ষুদিরাম তখন প্রাণের মায়া ত্যাগ করে নিজেকে ভাগ্যের হাতে সমর্পণ করেছিলেন। রংপুর থেকে যাওয়া আইনজীবীদের তিনি সহযোগীতা করেননি। সেসময় তাঁর সাথে রংপুর থেকে যাওয়া উকিলদের মধ্যে একটি সংলাপ ………
উকিল : তুমি কি কাউকে দেখতে চাও?
ক্ষুদিরাম : হ্যাঁ, আমি একবার মেদিনীপুর দেখতে চাই, আমার দিদি আর তাঁর ছেলেপুলেদের।
উকিল : তোমার মনে কি কোন কষ্ট আছে ?
ক্ষুদিরাম : না, একেবারেই নয়।
উকিল : আত্মীয় স্বজনকে কোন কথা জানাতে চাও কি? অথবা কেউ তোমার সাহায্য করুণ এমন ইচ্ছা হয় কি?
ক্ষুদিরাম : না, আমার কোন ইচ্ছাই তাঁদের জানাবার নেই। তাঁরা যদি ইচ্ছা করেন আসতে পারেন।
উকিল : জেলে তোমার সাথে কি রকম ব্যবহার করা হয়?
ক্ষুদিরাম : মোটামুটি ভালোই।
উকিল : তোমার কি ভয় করছে?
ক্ষুদিরাম : (স্মিতহাস্যে) ভয় করবে কেন?
উকিল : তুমি কি জানো আমরা রংপুর থেকে তোমারকে সাহায্য করতে এসেছি? কিন্তু তুমি তো আমাদের আসার আগেই দোষ স্বীকার করেছো।
ক্ষুদিরাম : (স্মিতহাস্যে) কেন করবো না?
এই সংলাপ প্রমাণ করে ক্ষুদিরাম নিজের প্রাণ রক্ষায় খুবই নিঃস্পৃহ ছিলেন।
মামলার উকিলরা সওয়াল জবাবকালে যুক্তি দেখিয়েছিলেন এই ঘটনার সময় ক্ষুদিরামের গায়ে একটা ভারী কুর্তা, কোর্ট, দুইটি পিস্তল এবং বেশ কিছু কার্তুজ ছিল তাই ঐ পরিমাণ ওজন নিয়ে তাঁর পক্ষে এতো ক্ষিপ্রতার সাথে বোমা ছুঁড়ে মারা সম্ভব নাও হতে পারে। তাছাড়া দীনেশ (প্রফুল্ল চাকীর ডাক নাম) ক্ষুদিরামের থেকে বলিষ্ঠ গড়নের এবং বোমা বানানো জানতো সে। তাই বোমাটি প্রফুল্ল চাকীর পক্ষেই ছোঁড়ার সম্ভাবনা বেশী। প্রফুল্লের আত্মহত্যাও এই দিকেই ইঙ্গিত করে। কেননা সে জানতো সে দোষী। আর দোষী বলেই ধরা পড়লে সাথে সাথে আত্মহত্যা করে সে। সুতরাং পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করলে ক্ষুদিরামের পক্ষে সন্দেহের অবকাশ (Benefit of doubt) থেকেই যায়। কিন্তু সব কিছু বৃথা যায়। বৃথা যায় রংপুর থেকে মামলায় লড়তে যাওয়া আইনজীবীদের তৎপরতা। ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ভোর ৪টায় মজফফরপুর জেলের ভিতরে ক্ষুদিরামের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এই কিশোর হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে গেয়েছেন জীবনের জয়গান। রচিত হয় ইতিহাস।
অত্যন্ত প্রতিকুল অবস্থার মধ্যেও মজফফরপুরে গিয়ে এই কিশোরের পক্ষে আইনী লড়াই করেছিলেন রংপুর বারের তিন সাহসী আইনজীবী বাবু সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী, বাবু কুলকমল সেন ও বাবু নগেন্দ্রনাথ লাহিড়ী। এই ঐতিহাসিক ঘটনা নিঃসন্দেহে রংপুরের গর্বের বিষয়। সেই রংপুরে জন্ম গ্রহণ করার জন্য আমি নিজেও গর্ব বোধ করি।
১১ আগস্ট অগ্নিযুগের বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুদিবস। ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট মাত্র ১৯ বছর বয়সেই রাজনৈতিক কারণে উপমহাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তাঁর ফাঁসী হয়। আজকেই এই দিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ছবি : ফাঁসীর মঞ্চে ক্ষুদিরাম বসু।
লিখেছেন : Riyadh Anwar Shubho
সফলতার_গল্প
বক্তব্য 13
ঢাকার সবচেয়ে ধনী পরিবারের ছেলে মাগফার উদ্দিন চৌধুরী আজাদ। তখনকার দিনে এলভিস প্রিসলির গান শোনার জন্য এক ধাক্কায় ১০০০ টাকার রেকর্ড কিনে আনতো।
.
তাঁদের বাড়িতে হরিণ ছিল, সরোবরে সাঁতার কাটত ধবল রাজহাঁস, মশলার বাগান থেকে ভেসে আসত দারুচিনির গন্ধ। (ডাকে পাখি খোলো আঁখি, এই গানটার শুটিং হয়েছিল তাদের বাড়িতে)।
.
আজাদ ক্লাস সিক্সে পড়ে, সেন্ট গ্রেগরি। ১৯৬০ এর দশক। আজাদের বাবা আরেকটা বিয়ে করবেন। আজাদের মা বললেন, তুমি বিয়ে করবে না, যদি করো, আমি একমাত্র ছেলে আজাদকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাব। আজাদের বাবা আরেকটা বিয়ে করলে আজাদের মা সাফিয়া তার বালকপুতের হাত ধরে ওই রাজপ্রাসাদ পরিত্যাগ করেন এবং একটা পুরোনো কুটীরে আশ্রয় নেন। ছেলেকে লেখাপড়া শেখান।
.
আজাদ ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করে।
তাঁর বন্ধুরা যোগ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, ফিরে এসেছে আগরতলা থেকে, ট্রেনিং নিয়ে। তার ঢাকায় গেরিলা অপারেশন করে। বন্ধুরা আজাদকে বলল, চল, আমাদের সাথে, অপারেশন করবি। তুই তো বন্দুক পিস্তল চালাতে জানিস। তোর আব্বার তো বন্দুক আছে, পিস্তল আছে, তুই সেগুলো দিয়ে অনেকবার শিকার করেছিস।
.
আজাদ বলল, এই জগতে মা ছাড়া আমার কেউ নেই, আর মায়েরও আমি ছাড়া আর কেউ নেই। মা অনুমতি দিলেই কেবল আমি যুদ্ধে যেতে পারি।
মাকে আজাদ বলল, মা, আমি কি যুদ্ধে যেতে পারি?
মা বললেন, নিশ্চয়ই, তোমাকে আমার প্রয়োজনের জন্য মানুষ করিনি, দেশ ও দশের জন্যই তোমাকে মানুষ করা হয়েছে।
.
আজাদ যুদ্ধে গেল। দুটো অপারেশনে অংশ নিল। তাদের বাড়িতে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হলো। গেরিলারা আশ্রয় নিল।
.
১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট। ধরা পড়ে ক্র্যাক প্লাটুনের একদল সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। সেসময় আজাদকেও আটক করা হয়। তাকে ধরে নিয়ে রাখা হলো রমনা থানা সংলগ্ন ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এম.পি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে।
.
গরাদের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা আজাদকে তাঁর মা চিনতে পারেন না। প্রচণ্ড মারের চোটে চোখমুখ ফুলে গেছে, ঠোঁট কেটে ঝুলছে, ভুরুর কাছটা কেটে গভীর গর্ত হয়ে গেছে।
.
–“মা, কি করব? এরা তো খুব মারে। স্বীকার করতে বলে সব। সবার নাম বলতে বলে।“
–“বাবা, তুমি কারোর নাম বলোনি তো?
–না মা, বলি নাই। কিন্তু ভয় লাগে, যদি আরও মারে, যদি বলে দেই…!
.
–বাবারে, যখন মারবে, তুমি শক্ত হয়ে থেকো। সহ্য করো। কারো নাম বলো না।
–আচ্ছা মা। ভাত খেতে ইচ্ছে করে। দুইদিন ভাত খাই না। কালকে ভাত দিয়েছিল, আমি ভাগে পাই নাই।
–আচ্ছা, কালকে যখন আসব, তোমার জন্য ভাত নিয়ে আসব।
.
সাফিয়া বেগমের ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গায়ে হাত তোলা তো দূরে থাক, ছেলের গায়ে একটা ফুলের টোকা লাগতে দেননি কোনোদিন। সেই ছেলেকে ওরা এভাবে মেরেছে… এভাবে…
.
মুরগির মাংস, ভাত, আলুভর্তা আর বেগুনভাজি টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে পরদিন সারারাত রমনা থানায় দাড়িয়ে থাকেন সাফিয়া বেগম, কিন্তু আজাদকে আর দেখতে পাননি। তেজগাঁও থানা, এমপি হোস্টেল, ক্যান্টনমেন্ট-সব জায়গায় খুজলেন, হাতে তখন টিফিন ক্যারিয়ার ধরা, কিন্তু আজাদকে আর খুঁজে পেলেন না।
.
ছেলে একবেলা ভাত খেতে চেয়েছিলেন। মা পারেননি ছেলের মুখে ভাত তুলে দিতে। সেই কষ্ট-যাতনা থেকে পুরো ১৪টি বছর ভাত মুখে তুলেন নি মা! তিনি অপেক্ষায় ছিলেন ১৪ টা বছর ছেলেকে ভাত খাওয়াবেন বলে। বিশ্বাস ছিলো তাঁর আজাদ ফিরবে। ছেলের অপেক্ষায় শুধু ভাতই নয়, ১৪বছর তিনি কোন বিছানায় শোন নি।
.
শনের মেঝেতে শুয়েছেন শীত গ্রীষ্ম কোন কিছুতেই তিনি পাল্টান নি তার এই পাষাণ শয্যা। আর এর মুল কারণ আজাদ রমনা থানায় আটককালে বিছানা পায় নি।
.
৩০ আগস্ট রাতে রুমী, আবু বকরদের মতো আজাদকেও রাজাকারদের সহযোগিতায় ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এমপি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে পাকিস্থানী আর্মিদের দ্বারা অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয় বকর রুমি বদি সহ সাতজন । নাক-মুখ ফেঁটে রক্ত বের হয়েছে, কোটর থেকে চোখ খুলে এসেছে, হাড়গোড় ভেঙ্গে দিয়েছে, অসহ্য ব্যাথায় চিৎকার করতে করতে জ্ঞান হারিয়েছে, এতকিছু সয়েও ওঁরা একটি বারের জন্যেও মুখ খুলেনি ।
এরপর ওদের ভাগ্যে কি ঘটেছে কেউই জানেনা!
.
আজ কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মাগফার উদ্দিন চৌধুরী আজাদের জন্মদিন। বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো শহীদ আজাদের প্রতি। 🙏💕
.
তথ্য সূত্র – মা/ আনিসুল হক।
.
ছবিটি আজাদের শৈশবে তোলা।
Copied from Nazmul Hossain
বক্তব্য 14
আমরা কেন এমন করি 🥺🥺🥺
৮ম বার ব্লাড দিয়েছিলাম সিজার রোগীকে।তার ছেলে বাচ্চা হয়েছিলো।
আমি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম ১১ টার সময়,হাসপাতালে ১টার সময় গিয়েছি।
ব্লাড নিয়েছে ২টার সময়,
দুপুরে না খেয়ে ব্লাড দিলাম।
ব্লাড নিয়ে রোগীর লোক হাতে ১০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে ভাই ভালো থাকবেন।
ঐ ২ ঘন্টার রাস্তায় রুগির লোক কম করে হলেও ৫০ বার ফোন দিয়েছে,
ভাই কোথায় আছেন, একটু তাড়াতাড়ি আসেন।
যেখানে আমার ১৮০ টাকা গাড়ি ভাড়া গিয়েছিল।
পরে রাতে জানতে পারলাম,
তার পরিবারে প্রথম ছেলে বাচ্চা তাই এলাকায় ৪০ কেজি মিষ্টি বিতরণ করেছে।
ঐরাত থেকে আমার জ্বর শুরু, ৭দিন জ্বর ছিলো, ৩দিন ডিউটিতে যেতে পারি নাই, ৩ দিনে আমার ১৫০০ টাকা কেটে রেখেছিল।
এখন কথা হলো
রোগীর পরিবার এলাকায় ৪০ কেজি মিষ্টি বিতরণ করলো
আমার কি একটা মিষ্টি পাওয়ার অধিকার ছিলো না?
আচ্ছা মিষ্টি না খেলাম,
গাড়ি ভাড়া তো ঠিক মতো দিতে পারতো?
আচ্ছা গাড়ি ভাড়াও না হয় বাদ দিলাম,,
ব্লাড নেওয়ার আগে তো ৫০ বার ফোন করেছে,
ব্লাড নেওয়ার পড়ে বাড়িতে ঠিক মতো আসলাম কি না ১মিনিট ফোন করে তো খবর নিতে পারতো তাই না???
৪০ কেজি মিষ্টি বিতরণ করার মতো মানুষ পেলো
ঐ ৪০ কেজি মিষ্টি খাওয়া লোকদের মাঝে কি একজন ব্লাড দেওয়ার মানুষ পেল না???
— রোগীর লোক দের উদ্দেশ্যে বলি -ব্লাড দেওয়ার পড়ে রক্তদাতাদের মূল্যহীন বানাবেন না, যথাসাধ্য মতো রক্তদাতাদের পজেটিভ রাখার চেস্টা করুন❣️
🟥কাউকে ব্লাডের জন্য কল দেওয়ার আগে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখবেন।
১- ডোনারের যাতায়াত খরচ,
২- যে বেলায় ব্লাড দিবে ঐ বেলার খাওয়ার খরচ,
৩- ডাব,স্যালাইন জল,কিছু ফলমূল কিনে দেওয়ার খরচ দেয়াটা কমনসেন্সের ব্যাপার….
এবং
পরবর্তী ২৪ ঘন্টা ডোনারের খোঁজ খবর রাখবেন।
পারলে কোন এক সময় বাসায় আমন্ত্রন দেবেন। 💕
💠যারা ব্লাড দেয় তারা বেশিরভাগই যুবকবয়সের- স্টুডেন্ট,পড়াশুনা করে। তারা প্রতিনিয়ত ব্লাড দেয়। অনেক সময় দেখা যায় পরের দিন এক্সাম তবুও ব্লাড দেয়।
👉আবার, যারা ব্লাড খুজে দেয় তারাই জানে ১ব্যাগ ব্লাড খুজে বের করা কতটা কষ্টের। সময়, শ্রম দিয়ে ডোনারকে খুজে বের করতে হয়। অনেকেই তো সেগুলা জানেন ই না। এগুলা হাইড স্টোরি থাকে।
✴️কিন্তু রোগীর রিলেটিভদের ব্যবহার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিবেকহীনতার পরিচয় দেয়। কোনো খোজ খবরই নিতে চায়না যে চরম এই বিপদের সময় এই রক্ত কোথা থেকে এলো। একজনকে বলে দেয়, তারপর মনে হয় সব দায়ভার ঐ বেচারার। নিজের সম্মান রক্ষার জন্য হলেও ঐ বেচারা ডোনারকে কেয়ার করে। অনেক ডোনার জবও করেনা। হয়তো আত্মীয় স্বজন, না হয় পরিচিত, নতুবা মানবতার জন্য মানুষের বিপদে এগিয়ে যায়।
👀 নামীদামী হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেন,একদিনে ৩/৪ হাজার টাকা করে কেবিন ভাড়া দিতে পারেন। কিন্তু যে মানুষটা তার সবথেকে মূল্যবান জিনিস দিয়ে আপনাকে হেল্প করছে,তার কদর করবেন না, তা হতে পারেনা।
যে দেশে ৫০০মিলি জলের বোতলও কিনে খেতে হয়,সে দেশে বিনা টাকায় ৩৫০ মিলি রক্ত দাতাকে সম্মান করা আপনার কর্তব্য।🙏
সফলতার_গল্প
বক্তব্য 15
এই পৃথিবীতে আমি অবসর নিয়ে শুধু আসিয়াছি— আমি হৃষ্ট কবি
আমি এক;— ধুয়েছি আমার দেহ অন্ধকারে একা-একা সমুদ্রের জলে;
ভালোবাসিয়াছি আমি রাঙা রোদ, ক্ষান্ত কার্তিকের মাঠে— ঘাসের আঁচলে
ফড়িঙের মতো আমি বেড়ায়েছি;— দেখেছি কিশোরী এসে হলুদ করবী
ছিঁড়ে নেয়— বুকে তার লাল-পেড়ে ভিজে শাড়ি করুণ শঙ্খের মতো ছবি
ফুটাতেছে— ভোরের আকাশখানা রাজহাঁস ভ’রে গেছে নব কোলাহলে
নব-নব সূচনার; নদীর গোলাপী ঢেউ কথা বলে— তবু কথা বলে,
তবু জানি তার কথা কুয়াশায় ফুরায় না— কেউ যেন শুনিতেছে সবই
কোন্‌ রাঙা শাটিনের মেঘে ব’সে— অথবা শোনে না কেউ, শূন্য কুয়াশায়
মুছে যায় সব তার; একদিন বর্ণচ্ছটা মুছে যাব আমিও অমন;
তবু আজ সবুজ ঘাসের ’পরে ব’সে থাকি; ভালোবাসি; প্রেমের আশায়
পায়ের ধ্বনির দিকে কান পেতে থাকি চুপে; কাঁটাবহরের ফল করি আহরণ
কারে যেন এইগুলো দেব আমি; মৃদু ঘাসে একা-একা ব’সে থাকা যায়
এই সব সাধ নিয়ে; যখন আসিবে ঘুম তারপর, ঘুমাব তখন।
কবিতাঃ এই পৃথিবীতে আমি
কবিঃ জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থঃ রূপসী বাংলা
বক্তব্য 16
#বুয়েট পাস এমন একজনকে চিনি, যার বিবাহিত জীবনের ১৩টা বছর শুধু একটা বাচ্চা নেয়ার চেষ্টায় কাটিয়ে দিচ্ছে। তার জীবনে সফলতা আছে কিন্তু পূর্ণতা নাই।
#ব্যাংকের এ,জি,এম এমন একজনকে চিনি, যার বউ দুইটা বাচ্চা রেখে আরেকজনের সাথে পালিয়ে গেছে। তার জীবনে সফলতা-পূর্ণতা সবই ছিলো, কিন্তু ভালোবাসাটা কপালে জুটেনি।
#এম,বি,এ পাশ করা একজনকে চিনি, পড়ালেখা শেষ করে ভালো কিছু করার জন্যে চলে যান দেশের বাহিরে , তারপর বিবাহের প্রস্তাব দেন ১৪ বছরের ভালোবাসার মানুষটির পরিবারে। শুধুমাত্র ছেলে প্রবাসী বলে বিবাহ দেননি। ভালো চাকুরী মানেই কি সব কিছু??
#প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করা এক মেয়ের গল্পটা জানি, কি নিদারুণ অত্যাচার সহ্য করে একদিন গলায় বিষ ঢেলে দিলো। ভালোবাসার জন্যে ঘর ছেড়েছিলো, সফলতা আসেনি কখনও।
#দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েটার গল্পটা জানি। শুধু গায়ের রঙটা কালো বলে প্রেমিকের বাবা মায়ের হাজারো অবহেলার কথা মাথায় তুলে নিয়ে রিলেশনটা ব্রেকাপ করতে হয়েছিলো। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়েও সে সুখী হতে পারছে না।
#ক্যারিয়ার গঠনের জন্য যে মেয়ে, তার বাবা মাকে বিয়ের কথা উচ্চারণ করতে দেয়নি, সে মেয়েটির শেষ পর্যন্ত বিয়েই হয়নি। টাকা পয়সা সব আছে কিন্তু স্বামী সংসার নেই।
#চাকুরী না পাওয়া তরুণের গল্পটাও করুণ। বেকার থাকার সময়ে প্রেমিকার বিয়ের আয়োজনটা থামাতে পারে নাই। চাকুরীটা হাতে পাওয়ার আগেই বাবা মারা গেলো। “সফলতা মানেই সুখ” বাক্যটা তার কাছে সম্পূর্ণ মিথ্যা।
#পুলিশের একজন এসপি-কে জানি, যিনি ভাগ্যের গেঁড়াকলে পড়ে; সন্তান হারিয়েছেন, স্ত্রীকে হারিয়েছেন, সংসার ও চাকুরি সব হারিয়ে, এখন ক্ষমতাহীন নিঃস্ব জীবন-যাপন করছেন। সফলতা তার জীবনে সুখ আনতে পারেনি।
#একজন প্রফেসরের সাথে আমার কথা হয়েছিলো। তিনি বলেছিলেন, “বিবাহের চার বছর পর থেকে স্বামী অসুস্থ। আজ বারো বছর হলো দুই সন্তান ও অসুস্থ স্বামী নিয়ে সংসার করছি। জীবনে কি পেলাম?” সবই ছিলো, ভালো চাকুরী, দুই সন্তান। শুধু অর্থই জীবনের সব কিছু, একথা তার কাছে হাস্যকর।
#এক পরিচিত বড় ভাই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হয়েও এখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং হোমিওপ্যাথিক কলেজের প্রভাষক।
#একজন এম এ(ফার্স্ট ক্লাস ১৬তম)এলএল বি পাশ করে ওকালতি প্রাকটিস ও কলেজের প্রভাষক পদ ছেড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক!
আসলে জগতে কে সুখে আছে? টাকায় সুখ দিয়েছে কয়জনকে? জীবনে সফলতা মানেই কি সুখ? একটা জীবনে সুখী হয়ে মারা গেছে ক’জন!!
🙄সুখী দেখেছিলাম আমার এলাকার নসু পাগলাকে, সে এক বেলা পেট ভরে খেয়ে কি আয়েশী হাসিটাই না হেসেছিলো!! শুধু ভরা পেটেই যে সুখে থাকতে পারে তার চেয়ে সুখী আর কেও নাই!! আমরা যারা মানুষ, তাদের মন ভরে সুখ কখনো আসে না। আমরা কখনো পরিপূর্ণভাবে সুখী হতে পারি না। বাস্তবতা বড় ফ্যাকাশে, স্বপ্নের মতো রঙিন হয় না।
🌴একটু সুখের জন্যে অনেক কিছুর দরকার নেই। চলুন, আমরা মনটাকে একটু ভালো করি; ক্ষমতা ও অর্থের দম্ভ থেকে সরে আসি; হিংসা, লোভ, স্বার্থপরতা ত্যাগ করি; সৃষ্টিকর্তার তরে নিজেকে সপে দিই; আর কাউকে না ঠকাই।
আমাদের জীবন সুখের হবে।
(সংগৃহীত)
বক্তব্য 17
ঋতুপর্ণ ঘোষ কে আমরা সব্বাই চিনি। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী…তাঁর স্মরণে কিছু কথা…
উনি ছেলে হয়ে জন্মালেও অন্তরে ছিলেন নারী।
যদিও ঋতুপর্ণ ইউনিসেক্সুয়াল পোশাক পড়তেন। ঋতুপর্ণ ঘোষের কন্ঠস্বর প্রায় মেয়েদের মতো।
চোখের নীচে কাজল, কানে ছোট রিং, হাতের সুন্দর আংটি। অঙ্গভঙ্গি বরাবরই মেয়েদের মতো।
ঋতুপর্ণ ঘোষ নিজেই সারাজীবন পিতৃতান্ত্রিক সমাজের গ্লানি ভোগ করে গেছে।
সমাজের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, “অন্তরাত্মার সাথে দেহের মিলন “। এলিটদের কাছে ঋতুপর্ণ বরাবরই তাচ্ছিল্য পেয়েছে।
এখন চলুন, ঋতুপর্ণ ঘোষের চিত্র পরিচালকের পেশা, সাম্মানিক, খেতাব, পুরষ্কার সব বাদ দিই।
ভুলে যাই ঋতুপর্ণ ঘোষের অভিনয়কে।
💠আপনার পাশের বাড়ির ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো একটি ছেলে মেয়েদের মতো যথেষ্ট সুন্দর নৃত্য করছে, তার কন্ঠস্বর মেয়েদের মতো কোমল,সেও চোখে কাজল দেয়, নখে নেলপালিশ লাগায়, কানে রিং দেয়, ঘরে সালোয়ার কামিজ পড়ে, সেও নাট্যাভিনয়ে সীতা,দ্রৌপদী, রাধা সাজে।
আপনি কি তার এইসব মেয়েলি আচরণ মানবেন? মানবেন না তো —
কারণ —
(১) মান্ধাতার আমলের বস্তাপচা masculinity আপনাকে এটাই শিখায়, ” পুরুষ মানেই রুক্ষতা, পুরুষ মানেই দৃঢ়তা, পুরুষ মানেই কান্নাকাটি থাকবে না “।
(২) সেই ছেলেটি আপনার কোন ক্ষতি করেনি তবুও আপনি তার পিছনে কুকুরের মতো লেগে পড়বেন ” পুরুষ হওয়ার পাঠ দিতে “।
কেন? কেন?
(৩) আমাদের সমাজে একতান্ত্রিক স্বৈরাচারী মনোভাব বিরাজ করে, যেখানে Sex আর gender এর ফারাকটুকু মানুষ বোঝে না।
(৪) ছেলেরা পুরুষালি এটা সামাজিক নির্মাণ, চিরকালীন সত্য নয় 👈👈👈👈
(৫)হর্মোনের কারণে ওর শরীর আর মনে এইরকম পরিবর্তন। এটা ওর নিজের দোষ নয়। শুধু শুধুই কেন ওকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
(৬)এমনও দেখা যায়, একজন লোক উচ্চশিক্ষিত এবং রুচিশীল কিন্তু শুধুমাত্র মেয়েলি আচরনের কারণে ওকে সমাজচ্যুত, একঘরে করে রাখা হয়েছে। এগুলো একধরনের বিকৃত রুচির পরিচায়ক।
(৭)সামাজিক অসাম্যতা, একঘরে করে দেওয়া, মানসিক অবসাদ এইসব কারণে উপযুক্ত মেধা থাকা সত্বেও ওরা চাকুরীক্ষেত্রে হেনস্তার শিকার হয়।
অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
(৮) কেউ কি ইচ্ছে করে, এইরকম হয়? মোটেই নয়। হর্মোনাল কারণেই ওর মধ্যে মেয়েলিপনার বিকাশ,ঘটে। ও কানে রিং, গলায় চেন, হাতে চুরি লাগিয়ে শান্তি পায়, এতে আপনার এত জ্বলে কেন⁉️
(৯)আপনার বাচ্চা যদি এইরকম হয়, তখন কি আপনি তাকে ডাস্টবিনে ফেলে দিবেন? কাউকে নিন্দা করার আগে নিজের অদূর ভবিষ্যৎটাও একবার ভাবুন।
💠এখন মিলিয়ে দেখুন কথাগুলো নিজের মনের সাথে। আপনি রাস্তাঘাটে কাউকে মেয়েলিপনার জন্য টিটকিরি দিচ্ছেন। ওর মনে তখন কেমন লাগে? বেশি নয় শুধু একদিন ওর জীবনটা আপনি যাপন করে দেখুন, বুঝতে পারবেন কত কষ্ট ওর মনে । ওর মা বাবার কত দুঃখ সন্তানকে নিয়ে।
💠ঋতুপর্ণ ঘোষকে আপনি সামাজিক চাপ এবং সাফল্যের জ্বলন্ত মশালের জন্য মেনে নিচ্ছেন। আবার, সেই আপনিই আপনার পাড়ার, স্কুলের, কলেজের সহপাঠী ছেলেকে মেয়েলিপনার জন্য ছক্কা,হোমো, হাফ লেডিস, মিঠা,বলে কটূক্তি করছেন।
💎এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। মানুষের কর্ম দেখে সম্মান দিন, sexuality , gesture , pastures দেখে নয়।
আজ তাঁর স্মরণে কথাগুলো বলতে ইচ্ছা হল…❤️
সংগৃহীত
সফলতার_গল্প
বক্তব্য 18
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও হেলেন কেলার।
এক না জানা অসাধারন সাক্ষাৎ।
হেলেন কেলার ছিলেন বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধি।
এই নিয়ে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন।
একই সাথে তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ন লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী।
১৯৩০ সালে নিউইয়র্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে সাক্ষাত হয় এই বিখ্যাত মার্কিন লেখিকা ও শ্রমিক দরদী কর্মী হেলেন কেলারের। লেখিকা যেহেতু অন্ধ তাই তিনি রবীন্দ্রনাথকে স্পর্শের মাধ্যমে অনুধাবন করেন।
সাক্ষাতে রবীন্দ্রনাথ ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী’ গানটি নিজে গেয়ে তাকে শুনিয়েছিলেন। যেহেতু হেলেন কেলার দেখতে বা শুনতে পারতেন না তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠোট স্পর্শ করে গানটি বোঝার চেষ্টা করেন !!!!
তথ্য এবং ছবি :সংগৃহীত
বক্তব্য 19

ক্ষমতা, অর্থ আর খ্যাতি সবই যখন হাতের মুঠোয়, তখন কিসের তাড়ায় তারা প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে ওঠেন, ঘাম ঝরান আর চেষ্টা চালিয়ে যান? হ্যাঁ, আর দশজন মানুষ হয়তো জীবনভর ক্ষমতা, টাকা-পয়সা এবং খ্যাতির মোহ কাটিয়ে উঠতে পারেন না। সেই লক্ষ্যেই তারা সাজান জীবনের ছক। সেই ছকে এক-দু’বার ব্যর্থ হয়ে কেউ কেউ হাত গুটিয়ে বসেন, ফিরে যান চিরচেনা জীবনে। কিন্তু সবচেয়ে সফল মানুষগুলোকে জিজ্ঞেস করে পাওয়া যায় একেবারে ভিন্ন চিত্র। ক্ষমতা, অর্থ আর খ্যাতি যাদের হাতে এসেছে, তারা সেখানেই থেমে থাকেননি; জীবনের অর্থ এবং সার্থকতা খুঁজেছেন আরো গভীরে।

মাইকেল জর্ডান : ব্যর্থতাই যার অনুপ্রেরণা

মাইকেল জর্ডানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসেবে ধরা হয়। তার কাছ থেকে জানা যায়, ব্যর্থতাকেই অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে ধরেই এত দূর আসতে পেরেছেন তিনি। জর্ডানের ভাষায়, ‘ব্যর্থতার মুখোমুখি হওয়ার পর, সেটা আমাকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করে।’ জর্ডান যখন হাই স্কুলের ছাত্র, তখন ছাত্রদের নিয়ে করা এক বাস্কেটবল টিমে তার জায়গা হয়নি। বিষয়টি যখন তার চোখে পড়ে, সেটাকে ভালোভাবে নেননি তিনি। বাড়ি ফিরে দরজা লাগিয়ে কাঁদতে থাকেন, হতাশায় অশ্রুসিক্ত হয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লেন, তার মনে নেই। জর্ডান চাইলে তখনই নিরাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তার বদলে তিনি কোমর বেঁধে কাজে লেগে পড়লেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস্কেটবল টিমে কাটাতে লাগলেন। জর্ডানের মুখের শোনা যাক, ‘ব্যর্থতা আমি মেনে নিতে পারি, কারণ সবাই কিছু না কিছুতে ব্যর্থ হয়ই। কিন্তু চেষ্টা না করে বসে থাকাটা আমি মানতে পারি না।’

অপরাহ উইনফ্রে : বাঁচার জন্যই কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিই

সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম হয়নি তার। বর্ণবাদী পঞ্চাশের দশকে জন্ম নেওয়া একজন কৃষ্ণাঙ্গ তিনি, পরিবারের আর্থিক অবস্থাও ছিল খুব শোচনীয়। শৈশবেই নিপীড়নের শিকার হতে হয় তাকে। সব মিলিয়ে বলা যায়, পরিস্থিতি মোটেও তার অনুকূলে ছিল না। আর দশজন মানুষ এই প্রতিকূলতাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে বসে থাকতে পারতেন, কিন্তু সে পথ মাড়াননি অপরাহ। বিখ্যাত টিভি অনুষ্ঠান ল্যারি কিং শো-তে অতিথি হয়ে এসে একবার অপরাহ তার সাফল্যের গোপন রহস্য হিসেবে বলেন, ‘এই গোপন কথাটা আসলে আমি গত ২১ বছর ধরে আমার নিজের টিভি শো-তে বলে আসার চেষ্টা করছি। গোপন বার্তাটা হলো, তোমার জীবন নিয়ে তুমি কী করবে, সেটার পুরো দায়ভার তোমার। তোমার চারপাশের পরিস্থিতিকে তুমি যেভাবে নিচ্ছ, সেটাই ঠিক করবে, তুমি সামনে এগিয়ে যাবে, না পিছিয়ে পড়বে।’

বক্তব্য 20

স্টিভ জবস : মৃত্যু থেকে অনুপ্রেরণা

অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিভাবান উদ্ভাবনশিল্পী স্টিভ জবস যে পৃথিবীতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। এমন প্রভাবশালী একজন মানুষ হয়ে ওঠার পেছনে তাকে যে বিষয়টি তাড়া করেছে, তা হলো মৃত্যুর মতো নিষ্ঠুর সত্য। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া এক ভাষণে জবস বলেন, ‘আমি যে খুব দ্রুত মারা যাব, এমন একটি বোধ আমাকে তাড়া করত। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি, যার মাধ্যমে জীবনের বড় বড় অর্জনগুলো করায়ত্ত করতে পেরেছি। মৃত্যুভয়ের সামনে বাকি সবকিছু, যেমন কাছের মানুষদের প্রত্যাশা, অপমান এবং ব্যর্থতার ভয়- সবকিছুই তুচ্ছ হয়ে পড়ে।’

ওয়াল্ট ডিজনি : কৌতূহল থেকেই সবকিছু

ওয়াল্ট ডিজনির জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রথম দিক ব্যর্থতায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে আছে। বয়স যখন বিশের কোঠায়, তখন কানসাস শহরে একটা কার্টুন সিরিজ আঁকতে শুরু করেন তিনি। এত খারাপভাবে ব্যর্থ হলেন যে, সহায়সম্বল হারিয়ে রীতিমতো দেউলিয়া হয়ে পড়লেন। কিন্তু পৃথিবীর বাসিন্দাদের প্রতি ভাগ্যদেবতা নেহাত প্রসন্ন ছিলেন। ওই ব্যর্থতার পর হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি ডিজনি। থাকলে আজকের ডিজনির মনোরম অ্যানিমেশন আমরা পেতাম না।

অনুপ্রেরণা ও সফলতার গল্প ,কষ্টের জীবনে সফলতার গল্প, সফলতার ছোট গল্প ,সফলতার গল্প ,সহজ জীবন প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সফলতার গল্প, কষ্টের পর সফলতা, সফলতার গল্প pdf, একজন ব্যর্থ মানুষের গল্প,true motivational stories, motivational stories in english, inspirational stories of success, short motivational story, motivational stories for students, motivational story of a woman, inspirational stories of hope true, motivational stories with moral,উপস্থিত বক্তৃতা, সেরা বক্তৃতা ,বক্তৃতা শুরু করার নিয়ম ,বক্তৃতার উদাহরণ, বক্তৃতা সংগ্রহ

Leave a Reply