আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল প্রফেসর এম এ সামাদ স্যারের নেতৃত্বে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয় এবং এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২১ উপলক্ষে ঢাকায় এক কর্মসূচি পালন করেছে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কিডনি প্রতীকে সজ্জিত দু’টি ঘোড়ার গাড়ি ঢাকা শহর প্রদক্ষিণ করে এবং সাধারণ মানুষকে কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পস স্বল্প খরচে মাস ব্যাপি কিডনি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও একটি আলোচনা অনুষ্ঠান ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

উল্লেখ্য যে, ২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব কিডনি ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে সারা পৃথিবীব্যাপী বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়।

ক্যাম্পস এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ এ আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেন, বিশ্বের প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষ ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে। আকস্মিক কিডনি বিকল প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ। প্রতি বছর প্রায় ১৭ লক্ষ রোগী আকস্মিক কিডনি বিকলের কারণে মারা যায়।

 

ড.আনোয়ার খানের জীবনী

বাংলাদেশে ২ কোটিরও অধিক লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকলের একমাত্র চিকিৎসা ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজন যা এত ব্যয়বহুল যে এদেশের শতকরা ১০ ভাগ লোকও এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে না। পক্ষান্তরে সুস্থ জীবনধারা চর্চা ও কিডনি রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের নিয়মিত কিডনি স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, সুস্থ জীবন ধারার প্রধান সোপানগুলো হলো নিয়মিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রম, পরিমিত স্বাস্থ্যসম্মত সুষম খাবার গ্রহণ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান পরিহার করা, পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করা, তীব্র মাত্রার ব্যাথার ঔষধ পরিহার করা।

স্কয়ার হাসপাতাল ডাক্তার লিস্ট | Square Hospital Doctors list Contact Number

 

তাছাড়া যারা ঝুঁকিতে আছেন যেমন যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বেশি, বংশে কিডনি রোগ আছে, যারা ধূমপায়ী, যারা তীব্র মাত্রার ব্যাথার ঔষধ খেয়েছেন, যাদের পূর্বে কোন কিডনি রোগের ঝুঁকি আছে তাদের বছরে অন্তত ২ বার প্রস্রাব ও রক্তে ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে নেয়া উচিৎ। কেননা প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ শনাক্ত করতে পারলে চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ক্যাম্পস এর নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ান সালেহীন বলেন, একটি বিষয় সহজেই অনুমেয় যে মানুষ কিডনি রোগ প্রতিরোধে চেষ্টা নেবে তখনই যখন সে জানবে যে, কিডনি রোগ কী? তার ভয়াবহতা এবং এর আর্থিক, পারিবারিক ক্ষতিসমূহ কী? সুতরাং এই যে মানুষকে জানানো কিংবা সচেতন করা এটিই গুরুত্বপূর্ণ আর এই কাজটিই বিগত প্রায় দেড় দশক ধরে নিরলসভাবে করে চলেছে ক্যাম্পস।

বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করে। সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, স্বল্পমূল্যে কিডনি স্ক্রিনিং কর্মসূচি, ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বিশেষ আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্যাম্পসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ এসব আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক এম এ সামাদ জীবনী কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার | Prof. Dr.M A Samad biography | Prof. Dr.M A Samad jiboni kidney specialist doctor

অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন 2017  চ্যানেল আইয়ের সেরা কন্ঠ সুমনা । তিনি উল্লেখযোগ্য গানগুলো পরিবেশন করেন তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলঃ ওরে সাম্পানওয়ালা, তোমাকে চাই আমি আরো কাছে, ও বন্ধু তুমি কই কই গো ,হাসতে দেখো গাইতে দেখো, চিরদিন তুমি যে আমার, ও আমার বন্ধু গো, তুমি আমার মনের মানুষ গানগুলো পরিবেশন করা হয়।

হিন্দি গান জনপ্রিয় হিন্দি গানগুলো পরিবেশন করা হয় দিলবার দিলবার, লায়লা ও লায়লা, চামেলি চিকনি চামেলি, নাগিন নাগিন।

প্রফেসর এম এ সামাদ বলেন, যারা এই কিডনি দিবসে সার্বিক সহযোগিতা করেছে তাদেরকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ বিশেষ করে এখানকার ডাক্তাররা এবং সকল মিডিয়া এবং পরিশেষে সুমনার গান আমার সবসময় ভালোলাগে, সুমনার গানে আমি প্রাণ খুঁজে পাই এবং আমার এই অনুষ্ঠানে সাফল্যমন্ডিত করার পিছনে সুমনার অবদান অনেক বেশি তাই সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

কিডনি মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শিশু, যুবক ও বৃদ্ধ সবার ক্ষেত্রেই সুস্থ কিডনির গুরুত্ব অপরিসীম।বিশ্ব কিডনি দিবস আজ।

বিশ্ব কিডনি দিবস

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব কিডনি ফাউন্ডেশনস ২০০৬ সাল থেকে মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। দিবসটির উদ্দেশ্য হলো কিডনির অসুখ নিয়ে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য- জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’।

 

এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের অনেক হাসপাতালে এ রোগের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি।’

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রায় ৪০-৫০ হাজার লোক ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে জীবন ধারণ করছে।

তিনি আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিডনি রোগীদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। সুস্বাস্থ্যের জন্য সুস্থ কিডনির বিকল্প নেই। অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। কিডনি রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ সনাক্ত করা সম্ভব। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ও কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকিহ্রাস পাবে। কিডনি রোগের সকল আধুনিক চিকিৎসা এখন আমাদের দেশেই সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। আমাদের সরকার জাতীয় কিডনি রোগ ইনস্টিটিউটে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে এবং নতুন ভবন নির্মাণ করেছে। দেশের সকল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ও জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যাবিশিষ্ট ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। আমরা স্বল্পমুল্যে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করেছি এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ’

দিবসটি উপলক্ষে আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসাপাতাল রাজধানীতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত : মরণোত্তর কিডনি দানে সচেতন হওয়ার আহ্বান

সচেতনতার অভাবে দেশে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিডনি বিকল হওয়ার আগে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষই জানে না তারা কিডনি রোগে ভুগছেন। অথচ সচেতন হলে এ রোগের মহামারি রোধ করা যায়। এ ছাড়া মরণোত্তর কিডনি দানের মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন রক্ষা সম্ভব। তাই সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মরণোত্তর কিডনি দানের মাধ্যমে অন্যের জীবন বাঁচানোর কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এই আহ্বান জানান। দিবসটি উপলক্ষে কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কিডনি রোগে দেশে ২ কোটি মানুষ আক্রান্ত। কিডনি অকেজো হয়ে দেশে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন মানুষ মারা যায়। দুপুরে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল। বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির প্রমুখ।

কিডনি রোগের মহামারি রোধে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে হৃদরোগ, ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। দেশে সফলভাবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হচ্ছে- যা চিকিৎসা খাতে বড় অর্জন। মৃতব্যক্তির শরীর থেকে কিডনি নিয়ে অন্যজনকে দিতে পারলে দেশে বহু লোক বাঁচতো। অথচ ডোনার সংকটের কারণে এখনো মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না। মরণোত্তর কিডনি দানে সচেতন না মানুষ। এই বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে। অনেকের মরণোত্তর কিডনি দানে প্রতিশ্রæতি থাকলেও স্বজনদের আবেগের কারণে তা প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত; মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনে ১৯৯৯ সালে দেশে একটি আইন প্রণয়ন হয়। এই আইনে ২০১৮ সালে সংশোধনী আনা হয়। এর মাধ্যমে অঙ্গদানের সুযোগের পরিধি বাড়লেও মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল দেড়শ থেকে ৫শ বেডে উন্নীত হচ্ছে। এতে দেশে কিডনি রোগীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে বলে জানান অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান। হাসপাতালে ৩ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিবস উপলক্ষে ১ জনের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে। চলতি মাসের মধ্যেই বাকিগুলো করা হবে। দেশে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কারণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডোনার পাওয়া যায় না। ডোনার পেলে আমাদের কার্যক্রমে আরো গতি আসবে।

এদিকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল দিবসটি পালন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয় এবং সি-ব্লকে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। রেনাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. কে বি এম হাদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, রেনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম প্রমুখ।

এ ছাড়া পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বটতলা থেকে গতকাল সকালে আরেকটি র‌্যালি বের হয় ও পরে এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে জনসচেতনতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব অনুষ্ঠানে বক্তরা কিডনি রোগ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডায়ালাইসিস সেন্টার কেন্দ্রের গেরিলা কমান্ডার মেজর এটি এম হায়দার মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অতি দরিদ্র কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে সরকারকে ভর্তুকি দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কিডনি ডায়ালাইসিসে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। একবার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে ২২০০ টাকা খরচ হয়। একজন রোগীর সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়, তিনবার করলে ভালো। এর সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধপত্র- যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে সরকারকে ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতি অনুযায়ী ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে হবে। এতে ওষুধের দাম কমে অর্ধেক হয়ে যাবে, কিন্তু ওষুধ কোম্পানির লাভ কমবে না। সরকার ইচ্ছা করলেই ওষুধের দাম কমানো সম্ভব।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ কিডনি বিভাগ, শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার,আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের উদ্যোগে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত

Source: jagonews24

Leave a Reply