আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস ও বিশ্ব টয়লেট দিবস আজ | What is World Toilet Day?

আজ ১৯ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস ও বিশ্ব টয়লেট দিবস। চলুন জেনে নেওয়া যাক দিবস দুটি পালনের উদ্দেশ্য ও এর পেছনের ইতিহাস।

১৯৯৪ সালে পুরুষ দিবস পালনের প্রথম প্রস্তাব করা হয়। তবে এর ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে।

২০০২ সালে দিবসটির নামকরণ করা হয় ‘ডিফেন্ডার অফ দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’। রাশিয়া, ইউক্রেনসহ তখনকার সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবসটি পালন করা হতো। বলা যায়, নারী দিবসের অনুরূপভাবেই দিবসটি পালিত হয়। ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

নব্বই দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যদিও অনুষ্ঠানগুলো খুব একটা প্রচার পায়নি। অংশগ্রহণও ছিল কম। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর পুরো বিশ্বে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস ১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোতে প্রথমবারের মতো পালিত হয়। এরপর দিবসটি জাতিসংঘের সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চাশটি দেশে ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিকভাবে পালিত হয়ে আসছে।

এদিকে, শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর ১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস পালন করা হয়। ২০০১ সালে সারা বিশ্বে টয়লেট ব্যবহার ও স্যানিটাইজেশন সম্পর্কে ক্যাম্পেইন শুরু করে ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “শৌচাগারের মূল্যায়ন”।

২০০১ সালে সারা বিশ্বে টয়লেট ব্যবহার ও স্যানিটাইজেশন সম্পর্কে ক্যাম্পেইন শুরু করে ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন। এরপর থেকে প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব টয়লেট দিবস। মানবদেহে রোগ হ্রাস করে স্বাস্থ্যবান জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এটিকে সামনে রেখেই সচেতনতা বৃদ্ধিতে পালিত হয় দিবসটি।

ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউটিও) সর্বশেষ তথ্যমতে, বিশ্বে দুই দশমিক ছয় বিলিয়ন মানুষ বর্তমানে সঠিক ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে পথচারীদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। শহরে কোন কোন জায়গায় টয়লেট থাকলেও বেশির ভাগ সময় সেগুলো একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী।

এমন সমস্যা এড়িয়ে চলতে দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব বা পায়খানা আটকে রাখেন অনেকে।

কিন্তু এতে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেজ্ঞরা। কী সেগুলো – জানতে ভিডিওটি দেখুন।

আরো পড়ুন: হরিতকী ফলের উপকারিতা ও ব্যবহার

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস ও বিশ্ব টয়লেট দিবস আজ , What is World Toilet Day?,আজ বিশ্ব টয়লেট দিবস,১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস,আজ বিশ্ব টয়লেট দিবস,টয়লেট দিবস: পায়খানা ও প্রস্রাব দীর্ঘক্ষণ চেপে রাখলে যে ক্ষতি হয়

Leave a Reply