“আবেগ নয় বিবেক বড়”প্রধান শিক্ষক মিস্টার,দুলাল চৌধুরী ইস্কাটন গার্ডেন হাই স্কুল

আবেগ দ্বারা মানুষ যা করে বিবেক দ্বারা তা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে এক সময় স্থিমিত হয়ে যায়।অর্থাৎ আবেগকে বিবেক দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।আবার বিবেক দ্বারা মানুষ যখন আবেগ তারিত হয়।তখন সেই আবেগ দ্বারা ভালো কিছু হওয়া সম্ভব।

বিবেকই বড় আবেগ নয়।তবে আবেগ বাদ দিয়ে চলা বড়ই কঠিন। আবেগ মানুষকে নিজ স্বার্থের কথা ভুলিয়ে প্রিয় জনের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে কাজ করতে শেখায়।প্রচলিত কিছু প্রবাদ প্রবচন আমাদের স্বার্থ পর করে তুলেছে।আবার কিছু কিছু প্রবাদ প্রবচন আমাদের নিজ স্বার্থ পরিত্যাগ করে জনস্বার্থে কাজ করতে শেখায়। দেশকে ভালোবেসে, দেশ মাতাকে স্বাধীন করার জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য শিক্ষা দরকার। সে কথা উপলব্ধি করে তৎকালীন যারা শিক্ষিত হয়েছিলেন তারা নিজের স্বার্থ, নিজের ভালো থাকা, পরিবার পরিজনের ভালো থাকার কথা ভুলে নিজের সহায় সম্বল যা কিছু ছিল তা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।সেখানে নিজের বেতন নেওয়া তো দূরে থাক অন্য শিক্ষকদের যৎসামান্য বেতন তাও নিজের পকেট থেকে দিয়ে স্কুল পরিচালনা করতেন।তারপর মাঝে মাঝেই আসত ইনেসপেক্টর। কাম্য শিক্ষার্থী না থাকলে পাঠদান স্বীকৃতি বাতিল। স্কুল রক্ষার্থে শুরু করতে হত ঘরে ঘরে গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ অভিজান। অনেক অনুনয় বিনয় করে অভিভাবকে পটিয়ে ছাত্র আনতে হত।

সেই সকল শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতন পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এখনো আমরা এই ধারনার বাইরে নই।আমাদের সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ তৎকালীন অভিভাবকদের উত্তরসূরী,আমারা শিক্ষকবৃন্দ সেই সময়কার শিক্ষকবৃন্দের উত্তরসূরী। আমাদের শিক্ষা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বৃটিশ আমলের কর্তৃপক্ষের উত্তরসূরী।আমাদের কর্তৃপক্ষ আমাদের উপর নতুন নতুন কারিকুলাম চাপিয়ে দিচ্ছেন তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার জন্য।

পুত্রবধূকে বিয়ে করলেন ৭০ বছরের শ্বশুর!

সব কিছু বিশ্বমানের শুধু আমাদের বেতন দেশীয় মানের।বেতন বৃদ্ধির কথা বললেই আমাদের কর্তৃপক্ষ শ্বাশ্বত শিক্ষকদের ত্যগের কথা শুনিয়ে দেয়।তারা তখন পারলে আপনারা এখন কেন পারবেন না? আমাদের এত জ্ঞান দিলেন, সেই সময়ের আমলারা যে বেতন নিতেন এখন আপনারা তাদের চেয়ে কতগুন বেতন বেশি নিচ্ছেন সে হিসাব একটুমিলিয়ে দেখবেন। চলবে।

Leave a Reply