আমলকির উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন

আমলকি ফল এর সাথে পরিচিত নয় এমন মানব খুঁজে পাওয়া যায় না। এই পোস্টে আমরা আমলকির উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে তুলে ধরবো। এই ফল বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরে স্বর্বস্থরের মানুষের কাছেই জনপ্রিয়। তবে এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Phyllanthus emblica এবং ইংরেজি নামঃ Indian gooseberry.

এই ফলের বহু গুনাগুন রয়েছে যা অন্য অন্য ফলের চাইতে অনেক বেশি। আমলকি কে ভেষজ ফল ও বলে। এই আমলকি ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিআমলকির ছবিটামিন সি পাওয়া যায় যা অন্যান্য ফলের তুলনায়অনেক বেশি থাকে। আমলকি ফল বিভিন রোগ নিরাময়ে কাজ করে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বেশি কার্যকারি। আমরা আজকে এই ফলের কি কি গুনাগুন ও কার্যকারিতা রয়েছে তা আমরা জানবো। আরো জানব এর পুষ্টি গুন, চাষাবাদ, বিস্তার, গবেষণা, উৎপত্তি এবং বৈশিষ্ট্যসমূহ।.

বৈশিষ্ট্যসমূহ(Features)

এই আমলকি ফলের সাধারন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো। আমলকি গাছের উচ্চতা ৮ থেকে ১৮ মিটার পর্যন্ত বিশিষ্ট হতে পার। এই আমলকি গাছের পাতা ঝরা প্রকৃতির হয়। এর পাতা একটু হালকা সবুজ হয়।এই ভেষজ ফলের যৌগিক পত্রের পত্রক ছোট ছোট এক থেকে দুই ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। একই গাছে ধরে স্ত্রী ও পুরুষ ফুল । এই ভেষজ ফল হলুদ ও হালকা সবুজ এবং গোলাকৃতি ব্যাস এক থেকে দুই ইঞ্চির কম বেশি হতে পারে।

আমলকি গাছের কাঠ অণুজ্জল লাল বা বাদামি লাল হয় তবে এই কাঠের তেমন কোন আসবাপ্ত্র হয় না। বিশেষ করে এই গাছ বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই পাওয়া যায়। এই গাছ চার থেকে পাঁচ বছর বয়সে ফল ধরে। বাংলাদেশের এই ফল আগস্ট – নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যায় যা অন্য দেশে পাওয়া যায় না। আমলকির বীজ থেকে বংশবিস্তার করা যায়। তবে বর্ষাকালে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় বলে বিবেচনা করা হয়।

চাষা পদ্ধতি (Cultivation method)

বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই প্রায় নার্সারী গুলোতে আমলকীর চারা পাওয়া যায়। আমলকি ফলের বীজ আপনি চাইলে বাজার থেকে কিনেও চাষ করতে পারেন অথবা কিনতে না চাইলে এই ফলের মানজি এবং ফলের মাংসল অংশ নিষরন করে ভিতরের শক্ত আবরণসহ বীজ রোদে ভালো ভাবে শুকিয়ে নিতে পারেন।শুকানর পর এই ফলের উপরের ছাল তুলে বা ফেটে বীজ বের করে তা সংরক্ষণ করা যাবে। এই আমলকির বীজ সংরক্ষনের সময় হলো নভেম্বর-ফেব্রুয়ারী মাস। আমলকি দামও অনেক বেশি। আমলকি প্রতি কেজিতে প্রায় চার হাজার থেকে চার হাজার পাঁচ শত পাওয়া যাবে।

আমলকির বংশবিস্তার (Propagation of Amalaki)

এই আমলকি যে শুধু বাংলাদেশই পাওয়া যায় তা কিন্তু মোটেও নয় আরো অনেক দেশে পাওয়া যায়। আমলকি যে সব দেশে পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে ভারত, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া এমন কি চীনেও আমলকির অনেক বিস্তৃতি আছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাট-বাজার প্রায় সব অঞ্চলে আমলকীর ফল পাওয়া যায়।

আমলকি দুই ভাবে বংশ বিস্তার করা যায় যেমনঃ এক কলম পদ্ধতিতে দুই বীজের মাধ্যেমে এ গাছের বংশ বিস্তার করা যায়। আমলকি এমন একটি ফল এর বীজ সংগ্রহের সাথে সাথে বীজ মাটিতে বা সীড বেডে দ্রুত্ব রোপন করতে হয়। রোপনের পর ৪০ ভাগ অঙ্কুরোদগম হার মাত্রা । অঙ্কুরোদ্গমের হার বারানো যাবে কিছু নিয়ম অনুসর করলে তাহলে অঙ্কুরোদগমের হার শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত অঙ্কুরিত হবে তবে বীজ ৮০ ডিগ্রী সে.মি. তাপে ৪ থেকে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে রোপন করলে। এই গাছের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে গাছ কেটে ফেললে নতুন করে কাটা স্থান থেকে নতুন পাতা ও কুশি জন্মায়। সেখান থেকে ক্রমে তা পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ গাছে পরিণত হইয়ে যায়। এই গাছ লাগানোর ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে তা সামান্য কিছু ফল ধরা শুরু করে। তবে এই গাছ পরিপূর্ণভাবে ধরতে ৭ থেকে ৮ বছর সময় লাগে। দেরিতে ফলবান হলেও মোটামুটি ৬/৭ বছর পর গাছের ফল বিক্রি করে বছরে প্রতি বছরে প্রায় ১/২ থেকে ২ লাখ টাকা আয় করা যেতে পারে।

Read More: শীতে চুলে খুশকি হয় কেন, দূর করার উপায় কী?

গবেষণা (Research)

সারাবিশ্বে অসংখ উদ্ভিদ রয়েছে তার মধ্যে বহুগুনাগুন সম্পূর্ণ উদ্ভিদ হলো আমলকি। এই আমলকি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে অনেক রিসার্চ সম্পন্ন করেছেন। তবে সম্প্রতি আমেরিকার একটি গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত করেছে। এই প্রকাশিত গবেষণাপত্রের মতে যে ত্রিফলা ফল শুধুমাত্র কোলেষ্টেরলই কমায় না বরং এতে প্লীহা কমায়। আরো অনেক বেশি যকৃতেরও উপকার হয়।

এত আরো পাওয়া গেছে যে, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। তবে এত আর অনেক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, রিউমেটয়েড অস্টিওপোরোসিস এবং আর্থ্রাইটিস রোগে এই উদ্ভিদের বাফলের রস বিশেষ কাজ করে থাকে। গবেষণাগারে আরো বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এর সক্রিয়তার প্রমামিত হয়েছে। তবে আর একটি মারাত্মক রোগের কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের। এই আমলকির কার্যকর ইঁদুরের উপর চালিত এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

এই আমলকির কার্যকর প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের পরে ক্ষতিগ্রস্ত প্যানক্রিয়াসর বা অগ্ন্যাশয় ক্ষত নিরাময়ে বিশেষ কার্যকারিতা রয়েছে। এই আমলকির গাছ , ফল, পাতা এবং বাকল থেকে তৈরি করা ওষুধে থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিশেষ কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ মিলেছে সেই সব রোগের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো যেমনঃ রক্তের কোলেস্টেরল-মাত্রা হ্রাস করতে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি-রোগের আমলকির কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা একটি রিসার্চ করে দেখেছেন যে ডায়াবেটিক ইঁদুরের উপর গবেষণা করে দেখেছেন যে, আমলকির রস রক্তের প্রচুর পরিমান চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং মানুষের লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং পূর্বের শক্তি পুনরুদ্ধারের সাহায্য করবে। আরো জানা গেছে যে আমলকিতে হিউজ পরিমান ভিটামিন-সি বা এসকরবিক এসিড থাকে যা মুখের ঘা নিরাময়ে কার্যকারিতা আছে (445mg থেকে100gm) এসকরবিক এসিড পাওয়া যায়।

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে এসিড থাকা সত্ত্বেও এর বিভিন্ন উপাদান নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এন্টি-অক্সিডেন্ট’রূপে কার্যকারিতার পেছনে মূল ভূমিকা ভিটামিন-সি এর নয়। তবে এলাজিটানিন নামক পদার্থ সমূহের বলে ধারনা করা হয়। এই আমলকির বিভিন্ন উপাদান বা ভিটামিন সমূহ গুলো নিচে তুলে ধরা হলো যেমনঃ এমব্লিকা নিন-B (33%), এমব্লিকানিন-A (৩৭%), পানি গ্লুকোন (12%) ও পেডাংকুলাগিন (14%).তবে এতে রয়েছে পানিক্যাফোলিন, ফিলানেমব্লিনিন-A, B, C, D এবং F। এই আমলকি ফলে আরো বিভিন্ন পলিফেনল ও রয়েছে।বিভিন্ন পলিফেনল গুলো নিচে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হলো যেমনঃ কেমপেল, ফ্ল্যাভোনয়েড, ম্যালিক এসিড ও এলজিক এসিড।

আমলকির উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি সমূহ(Various benefits and rules of use of Amalaki)

আমলকি আমাদের একটি জনপ্রিয় ফল। এই আমলকি বিশেষ কিছু গুনাগুন এর কারনে দ্রুত্ব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সুতরাং এর বিশেষ গুনাগুন গুলো নিচে তুলে ধরা হলো-

স্কার্ভি বা দাঁতের মাড়ি রোগ(Scurvy or gum disease):

এই রোগ ভিটামিন ‘সি’-এর অভাব জনিত একটি স্কার্ভি বা দাঁতের মাঢ়ির একটি রোগ এবং শরীরেও হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রন্ত হলে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে, মাড়িতে ঘা হয়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়, শরীর বা চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়, চেহারা কুচকে হয়ে যায়, রক্তক্ষরণ হয় চামড়ার নিচে, সেই সাথে হাড়ের পরিবর্তন ও হয়ে থাকে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে । সুতরাং কেউ যদি দৈনিক মাত্র ১ থেকে ২টি করে আমলকি খায় তাহলে তবে সে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব্য।

কোষ্ঠকাঠিন্য(Constipation) :

আমলকি এমন একটি ফল যে এতে পায় সব ধরনে ভিটামিন রয়েছে তার মধ্যে সলিউবল ফাইবার থাকে। শরীর থেকে এক ধরনের টক্সিক উপাদান অপসারণ করে ও হজমের কাজ ও করে থাকে।

গ্যাস্ট্রিক বা আলসার(Gastric or ulcer):

আমাদের প্রত্যেকের গ্যাস্ট্রিক আছে কাহারো কম আবার কাহারো বেশি। আমরা যারা সাধারণত লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নামে জানি তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলে পেপটিক। তবে কেউ যদি নিয়মিত আমলকি খেলে পেটের গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নিরাময় হয়ে থাকে।

পাইলস(Piles):

পাইলস এটি একটি মারাত্বক রোগ যার একবার হয় সে বুজে এর কষ্ট কতটা ভয়ানক। তাই রোগ থেকে রেহাই পেতে আমলকি ফল খেলে মুক্তি পাওয়া যায়।

অরুচি দূর করতে আমলকির ভূমিকা(Amalki is role in overcoming distaste)

আমলকিতে ভিটামিন সি থাকার কারণে নিয়মিত খেলে মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়। অথবা আমলকির গুড়ার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে আরো দ্রুত্ব বৃদ্ধি করে।

গলা ব্যথা(Sore throat):

আবহাওয়া(সিজন) পরিবর্তরে সময় আমরা দেখতে পারি যে মাঝে মাঝে গলা ব্যথা দেখা যায়। তবে যদি কেউ আমলকির গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে নিয়মিত মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার আহার করলে গলা ব্যথা উপশম হয়।পুরাতন সর্দি-কাশির জন্য আমলকি খুবই কার্যকরী।

আমলকি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে(Amalki to increase eyesight)

এই আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে তেমনি ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। আর ভিটামিন ‘এ’ এই উপাদান টি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী। এই আমলকি চোখের জন্য বিশেষ কার্যকারী। আমলকির রসের সাথে আর একটি প্রাকৃতিক খাদ্যে মধু মিশিয়ে পান করলে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস(Diabetes):

আমলকী ফল গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে এতে পলিফেনল রয়েছে। পরবর্তীতে রক্তের অক্সিডেটিভ শর্করা থেকে শরীর রক্ষা করে থাকে। যা শরীরের পরবর্তিতে ইনসুলিন শুষে নিতে সহেতা করে, যাকে বলি আমরা ডায়াবেটিস। এই ডায়াবেটিসনিরাময় করতে প্রচুর পরিমণ সাহায্য করে থাকে।

চুলের যত্নে আমলকির গুরুত্ব(Importance of Amalaki in hair care):

আপনার কি চুল পড়ে? চিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা জানি যে আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ভিন্ন ভিন ভিটামিন রয়েছে। আমরা যদি সেই সব ভিটামিনের ব্যবহার করতে পারি তাহলে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এটি একটি অপরিহার্য উপাদান হিসাবে কাজ করবে। আপনি যদি নিয়মিত আমলকি খান তাহলে আপনার শুধু চুলের গোড়াই শক্তহবে না, চুল পড়া রোধ করবে, দ্রুত বেড়ে ওঠতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে যাদের অল বয়সেচুল পাকে, তাদের চুল পাকা রোধ করে এবং চুলকে খুশকিমুক্ত করে। এই আমলকি ফলের রস প্রতিদিন সকালে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে চর্মরোগ নির্মূল হয়।

আরো পড়তে পারেনঃ প্রাকৃতিক নিয়মে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আমলকির দেশজ বা প্রকৃতিক নাম(Indigenous or natural name of Amalki)

আমরা জানি যে আমলকি প্রায় অনেক দেশে চাষাবাদ হয়ে থাকে। তবে এই আমলকিকে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ডাকেন।

পরিশেষে বলা যায় যে, আমলকি দেশীয় ফল হিসেবে আমাদের সবার কাছেই বিশেষ পরিচিত একটি ফল। এই ফল টি সহজলভ্য দামে সস্তা তেমনি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা। এই ফল ত্বকের জন্যে, চুলের জন্য এবং চোখের যত্ন থেকে শুরু করে ক্যান্সার এর মতো মারাত্বক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা এই ছোট আকৃতির ফল বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। তাই শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলা দরকার।

এই পোষ্ট টি পড়ে আপনি যদি সামান্য উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন। পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে____ধন্যবাদ!!!

Read More: রসুনের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সমূহ | কাঁচা রসুনের উপকারিতা

আমলকির ৩০টি জাদুকরি উপকারিতা:

১) বদ হজমে
হজম বৃদ্ধিতে আমলকীর কোন তুলনা হয় না। অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও আমলকী দারুণ ভাবে কাজ করে।

২) বমি ভাবে
অনেকেরই বমি ভাবের সমস্যা থাকে। এমন ক্ষেত্রেও আমলকী খুবই উপকারী।

৩) মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতায়
মাথা ও হৃদয়ের বেশ কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে আমলকী উপকারি কাজ করে। মাথায় রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি করে।[Amloki English]

৪) হৃদয়ের সুস্থতায়
হৃদয় ও ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

৫) ব্লাড সুগারে
ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

৬) কোলেস্টেরলে
আমলকী কোলেস্টেরলের লেভেল কম রাখতে যথেষ্ট সহযোগিতা করে।

৭) ভিটামিনের ঘাটতিতে
শরীরে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি১, বি২– এর ঘাটতি পূরণ করে।

৮) ত্বকের লাবণ্যে
আমলকি ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের কালো ছাপ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

৯) রক্ত পরিশ্রুত করতে
রক্ত পরিষ্কার করতে আমলকি খুবই ভালো কাজ দেয়।[Amloki English]

১০) সর্দি-কাশিতে
সর্দি-কাশির সমস্যায় ভালো কাজ দেয় আমলকী।

১১) হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসে
হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিস থাকলে প্রতিদিনই আমলকী খাওয়া উচিত। ফলে এই সমস্ত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

১২) অরুচিতে
আমলকীর টক ও তেঁতো মুখে রুচি ও স্বাদ বৃদ্ধি করে। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সাথে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।

১৩) খিদে বাড়াতে
ক্ষুধা-মান্দে যারা ভুগছে, তাদের খিদে বাড়াতে সহায়তা করে এই টক ফলটি।

১৪) পেটের সমস্যায়
পেটের পীড়ায় উপকারি এই ফলটি।

১৫) পাইলসে
পাইলসের সমস্যা দূর হয় এই ফল খেলে।

১৬) রক্তশূন্যতায়
রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে আমলকী। রক্ত তৈরীতে সাহায্য করে। লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।[Amloki English]

১৭) দাঁত ও নখে
রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে। শক্ত করে।

১৮) ফ্রি র‌্যাডিকালস প্রতিরোধে
আমলকীর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র‌্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র‌্যাডিকালস।

১৯) মেদ কমাতে
যাঁরা মোটা হয়ে যাচ্ছেন বলে দুশ্চিন্তা করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে আমলকী।

২০) যৌন সমস্যায়
অনেকেই যৌন সংক্রান্ত নানা রকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। সেই সমস্যা দূর করতে পারে আমলকী। আমলকী যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।

২১) চুলের সমস্যায়
আজকাল চুলের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। আমলকী চুলের সমস্যায় খুবই ভালো।

২২) চুল ঝরায়
চুল ঝরার সমস্যা বন্ধ করতে আমলকী (Amla) খুবই উপকারী। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুলের বৃদ্ধি তরান্বিত করে।

২৩) অকালপক্কতায়
অকালপক্কতায় আমলকী খুব ভালো। চুল কালো করতে পারে আমলকী।[Amloki English]

২৪) খুসকিতে
আমলকী খুসকির জন্য খুবই উপকারী। চুলের গোড়া শক্ত করে আমলকী।

২৫) অনিদ্রায়
ঘুমের সমস্যা অর্থাৎ অনিদ্রা থাকলেও আমলকী তার প্রতিকার করতে পারে।

২৬) ডিজেনারেশন প্রতিরোধ
চোখের সব রকমের রোগের ক্ষেত্রেই উপকারী আমলকী। ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সাথে জড়িত ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

২৭) চোখের সমস্যা
চোখে ফুসকুড়ি, চোখ থেকে জল পড়া, চোখে চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় আমলকী। আবার দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে পারে আমলকী।

২৮) নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ
নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে আমলকী।

২৯) গর্ভবতী ও নবজাতকের জন্য
গর্ভবতী মহিলাদের ও নবজাতকের জন্যও আমলকী খুব ভালো।[Amloki English]

৩০) রোগ প্রতিরোধ
আমলকীর থেকে যথেষ্ট পরিমাণ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা লাভ করা যায়।

 

 

 

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা, আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, আমলকি সিরাপ এর উপকারিতা, খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা, চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা, আমলকির ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় আমলকির উপকারিতা, আমলকি গাছের ছবি, আমলকির ক্ষতিকর দিক, আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, আমলকি খাওয়ার অপকারিতা, কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম, খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা, চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় আমলকির উপকারিতা, আমলকি সিরাপ এর উপকারিতা

Leave a Reply