আমাদের দাবি চলমান কমিটিকে (নিয়মিত বা এডহক) তার উত্তরসূরী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে দিতে হবে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার নূন্যতম একমাস পূর্বে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। কোন কারণে নির্বাচন সম্পন্ন করতে না পারলে কমিটির মেয়াদ শেষে বিদ্যালয় পরির্দশক বরাবরে এডহক কমিটি করার জন্য আবেদন দিতে হবে।এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।করোনার কারণে নিয়মিত কমিটি গঠন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে বাধ্য হয়ে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ, তারা এডহক কমিটি করছেন।
অনেক প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটি এই প্রায় তৃতীয় বারের মত চলছে। ঘন ঘন এডহক কমিটির করার বিরম্বনা নিয়ে অনেকের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেধে উঠছিল। তাতে আবার যোগ হল স্থানীয় সরকার নির্বাচন। গত কয়েক দিন পূর্বে একটা পরিপত্রের মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পারল যে, যে সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে মধ্যে করোনার কারণে সম্পন্ন করা যায় নাই তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বরবৃন্দ ১০১ ধারা মোতাবেক দায়িত্ব পালন করে যাবে।
এই পরিপত্র জারির সাথে সাথে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের দাবি হালে পানি পেল।যদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বরবৃন্দ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারে তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি বা এডহক কমিটি তাদের উত্তরসূরী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কেন দায়িত্ব পালন করতে পারবে না? আমাদের দাবি চলমান কমিটিকে (নিয়মিত বা এডহক) তার উত্তরসূরী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় পরিপত্র জারি করা হউক। কেন আমরা এ দাবি করছি?
০১. এডহক কমিটি গঠন করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানির স্বীকার হতে হয়। যেমনঃ ক.অভিভাবক প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকা বা জেলা সদরে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলার ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যেতে হয়। খ.শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের অফিস যেতে হয়। এ সকল বিষয় সম্মন্ন করার পরে এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যালয় পরির্দশক বরাবরে আবেদন দিতে হবে।
এখানেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানির স্বীকার হতে হয়। সভাপতি মনোনয়নের জন্য তিন জন গণ্যমান্য ব্যক্তির নাম পাঠাতে গিয়ে অনেক জায়গায় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হতে হয়। উল্লেখিত ৩ নং অফিসে ফি জমা দিতে হয়, সেটা নির্ধারিত। তবে বাকি ১ নং ও ২ নং অফিসে কোন ফি দেওয়ার নিয়ম নেই কিন্তু কেউ খালি হাতে মনোনয়ন নিয়ে আসছেন এমন মনে হয় না। আমরা এই অর্থ দন্ড সহ হয়রানির স্বীকার থেকে বাঁচতে চাই। আর একটি সমস্যা আছে সেটা হল এডহক কমিটি নিয়মিত কমিটির ন্যায় শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারেনা।
সারা দেশে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪ র্থ ও ৩য় শ্রেণির কর্মচারী পদ শূন্য কিন্তু নিয়মিত কমিটি না থাকায় নিয়োগ দিতে পারছে না। সামনে আসছে আরো বিপদ। এই যে বহুল কাঙ্ক্ষিত শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ এন,টি আর,সি, এ করবে, তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির প্রয়োজন হবে।নিয়মিত কমিটি ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবেনা। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি আছে তারা শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবে না।আমার মনেহয় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ আসতে আসতে দেশের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এডহক কমিটি চলে আসবে। তখন একটি অচল অবস্থার সৃষ্টি হবে। তাই এ সকল সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
ধন্যবাদান্তে দুলাল চন্দ্র চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

Leave a Reply