আমার প্রথম পিরিয়ড আমার বয়স যখন এগারো তখন আমার পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব শুরু হয়। আজ আমি প্রথম পিরিয়ডের অভিজ্ঞতা জানাতে চাই।

আমাদের দেশে অনেক মেয়েই ঋতুস্রাব আগে এ সম্পর্কে কিছু জানে না বলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। তারা অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এটা নিয়ে। আমি অবশ্য আগে থেকেই ঋতুস্রাব সম্পর্কে জানতাম। আমার মা আমাকে ঋতুস্রাবের আগেই এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়েছিলেন। ঋতুস্রাব কী, ঋতুস্রাব কেন হয় এবং করণীয় সম্পর্কে আমাকে সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝিয়েছিলেন আমার স্কুলের একজন শিক্ষক সাজেদা খানম ম্যাডাম।

তিনি আমাদের বিজ্ঞান পড়াতেন। আধা ঘণ্টার একটি ক্লাসে তিনি আমাদের ঋতুস্রাব বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেন। তাই আমার ঋতুস্রাব হলে আমি এটা নিয়ে আতঙ্কিত হইনি।

আমার যেদিন প্রথম ঋতুস্রাব হয় আমার বাসায় এটা নিয়ে খুব একটা রাখঢাক আচরণ দেখিনি। আমার মা ফোন করে আমার দাদি এবং নানিকে এই আনন্দের সংবাদটি দিয়েছিলেন। ঋতুস্রাব দিনগুলোতে মা আমার প্রিয় খাবারগুলো রান্না করেন। আমার বাবার কথাটাও বেশ বড় করে বলতে চাই।

যে গাছের ছায়ায় দিন কাটত নিরঞ্জনের, সেই গাছ উপড়ে পড়েই মৃত্যু

আমার ঋতুস্রাব হওয়ার পর স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ আমার মা এবং বাবা দুজনে গিয়ে কিনে আনেন। এখনো বেশিরভাগ সময় বাবাই আমার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে আনেন। ঋতুস্রাবের সময় মেয়েদের পেটে-পিঠে ব্যাথা হয়।

আমারও মাঝে মাঝে হতো তবে তা অনেক কম। এখন পর্যন্ত নিয়মিত মাসিক হয় আমার। জানি, আমার এবং আমার পরিবারের সচেতনতার জন্যই আমার কোনো সমস্যা হয়নি।

Leave a Reply