আসাদ নুর এর জীবনী-নাস্তিক আসাদ নুর জীবনী A-Z বিস্তারিত | Biography of Atheist Nastik Asad Noor

আসাদুজ্জামান নূর (জন্ম 8 আগস্ট 1991 গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশের), আসাদ নূর নামেই বেশি পরিচিত,[1][2] একজন নির্বাসিত বাংলাদেশী ব্লগার এবং মানবাধিকার কর্মী।[3][4][5] নূর মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং এলজিবিটি অধিকারের একজন উকিল, যিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদের সমালোচনা করেছেন।[6][7] ব্লাসফেমি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ তাকে একাধিকবার বিচারের মুখোমুখি করেছে।[8][9] তিনি 2019 অ্যাক্টিভিজম থেকে ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন
নূর 2013 সালে বিভিন্ন ব্লগ এবং সামাজিক নেটওয়ার্কে লেখার মাধ্যমে তার সক্রিয়তা শুরু করেন। 2013 সালের শাহবাগ বিক্ষোভের সাথে জড়িত থাকার পর, তিনি ধর্মীয় মৌলবাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। 2015 সাল থেকে, তিনি তার মানবাধিকার কাজের জন্য রাষ্ট্রীয় এবং অ-রাষ্ট্রীয় অভিনেতাদের দ্বারা হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের শিকার হয়েছেন।

2020 সালের জুলাই মাসে, নূর চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে ভয় দেখানোর নিন্দা জানিয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিও ব্লগ প্রকাশ করে। , “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত” এবং “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর” অভিযোগে।[13][14]

নূরের একটি ভিডিও ব্লগ রাঙ্গুনিয়ার একটি বৌদ্ধ বিহারের একটি নির্মাণাধীন বৌদ্ধ মূর্তির দৃশ্যত ভাঙচুর উপস্থাপন করেছে। নূর দাবি করেছেন যে আক্রমণকারীদের বন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ এমপির সমর্থন ছিল কারণ তারা সন্ন্যাসীদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। মুসলিম ও বৌদ্ধদের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি।[15][16]

আইসিটি আইনে মামলা ও গ্রেফতার
25 ডিসেম্বর 2017 তারিখে, নূর বাংলাদেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হন এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

৮ মাসের কারাদণ্ড, জামিনে মুক্তি ও পুনরায় গ্রেফতার
পরবর্তীকালে, নূর 2018 জুড়ে আট মাস কারাগারে কাটিয়েছেন। আগস্ট মাসে, তিনি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর, তিনি উগ্র ইসলামপন্থী দল হেফাজতে-ই-ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখোমুখি হন, যারা তাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি জানায়।[21][22] পরে নূরকে মাদক পাচারের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়, যা তিনি একটি বানোয়াট বলে দাবি করেন।

বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান
2019 সালের শুরুতে, নূর দ্বিতীয়বার জামিন পান। মুক্তির পর নিরাপত্তার ভয়ে নূর গোপনে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। তিনি তখন থেকেই বাংলাদেশের বাইরে আন্ডারগ্রাউন্ডে বসবাস করছেন এবং ফেসবুক ও ইউটিউবে তার অনলাইন সক্রিয়তা অব্যাহত রেখেছেন।

তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি
18 জুলাই 2020, সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা নূরের পরিবারের ছয় সদস্যকে তার নিজ শহর বরগুনা জেলার আমতলী থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের আমতলী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার বাবাকে জোর করে নূরকে ফোন করা হয় এবং তাকে তার ফেসবুক পেজ থেকে সমস্ত ভিডিও পোস্ট মুছে ফেলতে বলে, [২৫] নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার এই ঘটনার বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে।

প্রতিক্রিয়া
PEN আমেরিকার ফ্রি এক্সপ্রেশন অ্যাট রিস্ক প্রোগ্রামের ডিরেক্টর করিন ডয়েচ কার্লেকার বলেছেন: “আসাদ নূরের গ্রেপ্তার ও আটক বাংলাদেশে স্বাধীন কণ্ঠস্বরের অত্যন্ত অনিশ্চিত অবস্থানকে প্রতিফলিত করে”। কার্লেকার আরও যোগ করেছেন: “নূরের মতো ব্লগাররা একদিকে চরমপন্থী গোষ্ঠীর কাছ থেকে শারীরিক আক্রমণ বা এমনকি হত্যার ভয়ে বাস করেন এবং তারপরে তাদের সরকারের কাছ থেকে নিপীড়নের মুখোমুখি হন-যা তাদের রক্ষা করার জন্য কাজ করা উচিত-অন্যদিকে। আমরা বাংলাদেশী কর্মকর্তাদেরকে আসাদ নূরের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলিকে মুক্তি দিতে এবং প্রত্যাহার করতে বলি, তাকে চরমপন্থী সহিংসতা থেকে রক্ষা করার জন্য জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং উপরন্তু, বিচারের পরিবর্তে, স্বাধীন মতপ্রকাশকে রক্ষা করার জন্য বলেছি।”[28]

আরএসএফ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এশিয়া-প্যাসিফিক-এর প্রধান ড্যানিয়েল বাস্টার্ড বলেছেন: “আমরা আসাদ নূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করার আহ্বান জানাচ্ছি কারণ তার একমাত্র অপরাধ ছিল ধর্মনিরপেক্ষ মতামত প্রকাশ করা,” এবং যোগ করেছেন “যে আইনী নিবন্ধের অধীনে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সব স্বাধীন কণ্ঠস্বর ঠেকানোর জন্য চরমপন্থী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো অনেকদিন ধরে ব্যবহার করেছে। এবং, তার মৃত্যুর আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাকে সুনির্দিষ্ট সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে।”[29]

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন, “আসাদের পরিবারের হয়রানি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি প্রবাসে থাকা মানবাধিকার রক্ষাকারীদের পরিবারকে লক্ষ্য করে উদ্বেগজনক প্যাটার্নের অংশ,” তিনি আরও যোগ করেছেন, “বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত মানবাধিকার রক্ষকদের মুখ থুবড়ে ফেলার জন্য পরিবারকে হয়রানি করা সম্পূর্ণ নিন্দনীয়। এই ধরনের ভয় দেখানোর কৌশল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”[30]

ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক আহমেদ শহীদ বলেছেন: “আমরা জনাব নূরের চিন্তা, বিবেক, ধর্ম বা বিশ্বাস, মতামত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার মানবাধিকার প্রয়োগের জন্য কথিত নিপীড়ন ও বিচারের জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। “[31]

2021 সালে, 46 তম অধিবেশনে একটি সাধারণ বিতর্কের সময়

 

Asaduzzaman Noor (born 8 August 1991 in Gopalganj, Bangladesh), better known as Asad Noor,[1][2] is an exiled Bangladeshi blogger and human rights activist.[3][4][5] Noor is an advocate for freedom of expression and LGBT rights, who has criticised religious fundamentalism in Bangladesh.[6][7] He has been prosecuted multiple times by Bangladeshi authorities for alleged blasphemy and hurting religious sentiments.[8][9] He has been living in exile in India since 2019Activism
Noor began his activism by writing to various blogs and social networks in 2013. Following his involvement with the 2013 Shahbag protests, he became a target for religious fundamentalists. Since 2015, he has been subjected to threats and intimidation by state and non-state actors for his human rights work.[12]

In July 2020, Noor published several video blogs condemning the intimidation of Bangladesh’s minority Buddhist community in Rangunia Upazila of the Chittagong District.[citation needed] Consequently, a local Awami League leader filed a lawsuit against Noor on 14 July 2020 under the Digital Security Act, with the charges of “hurting religious sentiments” and “running propaganda against the spirit of the liberation war.”[13][14]

One of Noor’s video blogs presented the apparent vandalism of an under-construction Buddhist statue of a Buddhist monastery in Rangunia. Noor claimed the attackers were backed by the forest officials and the local Awami League MP because they conspired to banish the monks from the area.[citation needed] Following the release of Noor’s videos, local Islamic groups protested against the blogger and accused him of undermining religious harmony between Muslims and Buddhists.[15][16]

ICT Act Case and arrest
On 25 December 2017, Noor was arrested by the immigration police of Shahjalal International Airport while trying to flee Bangladesh and was later sent to jail.[17][18][19][20]

8 months imprisonment, release on bail and re-arrest
Subsequently, Noor spent eight months in prison throughout 2018. In August, as he was released on bail, he faced protests from the radical Islamist group Hefazat-e-Islam Bangladesh, who demanded him to be executed.[21][22] Noor was later arrested for alleged involvement in a drug trafficking case, which he claims is a fabrication.[23]

Escape from Bangladesh
In early 2019, Noor was granted bail for the second time. Fearing for his safety after his release, Noor secretly fled Bangladesh in February. He has been living underground outside Bangladesh ever since and continues his online activism on Facebook and YouTube.[24]

Harassment of his family members
On 18 July 2020, plainclothes policemen picked up six of Noor’s family members from his hometown of Amtali in Barguna district. They were taken to Amtali police station, where his father was forced to call Noor and ask him to remove all video posts from his Facebook page,[25] leading international human rights organizations like Human Rights Watch, Amnesty International, Asian Human Rights Commission and Robert F. Kennedy Human Rights to raise their concern about the incident.[26][27]

Reactions
Karin Deutsch Karlekar, Director of Free Expression at Risk Programs at PEN America said: “The arrest and detention of Asad Noor reflects the extremely precarious position of independent voices in Bangladesh”. Karlekar also added: “Bloggers like Noor live in fear of physical attack or even murder from extremist groups on the one hand, and then face persecution from their government—which should be acting to protect them—on the other. We ask Bangladeshi officials to release and drop the charges against Asad Noor, to take robust measures to protect him from extremist violence, and in addition, to protect, rather than prosecute, free expression.”[28]

Daniel Bastard, head of RSF Reporters without Borders Asia-Pacific stated: “We call for the charges against Asad Noor to be dismissed because his only crime has been to express secular opinions,” and added “The legal article under which he is accused has for too long been used by extremist religious groups to gag all independent voices. And, in view of the calls for his death, the authorities must provide him with specific protective measures.”[29]

Sultan Mohammed Zakaria, a researcher on South Asia at Amnesty International, has stated that “the harassment of Asad’s family is not an isolated incident. It is part of a worrying pattern targeting families of human rights defenders in exile,” he also added “The harassment of families, to muzzle human rights defenders in exile from Bangladesh, is utterly reprehensible. Such tactics of intimidation must be stopped immediately.”[30]

UN Special rapporteur on Freedom of Religion or Belief Ahmed Shaheed said: “We express grave concern at the alleged persecution and prosecution of Mr. Noor, for the exercise of his human rights to freedom of thought, conscience, religion or belief, opinion and expression.”[31]

In 2021, during a General Debate at the 46th Sess

 

আসাদ নুর কি বাংলাদেশের সবচেয়ে সাহসী যুবক যিনি ইসলামের সমালোচনা করেন নিজের মুখ দেখিয়ে ভিডিও করেন। তিনি কি মৃত্যুকে একটুও ভয় পান না?

আসাদ নুর এর ,Asad Noor Biography

আসাদ নুর কি বাংলাদেশের সবচেয়ে সাহসী যুবক যিনি ইসলামের সমালোচনা করেন নিজের মুখ দেখিয়ে ভিডিও করেন। তিনি কি মৃত্যুকে একটুও ভয় পান না?

আসাদ নুর এর ,Asad Noor Biography

Asaduzzaman Noor better known as Asad Noor, is an exiled Bangladeshi blogger, human rights defender, and online activist. Noor is known for advocating freedom of expression, LGBT rights, and criticizing religious fundamentalism in Bangladesh

Activism

Noor began his activism by writing to various blogs and social networks in 2013. Following his involvement with the 2013 Shahbag protests, he became a target for religious fundamentalists. Since 2015, he has been subjected to threats and intimidation by state and non-state actors for his human rights work.[6]

In July 2020, Noor published several video blogs condemning the intimidation of Bangladesh’s minority Buddhist community in Rangunia Upazila under the Chittagong District. Consequently, a local Awami League leader filed a lawsuit against Noor on 14 July 2020 under the Digital Security Act, with the charges of “hurting religious sentiments” and “running propaganda against the spirit of the liberation war.”

One of Noor’s video blogs presented the apparent vandalism of an under-construction Buddhist statue of a Buddhist monastery in Rangunia. Noor claimed the attackers were backed by forest officials and the local AL MP because they conspired to banish the monks from the area. Following Noor’s release of his videos, local Islamic groups protested against the blogger and accused him of undermining religious harmony between Muslims and Buddhists.

Biography – Pinaki Bhattacharya – পিনাকী ভট্টাচার্য এর জীবনী A-Z বিস্তারিত

ব্লগার আসাদ নূরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, তাকে পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে ও তার পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা না করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। নূর গতবছর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন।ইসলামি মৌলবাদের বিরুদ্ধে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার ব্লগার আসাদ নূর একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছেন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা এবং বিভিন্ন উগ্রবাদী সংগঠন থেকে তিনি এসব হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। জীবন বাঁচাতে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এই নাস্তিক ব্লগার। আসাদ নূর জানিয়েছেন বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা তার পাসপোর্ট জব্দ করেছে।

ফলে কোন ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ডয়চে ভেলেকে নূর বলেন, ”আমি আমার বিভিন্ন ভ্লগে কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে ইসলাম এবং মহানবী মোহাম্মদের সমালোচনা করেছি। আমি রাজনৈতিক ইসলামের সমালোচক। এজন্য উগ্রবাদীরা আমার উপর ক্ষুব্ধ।” বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার অভিযোগ রাঙ্গুনিয়ায় ‘বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার’ ঘটনা নিয়ে জুলাই মাসে একাধিক ভিডিও প্রকাশ করেন আসাদ নূর।

তখন সেখানকার এক রাজনৈতিক নেতা ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর’ অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে দেশটির বিতর্কিত ”ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে” মামলা করেন। নূর তার একটি ভ্লগে দাবি করেছেন যে রাঙ্গুনিয়ার বৌদ্ধ মঠে নির্মাণাধীন একটি বৌদ্ধ মূর্তি ভেঙে ফেলেছে একদল হামলাকারী। তারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি এবং সেখানকার বন কর্মকর্তাদের সমর্থন নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। নূর সেই ভিডিও প্রকাশের পর স্থানীয় ইসলামি বিভিন্ন গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে এবং দাবি করে যে তিনি মুসলমান এবং বৌদ্ধদের মধ্যকার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছেন।

Nastik lopa rahman biography, লোপা রহমান এর ফ্যামিলি , লাইফস্টাইল ও বায়োগ্রাফী

পুলিশ সেসময় নূরের বাড়িতে তাকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক অভিযান চালায় এবং তাকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে আটকে রাখে। এই বিষয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত নূর বলেন, ”১৮ জুলাই সকালে পুলিশ আমার বাবামা এবং পরিবারের আরো চার সদস্যকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং অবৈধভাবে ৪৮ ঘণ্টা আটকে রাখে।” ‘ধর্মের সাথে কোন সম্পর্ক নেই’ রাঙ্গুনিয়ায় মূলত একটি জমি নিয়ে বৌদ্ধ মঠ এবং স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরোধ চলছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন সেখানকার সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর। তিনি বলেন, ”দুই বছর আগে কোন অনুমতি ছাড়াই সরকারি জমিতে বৌদ্ধ মঠটি নির্মাণ করা হয়। সেখানকার কিছু জমি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও ব্যবহার করছেন।

আসলে জমির মূল মালিক সরকার এবং কোনপক্ষকেই এই জমি সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি।” নূর জানিয়েছেন, তিনি রাঙ্গুনিয়াতে যাতে রামুর মতো পরিস্থিতি না হয় সেজন্য স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে সহায়তা করেছেন। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুকে প্রকাশিত একটি ছবিকে কেন্দ্র করে রামুতে অন্তত চারটি বৌদ্ধ মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা চালায় একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। হামলাকারীরা চারটি বৌদ্ধ মন্দির ও বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভাঙ্চুর ও জ্বালিয়ে দেয়। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, রাঙ্গুনিয়াতেও সেরকম কিছু ঘটতে পারে।

অনিশ্চিত জীবন নূরের বিরুদ্ধে গত কয়েকবছরে বেশ কিছু ইসলামি সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। বাংলাদেশের উগ্রপন্থি ইসলামি গোষ্ঠী ‘হেফাজতে ইসলাম’ নূরের গ্রেপ্তার এবং মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে। এক ইসলামী ধর্মনেতার করা ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আসাদ নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই মামলায় পরের বছরের আগস্ট মাসে তিনি জামিন পেলেও মাসখানেক পর মাদক সংক্রান্ত আরেক মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি।

আসাদ নুর এর ,Asad Noor Biography

এরপর ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে সেই মামলা থেকেও জামিন পান তিনি। তবে একটি গোয়েন্দা সংস্থা তার পাসপোর্ট জব্দ করে যাতে তিনি দেশত্যাগ করতে না পারেন। বর্তমানে ভারতে অবস্থান করলেও প্রতিনিয়তই হত্যার হুমকি পাচ্ছেন নূর। তিনি জানান, অতীতে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করা একাধিক ব্লগারকে বাংলাদেশে হত্যা করা হয়েছে।

”যদিও ব্লগারদের ধারাবাহিকভাবে হত্যা করার যে ধারা শুরু হয়েছিল তা এখন বন্ধ আছে, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বাংলাদেশ ব্লগারদের জন্য এক নিরাপদ দেশে পরিণত হয়েছে। এরকম হত্যাকাণ্ড যে আবার শুরু হবে না এমন নিশ্চয়তা কেউ দিচ্ছে না,” ডয়চে ভেলেকে বলেন নূর। ভারতেও গ্রেপ্তার গত বছর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তিনমাস পর অবৈধভাবে বিনা পাসপোর্টে সেদেশে অবস্থানের কারণে গ্রেপ্তার হন আসাদ নূর। এরপর ছয়মাস ভারতের কারাগারে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে ভারতের আদালতে তার মামলা চলছে। তবে করোনার কারণে সেটির শুনানির তারিখ পিছিয়ে গেছে। প্যারিসভিত্তিক সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ নূরের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে এবং তার পাসপোর্ট তাকে ফিরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটির প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫০তম। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২১ জুলাই এক বিবৃতিতে নূরের পরিবারকে হেনস্থা না করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি বিবৃতিতে লিখেছে, ”মানবাধিকার রক্ষাকারীরা যাতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ মুক্তভাবে এবং নির্ভয়ে চালিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।” Analytics pixel

বাংলাদেশী ব্লগার আসাদ নূরের বাবা-মাকে হয়রানির প্রতিবাদ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

নির্বাসিত বাংলাদেশি ব্লগার আসাদ নূরের বাবা-মাকে হয়রানির প্রতিবাদ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া গবেষক সুলতান মোহাম্মেদ জাকারিয়ার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ব্লগার আসাদ নুরের বাবা-মাকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে, যারা তাদের ছেলের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতার উস্কানি’ বিষয়ে কিছু ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন আসাদ নুর। এর জের ধরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন স্থানীয় ছাত্রলীগের একজন নেতা।

আসাদ নুরের অভিযোগ, সে মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে বরগুনার আমতলীতে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।

তার ভাষ্য, ‘১৮ জুলাই ভোরে আমার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ সব তছনছ করেছে। বাবা-মাসহ ৬ জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুদিন আটকে রেখে পরে ছেড়েছে।’

আসাদের আরো অভিযোগ, ফেসবুকে তার পাবলিশ করা ভিডিও সরিয়ে ফেলার জন্য তার বাবাকে চাপ দিয়ে ফোন করানো হয়েছে।

অবশ্য তার পরিবারের কাউকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন  আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম।

তিনি বলেন, ‘আমাদের রাঙ্গুনিয়া থানা থেকে জানানো হয়েছে যে আসাদ নুরের বাড়িঘর তল্লাশিপূর্বক তাকে আটকের জন্য। আমরা সেজন্যই ওয়ারেন্ট নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু আমরা কাউকে আটক করিনি সেখান থেকে।’

আসাদ নুরের দাবি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর নামে ইসলাম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের একটি মন্দির ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনা নিয়ে তিনি তিনটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন।

এরই জের ধরে ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করেন শিমুল গুপ্ত নামের স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা।

 শীর্ষ বাঙালী নাস্তিক | সেক্যুলারের তালিকা || Bangladesh nastik

আসাদ নুর বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় আমি সবসময়ই কাজ করি। রাঙ্গুনিয়াতেও খোঁজ নিয়ে দেখলাম যে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় রামুর মতো একটি ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। সে কারণে আমি ভিডিওগুলো আপলোড করেছিলাম যাতে পরিষ্কার ছিলো যে কারা ইন্ধন দিচ্ছে বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে।’

আর এটিই প্রভাবশালীদের ক্ষুব্ধ করে তুলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘পরে তারা আমার বিরুদ্ধে সেখানে কিছু মৌলবাদী সংগঠনকে সামনে এনে মিছিল সমাবেশ করায় এবং এক পর্যায়ে ওই মামলা দায়ের করায়।’

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় তখন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব মিলকী বলেন, ‘আসলে উনি রাঙ্গুনিয়ায় বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে কিছু ভিডিও আপলোড করেছেন যা অনেককে আহত করেছে।’

সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়া গবেষক সুলতান মোহাম্মেদ জাকারিয়ার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ব্লগার আসাদ নূরের বাবা মাকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে, যারা তাদের ছেলের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টার্গেটে পরিণত হয়েছেন”।

ব্লগার আসাদ নূর বিবিসি বাংলাকে বলছেন, কয়েকটি ভিডিও পাবলিশ করার জের ধরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের একজন নেতা।

সে মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে বরগুনার আমতলীতে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

“১৮ই জুলাই ভোরে আমার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ সব তছনছ করেছে। বাবা-মাসহ ছয়জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুদিন আটকে রেখে পরে ছেড়েছে।”

তিনি বলেন, “আমার বাবাকে দিয়ে আমাকে কল করিয়ে বলা হয়েছে যে আমি যেন ফেসবুকে দেয়া ভিডিওগুলো ডিলিট করি।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তার পরিবারের কোনো সদস্যকে তারা আটক করেননি।

“আমাদের রাঙ্গুনিয়া থানা থেকে জানানো হয়েছে যে আসাদ নূরের বাড়িঘর তল্লাশিপূর্বক তাকে আটকের জন্য। আমরা সেজন্যই ওয়ারেন্ট নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু আমরা কাউকে আটক করিনি সেখান থেকে”।

অন্যদিকে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় তখন দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব মিলকী।

মি. মিলকী বিবিসি বাংলাকে বলছেন আসাদ নূরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করেছিলেন শিমুল গুপ্ত নামে এক ছাত্রলীগ নেতা যেখানে ধর্মীয় ও ব্যক্তি অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

“আসলে উনি রাঙ্গুনিয়ায় বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে কিছু ভিডিও আপলোড করেছেন যা অনেককে আহত করেছে। সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছেন”।

তবে আসাদ নূর দাবি করছেন রাঙ্গুনিয়ায় একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর নামে ইসলাম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের একটি মন্দির ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনা নিয়ে তিনি তিনটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন।

“ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় আমি সবসময়ই কাজ করি। রাঙ্গুনিয়াতেও খোঁজ নিয়ে দেখলাম যে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় রামুর মতো একটি ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। সে কারণে আমি ভিডিওগুলো আপলোড করেছিলাম যাতে পরিষ্কার ছিলো যে কারা ইন্ধন দিচ্ছে বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে। আর এটিই প্রভাবশালীদের ক্ষুব্ধ করে তুলে। পরে তারা আমার বিরুদ্ধে সেখানে কিছু মৌলবাদী সংগঠনকে সামনে এনে মিছিল সমাবেশ করায় এবং এক পর্যায়ে ওই মামলা দায়ের করায়,” বলছিলেন মি. নূর।

তবে পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব মিলকী বলছেন, মন্দিরটি করা হয়েছিলো সরকারের বন বিভাগের জায়গায় এবং এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকদিন ধরে সমস্যা চলছিলো।

আসাদ নুর এর ,Asad Noor Biography

ব্লগার আসাদ নূর কারাগারে

ব্লগার আসাদ নূরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি

ধর্ম অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে আদালতে আটক থাকা ব্লগার আসাদুজ্জামান নূরের(২৫) বিরুদ্ধে  অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে  আন্তর্জাতিক সংগঠন (আরএসএফ)। আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে আনিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আদালতে তার পক্ষের আইনজীবীর জামিন মঞ্জুরের আবেদনের সমর্থন জানান।

চ্যানেল আই’র সর্বশেষ খবর ও বিনোদন গুগল নিউজ চ্যানেলে

তরুণ ব্লগারদের নিরাপত্তা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত তরুণ ব্লগার আসাদ নূরের নিরাপত্তার দিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছে।

ইসলামের নবী মহাম্মদকে অবমাননা করার অভিযোগে তাকে গত ২৫ জানুয়ারি বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরগুনার আমতলীতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় ঐ ব্লগারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসাদ নুর ফেসবুক, ইউটিউব এবং ব্লগে অডিও-ভিডিও এবং লেখনীর মাধ্যমে ইসলামের নবী মুহাম্মদকে অবমাননা করার মাধ্যমে ধর্মী অনুভূতির আঘাত হানার দায়ে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইন ৫৭ ধারা অনুযায়ী ১৪ বছরের জেল হয়।

আরএসএফ এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তার ‍বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। তার বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ তিনি সেক্যুলার মত প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেছেন সংঘঠনের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয়  প্রধান ডেনিয়েল। তিনি দাবী করেন, একদল ধর্মীয় মৌলবাদির কারণে মুক্তমনা মানুষের চেতনার বহি:প্রকাশ করলেই তারা তাদের মৃত্যুদন্ড দাবি করে বসে থাকেন। তবে কর্তৃপক্ষের এই ব্লগারদের নিরাপত্তা দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশে মৌলবাদের রসানলে পড়ে ফেব্রুয়ারি ২০১৫ থেকে  এপ্রিল ২০১৬ সালের মধ্যে মোট আট জন ব্লগার সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ২০১৭ সালের র‌্যাঙ্ক অনুসারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০ টি দেশের মধ্যে ১৪৬ তম বলে জানান এই সংঘটন।

আসাদ নুর এর ,Asad Noor Biography

ব্লগার আসাদ নূর কারাগারে

ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক ব্লগার আসাদ নূরকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়েছিল৷ মামলার আরেক আসামি লিমন ফকিরকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়৷

আসাদুজ্জামান নূর ওরফে আসাদ নূরকে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ৷ তিনি নেপালের কাঠমাণ্ডু যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চ্যানেল পার হচ্ছিলেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকেই রেড নোটিশ থাকায়, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ মঙ্গলবার তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়৷ অসাদ নূরসহ দু’জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনার আমতলিতে চলতি বছরের প্রথম দিকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কটূক্তি করার অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়৷

‘আসাদ নূর ও লিমন ফকিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছি ঢাকার আইসিটি ট্রাইব্যুনালে বিচারও শুরু হয়েছে’

আমতলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ উল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ব্লগার আসাদ নূর ও তাঁর এক সহযোগী লিমন ফকিরের বিরুদ্ধে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা হয় গত ১১ জানুয়ারি৷ মামলার পরপরই লিমন ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ কিন্তু আসাদ নূর পলাতক ছিলেন৷ কিছু দিন ভারতে পালিয়ে আবারো দেশে ফিরে নেপালে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি৷”

শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘‘এই মামলায় আমরা আসাদ নূর ও লিমন ফকিরের বিরুদ্ধে আগেই চার্জশিট দিয়েছি৷ ঢাকার আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারও শুরু হয়েছে৷”

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমরা  সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেতাঁদের লেখা ও বক্তব্যসহ তথ্য প্রমাণ দিয়েই চার্জশিট দাখিল করেছি৷’

আসাদ নূরের মামা বরগুনার আমতলির বাসিন্দা ফারুক মৃধা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আসাদ নূরের বাবার বাড়ি গোপালগঞ্জে৷ তার বাবা-মা সিলেটে থাকেন৷ বাবা একজন স্কুল শিক্ষক৷ আমতলির উত্তর টিয়াখালীতে মামার বাড়িতে তাদের বাড়ি আছে৷ মায়ের সম্পত্তিতেই তারা বাড়ি করেছে৷ আমার সঙ্গে আসাদ নূরের তেমন যোগাযোগ নাই৷ সে অনেকদিন ধরে এলাকাছাড়া৷ কতদূর লেখাপড়া করেছে তা আমি ঠিক বলতে পারব না৷ আমি তার বিচার চাই, যে রসুলের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছে৷”

‘আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করার আগেই আসাদ নূর এলকা থেকে গণরোষের মুখে পালিয়ে যায়’

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমি নিজের চোখে দেখিনি যে সে কী ধরনের অবমাননা করেছে৷ আমি শুনেছি৷ তার বিরুদ্ধে আমতলিতে মিছিল হয়েছে৷ কয়েক বছর আগে সে আমতলি ছেড়েছে৷ শুনেছি ঢাকায় মোবাইল ফোনের ব্যবসা করে৷”

মামলার বাদী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমতলি উপজেলার সভাপতি মূফতি ওমর ফারুক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা জানুয়ারি মাসে তার বিরুদ্ধে মামলা করার আগেই আসাদ নূর এলকা থেকে গণরোষের মুখে পালিয়ে যায়৷ তবে তার সহযোগী লিমন ফকিরকে পুলিশ তখনই আটক করে৷ লিমন ফকির এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে৷ তবে আসাদ কতদূর পড়াশুনা করেছে, তা আমরা জানি না৷”

তিনি বলেন, ‘‘আমরা মামলার সঙ্গে ফেসবুক পোস্ট এবং ইউটিউব থেকে তার ভিডিও ‘ডাউনলোড’ করে জমা দিয়েছি৷ আসাদ ও তার সহযোগী আমাদের প্রিয় রসুল এবং ধর্মকে অবমাননা করেছে৷ বর্তমান সরকার ও পুলিশ নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই৷ বাংলাদেশে আর যাতে কোনো নাস্তিকের আবির্ভাব না হয়, এ জন্য আমরা আটক দু’জনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই৷”

‘আমি তার বিচার চাই যে রসুলের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছে’

তিনি আরো দাবি করেন, ‘‘আসাদ ও লিমন আমতলিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করত৷ ব্যবসা করতে করতেই তারা নাস্তিকতায় জাড়িয়ে পড়ে৷ মুখেও আপত্তিকর কথা বলত৷”

আসাদ নূরের একটি ফেসবুক পেজ আছে নিজের নামেই৷ সেখানে তিনি নিজেকে ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ইউটিউবার হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন৷ বলেছেন,  ‘‘ধর্মান্ধতা দূর করা আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য৷” তবে সেখানেও তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোনো বর্ণনা নেই৷

এদিকে আসাদনূর ডটকম নামের একটি সাইট থেকে আসাদ নূরের মুক্তি দাবি করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘আসাদ নূরের মুক্তি চাই৷ ৫৭ ধারা নিপাত যাক৷ বাকস্বাধীনতা মুক্তি পাক৷”

আসাদ নুর এর ,Asad Noor Biography

আসাদ নূর (Asad Noor), একটি জারজ সন্তানের নাম

Asad Noor একটা জারজ সন্তানের নাম, বর্তমানে তার নাম সম্পর্কে আমাদের অজানা নাই, নামের সাথে আবার নূর সংযুক্ত, বরগুনা জেলার আমতলী থানায় ওদের বাড়ি, লিমন ফকির নামের এক বন্ধু আছে তার এক এবং তারা উভয়ই নাস্তিক।

Mufassil Islam এটি আরোকটি জারজ সন্তানের নাম, ইনিই মূলত আসাদ নূরের গুরু, এ জারজও ইসলাম সংযুক্ত করে রেখেছে নামের সাথে, যাকে কিছু দিন আগেও আমরা মুসলমান হিসেবে জানতাম কিন্তু সে এখন নাস্তিক, যাকে অনেকে মুফা নামেও চিনেন।

এদেরকে কুকুরের বাচ্চা বলা হলে কুকুরকে অপমান করা হবে কারন কুকুর তার মনিবের সাথে বেইমানি করে না, আসলে এরা মুসলমানদের নাম ধারন কারী ইসলামের শত্রু, ইসলামে অন্য ধর্মের লোকদের প্রতি কোন প্রকার অন্যায় বা কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, কিন্তু ইসলামের শত্রুদের হত্যা করার আদেশও করা হয়েছে।

এবার কাজের কথায় আসি, বর্তমানের নাস্তিক গুলো ফেসবুকের মাধ্যমেই কাদের ভিডিও ভাইরাল করতেছে বা তাদের প্রচার বাড়াচ্ছে, “প্রচারেই প্রসার” কথাটির সত্যতা কার্যকর করছেন নাস্তিকরা, মুসলমানরা পিছিয়ে আছি কেন..? কারন একটাই আমাদের মধ্যে কিছু ফেসবুক স্প্যাম গ্রুপের সদস্য, যখন কেউ সত্যের বানী কিংবা কোরআন হাদিসের কথা প্রচার অথবা শিক্ষা মূলক কথা নিয়ে প্রচার শুরু করেন তখনই তাকে ডিজাবেল করা হয়, অপরদিকে নাস্তিকদের পোষ্ট/ভিডিও শেয়ার করে চলি নয়তো তাদের পোষ্টে লাইক কমেন্ট দিয়ে ভরে দেই, প্রিয় স্প্যামারগন আপনার এত পারেন তবে নাস্তিকের আইডি বেচে থাকে কি করে ডিজাবেল করে দিন।

আবার কেউ যখন ইসলামিক পোষ্ট করলো সেখানে লাইক দেননা ভূলেও কিন্তু চটি পেজে লাইক দেয়া আছে হাজারো ফেসবুকারের।

“অপরাধীরা কোন দলের না, তারা নিজেদের বাচাতে ক্ষমতাবান দলের ছত্র ছায়ায় আসে”, তাই আপনারা ভাববেন না ওরা মুসলমান, ওরা বেচে থাকার জন্যই মুসলমানের কাছে ছিল।

হয়তো এমনও হতে পারে ওদের জন্মের পর ওদের কানে আজানের শুর পৌছানোর ব্যবস্থা করা হয়নি, তাই ওদের ঈমান ইসলামের দিকে না, শুধু মুসলমান পরিবারে জন্ম নিয়েছে মাত্র, এজন্য অবশই দোষারোপ করবো তাদের বাবা-মা কে।

এসব ইসলামের শত্রুদের শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রত্যেক মসজিদ, পারা, মহল্লায় বিক্ষোভ শুরু করা হোক মুসলমান পুরুষদের পক্ষ থেকে, নিউজে দেখলাম বরগুনার আমতলিতে মুসলমান পুরুষের বদলে বিক্ষোভ করছে কোন এক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা, এটা কিন্তু বড় ধরনের ভূল কাজ।

নিশ্চই ইসলামের শত্রুর ধ্বংস নিকটেই, ইনশাআল্লাহ্।

সর্বোপরি প্রধান কথা হলো, এ নাস্তিকদের দেখা মাত্রই আইনের হাতে তুলে দেয়।

Source: somewhereinblog

Bangladesh’s Awami League government has been piling much pressure on India to arrest a blogger Asaduzzaman Noor who has been staying in India incognito and fiercely attacking Hasina and her ministers, especially information minister Dr Hasan Mahmud for allegedly undermining the secular fabric of the country.

Noor alleges the Bangladesh Deputy High Commission in Calcutta has been spearheading efforts to pressurize Indian police and intelligence to nab him and claims he has support from the “Indian people, specially secular elements” to let him stay in India to avoid targeting by the government and the Islamist radicals.

Police in Bangladesh have been seeking to arrest human rights activist and secular blogger Asaduzzaman Noor, also known as Asad Noor,  after new criminal charges were brought against him on July 14 this year  for ‘spreading rumours’ and ‘defaming Islam’ via a Facebook video.

In the video in question, Noor speaks in support of a Buddhist monk who has been critical of the government for its decision to illegally appropriate a Buddhist temple in Chittagong. He also defends a pro-LGBTI educational platform, in a country where it remains illegal to be LGBTI.

The Digital Security Act 2018 (DSA) under which Noor was charged acts as a de facto blasphemy law.

Human Rights activists blame the Bangladeshi government as a draconian tool to curb freedom of expression and silence its critics– a charge the Hasina government stoutly denies.

“In 2020 alone, individuals accused under the Act have been arbitrarily arrested, forcibly disappeared, held in pretrial detention for indefinite periods and in some cases, tortured,” alleged the Humanists International.

Noor has previously been targeted under the DSA’s predecessor, the 2013 Information and Communication Technology (ICT) Act. In January 2017, the then 25-year-old was arrested at Dhaka airport and charged with defamation of religion for content he had posted on social media.

Though released briefly on bail in August 2018, he was subsequently re-arrested after a radical Islamic organization known as Hefazat-e-Islam Bangladesh called for him to be imprisoned and subjected to the death penalty.

He was only released from prison again in January 2019. These charges against him remain outstanding and the activist has since then fled into India.

Police threaten Noor’s family 

While Noor remains in hiding due to the threats on his life by Muslim fundamentalists and moved to Calcutta, his family in Bangladesh have become a target for harassment by the authorities. “In the days after his video was posted, police went to the Noor family home, abducted several members of his family, including his elderly parents, and detained them for 48 hours without charge,” said the Humanists International.

“Given the history of vigilante violence in Bangladesh, Humanists International is concerned that Noor’s family remains at risk of intimidation from the police as well as from followers of radical Islam seeking to exact revenge on Noor,” it said.

A history of violence in Bangladesh 

Between 2013 and 2016, Bangladesh experienced a wave of violence against bloggers, atheists, and secular intellectuals, which later extended to aid workers, minority religions and Muslims who opposed the ideology of extremist Islam. At least 30 people were murdered over this period, some even in broad daylight at the hands of men wielding machetes and knives.

But while Noor and his supporters in India and Bangladesh claim he is a peaceful activist who is being targeted by the government in breach of his right of freedom of expression and freedom of religion or belief, the Hasina government alleges he has “ISI connections” and ” is working to disturb communal relations in Bangladesh .”

“He is even attacking our Hon’Ble Prime Minister and senior ministers like Hasan Mahmud. He has attacked our Deputy High Commission for seeking to get him arrested and repatriated to stand trial in Bangladesh,” said a senior official of the Bangladesh Foreign Ministry.

“His targets are government functionaries, not the fundamentalists,” the official said but he was not willing to be named.

Humanists International calls on the Bangladeshi authorities to drop all charges against Noor under the abusive DSA and the ICT Act, and to end its illegal campaign of harassment and intimidation against Asad’s family members in breach of their basic human rights.

But Bangladesh Home Minister Asaduzzaman Khan Kamal is said to have spoken to “senior Indian ministers” seeking immediate police action to nab and repatriate Noor to stand trial in Bangladesh.

Kamal is particularly upset after Noor unleashed a barrage of social media posts against the government that has impacted far and wide.

Noor was arrested at the Dhaka airport on charges of writing blasphemous posts on social media in Dec 2017. He has been on the run after the head of an Islamic seminary filed a case against him on January 11 this year under the Information and Communication Technology (ICT) Act.

He was arrested from Hazrat Shahjalal International Airport in Dhaka while trying to board a Kathmundu-bound flight, a senior police official was quoted as saying. Immigration police said that Mr Noor was detained after his passport number raised red flag in the immigration system at the airport.

Noor was charged under Bangladesh’s strict internet laws and could face up to 14 years in jail if found guilty.

Hundreds of Muslims had staged demonstrations against Mr Noorfor the past few years after Bangladesh Islami Andolon Amtali unit President Mufti Omar Farooq filed the case against him in 2017.

In recent years, Islamist extremists have hacked to death a dozen bloggers, publishers and activists, and forced several others to flee the country. Following the attacks, the government launched a crackdown on extremist groups.

নাস্তিক আসাদ নুরকে পুনরায় গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবী

কুখ্যাত নাস্তিক আসাদ নুরকে পুনরায় গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের উদ্যোগে (আগামীকাল) শুক্রবার বাদজুমা স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সফল করার জন্য তাওহিদী জনতার প্রতি আহবান জনিয়েছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এক বিবৃতিতে বলেন, আসাদ নুর একজন আত্মস্বীকৃত নাস্তিক। সে পবিত্র কুরআন নিয়ে জঘন্য অবমাননাকর উক্তি করেছে। ইসলাম ধর্ম, প্রিয় নবীজি সা. উম্মাহাতুল মু’মিনিন এবং ইসলামের বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে প্রকাশ্যে কটুক্তি করেছে। সে একজন কট্টর নাস্তিক।

সরকার কিছুদিন পূর্বে তাকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু কয়েক দিন আগে রাতের আঁধারে তাকে ছেড়ে দিয়েছে। সরকার ধর্মপ্রাণ জনগণের দাবীকে উপেক্ষা করে কাদের খুশী করার জন্য তাকে ছেড়ে দিল তা আমাদের বুঝতে বাকী নেই। তিনি বলেন, সরকার এক আসাদ নুরকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে অন্য নাস্তিকদের সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্লগার আসাদ নুরকে ‘মৃত’ দেখাচ্ছে। অথচ তিনি মারা যাননি।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আসাদ নুরের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে দেখা যায়, তার অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

রিমেম্বারিং মেসেজে ফেসবুক লিখেছে, ‘আমরা আশা করি যারা আসাদ নুরকে ভালোবাসেন, তারা তাকে স্মরণ ও সম্মানিত করার জন্য তার প্রোফাইল দেখে সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন।’

[media type=”image” fid=”157327″ layout=”normal” caption=”1″ infograph=”0″ parallax=”0″ popup=”1″][/media]

সাধারণত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করতে হলে একটি ফরম পূরণ করে ফেসবুকের কাছে আবেদন করতে হয়। কেউ মারা যাবার পর ওই তথ্য যাচাইপূর্বক ব্যবস্থা নেয় ফেসবুক। কিন্তু তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।

ফেইসবুকে এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়লে আসাদ নুর তার পেইজে লিখেন, আমি বেঁচে আছি অথচ ফেসবুক বলছে আমি মৃত!
বাংলাদেশের ইসলামিস্ট সাইবার সন্ত্রাসীদের মিথ্যা রিপোর্ট আমলে নিয়ে ফেসবুক তার গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। ফেসবুকের উচিৎ তাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আরো পারদর্শী করা। যাচাই-বাছাই এর ক্ষেত্রে আরো সচেতন হওয়া।

 

আসাদ নুরের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালেও করা যায়।

আসাদ নুর নামের এক উন্মাদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শুনছি তাকে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার অপরাধ ৫৭ ধারার অপরাধ নয়। তার জন্য ব্লাসফেমি আইনের কথা বলছেন কেউ কেউ। এই ব্লাসফেমি আইন খ্রিস্টানদের আবিষ্কার। এই আসাদ নুরের অপরাধের জন্য ব্লাসফেমির দরকার নাই। তার অপরাধ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ। তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালেও বিচার করা যায়। কীভাবে? আসেন দেখি।

জাতিসংঘের হিউমান রাইটস কাউন্সিল ১৫ই এপ্রিল ২০১০ সালে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কীভাবে লড়া যায় সে বিষয়ে কয়েকটি সুনির্দিস্ট সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। ২০১১ সালের ২১শে মার্চ সর্বসন্মতভাবে সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের মতে ধর্ম অবমাননা একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ। ধর্মীয় চরিত্রের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা একটি মানবাধিকার বিরোধী কাজ। খুব কৌতুহলউদ্দীপক যে ৭ নম্বর সিদ্ধান্তে বলা হচ্ছে, ইসলাম এবং মুসলমানদের ভুলভাবে বারেবারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এবং সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে ফলে মুসলমান সম্প্রদায় ও ইসলাম ধর্মকে কলংকিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে; হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল এই প্রবণতার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই রেজুলুশনে বাংলাদেশ সাক্ষর করেছে।

আসাদ নুর নামের সো কল্ড মুক্তমনা যে কিনা আদতে একজন মানসিক রোগগ্রস্থ, সে ফ্রি স্টাইলে ধর্ম অবমাননা চালিয়ে গেছে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগু্লোকে এই উন্মাদদের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে।

এই মুক্তমনা নামের ফাজিল আর বেয়াদপগুলিকে আপনি জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিচার করুন। এটা ফ্রিডম অব স্পিচ নয়, এটা মুক্তিচিন্তাও নয়, এটা জ্ঞানচর্চা নয়; এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মতো ঘৃন্য অপরাধ। এদের যথাযথ আদালতে বিচার করুন। আর তার উন্মাদ রোগের চিকিৎসা করুন।

pinakibhattacharya

নাস্তিক ব্লগার আসাদ নুর পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক

আসাদকে গ্রেফতারের পর মুফাস্সিল ফেসবুক লাইভে এসে জানায়, আসাদ এর আগে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো, কিন্তু আইন জটিলতায় সেখানে থাকতে পারেনি। পরে সেখান থেকে নেপাল চলে যায়।

পরবর্তী ইউরোপে থাকা মুফাস্সিলসহ অন্যান্যদের পরামর্শে বাংলাদেশে এসে ইউরোপে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।

আসাদ নূরের বিরুদ্ধে এ বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আমতলী থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা (নম্বর ১৪) দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমতলী শাখার সভাপতি মুফতি ওমর ফারুক।

মামলায় আসাদের বিরুদ্ধে মহানবী হজরত মুহম্মদের সা. বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। ঢাকার ইমিগ্রেশন পুলিশ ও আমতলী থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরগুনার আমতলী থানার ওসি শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘ব্লগার আসাদ নূর ও তার এক সহযোগী লিমন ফকিরের বিরুদ্ধে মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। মামলার পরপরই লিমন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আসাদ নূর পলাতক ছিলেন।

সোমবার তিনি বিমানবন্দর দিয়ে নেপালে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আমাদের টিম তাকে আনার জন্য ঢাকায় রওয়ানা হয়েছে।’

ওসি বলেন, ‘এর আগে আসাদ নূর কিছু দিন ভারতে গিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। আমরা তার বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিলাম।’

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, আসাদ নূর নেপালের কাঠমাণ্ডু যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চ্যানেল পার হচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই রেড নোটিশ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমতলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মাধব চন্দ্র দে বলেন, ‘আসাদ নূরের বাড়ি আমতলীর উত্তর টিয়াখালী। তার বাবার নাম তোফাজ্জল হোসেন।’

জানা যায়, নিজেকে নাস্তিক হিসেবে প্রচার করতে চাইলেও আসাদ নূর ছিলো মূলত ইসলাম বিদ্ধেষী ব্লগার। সম্প্রতি পবিত্র কুরআন শরীফে আগুন দিয়ে ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছেড়েছিলো আসাদ।

এছাড়াও সে প্রতিনিয়ত ইসলাম ও মুসলমান এবং আল্লাহ রাসুল সা. নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন ব্লগে বাজে মন্তব্য এবং স্টাটাস আপলোড করতো।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তাকে গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়েছিলো বিভিন্নজন।

রাতের আধারে যেভাবে মুক্তি দেওয়া হয় কুখ্যাত নাস্তিক আসাদ নূর কে-দেখুন ভিডিওতে

হে ইসলামের হাফাজতকারী তোমরা কোথায় এখন?? কুখ্যাত নাস্তিক ব্লগার আসাদ নুর বাংলাদেশের মাঠিতে কিভাবে মুক্তি পাই? নাকি ছোট বাচ্ছার মত ললিপপ পেয়ে শান্ত হয়ে গেছেন?

আফসোস!আজকে ১০ দিন হয়েগেল তাকে মুক্তি দেওয়া হয়ছে, অতচ বাংলাদেশের ওলামা মাশায়েখ কেউ খবরটা জানেনা নাকি. জানবেন কোত্থেকে আপনাদের হাতে ললিপপ ধরাই দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিছে. ওহে স্বার্থপরের দল তোদের ঘুম কখন ভাংবে?

সে ঢাকার শাহবাগ, টিএসসি এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেডাচ্ছে, সাথে একটা নিশিদ্ধ পল্লির মেয়েকে নিয়ে নবীর সুন্নাত নিয়ে প্রকাশ্যে টাট্টা বিদ্রুপ করেছে কয়েকদিন আগে. ও আপনাদের তো আবার প্রমান লাগে, রেফারেন্স ছাড়া আপনারা কিছুই বিশ্বাস করেননা, সাথেই থাকুন আসছে সেই নবীর সুন্নাত নিয়ে টাট্টা করা ভিডিও ।

নাস্তিক ভিডিও ব্লগার আসাদ নূর এর গ্রেফতারের প্রতিবাদে নারী নিউজ এর লেখক এবং অনলাইন ব্লগার- এক্টিভিস্টদের যৌথ বিবৃতি

গত সোমবার ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দেশ ত্যাগ করার সময় নাস্তিক ব্লগার আসাদ নূরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ব্লগার আসাদ নূরের বিরুদ্ধে এই বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনা জেলার আমতলী পুলিশ স্টেশনে ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়, মামলা নং-১৪।  মামলার বাদী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি।

ইতিমধ্যে গত কয়েক বছরে ৫৭ ধারায় গ্রেফতার ও জঙ্গিদের অব্যাহত হামলার মুখে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্লগার বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু ভিডিও ব্লগার আসাদ নূরই হলেন প্রথম ব্লগার যিনি দেশত্যাগের সময় গ্রেফতার হলেন।

সোমবার আসাদ নূর নেপালের কাঠমণ্ডু যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য বাংলাদেশের আইসিটি আইন ৫৭ ধারাটি একটি কালো আইনী ধারা। পক্ষান্তরে এটি একটি ব্লাসফেমি আইন,  মানুষের বাক স্বাধীনতা দমনমূলক আইন।

আসাদ নূরকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা মুক্তচিন্তার লেখক, ব্লগারগণ মনে করি শুধুমাত্র ব্লগিং এবং স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য কাউকে কারাগারে নিক্ষেপ করা  একটি সভ্যতা পরিপন্থী কাজ।

গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে মুক্তচিন্তা, নাস্তিকতা চর্চা, এবং ভিডিও ব্লগিংয়ে আসাদ নূর একটি পরিচিত নাম।

আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী মুক্তচিন্তা, এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী লেখক, ব্লগার, এক্টিভিস্টগণ- ব্লগার আসাদ নূরের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করছি এবং মানবাধিকার পরিপন্থী কালো আইন ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

পিনাকী ভট্টাচার্য এর জীবনী | FULL BIOGRAPHY OF PINAKI BHATTACHARYA

English: Joint statement released by the Nari News, it’s writers, bloggers and online activists on the arrest/ police detention of atheist video blogger Asad Noor.

On 25th of December Monday, the Police of Bangladesh arrested blogger Asad Noor from the shajalal airport Shahjalal International Airport over a case filed against him related to Information and Communication Technology Act (ICT Act) when he was trying to leave the country.

A case was lodged against the blogger Asad Noor at Amtoli police station on section 57 of ICT Act on 11 January in this year. The case no is-14. The plaintiff of the case is the President of Islami Andolon (Movement) Bangladesh.

Meanwhile in the last few years, a significant number of bloggers and online activists have been forced to leave the country on the face of constant exploitation of the vague and often abused section 57 of the ICT Act along with frequent attacks from Islamic militants. However, Mr. Noor is the first blogger being detained while trying to leave the country.

On Monday, as he was passing the immigration section of the airport to move Kathmanud, Nepal, the police arrested him.

It is noteworthy that The section 57 of ICT Act is widely seen as a notorious act under which the law enforcement authorities can arbitrarily arrest people on flimsy context. This act in fact earned the reputation of being a tool for the authorities to silence the voice of free speech and is most often considered similar to blasphemy laws found elsewhere in many countries.

After his arrest, Mr. Noor has been sent to prison as per court order on Tuesday. We, the liberal writers and bloggers, strongly believe that arresting someone for expressing his opinion through blogging on the Internet is an act that breaches the universal human rights protected, enshrined and promoted in a civilized society.

It is worth mentioning that throughout the last year, Mr. Noor has been a popular name in promoting the rights of atheists who has also been voicing concern over the constant suppression of freedom of thought in the country by the authority.

We, the undersigned writers, bloggers and online activists who believe in and value freedom of expression and support the right of an individual to express his opinion without being subject to legal harassment, demand an unconditional and immediate release of blogger Asad Noor and abolishing of the inhumane section 57 of the ICT act.

asad noor wikipedia, asad noor wife, asad noor video, asad noor blogger biography, asad noor – youtube, asad noor wife name, nastik asad noor, asad noor vlog

Source: Google,wikipedia

Leave a Reply