ঈদে বিয়ের কথা ছিল ফায়ার ফাইটার শাকিলের

‘শাকিল বলেছিল ঈদে বাড়ি যেয়ে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখবে। মেয়ে দেখে বিয়ে করবে। কিন্তু তা আর হলো না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ফায়ার ফাইটার মো. শাকিল তরফদারের বড় ভাই মনিরুজ্জামান তরফদার। শাকিল কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার (৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে শাকিলের জানাজা হয়। জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি খুলনায়। jagonews24 পরিবারের পক্ষ থেকে শাকিলের বড় ভাই মনিরুজ্জামান ও তার চাচা আবুল কালাম মরদেহ নিতে আসেন। এসময় মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা তিন ভাই। পরিবারের সবার ছোট শাকিল। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে বাবা-মা পাগলের মতো প্রলাপ বকছে। কীভাবে এই শোক তারা কাটিয়ে ওঠবে তা জানি না। ওতো সবার ছোট, সবাই ওকে আদর করতো।

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩

’ শাকিলের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাকে গ্রামের সবাই ভালোবাসতেন। ১২ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত নামাজ পড়তেন তিনি। jagonews24 শাকিলের স্মৃতিচারণ করে তার বড় ভাই বলেন, ‘সে আমাদের অনেক আদরের ছিল। গ্রামের ছোট থেকে বড় সবাই তাকে ভালোবাসতো। সব সময় বলতো কোনো চিন্তা করার দরকার নাই আমি আছি। এখন সেই চলে গেলো আগে। ভালো মানুষকে আল্লাহ দ্রুত নিয়ে যান।

এজন্যই হয়তো মাত্র ২২ বছর বয়সে আমাদের ভাইকে হারালাম।’ পরিবারের আর্থিক অবস্থা তুলে ধরে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শাকিল আমাদের পরিবারে একমাত্র সরকারি চাকরি করতো। সে তো এখন নাই। আমার মেজ ভাই ফায়ার সার্ভিসে অস্থায়ীভাবে কাজ করছে। সরকারের কাছে দাবি, মেজ ভাইকে স্থায়ীকরণ করার।

চুয়াডাঙ্গায় শিশুর কামড়ে সাপের মৃত্যু!

স্থায়ীকরণ করলে আমাদের পরিবারের কিছুটা উপকার হবে।’ jagonews24 শনিবার (৪ জুন) বিএম ডিপোর বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের নিহতের খবর দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে নয়জন ফায়ার সার্ভিসকর্মী রয়েছেন। এছাড়া এখনো ফায়ার সার্ভিসের আরও তিন কর্মী নিখোঁজ। ১৫ জন আহত হয়ে ঢাকার সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Leave a Reply