উপদেশ মূলক সংগৃহীত পোস্ট motivational speaker quotes একটি শিক্ষামূলক পোস্ট Usefull information#মানবতা 4

বহুদিন আগে আমার বাবা তার খালি জমিতে একটা গরিব পরিবারকে থাকতে দিয়েছিলেন।
বেশ কয়েক বছর পর বাবা বাড়ি করার জন্য জমিটা ছাড়তে বললে তারা ছাড়তে রাজি হলো না। পরে অনেক কসরত করে, টাকা পয়সা দিয়ে তাদেরকে সরানো হয়েছিল।
শুনে যা বুঝলাম, তাহলো একটা জমিতে অনেকদিন থাকলে নাকি তাতে তার অধিকার জন্মে যায়।
আমিতো অবাক। দয়া করে থাকতে দিয়েছে। কোথায় কৃতজ্ঞ হবে, তানা উল্টো দখল করে বসে আছে। ভাবলাম জমির ব্যাপারতো তাই লোভ সামলাতে পারেনি।
আমি যেখানে থাকি সেখানে এক রিক্সাওয়ালা আছে আমার দেশি। বাজারে সে থাকলে আমি তার রিক্সাতেই আসি। বাজার থেকে আমার বাসা পর্যন্ত ভাড়া ৪০ টাকা ফিক্সড। তবে আমি নিয়মিত ৫০ টাকা দিতাম।
একদিন আমার কাছে খুচরা ৪৫ টাকা ছিলো। ঐ টাকাই দিলাম। টাকাটা দেয়ার সাথে সাথে একরকম চিৎকার করে উঠলো, “ আর ৫ টাকা ? ” আমি কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম, ” ভাড়াতো ৪০ টাকা, বাকি ৫ টাকা ফেরত দেন। “লোকটা হেসে বলল না সবসময়তো ৫০ টাকা দেন তাই কইলাম। ভাবলাম থাক গরিব মানুষতো, তাই এমন করলো।
আমার এক প্রতিবেশী।
রোজ বাচ্চাকে স্কুলে দিতে যায়। তার গোয়ালাটা সে ফেরার আগে দুধ নিয়ে আসে। আমি বাসায় না থাকায় সেই দুধ নেয়ার দায়িত্বটা আমার কাজের লোকের উপর পড়ে।
প্রতিবেশি হিসেবে এটুকু উপকারতো করতেই হয়। একদিন আমার কাজের লোকটি কোথাও একটা কাজে বেড়াতে গেছে, দুধটা আর নেয়া হয়নি। আমি বাসায় ফেরার পর উনি এসে বলল,
” আপনার কাজের লোক কোথায়? “
— একটু বেড়াতে গেছে।
–আমাকে আগে বলল না। এখন দেখেনতো আমার ছোট ছেলেটা কি খাবে ? আগে বললে আমি অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতাম।
–ভাবি ও হয়তো ভুলে গেছে।
–না ভাবি যাই বলেন কোনো দায়িত্ব নিলে ঠিক ভাবে পালন করতে হয়।
–ভাবি ও হয়তো আপনার এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক পায়না তাই অবহেলা করেছে। আপনি বরং দায়িত্বটা অন্য কাউকে দিয়েন।
সে কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে গটগট করে চলে গেলো। ভাবলাম, অল্প শিক্ষিত মহিলাতো তাই এমন আরকি।
আমার এক কলিগ। গর্ভবতী হয়ে অফিসে কাজ করেন, আমি তার কষ্ট দেখে তার একটা কাজের দায়িত্ব নিজে থেকেই নিলাম।
সে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গেলো। সে ফিরেও এলো। তাকে কাজটা ফিরিয়ে দিতে চাইলে সে গরিমসি শুরু করলো। ভাবটা এমন যে কাজটা আমারই ছিলো। এবার ভাবনাটা বদলালাম।
আসলে মানুষ একটা সুবিধা বেশিদিন ভোগ করলে সেটাকে তার অধিকার ভেবে নেয়। ভুলে যায় –“It’s facility, not right.” তাই শুধু সুবিধা দেয়া নয়, নেয়ার ক্ষেত্রেও সাবধান থাকা দরকার। হিউম্যান বিহেভিয়ার খুব অদ্ভুত। এটা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই কাজ করে।

কারো পাজেরো গাড়ি থামছে রাতের গভীরে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে..
কেউ ভাঙা ঘরে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত স্বপ্নের জোয়ারে ভাসছে।
কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি। কেউ একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করে চলছে।
কেউ সন্তান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে। কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!
কেউ বছরে কতোজন ভালবাসার মানুষ বদলে ফেলছে! কেউ শুধু একটা সত্যিকারের ভালবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করে চলছে।
কেউ দামি শাড়ি হাতে পেয়ে তবু খুশি নয়! কেউ তাঁতের নতুন শাড়ির বারবার গন্ধ শুঁকছে।
কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পারছেনা! কেউ পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কচলিয়ে গোগ্ৰাসে ভাত গিলছে।
কারো দামি খাটে শুয়েও আবার ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! হিমেল হাওয়ায় কেউ অঘোরে ঘুমোচ্ছে।
কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়তে ইচ্ছে
করছেনা। কেউ পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!
কেউ বিলাস বহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তানগুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো? কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, মনে মনে ভাবছে… সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই জীবনটা এখন গড়ে নিবে।
সত্যিই নানান রঙের মানুষ, নানান রঙের স্বপ্নের ঘুড়ি…! জীবনের নিজস্ব আলাপনে, বাস্তবতার হাত ধরে!!
🥺সংগৃহীত😀
motivational speaker quotes
‘টাকার পাহাড়’
তিনি এতটাই ধনী ছিল যে ব্রিটিশ সরকারকে প্রয়োজনে ঋণ নেওয়ার জন্য তাঁর দরজায় যেতে হয়েছিল। তিনি নিজের বিশাল ধনকে তাঁর বিশাল প্রাসাদে গোপন কোণে রেখেছিলেন। ধনভান্ডারের জ্ঞান তিনি ছাড়া রাজবাড়ির অন্য কারও জানা ছিল না।
একদিন তিনি তার কোষাগারে প্রবেশ করলেন, কোষাগারের চাবিটি নিতে ভুলে গেলেন, কোষাগারের দরজা তাঁর উপর বন্ধ হয়ে গেল, তখন মোবাইল প্রযুক্তির কোনও যুগ ছিল না। তিনি চিৎকার করতে থাকলেন কিন্তু তাঁর কণ্ঠ কারও কাছে পৌঁছেনি।
প্রাসাদের বাইরে কর্মচারীরা ভেবেছিলেন যে তিনি সম্ভবত কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন, কারণ তিনি প্রায়শই কাউকে কিছু না বলে দিন এবং সপ্তাহ এমনকি মাস ধরে ভ্রমণ করতেন।
তাঁর সামনে সোনার গহনা ও হীরা জহরত ছিল কিন্তু তিনি ক্ষুধা ও পিপাসায় ভুগছিলেন।
আর মারা যাওয়ার আগে তিনি নিজের আঙুলকে সোনার ইট দিয়ে আঘাত করেছিলেন এবং তাঁর রক্ত দিয়ে দেওয়ালে একটি বাক্য লিখেছিলেনঃ-‘বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মারা যান।’
শিক্ষনীয় বিষয়:
এটি ছিল বিখ্যাত ব্রিটিশ বিলিয়নেয়ার রথসচাইল্ড’র অন্তিম মূহুর্তের ঘটনা। তার সম্পদ তাকে এই দুনিয়াতেও সাহায্য করতে পারেনি।
©️গোপাল বর্মন
✅পোষ্ট: Daily News Times Bd
motivational speaker quotes
প্রশান্ত মহাসাগরে জাপানি মাছ ধরার ট্রলারের জালে একবার একটি পেঙ্গুইন আটকা পড়ল। জেলেটি টের পেয়ে দ্রুত জাল কেটে পেঙ্গুইনটিকে মুক্ত করে দেয়। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে পেঙ্গুইনটি চলে যাচ্ছিলো না। তাড়িয়ে দেয়া হলেও বারবার সে ফিরে আসছিলো। উপায় না পেয়ে জেলেটি পেঙ্গুইনটিকে সাথে করে বাসায় নিয়ে আসে।
পেঙ্গুইনটির থাকার জন্য আলাদা একটি ঘরের ব্যবস্থা করে। অতিরিক্ত গরমে বাঁচবে না বলে তার জন্য বিশেষভাবে এয়ারকন্ডিশনের ব্যবস্থা করা হয়।
জেলে পরিবার নিজের ছেলের মত পেঙ্গুইনটিকে এডপ্ট করে নেয়, আদর করে তার নাম রাখে ‘লা লা’।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, লালা পুরো মানুষের বাচ্চার মত পুরো মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে বেড়াতো। এলাকাবাসীও তাকে নিজেদের একজন ভেবেই ট্রিট করত। সবচেয়ে কিউট ব্যাপার হচ্ছে, প্রতিদিন সে পিঠে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে মহল্লায় টহল দিতে বের হত। প্রতিদিন নিয়ম করে সে স্থানীয় মাছের দোকানে ঢুঁ মারত আর দোকানদার তাকে একটি মাছ খাইয়ে আরও কিছু মাছ তার ব্যাকপ্যাকে ঢুকিয়ে দিত! লালা ১৯৯৮ সালে মৃত্যুবরণ করে।
©️Salehin Arshady
ছবির লোকটি সাদিও মানে, একজন ফুটবলার। বর্তমানে লিভারপুলের হয়ে খেলছেন। তাঁর শুধু সাপ্তাহিক আয় প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
ছবিটি দেখুন। হাতে তাঁর ভাঙ্গা আইফোন। এমন ভাঙ্গা ফোন ব্যবহার করেন কেন, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমি সার্ভিসিং করে নেব।
উনাকে বলা হলো, আপনি নতুন একটি মোবাইল কেন নিচ্ছেন না?
উনি বললেন, “এমন মোবাইল চাইলে হাজারটা কেনা যায়। চাইলে ১০ টা ফেরারি, ২ টা জেট বিমান, হাজার খানেক ডায়মন্ডের ঘড়ি কিনতে পারি। কিন্তু এসব কী আমার সত্যিই প্রয়োজন? এগুলো শুধু বৈষয়িক বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়।
মানুষের রুচি খুবই নিম্নমানের না হলে কেউ বিশ-ত্রিশ হাজার ডলারের ঘড়ি হাতে দিয়ে ঘুরবে না। আর এসবের মাধ্যমে আমার এবং সমাজের কোনো উপকারে আসবে? যেই মুহুর্তে আমার নিঃশ্বাস শেষ, সেই মুহুর্ত থেকে এসবের মালিকানাও শেষ।”
সাদিও মানে আরও বলেন, দারিদ্র্যের কারণে আমি পড়ালেখা করতে পারিনি। আমি শিক্ষিত না। তাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেছি। দরিদ্র ছিলাম বলেই হয়তো জীবনের আসল অর্থ বুঝেছি। কিন্তু দুনিয়ায় আজ যারা বড় শিক্ষিত, তারাই শিক্ষার গুরুত্বটা ঠিকঠাক বুঝছেন না। যদি বুঝতেন, তবে দুনিয়াতে এতো অভুক্ত শিশু না খেয়ে রাতে ঘুমোতে যেত না। মানুষ দিন দিন এভাবে ভোগ-বিলাসের কয়েদি হয়ে উঠত না।
সাদিও মানে আরো বলেন
আমি নিজের বিলাসবহুল বাড়ির পরিবর্তে অসংখ্য স্কুল তৈরি করেছি, দামি পোষাকে ওয়াড্রব ভর্তি না করে বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দিয়েছি, নিজে দামি গাড়ি চালানোর পরিবর্তে অগণিত স্কুল শিক্ষার্থীদের স্কুল বাসের ব্যবস্থা করেছি, প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে দামি রেস্টুরেন্টে না খেয়ে অগণিত ক্ষুধার্ত শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমি কোথা থেকে উঠে এসেছি, এটা আমি জানি।

Leave a Reply