একাত্তরে শুধু হিন্দু নিধনই ছিল পাকিস্তানি সেনাদের লক্ষ্য?

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের যে লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, সেই লড়াইয়ে মার্কিন পার্লামেন্টে আনা রেজুলেশন আরেক ধাপ অগ্রগতি।

“অবশ্যই, আমরা শুধু হিন্দুদেরই হত্যা করছি। আমরা সৈনিকরা বিদ্রোহীদের মতো কাপুরুষ নই। তারা আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করেছে-” কথাগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা মেজর রাঠোরের।

মেজর রাঠোর সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নবম ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন।

১৯৭১ সালের উত্তাল সে সময় সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ববাংলায় কীভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। আর মেজর রাঠোরের জবানিতেই উঠে এসেছিল সেই স্বীকারোক্তি।

ভারতের গোয়ায় জন্মগ্রহণকারী অ্যান্টনি মাসকারেনহাসই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত গণহত্যা ও অন্যান্য ঘটনা বিশ্ববাসীর কাছে তার লেখনীর মাধ্যমে সর্বপ্রথম তুলে ধরেন। মূলত তার লেখাই বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করেছিল। তিনি ব্রিটেনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকায় ১৪ বছর কাজ করার পর ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন।

মাসকারেনহাসকে দেওয়া পাকিস্তানি মেজর রাঠোরের সাক্ষাৎকারটি ১৯৭১ সালের ১৩ জুন সানডে টাইমসে প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘হোয়াই দ্য রিফিউজিস ফ্লিড’।

সানডে টাইমসের ওই প্রতিবেদনটি শুরু হয়েছিল একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে। মাসকারেনহাসের সঙ্গে মেজর রাঠোরের সেদিনের কথপোকথন ছিল অনেকটা এমন-

হাজারো বাঙালির মতোই পাকিস্তানি সেনাদের দৃষ্টিসীমা থেকে দৌড় দেওয়ার মতো ভুল করতে যাচ্ছিলেন আবদুল বারি নামের এক ব্যক্তি।

একদল পাকিস্তানি সেনার ঘেরাওয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থরথর করে কাঁপছিলেন ২৪ বছর বয়সী ওই বাঙালি তরুণ। কারণ, দৌড় দিলেই তাকে গুলি করত পাকিস্তানি সেনারা।

ওই সময় মেজর রাঠোর আড্ডাচ্ছলে সাংবাদিক মাসকারেনহাসকে বলেন, “সে দৌড় দিলেই আমরা তাকে মেরে ফেলতাম। কিন্তু তোমার কারণে আমরা তাকে দেখছিলাম। কারণ তুমি এখানে নতুন এবং আমি দেখছি তোমার পেটে কাঁপুনি হচ্ছে।”

কুমিল্লা থেকে ২০ মাইল দক্ষিণে মুদাফরগঞ্জ নামের ছোট একটি গ্রামের উপকণ্ঠে দাঁড়িয়ে মেজর রাঠোরের সঙ্গে কথা বলছিলেন মাসকারেনহাস।

‘কেন তাকে হত্যা করবে?’ এক রাশ উদ্বেগ নিয়ে আমি প্রশ্ন করি।

জবাবে মেজর রাঠোর বলেন, ‘সে একজন হিন্দু হতে পারে অথবা বিদ্রোহী, হতে পারে সে ছাত্র নয়তো আওয়ামী লীগার। তারা জানে যে, আমরা তাদেরকে বাছাই করছি এবং তারা দৌড় দিয়ে নিজেদের সাথেই বিশ্বাঘাতকতা করছে।’

আমি বললাম, ‘কিন্তু কেন তোমরা তাদেরকে হত্যা করছ? কেন শুধু হিন্দুদেরই?’

রাঠোর শক্তভাবে বলেন, ‘আমি তোমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, তারা কিভাবে পাকিস্তানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে? এখন যুদ্ধের আড়ালে তাদেরকে শেষ করার একটা দারুণ সুযোগ আমাদের আছে।’

‘অবশ্যই আমরা শুধু হিন্দু লোকজনকে হত্যা করছি। আমরা সৈনিকরা বিদ্রোহীদের মতো কাপুরুষ নই। তারা আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করছে’, যোগ করেন রাঠোর।

পূর্ব বাংলায় শ্যামল ভূমিতে যে রক্ষের দাগ ছড়িয়ে পড়েছিল সেটা আমি প্রথমবারের মতো টের পেলাম। প্রথমে ছিল বাঙালি বিদ্বেষের বর্বর আক্রোশে অবাঙালিদের গণহত্যা। আর এখন যে গণহত্যা চলছে সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে চালাচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

পূর্ব বঙ্গের হিন্দু, যারা সাড়ে সাত কোটি বাঙালির দশ শতাংশ, শুধু তারাই গণহত্যার শিকার নয়, এর মধ্যে বাঙালি মুসলিমরাও রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র, শিক্ষক, আওয়ামী লীগ এবং বামপন্থী রাজনৈতিককর্মীও। এছাড়া ১৭৬০০০ বাঙালি সেনা ও ২০ মার্চ বিদ্রোহ করা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের যে কাউকেই ধরতে পারত পাকিস্তানি সেনারা। যদিও স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য সেই বিদ্রোহ অসময়োপযোগী ও অকার্যকর।

এপ্রিলের শেষ দিকে পূর্ববঙ্গে ১০দিন অবস্থান করে আমি অবিশ্বাস্য যেসব ঘটনা নিজ চোখে যা দেখেছি যা শুনেছি, তাতে স্পষ্ট যে, এসব হত্যাকাণ্ড মাঠপর্যায়ের সেনা কমান্ডারদের বিচ্ছিন্ন কাজ নয়।

একাত্তরে মর্মন্তুদ এমন অনেক গণহত্যার প্রমাণ্য দলিল ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্র, রেডিও-টেলিভিশনের আর্কাইভে। শুধু অ্যান্থনি মাসকারেনহাসই নন, সায়মন ড্রিংও তুলে ধরেছেন সে সময়কার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনা। ২৫ মার্চ রাতে কেবল ঢাকাতেই প্রায় সাত হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই তথ্য উঠে এসেছে সায়মন ড্রিংয়ের স্বচক্ষে দেখা ঘটনাবলি নিয়ে ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে।

২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ও প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের অধ্যাপক গ্যারি জে ব্রাসের লেখা গ্রন্থ ‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড অ্যা ফরগটেন জেনোসাইড’ পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার তথ্য বিশ্বের সামনে নতুন করে তুলে আনে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার কনসাল জেনারেল আর্চার কেন্ট ব্লাডের ‘ব্লাড টেলিগ্রাম’ এও ১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। আর্চার কে ব্লাড ওই সময় ঢাকা থেকে পাকিস্তানি সৈন্যদের ভয়াবহ নৃশংসতার বিবরণ দিয়ে অসংখ্য টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে।

তার একটি টেলিগ্রামের শিরোনাম ছিল ‘সিলেকটিভ জেনোসাইড’ অর্থাৎ ‘বেছে বেছে গণহত্যা’। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ পাঠানো ওই টেলিগ্রামে বলা হয় :

ঢাকায় পাকিস্তানি সেনারা যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে আমরা তার নীরব ও আতঙ্কগ্রস্ত সাক্ষী। এ বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ ক্রমেই বাড়ছে যে মার্শাল ল কর্তৃপক্ষের কাছে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি তালিকা আছে আর সেই তালিকা ধরে ধরে তাদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে গুলি করে সুচারুভাবে হত্যা করা হচ্ছে। খতমের জন্য যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছাড়াও আছেন ছাত্রনেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। …এ তালিকায় আরো আছে জাতীয় পরিষদের বহু নির্বাচিত সদস্য ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যের নাম। এ ছাড়া পাকিস্তানি সেনাদের মদদে অবাঙালি মুসলিমরা নিয়ম করে দরিদ্র লোকজনের বাড়িঘর আক্রমণ করছে এবং খুন করছে বাঙালি ও হিন্দুদের।

পরে এক লেখায় আর্চার কে ব্লাড উল্লেখ করেন,

আমরা অনুভব করলাম, বাঙালি মুসলমানদের সকল হত্যাকেই ‘গণহত্যা’ বলে বিশেষায়িত করাটা যথাযথ হবে না। লড়াই জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই পক্ষই নৃশংসতা চালাচ্ছিল। যদিও বিনা উসকানিতে সেনাবাহিনীর গুলি চালানোর খবর আমরা তখনো পাচ্ছিলাম। তবে মনে হয়েছিল, গ্রামাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ সুনিশ্চিত করতে সামরিক উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী তার সহিংসতা আরো বাড়িয়ে চলেছে। অন্যদিকে বেছে বেছে হিসাব করে হিন্দুদের ওপর নগ্ন হামলার বর্ণনায় ‘গণহত্যা’ শব্দটি সবচেয়ে কার্যকর মনে হলো। এর পর থেকে আমাদের রিপোর্টে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের বিষয়টি উল্লেখ করার সময় ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করতে শুরু করলাম।

একদিনে ৯’শর বেশি পুরুষের সঙ্গে যৌনতা! !

পাকিস্তানি জেনারেলরা যে পৈশাচিক একটা মনোভাব নিয়ে বাঙালি নিধনে নেমেছিলেন তা তাদেরই জবানিতে তুলে এনেছেন গ্যারি জে ব্যাস।

তার গ্রন্থের তথ্য অনুযায়ী- জেনারেল টিক্কা খান বলছেন:

পূর্ব পাকিস্তান ভারতের দাস হয়ে গেছে। বৃহত্তর আত্মত্যাগের মাধ্যমে উপমহাদেশে মুসলমানদের বসতভূমি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আমাদের দেশকে আওয়ামী লীগের দৃর্বৃত্তরা ধ্বংস করে দেবে।

গ্যারি ব্যাস আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের চিফ অব আর্মি স্টাফ এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফ প্রায় প্রতিদিনই জানতে চাইতেন, কতজন হিন্দুকে আজ হত্যা করা হয়েছে। একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেলের উদ্ধৃতি দিয়ে বইয়ে বলা হয়েছে, সাধারণভাবেই সৈনিকদের মধ্যে বাঙালিদের প্রতি ছিল তীব্র ঘৃণা। তাই হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সেই সময় নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও হোয়াইট হাউজ এবং ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে বলেছিলেন, পাকিস্তান গণহত্যা করছে। পাকিস্তানিরা হিন্দুদের মেরে ফেলছে বলে গড়ে প্রতিদিন ১ লাখ ৫০ হাজার শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্যেও কোনো মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট নিক্সন বা কিসিঞ্জার। বরং কিসিঞ্জার মন্তব্য করেছেন, এত সংখ্যক হিন্দুকে বের করে দিয়ে ইয়াহিয়া ‘স্টুপিডের মতো’ কাজ করেছে।

১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল “বেঙ্গলি’জ ল্যান্ড অ্যা ভাস্ট সিমেটারি” (বাঙালির ভূখণ্ড এক বিশাল সমাধিক্ষেত্র)। মার্কিন সাংবাদিক সিডিনি এইচ শনবার্গ যুদ্ধের পর পর বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি শহরেই রয়েছে বধ্যভূমি, যেখানে পাকিস্তানি সৈন্যরা যুদ্ধের ৯ মাসের প্রতিটি দিন বাঙালিদের হত্যা করেছে। পাকিস্তানি সেনারা এভাবে লাখ লাখ বাঙালিকে হত্যা করে।

একাত্তরে বাঙালি নিধনের এমন হাজারো তথ্যপ্রমাণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে সাম্প্রতিক একটি ঘটনায়। সেটি হলো ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে একটি রেজুলেশন আনা হয়েছে। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টিভ শ্যাবট গত ১৪ অক্টোবর (২০২২) এই রেজুলেশনটি (এইচ১৪৩০) আনেন। রেজুলেশনের নাম হচ্ছে ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতি’।

মার্কিন পার্লামেন্টে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী বাঙালি ও হিন্দুদের ওপর যে সহিংসতা চালিয়েছে তাকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানানো হয় রেজুলেশনে। এছাড়া পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এবং যেসব অপরাধী এখনও বেঁচে আছে তাদের বিচার করার জন্যও আহ্বান জানানো হয় এতে।

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনাবলী বিবেচনায় নিয়ে বিলে ১৯৭১ এর মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সহিংসতাকে নিন্দা জানানো হয়।

মার্কিন পার্লামেন্টে এই রেজুলেশনের গুরুত্ব রয়েছে বৈকি। কারণ, গ্যারি জে ব্যাস তার বইয়ে স্পষ্টতই দাবি করছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো সেই গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, আর গণহত্যাকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন নিক্সন-কিসিঞ্জার জুটি।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ গ্যারি ব্যাস তুলে ধরেছেন; সেটি হচ্ছে, ১৯৭১ সালে বেছে বেছে হিন্দু সংখ্যালঘুদের হত্যা। ধর্মপরিচয়ের কারণে কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বা খুন আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বিচারে ঘৃণ্য অপরাধ। তিনি দাবি করছেন, ১৯৭১-এ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে তার দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও নিতে হবে।

এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের যে লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, সেই লড়াইয়ে মার্কিন পার্লামেন্টে আনা রেজুলেশন আরেক ধাপ অগ্রগতি।

প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও সামাজিক দায়বদ্ধতা

তথ্যসূত্র

১. পাকিস্তানের গণহত্যার দলিলের অভাব নেই, লজ্জা আর দায় এড়াতেই এখনো অস্বীকার, মেহেদী হাসান, ২৫ মার্চ, ২০১৭। দৈনিক কালের কণ্ঠ।

২. একটি টেলিগ্রাম, একটি বই ও গণহত্যার দলিল, শওগাত আলী সাগর, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Leave a Reply