এক কচুর ওজন ৩ মণ, বহন করতে লাগে ৪ জন

বরিশাল জেলার উজিরপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. খলিলুর রহমান সরদার। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী। শখ করে দোকানের পেছনে একটি কচুর চারা রোপণ করেছিলেন। চার বছর পর সেই কচুর ওজন হয়েছে তিন মণ।

জানা গেছে, শখের বসে মো. খলিলুর রহমান সরদার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পেছনে রোপণ করেছিলেন একটি কচুর চারা। নাম সাহেবী কচু। চার বছর ধরে কচুটি বেড়েই চলছিল। অবশেষে চলতি বছরের সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কচুটিকে মাটি থেকে তোলেন। মেপে দেখেন ১২০ কেজির কাছাকাছি। দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ও প্রস্থ আড়াই ফুট।

এলাকায় জানাজানি হলে ভিড় পড়ে যায় দর্শনার্থীদের। দূর দূরান্ত থেকে গাড়ি ভাড়া করেও আসছেন অনেকে। কচুটির আকৃতি এত বড় যে চারজন মিলে সেটি তুলতে হয়। দাম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা।

দেশে প্রথমবারের মতো ই-সিম নিয়ে এলো গ্রামীণফোন

চাষি খলিলুর রহমান সরদার বলেন, শখের বশে কচুর চারাটি রোপণ করি। এটি অনেক বড় হওয়ায় খুব খুশি হয়েছি। আগামীতে বেশি করে সাহেবী কচু লাগানোর চেষ্টা করব। স্থানীয় ব্যবসায়ী শামীম হোসেন জানান, এর মূল্য অনুমানিক প্রায় ৫ হাজার টাকা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কচুটি সাহেবী জাতের কচু। চেষ্টা করছি ঢাকা আন্তর্জাতিক কৃষি মেলায় নেওয়ার। এই কচুটির উৎপাদন প্রমাণ করেছে দক্ষিণাঞ্চলের মাটি সাহেবী কচু উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত। খলিলুর রহমানের কচু দেখে অন্য চাষিরা উৎসাহ পাবে।

Leave a Reply