এক নজরে একজন ফার্মাসিস্ট

মানসম্মত ঔষধ সরবরাহ থেকে শুরু করে ঔষধ নিয়ে গবেষণা – একজন ফার্মাসিস্ট বহুমুখী কাজের দায়িত্বে থাকেন। ঔষধ শিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ পেশার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশে-বিদেশে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সাম্প্রতিক তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) দেশের ৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের ঔষধ রপ্তানি হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এ আয় সাড়ে ৯ শতাংশ বেশি (সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ২২ এপ্রিল, ২০১৭)। এ পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় দেশের ঔষধ শিল্পের প্রসার সম্পর্কে।

এক নজরে একজন ফার্মাসিস্ট

সাধারণ পদবী: ফার্মাসিস্ট
বিভাগ: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে অভিজ্ঞতা সীমা: ০ – ২ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳১০,০০০ – ৳৩০,০০০
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স সীমা: ২২ – ৩০ বছর
মূল স্কিল: ঔষধের গুণাগুণ ও ব্যবহার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান, খুঁটিনাটি বিষয়ে খেয়াল রাখার ক্ষমতা
বিশেষ স্কিল: ব্যবসায়িক ধারণা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা

একজন ফার্মাসিস্ট কোথায় কাজ করেন?

বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের মূল কাজ হচ্ছে ঔষধ কারখানায়। দেশের ঔষধ চাহিদার ৯৮ ভাগই স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো পূরণ করে থাকে। পাশাপাশি বিশ্বের ১৩৩টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে আমাদের দেশ (সূত্রঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৬)। উল্লেখ্য যে, দেশে ২৬৯টির বেশি ছোট-বড় ঔষধ কারখানা আছে।

দেশের ফার্মা প্রোডাক্টের মান ঠিক রাখতে দক্ষ ফার্মাসিস্টের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এছাড়া কসমেটিকস খাতেও গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণে ফার্মাসিস্টের প্রয়োজন হয়।

উন্নত বিশ্বে প্রতিটি ভালো মানের হাসপাতালে ফার্মাসিস্টের পদ থাকলেও বাংলাদেশে এ খাত এখনো অনেক সংকুচিত। কিছু বড় হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মাসিস্ট আছে। যেমন – ঢাকাস্থ স্কয়ার হাসপাতাল, অ্যাপোলো হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুসারে, ফার্মাসিস্টদের শতকরা ৫৫ শতাংশ কমিউনিটি ফার্মাসি, ৩০ শতাংশ হসপিটাল ফার্মাসি, ৫ শতাংশ ম্যানুফ্যাকচারিং, ৫ শতাংশ সরকারি সংস্থায় এবং ৫ শতাংশ একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কমিউনিটি কিংবা হসপিটাল ফার্মাসিতে কোনো গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই। অন্যদিকে ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ৮৫ শতাংশ ফার্মাসিস্ট কর্মরত রয়েছে।

ঔষধ কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি সরকারি খাতে ফার্মাসিস্টদের কাজের সুযোগ রয়েছে। যেমন – কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, আর্মড ফোর্সেস, সরকারি হাসপাতাল ও ঔষধ প্রশাসন। অন্যকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ফার্মাসিস্ট, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, ফার্মাসি ম্যানেজার ছাড়াও প্রশাসনিক ও তথ্য বিভাগে কাজের সুযোগ রয়েছে।

কম্পিউটারে বাংলা যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম

দেশে বর্তমানে প্রায় ২৫০টির বেশি ঔষধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানি সক্রিয়। এসব কোম্পানির প্রোডাকশন, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ও ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকতা, গবেষণা এবং দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ তো আছেই।

বাংলাদেশের ফার্মাসি গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে আমেরিকা, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য, জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সম্মানের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ফার্মাসি কাউন্সিলের রেজিস্টার্ড ২৩০০-এর ওপর ফার্মাসি গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে মাত্র ১ হাজারের মতো দেশের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কাজ করছেন। আর বাকি প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন ফার্মাসিস্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঔষধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। তবে বর্তমানে চাকরির জন্য সেখানে ডক্টর অফ ফার্মাসি ডিগ্রি চাওয়া হয় বলে একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি প্রফেশনাল ডিগ্রি থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া সম্ভব।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আমাদের দেশে ৫০০০-এর অধিক ফার্মাসিস্ট প্রয়োজন রয়েছে। এ চাহিদা পূরণ করতে অন্তত আরো ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লেগে যাবে।

একজন ফার্মাসিস্টের কাজ কী?

  • ঔষধ গবেষণা
  • ঔষধ উৎপাদনের সামগ্রিক প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা
  • ঔষধের মান পরীক্ষা করা ও উন্নয়ন ঘটানো
  • আইন ও নিয়ম মোতাবেক ঔষধ তৈরি করা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে নজর রাখা
  • ঔষধের বিপণনে মার্কেটিং দলকে সাহায্য করা
  • ঔষধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা

একজন ফার্মাসিস্টের কাজ মূলত ফুল টাইমের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারখানার কাজ রাত বা দিন বা দুই শিফটেই হতে পারে।

ফার্মাসিস্টদের কাজের ক্ষেত্রকে বিবেচনা করে চার ভাগে ভাগ করা যায় –

রিটেইল ফার্মাসিস্টঃ রিটেইল ফার্মাসিস্টদের কাজ হলো, প্রেসক্রাইবড ও নন-প্রেসক্রাইবড ওষুধ, সার্জিক্যাল সাপ্লাই ও ওষুধের হিসাব রাখা এবং ট্রেনিং স্টাফ তৈরি করা। হেলথ কেয়ার প্রফেশনাল হিসেবেও তারা কাজ করতে পারেন।

হসপিটাল ফার্মাসিস্টঃ হসপিটাল ফার্মাসিস্টরা সাধারণত যুক্ত থাকেন কোন হাসপাতাল কিংবা নার্সিং হোমের সঙ্গে। ঔষধের মজুদ ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে লেবেলিং আর প্রয়োজনীয় বাজেট প্রস্তুতির কাজ তাকে করতে হয়। তবে বাংলাদেশে নীতিমালার অভাবে এ কাজ ডাক্তাররা করে থাকেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্টঃ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে প্রোডাকশন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ম্যানুফ্যাকচারিং বা সেলস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দায়িত্বে থাকেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্টরা। বাংলাদেশের মোট ৮৫ ভাগ ফার্মাসিস্ট এ খাতে কাজ করে থাকেন।

রিসার্চ ফার্মাসিস্টঃ রিসার্চ ফার্মাসিস্টরা ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সের যেকোন দিক অথবা বিশেষ কোন ঔষধ নিয়ে তারা গবেষণা করে থাকেন। আমাদের দেশে এ খাতে গবেষণা খুব কম হয়। তবে বড় কয়েকটি কোম্পানি ব্যবসায়িক স্বার্থে কিছু গবেষণার কাজ করছে।

ব্যাংকের চাকরির লিখিত পরীক্ষায় এগিয়ে থাকতে চাইলে

একজন ফার্মাসিস্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ফার্মাসিস্ট হতে হলে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি ফার্মাসি কোর্স ডিগ্রি নিতে হবে। এরপর এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স শেষ করে কাজে নামতে পারেন। মাস্টার্স শেষ না করেও অবশ্য চাকরি করা যায়।

ফার্মাসিতে প্রচলিত ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে।

  • ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি (ডি. ফার্ম)
  • ব্যাচেলর অব ফার্মাসি(বি. ফার্ম)
  • ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি প্রোফেশনাল

মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষেই ফার্মাসিতে ডিপ্লোমা কোর্স শুরু হয়। এ কোর্স বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন। এক্ষেত্রে বড় মাপের সাফল্য আনতে চাইলে অনেক পরিশ্রমী আর সৃজনশীল হওয়া চাই। এছাড়া বাংলাদেশে ডিপ্লোমা করে ব্যাচেলর ইন ফার্মাসি করার সুযোগ অনেক সীমিত। অধিকাংশ ডিপ্লোমা ডিগ্রি ৩ বছরের। তবে কোথাও কোথাও ৪ বছরের।

ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি ডিগ্রি ৪ বছর মেয়াদি ডিগ্রি। অন্যদিকে ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি প্রফেশনাল ডিগ্রি ৫ বছরের দেওয়া হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, এখন ৫ বছর মেয়াদি ডক্টর অফ ফার্মাসি ডিগ্রিকে আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।

৫ বছরের বি. ফার্ম প্রফেশনাল কোর্সের সঙ্গে সিলেবাসে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ৫ বছরের ফার্ম ডি. কোর্সে ক্লিনিক্যাল ফার্মাসি ও হসপিটাল ফার্মাসির উপর জোর দেয়া হয় এবং এ ডিগ্রির সিলেবাস অনেক আধুনিক।

ব্যাচেলর অফ ফার্মাসির পর মাস্টার্স অফ ফার্মাসি ডিগ্রি নিতে হয়। এটি সাধারণত ১-২ বছরের হয়ে থাকে।

হাসপাতালে কাজ করার ইচ্ছা থাকলে স্নাতক পাশের পর মাস্টার্স ইন ফার্মাসি উইথ হসপিটাল/কমিউনিটি ফার্মাসি অথবা পাবলিক হেলথ নিয়ে পড়াশুনা করতে পারেন। কেউ যদি ফার্মাসি পড়ে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে গবেষণার দিকে আগ্রহী হন, তবে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশুনা করা যেতে পারে। আবার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চাইলে ফার্মাসিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ম্যানেজমেন্ট বা মার্কেটিং নিয়ে পড়া ক্যারিয়ারের জন্য ভালো।

একজন ফার্মাসিস্টের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

একজন ফার্মাসিস্ট তার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক জ্ঞান স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থেকেই পেয়ে থাকেন। এর জন্য তাকে আলাদা কোন কোর্স করতে হয় না। তবে কোন শিল্পকারখানায় কাজ করার সময় অনেক কোম্পানি কোয়ালিটি কন্ট্রোল ও ফর্মুলেশনের জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে কাজের শুরুতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিতে হয়।

একজন ফার্মাসিস্টের কাজের উপর নির্ভর করে বহু মানুষের সুস্বাস্থ্য। এজন্য তাকে খুঁটিনাটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। এছাড়া নির্ভুল রেকর্ড রাখা অত্যন্ত জরুরি।

একজন হাসপাতাল ফার্মাসিস্টকে হাসপাতালে ঔষধের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নির্ভুলভাবে সরবরাহ করতে হবে।

একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্টকে যেমন কোয়ালিটি কন্ট্রোলের কাজ করতে হয়, তেমনি সাপ্লাই চেইন নিয়েও ধারণা রাখতে হয়। এছাড়া ল্যাবরেটরিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে তার। কোন বিষয়ে চিন্তা করে বিশ্লেষণ করা এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজনীয়। ওষুধের গুণাগুণ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে তাকে খুব ভালোভাবে জানতে হবে। পাশাপাশি ঔষধ শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহারে দক্ষতা থাকা বাঞ্ছনীয়।

কোথায় পড়বেন ফার্মাসি নিয়ে?

বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে মোট ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসিতে স্নাতক ডিগ্রি দেয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি প্রফেশনাল ডিগ্রি নেবার সুযোগ রয়েছে। বাকিগুলোয় রয়েছে ৪ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি।

বাংলাদেশে কোথাও ডক্টর অফ ফার্মাসি ডিগ্রি দেয়া না হলেও হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হবার সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে ফার্মাসি কাউন্সিল অফ বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট ৫০টি রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্মাসিতে ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়া হয়।

প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই : জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু

একজন ফার্মাসিস্টের মাসিক আয় কেমন?

কারিগরি ও বিপণন – একজন ফার্মাসিস্ট চাইলে এ দুই ক্ষেত্রেই কাজ পেতে পারেন। সদ্য গ্র্যাজুয়েটরা শুরুতে ৳২৫,০০০ – ৳৩০,০০০ মাসিক বেতন পান। ৬ মাসের মধ্যে বেতন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৫০ হাজারে উন্নীত হয়। ভালো কাজ করতে পারলে ২/৩ বছরের মাথায় লাখ টাকা বেতন পাবারও সম্ভাবনা রয়েছে (দৈনিক আমাদের সময়, ২৭ জুলাই, ২০১৬)।

ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের বেলায় সুযোগ-সুবিধা অনেকাংশেই কম। তাদের বেতন সাধারণত ৳১০,০০০ থেকে শুরু হয় ও সর্বোচ্চ ৳৮০,০০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে (যুগান্তর, ৩০ এপ্রিল, ২০১৫)।

একজন ফার্মাসিস্টের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

কাজের প্রচুর সুযোগ থাকায় এন্ট্রি লেভেলের পোস্টে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় পাশ স্নাতকদেরকে নেয়া হয়। অনেকে কিছুদিন কোন ঔষধ কোম্পানিতে শিক্ষানবিশের কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

শুরুতে একজন ফার্মাসিস্ট কোয়ালিটি কন্ট্রোলার কিংবা মার্কেটিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে কাজ করলেও দক্ষতা আর নেতৃত্বের গুণ থাকলে ঔষধ কোম্পানির বড় পদে উন্নীত হবার সম্ভাবনা থাকে।

ঔষধ নিয়ে বিস্তর জ্ঞান থাকায় একজন ফার্মাসিস্ট ড্রাগ কনসালট্যান্ট হিসাবে কাজ করতে পারেন। এছাড়া ধীরে ধীরে অভিজ্ঞ হয়ে গেলে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোতে গবেষণা করারও সুযোগ রয়েছে।

সরকারি পর্যায়ে একজন ফার্মাসিস্ট যোগ্যতার ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কাজ পেতেন পারেন। ধীরে ধীরে পদোন্নতি পেয়ে সরকারের বড় পর্যায়ে যাবার সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply