এটিএম বুথে আটকে গেছে কার্ড, দ্রুত করতে হবে এই কাজ

ডিজিটাল লেনদেনের দুনিয়ায় এখনও এটিএমের ওপর ভরসা রাখেন বহু মানুষ।যদিও অনেক সময় সুবিধার জায়গায় সমস্যা তৈরি করে ATM। বেরোনোর আগেই আটকে যায় আপনার টাকা। সেই ক্ষেত্রে ঘাবড়ে গিয়ে বেশকিছু ভুল করে ফেলেন গ্রাহক। জেনে নিন এরকম পরিস্থিতিতে কী করা উচিত গ্রাহকের।

এটিএম বা ডেবিট কার্ড এটিএম মেশিনে আটকে যাওয়া এটিএম ব্যবহারের সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। অবস্থা বিবেচনায় এই বিষয়টি বেশ বিরক্তির কারণ হতে পারে। এমনকি নগদ টাকার প্রয়োজনে বিপদেও ফেলে দিতে পারে। বিশেষ করে ব্যাংক বন্ধের দিনে এমন সমস্যা হলে গ্রাহককে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

 

তাছাড়া যদি এক ব্যাংকের এটিএম কার্ড অন্য ব্যাংকের বুথে আটকে যায় তাহলে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে সমস্যা সমাধান করতে। সুতরাং প্রত্যেক এটিএম কার্ড ব্যবহারকারীর উচিত এই সমস্যাটি সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা এবং সেই অনুযায়ী কার্ড ব্যবহার করা।

এটিএম বুথে কার্ড আটকে যায় কেনো?

 

একটি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এটিএম বুথে থাকা মেশিনে আটকে যেতে পারে বিভিন্ন কারণে। এটিএম বুথে কার্ড আটকে যাওয়ার সচরাচর কারণগুলো হলোঃএক চড়ে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন উইল স্মিথ

 

  • যদি একজন কাস্টমার একটি কার্ডের পিন পরপর তিনবার ভুল প্রদান করেন তাহলে কার্ড আটকে যাবে
  • কার্ড ব্যবহারের সময় পাওয়ার সাপ্লাই বা নেটওয়ার্ক কানেকশনে সমস্যা হলে ইনফরমেশন লেনদেনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যার কারণে এটিএম বুথে কার্ড আটকে যেতে পারে
  • ব্লক করা কার্ড ব্যবহারের চেষ্টা করা হলে কার্ড আটকে যেতে পারে
  • কার্ডের যদি বাহ্যিক কোনো ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রে কার্ড আটকে যেতে পারে
  • লেনদেন করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্ড বের করে না নিলেও কার্ড আটকে যেতে পারে

এছাড়া বেশিরভাগ এটিএম ভিসা, মাস্টারকার্ড, ইত্যাদি সার্ভিস সাপোর্ট করে। যদি আনসাপোর্টেড কোনো কার্ড মেশিনে ব্যবহার করা হয়, তবে তা আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এটিএম বুথে কার্ড আটকে গেলে করণীয়এটিএম মেশিনে কার্ড আটকে গেলে সর্বপ্রথম তৎক্ষণাৎ ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার ডিপার্টমেন্টকে কল করে ব্যাপারটি জানান।। এটিএম বুথ এর স্থান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে ব্যাংককে অভিহিত করুন। এমন অবস্থায় আপনার হাতে দুইটি উপায় থাকবে – কার্ডটি উদ্ধার করা কিংবা ব্লক করা।

 

তবে সবচেয়ে ভালো হয় উক্ত কার্ড ব্লক করে দেওয়া। এতে কার্ডটি অন্য কারো দ্বারা ব্যবহারের মত অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ব্যাংক থেকে রিপ্লেসমেন্ট কার্ড ও কার্ডের পিন আপনার রেজিস্টার্ড এড্রেসে ৭ থেকে ১০দিনের মধ্যে পাঠানো হবে।

এছাড়া নিকটস্থ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করে কার্ড রিপ্লেস করতে পারেন অল্পসময়ের মধ্যে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে ভুলবেন না।

 

আবার আপনি চাইলে আটকে যাওয়া কার্ড উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মেশিনের লোকেশন ব্যাংকে জানালে ব্যাংক উক্ত কার্ড উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। উদ্ধারকৃত কার্ড আপনার কাছে সরাসরি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কিংবা ব্যাংকের শাখা থেকেও তুলতে পারেন।

আটকে যাওয়া এটিএম কার্ড রিপ্লেসের প্রক্রিয়া উপরে উল্লেখিত প্রক্রিয়ার মত প্রায় একই। রিপ্লেসমেন্ট কার্ডের ক্ষেত্রে নতুন পিন থাকে, আর কার্ড উদ্ধার করা হলে একই কার্ড থাকে বলে পিন আগের মতোই থাকে।

 

নিরাপদে এটিএম কার্ড ব্যবহারের জন্য করণীয়

 

কার্ডনির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থা দিনেদিনে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়া সুবিধার খাতিরে গ্রাহক ও মার্চেন্টগণ কার্ডের ব্যবহারকে অধিক পছন্দ করেন। নিয়মিত কার্ড ব্যবহারকারীদের কাছে তো কার্ড ছাড়া চলা বেশ কঠিন বিষয়।

 

সাধারণত বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের সাথে ব্যাংক একাউন্ট খোলা হলে আপনাকে ডেবিট কার্ড দিবে। এটি হতে পারে একটি ভিসা কার্ড বা মাস্টারকার্ড। অথবা অন্য কোনো নেটওয়ার্কও হতে পারে। এর পিন সব সময় মনে রাখুন।

 

Leave a Reply