কালিদাস পণ্ডিতের ধাঁধাঁ – ১। পর্ব -২ moral stories Kalidas Pondit In Bangla কালিদাস

  • কবি কালিদাস আমাদের কাছে ‘কালিদাস পণ্ডিত’ নামে বেশী পরিচিত। ‘কালিদাস পণ্ডিত’ কে আপনারা সবাই জানেন। কালিদাস পণ্ডিতকে নূতন করে পরিচয় করে দিয়ে আমি নিজে ‘পন্ডিত’ সাজতে চাই না। নেট তথা গুগুল টাইপ প্রোগ্রামগুলোই এখন বিরাট বিরাট পন্ডিত! কিছু জানতে হলে লিখে সার্চ করলেই হল। ‘কালিদাস পণ্ডিত’ লিখে সার্চ করে কালিদাস পন্ডিত প্রসঙ্গে জানুন। কালিদাস ছিলেন ধ্রুপদি সংস্কৃত ভাষার এক বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার। কালিদাস প্রাচীন যুগের ভারতীয় কবি। তিনি সংস্কৃত ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিরূপে পরিচিত। যদিও তাঁর জীবনকাহিনী সম্পর্কে বিশেষ নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না।
  • আমার মনে প্রশ্ন ছিল কবি কালিদাসকে কেন কালিদাস পন্ডিত বলা হয়! সংস্কৃত ভাষায় তিনি যে পন্ডিত ছিলেন এতে মনে কোন সন্দেহ নাই। তারপর আরো যতদুর বুঝতে পারলাম, তার উপস্থিত বুদ্দির জন্যও তিনি পন্ডিত হতে পারেন। হতে পারেন তার ধাঁধাঁ লিখার জন্য! ধাঁধাঁ মানেই তো কালিদাস পণ্ডিত!
  • কালিদাস পণ্ডিতের একটা উপস্থিত বুদ্দির নমুনা কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক জনাব মোস্তফা কামালের (মেইল করে জানিয়েছি) লেখা থেকে আপনাদের জন্য তুলে দিলাম।
  • কালিদাস পণ্ডিত বিয়ে করেছিলেন রাজা বিক্রম আদিত্যের মেয়েকে। রাজার আরো কয়েকটি মেয়ে ছিল। তিনি মেয়েদের যাঁদের কাছে বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা সবাই ছিলেন পণ্ডিত মানুষ। পণ্ডিতদের মধ্যে সবার সেরা ছিলেন কালিদাস পণ্ডিত। তাঁর সঙ্গে বিদ্যা-বুদ্ধিতে কেউ পারতেন না। কিন্তু তাঁরা সবাই মিলে কালিদাস পণ্ডিতকে বেশ বিপাকে ফেললেন। ঈর্ষাপরায়ণ হয়েই তাঁরা এটা করেছিলেন। তাঁরা সবাই বললেন, ‘ঠিক আছে, আমরা মানলাম কালিদাস খুব বড় পণ্ডিত। কিন্তু তাঁর বাবা কে? আমরা তাঁর বাবাকে দেখতে চাই।’
  • সবাই যখন আবদার করলেন তখন তো দেখাতেই হয়। তিনি তাঁর বাবাকে নিয়ে রাজদরবারে হাজির হলেন। কালিদাস পণ্ডিতের বাবা ছিলেন মূর্খ মানুষ। তিনি বেফাঁস কিছু বলে ফেলেন কি না তাই কালিদাস পণ্ডিত তাঁর বাবাকে বলে রেখেছেন, তিনি যেন ভগবান ছাড়া আর কিছুই না বলেন।
  • রাজদরবারে বড় বড় পণ্ডিত বসে আছেন। তাঁদের সামনে বাবাকে নিয়ে হাজির হলেন কালিদাস পণ্ডিত। সবাই তাঁকে নানা কথা জিজ্ঞাসা করেন। কালিদাস পণ্ডিতের বাবা ছেলের শেখানো বুলি এর মধ্যেই ভুলে গেছেন। কী আর করা! তিনি শুধু বললেন, ভক্কর-ভক্কর।
    এ কথা শুনে সবাই হাসাহাসি শুরু করলেন।
  • কালিদাস পণ্ডিত লজ্জায় একেবারে লাল! বাবার কারণে নাক কাটা যাবে! তা তো কিছুতেই হতে পারে না। পরে কালিদাস পণ্ডিত বুদ্ধি খাটিয়ে বললেন, আপনারা হাসছেন কেন? আপনারা তো বুঝতেই পারেননি বাবা কী বলেছেন?
  • সবাই তখন জানতে চাইলেন, কী বলেছেন?
  • বাবা বলেছেন, ভক্কর। এর মানে হচ্ছে, ভ-তে ভগবান, ক-তে কৃষ্ণ আর র-তে রাধা।
    সবাই তখন বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকালেন। আর এভাবেই লোকলজ্জা থেকে রক্ষা পেলেন কালিদাস পণ্ডিত।
  • একেই বলে উপস্থিত বুদ্দি! বাংলাদেশে এক মাত্র ভাল উপস্থিত বুদ্দি রাজনীতিবিদের মাঝেই দেখা যায়! যারা ক্ষমতায় থাকে তাদেরই বেশী বেশী থাকে! ভাল উপস্থিত বুদ্দি থাকা লোক কখনো বেকার থাকে না!
  • কালিদাস পণ্ডিতের ধাঁধাঁ গুলো আসাধারন। তবে এসব ধাঁধাঁ তিনি সংস্কৃত ভাষাতেই লিখেছিলেন বলে প্রতীয়মান হয়, কারন সেই যুগে বাংলা ভাষার এমন রুপ ছিল বলে মনে হয় না! কিন্তু এগুলো বাংলা করলো কোন সব পন্ডিত! এসব পন্ডিতদের নাম ইতিহাস আর মনে রাখে নাই উপরি এখনো কেহ ধাঁধাঁ লিখলে সেটাও কালিদাস পন্ডিতের নামে হয়ে যায়!

  • গত কয়দিনে কালিদাস পণ্ডিতের বেশ কিছু ধাঁধাঁ পড়েছি। আপনাদের জন্য তা থেকে ১০টা পেশ করছি। দেখি আপনারা কে কে জবাব দিতে পারেন। প্রতিটি পারার জন্য ১ নাম্বার পাবেন। চলুন ধাঁধাঁতে চলে যাই!
  • ১।
    কালিদাস পণ্ডিতে কয় বাল্যকালের কথা,
    নয় হাজার তেঁতুল গাছে কয় হাজার পাতা।
    ২।
    শুইতে গেলে দিতে হয়, না দিলে ক্ষতি হয়,
    কালিদাস পন্ডিত কয় যাহা বুঝেছ তাহা নয়।
    ৩।
    চক থেকে এল সাহেব কোর্ট প্যান্ট পরে,
    কোর্ট প্যান্ট খোলার পরে চোখ জ্বালা করে।
    ৪।
    পোলা কালে বস্ত্রধারী যৌবনে উলঙ্গ,
    বৃদ্বকালে জটাধারী মাঝখানে সুড়ঙ্গ।
    ৫।
    বাঘের মত লাফ দেয়, কুকুর হয়ে বসে,
    পানির মধ্যে ছেড়ে দিলে সোলা হয়ে ভাসে।
    ৬।
    হাসিতে হাসিতে যায় নারী পর পুরুষের কাছে,
    যাইবার সময় কান্নাকাটি ভিতরে গেলে হাসে।
    ৭।
    আমি তুমি একজন দেখিতে এক রুপ,
    আমি কত কথা কই তুমি কেন থাক চুপ।
    ৮।
    কালিদাস পন্ডিতের ফাঁকি,
    আড়াইশ থেকে পাঁচ পঞ্চাশ গেলে
    আর কত থাকে বাকী।
    ৯।
    শোন ভাই কালিদাসের হেয়ালীর ছন্দ,
    দরজা আছে হাজারটা তবু কেন বন্ধ।
    ১০।
    শুভ্রবাসান দেহ তার,
    করে মানুষের অপকার।
    চিতায় তারে পুড়িয়া মারে,
    তবু সে উহ আহ না করে।
  • ধাঁধাঁ ৯ ও ১০ নংটা নিয়ে আমার অভিমত – এগুলো কালিদাস পণ্ডিতের হতে পারে না! হা হা হা…। আরো অনেক আছে, আপনাদের উৎসাহ পেলে আরো পোষ্ট দেয়া যাবে!

ধা-১৬১

কালিদাস পণ্ডিতকে তার পত্নী বললেন বাজারে যেতে। বাজারে যাবার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। স্ত্রী চটি জোড়া এনে রাখলেন পায়ের কাছে। চটিতে পা গলাতে গলাতে কালিদাসের মুখে এলো এই ছড়াঃ

জন্ম তার জলে নয়,
জন্ম তার খালে
হস্ত নাই, পদ নাই
দুই চরণে চলে।

ছড়া বলা শেষ করে হাসি মুখে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন সে জিনিষটা কি হতে পারে। কালিদাস পত্নী মুখ ঝামটা দিয়েআঁচলে বাঁধা চাবির তোড়া পিঠের দিকে ছুড়ে দিয়ে বললেন, “ মিনসের ঢং দেখে আর বাঁচি না”! আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন হস্ত-পদবিহীন বস্তুটা কী হতে পারে।

ধাঁধা-১৬২

রতনের দোকান থেকে একজন অপরিচিত লোক ১০০ টাকার নোট দিয়ে ৩৭.৫০ টাকার বিস্কুট আর কলা কিনেছে। লোকটা এমন ভাবে দামাদামী করছিল যে সকাল থেকে বেচাঁ কেনা নেই বলে কেনা দামেই রতনকে সব দিতে হল। রতনের কাছে ভাংতি ছিল না বলে পাশের দোকানের মজনুর কাছ থেকে টাকাটা ভাঙিয়ে এনে অপরিচিত লোকটাকে বিস্কুট,কলা আর বাকী ৬২.৫০ টাকা দিয়ে বিদায় করেছে। বসে বসে যখন হিসাব কষছে সকাল সকাল কত লাভ হল ঠিক তখনই মজনু এসে উপস্থিত। বলে কি ১০০ টাকার যে নোটটা সে একটু আগে ভাঙিয়ে এনেছে সেটা জাল। রতন টাকাটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল ঘটনা সত্য। কি আর করা। মজনুকে আরেকটা ১০০টাকার নোট দিয়ে জাল নোটটা রাগে দুঃখে ছিড়তে বসল আর ভাবতে লাগল সব মিলিয়ে ঠিক কত টাকা লস হল তার। বিস্কুট গেল, কলা গেল, মজনুকেও ১০০ টাকা দিতে হল। আপনারা কি ওকে একটু সাহায্য করতে পারেন।

ধাঁধা-১৬৩

নিজের গালে নিজে চড় মারি কখন?

বি.দ্র. “নিজের প্রতি বিরক্ত হয়ে”-এই উত্তর দিলে, উত্তর ভুল হবে।

ধাঁধা-১৬৪

বাজারের থলি হাতে ঘর থেকে বের হবার মুখে স্ত্রীর ডাকে ফিরে তাকালেন কালিদাস পণ্ডিত। ক্ষণপূর্বে পণ্ডিতের সওয়ালের জবাবে দিয়েছিলেন মুখ ঝামটা। এক্ষণে পণ্ডিতের সাথে তার পত্নী করলেন কিছুটা রহস্যপূর্ণ আচরণ। বাজার থেকে অন্যান্য সদাইয়ের সাথে আরো যা আনতে হবে তা কালিদাসকে জানালেন। জানালেন বটে, তবে তা সরাসরি নয়, ছড়ায়-ছন্দে, কালিদাসীয় কায়দায়। তিনি বললেন,

কাঁসারীর সারী ছাড়া
পাঁঠা ছাড়া পা,
লবঙ্গের বঙ্গ ছাড়া
কিনে এনো তা’।

পণ্ডিত মুচকি হেসে ঘাড় নেড়ে বাজারের দিকে রওনা হলেন। মনে মনে খুশিও হলেন স্ত্রীর পাণ্ডিত্যে।

ধাঁধা-১৬৫

কোন জিনিস কাটলে আলাদা হয় না।

ধাঁধা-১৬৬

পণ্ডিত যাচ্ছেন একমনে ঘাসের গালিচা বিছানো ছায়া ঢাকা ঢাকা পথ দিয়ে। ফসল ভরা মাঠের পাশেই চারণ ক্ষেত্রে গরু, মহিষ, ছাগলের পাল চরছে। আপন মনে পথ চলতে চলতে কালিদাস আউড়ালেনঃ

কালিদাস পণ্ডিতে কয়
পথে যেতে যেতে,
নেই তাই খাচ্ছো,
থাকলে কোথায় পেতে?

কি দেখে ও কী ভেবে তার মনে এই ছড়ার উদয় হয়েছিল, তা কী কেউ বলতে পারেন?

[ধাঁধাগুলো সত্যই কালিদাসের কিনা তা আমি নিশ্চিত নই। এই পণ্ডিত সম্পর্কে কারো জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করলে খুশি হবো।]

ধাঁধা-১৬৭

করিম সাহেব তার উকিল জলিল সাহেবের সাথে জেলখানায় কথা বলছেন। তারা জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জজ সাহেব জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় তারা খুবই আপসেট হয়ে পড়েছেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে একজন সেন্ট্রি এসে করিম সাহেবকে যেতে বলায় তিনি জেল থেকে বের হয়ে বাসায় চলে গেলেন। সেন্ট্রিটি করিম সাহেবকে যেতে দিল কেন?

ধাঁধা-১৬৮

শিকড় ছাড়া গাছটি
ফল ধরে ১২ টি
পাকলে হয় একটি।

বলুন তো জিনিস টা কি?

ধাঁধা-১৬৯

একটা মেয়ে একটা বাচ্চাকে গোসল করাচ্ছিল। তাকে প্রশ্ন করা হলো, “এই বাচ্চা ছেলেটি তোমার কে হয়?” মেয়েটার উত্তর, “এর বাপ যার শ্বশুর, তার বাপ আমার শ্বশুর।” বলতে হবে এদের দুজনের সম্পর্ক কি?

ধাঁধা-১৭০

আমি রড দিয়ে এমন একটি খাঁচা বানালাম যার কোনো দরজা নেই, জানালা নেই বা এমন কোনো ফাঁক নেই যা দিয়ে আপনি বের হয়ে আসতে পারবেন। আপনার সাথে এমন কোনো কিছু নেই যা দিয়ে রড কাটতে পারবেন। এখন বলেন, এই খাঁচা থেকে কিভাবে বের হবেন ?

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

  • দুষ্টু ধাঁধা,personality test,mind your positive or negative,bengali puzzle 2018,riddles in bengali,new puzzle,mind game,hopeful club,brain game,puzzle,bangla riddle,dhadha giri,puzzle games,বাংলা ধাঁধা,ধাঁধা,উত্তর,worldway,মজার ধাঁধাঁ,odvutm,mojar dhada

Leave a Reply