কেন গঠন করা হলো বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ? দুলাল চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ বাংলাদেশ মাধ্যমিকস্থরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে গঠিত হয়েছে। এখানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং দখিল মাদ্রাসার প্রধানগন এ সংগঠনের সাধারণ সদস্য হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।আর একটি ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান প্রধান এ সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন যাদের প্রতিষ্ঠানটি কেবল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়েছে কিন্ত এম.পি.ও স্তর পরিবর্তন হয়নি অথবা প্রতিষ্ঠানটি এম.পি. ও ভুক্ত হয়েছেন কিন্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান ৭ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।অর্থাৎ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে  কর্মরত আছেন এমন  প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  (যদিও তারা ৮ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন).।তবে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান প্রধান ব্যাতিত অন্য কোন সহকারী শিক্ষক ৮ম গ্রেড পেলেও তারা এ পরিষদের সদস্য হতেপারবে না।

More Information : সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার অপচেষ্টা দুলাল চন্দ্র চৌধুরী :প্রধান শিক্ষক ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ স্বাধীনতার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের  চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক অরাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠন। আমাদের সংগঠন  বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাথে বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বাধীনতার পক্ষের কোন শিক্ষক সংগঠনের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই।পাশাপাশি একথাও স্পষ্টভাবে  আমরা ঘোষণা করতে চাই এ সংগঠন কোন শিক্ষক সংগঠনের বা লেজুড়বৃত্তিও করে না।শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট  বিষয় নিয়ে কোন শিক্ষক সংগঠন কোন কর্মসূচি দিলে তাতে আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে। স্বাধীনতার পক্ষে কোন শিক্ষক সংগঠনের সদস্য থেকেও বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ করা যাবে। এখানে শুধু প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে আমাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার গুণগত উন্নয়নের জন্য সংগঠন করা হয়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানগন সার্বক্ষণিক কিছু সমস্যার মধ্যে থাকি।যে গুলো সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব।সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমাদের মধ্যে আন্তসম্পর্ক বৃদ্ধি করা দরকার সেজন্যই আমাদের এ সংগঠন।। তবে আমাদের সংগঠনের সমমানের কোন সংগঠনের সদস্য হয়ে কেউ আমাদের সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না।আমাদের সংগঠনের সদস্য থাকা অবস্থায় সমপর্যায়ের কোন সংগঠনের সদস্য হলে আমাদের সংগঠনের সদস্য পদ সংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। সংগঠনের কোন পর্যায়ের কমিটির  সদস্য হতে হলে তার চাকুরির মেয়াদ নূন্যতম দুই বছর থাকতে হবে। এই সংঠনের মূল শর্ত হলো অবসরে যাওয়ার পূর্বেই সংগঠনের পদ থেকে অবসর নিতে হবে। তবে অবসর গ্রহণের পর কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য থাকতে পারবে।সম্প্রতি কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান বলেছেন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৮ম গ্রেডে বেতন পান। তারা কী ভাবে  বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান পরিষদ এর সদস্য হন?

আসলে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ মাধ্যমিক শিক্ষা  স্তরের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সংগঠন।  নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় তো মাধ্যমিক স্তরেরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ এর সদস্য হতে পারবেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একই। আমাদের দাবি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সরকারি স্কুলের প্রধানদের ন্যায় বেতন গ্রেড ৬ষ্ঠতে উন্নীত করন।এ দাবির সাথে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের  কোন দ্বিমত নেই। তাহলে বাকি ইসুত সব একই।বরংতাদের বাদ দিলে আমাদের যে প্রধান লক্ষ্য গুনগত শিক্ষা অর্জনে শিক্ষা বান্ধব সরকারকে সহায়তা করা সেটা ব্যহত হবে। 

অনেকর মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বাংলাদেশে অনেকগুলো শিক্ষক সংগঠন থাকার পরেও আমরা কেন আবার বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ করলাম। বিদ্যমান সংগঠনগুলো শিক্ষকদের দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ করছেনা, এমন কথা আমরা বলছিনা। তবে সার্বিকভাবে সকল শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদের প্রধান শিক্ষকদের কিছু ন্যায় সংগত দাবি অবহেলিত থেকে যায।আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ কোন কারণে নির্যাতন নিপিড়নের স্বীকার হলে তার প্রতিকারের জন্য কোন শিক্ষক সংগঠনকেই এগিয়ে আসতে দেখা যায় না।অথচ বিদ্যমান সংগঠনগুলো পরিচালনার অর্থ, জনবল,মেধা, শ্রম সবই আমরা বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক /সুপারবৃন্দই দিয়ে থাকি।কিন্তু আমাদের প্রানের দাবি বেসরকারি স্কুল /মাদ্রাসার প্রধানদের সরকারি স্কুল/মাদ্রাসার প্রধানদের ন্যায় জাতীয় বেতন স্কেল এর ৬ষ্ট গ্রেড উন্নীতকরণ পরে থাকে দাবি গুচ্ছের তলানিতে। আজ প্রায় চল্লিশ বছর হতে চলছে আমরা বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মাদ্রাসার সুপারগন এ বৈষম্যের স্বীকার। কোন প্রতিকার নেই। তাই আমাদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান পরিষদ গঠন করার। এখানে আমরাও প্রশ্ন করিতে পারি মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে একটি সংগঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিদ্যমান শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বের এত গাত্র দাহ কেন?  ১৯২১ সালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি গঠিত হয়।বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নামের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি এখানে সকল শিক্ষক এ সংগঠনের সাথে যুগে ছিল। তখন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি, বেসরকারি সকল জাতপাতের শিক্ষক এই সংগঠনের সদস্য ছিল। নামাকরও দেখেও তাই বুঝা যায়।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে থেকেই বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সামনে বা পিছনে শব্দসংযোগে নতুন নতুন সংগঠন তৈরি হল।বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তৈরি করা হল।বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি থাকা স্বত্তেও তারা তাদের প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তৈরি করলেন শুধু মাত্র তাদের স্বার্থ বিবেচনা করে।স্বাধীন বাংলাদেশে কার কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র তাদের জন্য স্বায়ত্তশাসন আদায় করল।

 

তখন তৎকালীন কোন শিক্ষক নেতা বলেন নাই আপনারা কেন আলাদা হচ্ছেন। আপনারা আমরা একই, আসুন সবাই মিলে স্বাধীন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন করি।সেদিন কেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কোন নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বললেন না আপনারা আলাদা হবেন না।শিক্ষক সমাজকে একত্রিত থাকতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ তাদের স্বার্থের জন্য আলাদা হলেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কোন কোন  নেতা হয় তো ভাবলেন বাঁচা গেল আর পদ হারাবার ভয় নেই। আপদ বিদায় হয়েছে।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সম্পূর্ণ কোঠারি স্বার্থের কথা চিন্তা করেবাংলাদেশ  প্রথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গঠন করলেন। তারা আলাদা হয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন। আমার প্রশ্ন তখন কোন শিক্ষক সংগঠন কী এর বিরোধিতা করেছেন? স্বাধীনতার  পরবর্তীতে তৈরি হল বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। প্রত্যেকই তাদের নিজস্ব সার্থের কথা বিবেচনা করে আলাদা আলাদা সংগঠন করেছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। এ সকল সংগঠন আত্মপ্রকাশের পরে কোন প্রকার সমালোচনা হয়নি।তাহলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মধ্যে থাকল শুধু নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। আমরা পূরো শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করন নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছি। আমরা কী একবার ভেবেছি আমাদের সাথে কে কে আছেন।মাদ্রাসার জন্য আলাদা শিক্ষক সমিতি , কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতি। আমাদের মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের সংগঠন হিসাবে রয়েগেল বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।এ সংগঠন সকল কাজের দায়িত্ব কোন না কোন ভাবে এসে বর্তায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উপর। সব কিছু করতে হবে আমাদের কিন্তু আমাদের দাবি থাকবে সবার শেষে এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমাদের সমস্যার সমাধান, বৈষম্য নিরসনের লক্ষে আমরা আমাদের প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ গঠন করেছি। মূল সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি যে, যেটা করেছি সেটা চালিয়ে যেতে পারব।এতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।

More Information:সদগুরু জাগ্গি বাসুদেব জীবনী , Biography of Sadhguru in Bangla

আমরা কেন  বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ গঠন করলাম–_—

১।প্রধান শিক্ষক /সুপারদের মন খুলে প্রাণ খুলে কথা বলার একটি  প্লাটফর্ম তৈরী করার জন্য।

২।প্রধান শিক্ষক /সুপারদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যম তৈরি করার জন্য।

৩।প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি করার জন্য। 

৪।স্বপ্নের বিদ্যালয় বির্নিমানে সহায়তা লাভ করার জন্য।

৫।শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা বান্ধব সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য। 

৬। শিক্ষা ক্ষেত্রে ও শিক্ষকদের সকল প্রকার বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে। 

৭।২০১০ সালে প্রনীত শিক্ষানীতি সঠিক বাস্তবায়নের জন্য। 

৮।শিক্ষা ক্ষেত্রে আই,সি,টির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য।

৯।আই,এল,ও এবং ইউনেস্কোর সুপারিশ মালা আমাদের দেশে বাস্তবায়ন করার জন্য। 

১০।   S.D.G-4   বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য। 

১১।রূপ কল্প ২০২১,রূপ কল্প ২০৩০,রূপ কল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সক্ষমতা অর্জন। 

১২।ম্যানেজিং কমিটির দৌড়াত্ব হ্রাস করা।

১৩। একাডেমিক বিষয়গুলোতে ম্যানেজিং কমিটির অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা

১৪।ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির প্রধান হবে প্রতিষ্ঠান প্রধান। এ দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে অবহিত করা। 

আসুন প্রানের সংগঠন  বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ কে শক্তিশালী করে তুলি।

আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানগন স্ব প্রতিষ্ঠানে একবারেই একা, মন খুলে কথা বলার বন্ধু পর্যন্ত নেই। সসমব্যথী ছাড়া কে কার ব্যাথা বুঝতে পারে? তাই সকল প্রধান শিক্ষকদের একটা সুন্দর গঠমমূলক সম্পর্ক তৈরি করার নিমিত্ত্বে এ সংগঠনের সৃষ্টি। এই সল্প সময়ের পথ চলায় আমরা বুঝতে পেরছি প্রথম যে লক্ষ্য আমাদের ছিল সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।এখানে আমরা মন খুলে, প্রান খুলে আমাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে পারেছি। সহজ সরলভাবে অভিবাক্তি শেয়ার করতে পারায় অভিজ্ঞতা শেয়ারিং এর মাধ্যমে নিজেদেরকে দক্ষ, অভিজ্ঞ করে তুলতে পারছি সহজেই।এ সংগঠনের মাধ্যমে আমরা এখন সারা বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে এক অভূতপূর্ব আন্তঃসম্পর্ক  গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। এ অভিজ্ঞতা যোগ্যতা বিনিময়ের ফলে আমরা আমাদের স্বপ্নের বিদ্যালয় বিনির্মানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

আমরা আমাদের সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে অনেকগুলো ভার্সুয়াল সভা করে নিজেদের  মতবিনিময়ের করেছি ।আমরা যতবার সাংগঠনিক কাজে মিলিত হয়েছি, প্রত্যেক বার শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছি। আমরা সাংগঠনিক কাজে  নিজের অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় সভা সমাবেশ করতে গিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করার যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা কোন স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।প্রতেকেই প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখে নতুন  নতুন  অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি  যেগুলো নিজের বিদ্যালয়ে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি। করোনার কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।করোনা নামক প্রতিবন্ধকতা না থাকলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারতাম । এই সংগঠনের কারণে আই সি টি বিষয়  আমরা অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছি। 

আজ এ সংগঠনের কারণে আমরা প্রধান শিক্ষকবৃন্দ অতি সহজে তথ্য উপাত্ত পেয়ে যাছি।যে তথ্যের জন্য আমাদেরকে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হত।এখন আর তা করতে হয় না।আমাদের এ সংগঠনের কারণেই আজ আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে  এখন আর নিজেকে একা মনে হয়। এখন আমাদের এ বিশ্বাসটুকু অর্জন হয়েছে,যে কেউ আমাদের উপর আর অন্যায় জুলুম করতে পারবে না।আমাদের উপর অন্যায় কিছু চাপিয়ে দিতে পারবে না। এ আত্মবিশ্বাসা আমাদের কাজের গতিকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।সব সময় যে আমরা অবৈধ নির্যাতনের স্বীকার হতাম এমন নয়।অনেক সময় অজানার কারণে ভুল হতো,তথ্য উপাত্তের অভাবের কারণে ভুল হত,এখন সেটা কম হয়।আর এসবই আমাদের এ সংগঠন করার জন্য ই সম্ভব হয়েছে। জয়তু বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।তুমি থাকলে আমরা ভালো থাকব, ভালো থাকবে বাংলাদেশে।এর সুফল পাবে বাংলাদেশ। আমরা আই, এল এবং ইউনেস্কো নীতিমালা বাস্থবায়ন করার কথা বলেছি। যে নীতি বাংলাদেশ সরকার বাস্থবায়ন করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা কোন মনগড়া দাবি আদায়ের কথা বলি নাই।আমাদের দাবিগুলো গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে সহায়তা করার জন্য দেওয়া হয়েছে।আমরা ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্তির কথা বলি নাই। অবশ্যই ম্যানেজিং কমিটি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি অযাচিত, অনাকাঙ্ক্ষিত হস্থক্ষেপ বন্ধ করার জন্য বলেছি। ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয় একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্য দিয়ে। সেখানে ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব, কর্তব্য, করনীয় সুনির্দিষ্ট করা আছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব কর্তব্য সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। একজনের কাজের মধ্যে অন্যজন যেন অযাচিত, অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ডুকে না পরে।এ অযাচিত অনাকাঙ্ক্ষিত হস্থক্ষেপ বন্ধ করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।আমরা আমাদের নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কেও একে অপরকে সচেতন করব।আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগঠন করছি কোন অন্যায় অবিচারকে প্রস্রয় দেওয়ার জন্য নয়।নিজেরা ন্যায়ের পক্ষে থাক অন্যকেও অন্যায় করতে দিব না।

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী

প্রধান শিক্ষক ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয় ও সাংগঠনিক সম্পাদক

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

Leave a Reply