কোটি টাকা দিয়েও দৃশ্যটা কেনা যাবে না

রাত ১২টার বেশি বাজে। শীতে রাত ১২টা অনেক রাত। আমাদের অবশ্য রাতের খাবার খেতেই ১২টা পেরিয়ে যায়। খেয়ে উঠলাম মাত্র। আজ রান্না করেছিলাম কাতল মাছের কালিয়া। প্রায়ই মাংসের বিভিন্ন আইটেম করি, এটা-সেটা রান্না করি। আজ মাছের বিশেষ কোনো আইটেম করতে ইচ্ছা হলো। তাই কলকাতার বিয়েবাড়ির স্টাইলে কাতল মাছের কালিয়া রান্নার চেষ্টা করলাম।

কাতল মাছের কালিয়া কলকাতায় খুবই জনপ্রিয়। আমাদের দেশে বিয়েবাড়ির মেন্যুতে পোলাউ হোক কিংবা কাচ্চি বিরিয়ানি, রোস্ট যেমন থাকা চাই, তেমনি কলকাতায় বিয়েবাড়ির মেন্যুতে ভাত হোক কিংবা পোলাউ—কাতল মাছের কালিয়া থাকা চাই।

মাংস রান্না নাকি অনেক সহজ, মাছ রান্নাই যত ঝামেলা। তাই হয়তো প্রায়ই রান্না করলেও আজ রান্নার সময় আম্মু-আব্বু পুরোটা সময় পাশে থেকে দেখছিলেন। এটা-সেটা এগিয়ে দিচ্ছিলেন। বর্তমানে তিনজনের ছোট্ট সংসার আমাদের। এত বড় বাসায় মাত্র তিনটে মানুষ! তিনজনে মিলেমিশে রান্না করি, খাই আর সুখ-দুঃখের গল্প করি। জীবন সুন্দর কেটে যায়। যা হোক, রান্না শেষে কবজি ডুবিয়ে খেলাম, খাওয়ালাম।

মান্ধাতার আমল: মান্ধাতা আসলে কে ছিলেন? তার আমলে কী হতো?

মা-বাবাকে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়ানোর মধ্যে যে কী সুখ! মানুষ দুটো যখন তৃপ্তি করে খান, আমি শুধু চেয়ে থাকি তাঁদের মুখের দিকে। যেদিনই আমি কিছু রান্না করি, খাওয়া শেষে বিধাতার কাছে হাত তুলে তাঁরা আমার জন্য দোয়া করেন। এই দৃশ্যটা খুব উপভোগ করি। কোটি টাকা দিয়েও হয়তো এই দৃশ্যটা কেনা যাবে না। মা-বাবাকে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়ানোর এই তৃপ্তিটা আরো অনেক দিন পেতে চাই।

 

—নূর এ সাফী আহনাফ, বাংলামোটর, ঢাকা

Leave a Reply