খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখলে যা করবেন , স্বপ্নে স’হ বা’স হলে যা করণীয়!

স্বপ্নে স’হ’বা’স হলে যা করণীয়! ঘু’মের ঘোরে আমর’’া অনেক স্বপ্ন দেখি। কোনোটা মনে থাকে, কোনোটা থাকে না। কোনোটা আবার স্বাভাবিক মনে হয়, কোনোটা মনে হয় উদ্ভট। কখনো কখনো স্বপ্নে যে কারো স’’ঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও হয়ে থাকে।

অনেক সময় এমন মানুষের স’’ঙ্গে সম্পর্ক হয়, যা কল্পনাও করি না। ফলে ঘু’ম ভাঙার পর দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। নিজে নিজে বলি, কী সব স্বপ্ন দেখলাম, কেন দেখলাম! আসলে স্বপ্নে এমন শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে অবচেতন মনের অন্য কোনো ভাবনা থাকে। তাই আসুন, স্বপ্নে শারীরিক সম্পর্কের লুকোনো কিছু অর্থ জেনে নেই-

১) অ’পছন্দের ব্যক্তি: স্বপ্নে দেখা ব্যক্তির স’’ঙ্গে বাস্তবে যদি মনোমালিন্য থাকে, তাহলে অবচেতন মন আপনাকে সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার ই’’ঙ্গিত দিচ্ছে। তবে বাস্তবে কতটুকু সম্ভব; তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যদি বাস্তবে ওই ব্যক্তির স’’ঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়া সম্ভ,ব না হয়, তাহলে বি’ষয়টি থেকে মন তুলে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

২) প্রাক্তনকে দেখা: প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা এলে এবং তার স’’ঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখলে তার মানে এই নয় যে, অবচেতনে আপনি তাকে কামনা, করছেন। প্রাক্তনকে স্বপ্ন দেখার মানে আপনি পুরোনো, প্রেমের উত্তেজনা, আবেগ মিস করছেন। তাই বর্তমান সম্পর্কে সেই আবেগ ফিরিয়ে আনুন। আর নতুন সম্পর্ক না থাকলে এমন কিছু করুন, যাতে মানসিক তৃ’’প্তি পাবেন।

৩) অ’পরিচিত ব্যক্তি: অনেকেই অ’পরিচিত কাউকে স্বপ্ন দেখেন। এর মানে এই নয় যে, বাস্তবে তেমন কেউ আপনার জন্য অ’পেক্ষায় আছেন। একজন সম্পূর্ণ অ’পরিচিতের স’’ঙ্গে রাত কা’টানোর জন্য যে সাহস, মনোভাব ও আ’ত্মবিশ্বা’স দরকার, তা বাস্তব জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে আনার ই’’ঙ্গিত দেয় এ স্বপ্ন।

৪) সেলেব্রিটি দেখা: কোনো সেলেব্রিটিকে স্বপ্নে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা মানে নিজের জীবনেও এমন সফলতা কামনা করছেন। তবে যদি তাকে এমনিতেও খুবই ভালো লাগে এবং দিনের বেশিরভাগ সময় তাকে নিয়ে চিন্তা করে কা’টান, তাহলে স্বপ্নে তিনি আসতেই পারেন!

৫) সহকর্মীকে দেখা: সহকর্মীকে স্বপ্নে দেখা মানেই বাস্তবে তার স’’ঙ্গে ঘনিষ্ঠ ‘’হতে চাওয়া নয়। তার পদ অনুসারে স্বপ্নের অর্থ কিন্তু পাল্টে যায়। সহকর্মী সিনিয়র বা বস হলে, অবচেতন মনে নিজেকে ওই পদে দেখতে চান। সহকর্মী সম পদের হলে আপনাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা টানাপড়েন আছে। এছাড়া জুনিয়রকে দেখলে মনে করবেন, ওই জুনিয়রের ওপর আপনি অনেকটা নির্ভরশীল।

সৎ ও ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে হয়ে থাকে। আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের তরফ হতে হয়ে থাকে। তাই যখন কেউ পছন্দনীয় কোন স্বপ্ন দেখে তখন এমন লোকের কাছেই বলবে, যাকে সে পছন্দ করে।

স্বপ্ন দেখা মানুষের নিয়মিত একটি বিষয়। ঘুমের ভেতর প্রতিরাতে সবাই কমবেশি স্বপ্ন দেখে থাকেন। কারো মনে থাকে কেউ বা ভুলে যান। এসব স্বপ্নের একেকটা হয় একেক রকম। ভালো স্বপ্ন যেমন আমরা দেখে থাকি খারাপ বা দুঃস্বপ্নও আমাদের দাপিয়ে বেড়ায়।

কোনো সময় এমন ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখি আমরা যার কারণে অন্তরাত্মা কেপে উঠে। ভালো স্বপ্নতো সুন্দর ভবিষ্যতের লক্ষণ কিন্তু এমন খারাপ আর ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখার পর রসূল সা. ৫টি কাজ করতে বলেছেন।

আবু কাতাদাহ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করিম সা. বলেছেন, ভাল ও সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর দুঃস্বপ্ন হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। যদি কেউ ভাল স্বপ্ন দেখে, তাহলে তা শুধু তাকেই বলবে, যে তাকে ভালোবাসে। অন্য কাউকে বলবে না।

আর কেউ যদি স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখে, ঘুম থেকে জাগার পরপর শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। (আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম বলবে) এবং বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে। আর কারো কাছে স্বপ্নের কথা বলবে না। এমনটি করলে সেই স্বপ্ন কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারি ও মুসলিম)

Read More: ১০ মিনিটেই দূর হবে চোখের নিচের কালো দাগ

দুঃস্বপ্ন দেখলে যা করতে হবে

১) দুঃস্বপ্নের ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। এভাবে সকল প্রকার ক্ষতি থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত।

২) শয়তানের অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। এবং এর জন্য আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম পড়তে হবে। কারণ, খারাপ স্বপ্ন শয়তানের কুপ্রভাবে হয়ে থাকে।

৩) ঘুম ভাঙার পর বাঁ দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করতে হবে। এটা করতে হবে শয়তানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ ও তার চক্রান্তকে অপমান করার জন্য।

৪) যে দিক ফিরে দুঃস্বপ্ন দেখেছে তা পরিবর্তন করে অন্য দিক ফিরে ঘুমাতে হবে। অবস্থাকে বদলে দেয়ার ইঙ্গিত স্বরূপ এটা করতে বলা হয়েছে।

৫) খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলা যাবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

হাদিসে এসেছে, নবী করিম সা. এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি স্বপ্নে দেখেছি, আমার মাথা কেটে ফেলা হয়েছে। এ কথা শুনে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে ফেললেন। আর বললেন, ঘুমের মধ্যে শয়তান তোমাদের কারো সাথে যদি দুষ্টুমি করে, তবে তা মানুষের কাছে বলবে না। (মুসলিম শরীফ)

হাদিস থেকে আমরা জানতে পারলাম, সাহাবীগণ কোনো স্বপ্ন দেখলে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে তার ব্যাখ্যা জানতে চাইতেন। তারা এভাবে কোনো স্বপ্নকে অযথা মনে না করে এর গুরুত্ব দিতেন। তবে রাসূল সা. এসব স্বপ্ন অন্যের সামনে বলাকে অপছন্দ করতেন।

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply