Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
dailynewstimesbd

গাড়ির নতুন টায়ারে কাঁটার মতো অংশগুলো বেরিয়ে থাকার রহস্য

 

সাধারণত গাড়ির নতুন টায়ারে কাঁটার মতো অংশগুলো বেরিয়ে থাকে। কিন্তু কখনো কী ভেবেছেন, সেগুলো কেন থাকে বা কোন কারণে সেগুলো বাইরে বের করে রাখা হয়।

গাড়ির নতুন টায়ারে কাঁটার মতো অংশগুলো বেরিয়ে থাকার রহস্য

কোয়ারা ডটকমে এ বিষয়ে লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের তোফিজুল হক নামের এক ব্যক্তি। তিনি মুর্শিদাবাদ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন।

 

তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, টায়ারের বাইরে কাঁটার মতো রাবারের অংশগুলোকে ভেন্ট স্প্রেউ বলা হয়। যা নতুন টায়ারে দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হয় না বা এগুলো একটা টায়ারের কার্যক্ষমতাও বাড়ায় না। এগুলো একটা টায়ার কিওর করার সময় তৈরি হয়।

 

তোফিজুল হক বলেন, টায়ার কিওরিং হচ্ছে একটা পদ্ধতি যেখানে নরম রাবর দিয়ে তৈরি গ্রীন টায়ারকে চাপ ও তাপের সাহায্যে ভলকানাইজ করে দৃঢ় করা হয় ও ও টায়ারটাকে অন্তিম রূপে নিয়ে আসা হয়।

 

টায়ার কিওর করার সময় যেসব জিনিসের প্রয়োজন হয় সেগুলো হচ্ছে:

 

টায়ার মোল্ড হচ্ছে ধাতুর তৈরি একটা ছাঁচ। এটা দুই বা ততোধিক অংশে আলাদা করা যায় এবং এর মধ্যে গ্রীন টায়ারকে ঢুকিয়ে অংশগুলোকে জোড়া দিয়ে ছাঁচটা আগের অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।

 

অপরটি হচ্ছে গ্রীন টায়ার। টায়ার তৈরিতে ব্যবহৃত অংশগুলোকে যেমন বীড, রাবার প্লাই, স্টিল বেল্ট ইত্যাদিকে একত্রিত করে টায়ারের একটা প্রাথমিক রূপ দেওয়া হয়। কিওর করার সময় গ্রীন টায়ার ছাঁচের ভেতর থাকে। গ্রীন টায়ারের রাবার নরম অবস্থায় থাকে।

 

টায়ার কিওরিং ব্লাডার রাবারের তৈরি। কিওর করার সময় ব্লাডারটাকে গ্রীন টায়ারের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা হয়।

 

আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত কোটি কোটি টায়ারও এখন সম্পদ! (ভিডিও)

 

টায়ার কিওরিং প্রক্রিয়াটা একটা টায়ার কিওরিং প্রেসের মধ্যে ঘটানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় গরম জল বা বাষ্প ব্লাডারের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে গ্রীন টায়ারের উপর উচ্চ চাপ ও তাপ প্রয়োগ করা হয় ফলে গ্রীন টায়ারটা ছাঁচের আকৃতি পায় সঙ্গে সঙ্গে ভলকানাইজ হয়ে এটা তৈরি টায়ারের আকৃতি ও শক্তি পায়।

 

সবশেষ প্রক্রিয়ার সময় কিছুটা পরিমাণ বাতাস গ্রীন টায়ার ও ছাঁচের মধ্যে আটকা পড়ে যায়। এবং এই বাতাসটাকে বের করে না দিলে তৈরি টায়ারের মধ্যে কিছু খুত তৈরি হয়। বাতাস বের করার জন্য ছাঁচের মধ্যে কিছু সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ফুটো রাখা হয়। এগুলোকে স্প্রেউ হোল বা ভেন্ট স্প্রেুস বলে। কিওর করার সময় প্রচণ্ড চাপ ও তাপে বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা রাবার স্প্রেউ হোল দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে তাই আমরা তৈরি টায়ারে ভেন্ট স্প্রেউ দেখতে পায়।

সূত্র: কোয়ারাডটকম

Leave a Reply