Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
চিত্রনাট্যকার শচীন ভৌমিকের জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই

চিত্রনাট্যকার শচীন ভৌমিকের জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই

(১৭ জুলাই ১৯৩০)
শচীন ভৌমিক।
জন্ম কলকাতায়। বেড়ে উঠাও। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি উল্টোরথ ম্যাগাজিনে লিখতেন নিয়মিত। পরে ৫০ এর দশকের শেষ দিকে মুম্বাই যান বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার প্রেমানন্দ মিত্রের বদলি হিসেবে কাজ করতে। জীবনে প্রথম চিত্রনাট্য ‘লজ্জাবতী’ মুক্তি পায় ১৯৫৮ সালে। ছবিটি ব্যবসা সফলও হয়।
কিন্তু, তার যশ-খ্যাতি আসে ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘অনুরাধা’র মাধ্যমে। এটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কৃত হয়। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
১৯৬০ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বলতে গেলে অধিকাংশ হিট ছবির চিত্রনাট্যকার ছিলেন শচীন ভৌমিক।
একে একে প্রায় ৭০টি সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ করেন তিনি। তার আলোচিত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ক্যারাভান’, ‘আরাধনা’, ‘লাভ ইন টোকিও’, ‘গোলমাল’, ‘দো আওর দো পাঁচ’, ‘কারমা’, ‘কারান অর্জুন’ ও ‘তাল’।
শচীন ভৌমিকের সর্বশেষ কাজ হচ্ছে রাকেশ রৌশন পরিচালিত ‘কৌয়ি মিল গ্যায়া’ ও ‘কৃশ’।
এতো এতো চিত্রনাট্য করলেও জীবনে মাত্র একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন শচীন ভৌমিক। ১৯৭৩ সালে তার পরিচালিত মুক্তি পাওয়া ছবিটির নাম ‘রাজা রানী’। এতে অভিনয় করেছিলেন সে সময়কার আলোচিত তারকা জুটি রাজেশ খান্না ও শর্মিলা ঠাকুর। শর্মিলাকে হিন্দি চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন তিনি।
শর্মিলা ঠাকুর যখন শুধুমাত্র বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করতেন তখন শর্মিলার মাকে রাজি করিয়ে শচীন বলতে গেলে একক প্রচেষ্টায় তাকে নিয়ে আসেন হিন্দি চলচ্চিত্রে। শুধু নিয়ে এসেই ক্ষান্ত হননি পরিচালককে রাজি করিয়ে ‘আরাধনা’য় পরিচালকের পছন্দ হেমা মালিনীকে বাদ দিয়ে নবাগত শর্মিলা ঠাকুরকে দিয়ে অভিনয় করান। ফলাফল: নায়িকা চরিত্রে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
তার পরিচয়ের ব্যাপ্তি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে হলেও বাংলা ছিল তার মননে, চিন্তায় আর ভাবনায়।
তিনি বাংলা উচ্চারণে হিন্দি বলতেন। যার কারণে সিনেমার সেটে লোকজনের সমস্যা হতো তার কথা বুঝতে। তাই শচীন বাবুকে বলা হতো হিন্দি নয় বরং ইংরেজিতে বলার জন্য।
শচীন ভৌমিক যেখানে হাত দিয়েছেন পেয়েছেন সাফল্য। চলচ্চিত্রের বাইরে তার বড় জগৎ ছিল লেখালেখি।
তবে কেউই সেই মানুষটার খোঁজ রাখি না যিনি আদতে গানটি লিখেছিলেন। এই গান ছিল তাঁর মানসাশ্রিত অনুভব। রাহুল দেব বর্মন নিজের সুরে ১৯৬৯ সালের পুজোয় এই বিখ্যাত গান রেকর্ড করেন। মনে পড়ে রুবি রায়- গানটি লেখেন শচীন ভৌমিক। শচীন ভৌমিক মুম্বাই সিনেমার জগতে চিত্রনাট্যকার হিসেবে প্রসিদ্ধ। ছয়ের দশক থেকে টানা প্রায় চল্লিশ বছর ধরে যিনি ছিলেন বলিউডের অসংখ্য সুপারহিট ছবির লেখক-চিত্রনাট্যকার। ছয়ের দশকে ‘আরাধনা’, ‘ব্রহ্মচারী’, ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’, সত্তরের বছরগুলোয় ‘ক্যারাভান’, ‘হাম কিসিসে কম নেহি’, ‘গোলমাল’। আটের দশকে ‘কর্জ’, ‘বেমিসাল’, ‘কর্মা’। নব্বইয়ের দশকের ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’, ‘কোয়লা’, ‘সোলজার’ এবং আরও পরে এই শতকের প্রথম বছরগুলোয় ‘কোই মিল গয়া’ বা ‘কৃশ’ তাঁরই লেখা। শচীন ভৌমিকের লেখা প্রথম চিত্রনাট্যটি ছিল ‘অনুরাধা’ ছবির। তাঁর লেখা বইও আছে।
শচীন জানিয়েছিলেন, তাঁর নিজের জীবনের ব্যর্থ কিশোর প্রেমের স্মৃতিকে মাথায় রেখেই এই গানের জন্ম। ভালবেসেছিলেন কিশোরবেলায়, প্রতিদানে পেয়েছিলেন প্রত্যাখ্যান। তাঁর নাম ছবি রায়। সুতরাং, এটা বলা যেতেই পারেই, রুবি রায়ের আসল নাম ছবি রায়। যে রেকর্ডে ‘মনে পড়ে রুবি রায়’ গানটি ছিল, তারই উল্টো পিঠে ‘ফিরে এসো অনুরাধা’ গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। এই গানটিও অসম্ভব জনপ্রিয় হয় তখন। অনেকেই ভাবতেন, অনুরাধা নামেও হয়তো বাস্তবে কোনও নারী ছিল, যাকে শচীনবাবু চিনতেন। তবে সেটা ঠিক নয়। প্রথম লেখা ‘অনুরাধা’ চিত্রনাট্য থেকেই নামটি নেওয়া। ১৯৭৩ সালে ‘রুবি রায়’-এর সুরেই ‘অনামিকা’ ছবিতে একটি হিন্দি গান গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। ‘মেরি ভিগি ভিগি সি’ … , সে গানও বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মজরুহ সুলতানপুরি সে গানের কথা লেখেন।

Leave a Reply