চিনুন খাঁটি মধু, ভেজাল মধু

ভেজাল মধু ফ্রিজে রাখলে জমে যাওয়ার পাশাপাশি ওপরের স্তরে এক ধরনের দানাভাবও চলে আসবে। সেই দানার স্তরটি আসলে চিনি। কারণ খাঁটি মধুতে বেশির ভাগ সময় ভেজাল হিসেবে চিনি মেশানো হয়।

 

মধু উচ্চ ঔষধি গুণসম্পন্ন এক ধরনের ভেষজ তরল। তবে ঔষধি গুণের পাশাপাশি এটি অত্যন্ত মজাদার এবং সুঘ্রাণসম্পন্ন। নানা রকম খাদ্যে চিনি বা গুড়ের বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 

 

 

বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহারে চিনির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সহজেই মুক্ত থাকা যায়। এ ছাড়া ঠাণ্ডার সময় শরীর উষ্ণ রাখতে বা বিভিন্ন ধরনের ক্ষত সারাতেও মধু অত্যন্ত কার্যকরী। তবে বাজারে যেসব মধু কিনতে পাওয়া যায় এর মধ্যে অনেক ভেজালের মিশ্রণ থাকে।

 

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে খাঁটি মধু পরীক্ষার সহজ কিছু উপায়।

 

 

আগুনের পরীক্ষা

 

খাঁটি মধু সব সময় দাহ্য। অর্থাৎ আগুনের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়। তাই আগুনের পরীক্ষা চালানোর জন্য একটি দেশলাই কাঠি মধুতে চুবিয়ে নিন। এবার কাঠিটি বারুদে ঘষে দেখুন। যদি আগুন জ্বলে ওঠে তবে বুঝতে হবে মধু খাঁটি। ভেজাল হলে সেই কাঁঠিতে কোনোভাবেই আগুন জ্বলবে না।

 

ফ্রিজে রেখে পরীক্ষা

 

ফ্রিজে রেখে মধু আসল না নকল তা সহজেই বোঝা যায়। মধু খাঁটি হলে ফ্রিজে রাখার পরেও জমে যাবে না বরং এর ঘন ও তরল ভাব থেকে যাবে। অপর দিকে ভেজাল মধু ফ্রিজে রাখলে জমে যাওয়ার পাশাপাশি ওপরের স্তরে এক ধরনের দানাভাবও চলে আসবে। সেই দানার স্তরটি আসলে চিনি। কারণ খাঁটি মধুতে বেশির ভাগ সময় ভেজাল হিসেবে চিনি মেশানো হয়।

 

 

ভিনিগারের পরীক্ষা

 

ভিনিগারের সঙ্গে মিশিয়েও সহজে মধুর মান নির্ণয় করা যায়। এই পরীক্ষার জন্য এক বাটি পানিতে ভিনিগার মেশান। তারপর সেই পানিতে কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে দেখুন। যদি মিশ্রণটিতে ফেনা ওঠে বুঝবেন মধুতে ভেজাল আছে।

 

পানির পরীক্ষা

 

একটি পাত্রে পানি নিন। সেই পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে দেখুন। মধু খাঁটি হলে সেটি পুরোপুরি পানির সঙ্গে মিশবে না। তলানিতে জমে থাকবে। কিন্তু ভেজাল থাকলে সেটি সঙ্গে সঙ্গে পানিতে মিশে যাবে।

 

তাপের পরীক্ষা

 

একটি পাত্রে মধু নিয়ে তাতে তাপ দিন। খাঁটি মধু তাপের সংস্পর্শে এলে ফেটে যায় এবং ধীরে ধীরে ক্যারামেলের মতো ঘন হয়ে ওঠে। কিন্তু ভেজাল মধুতে তাপ দিলে তাতে ফেনা ওঠে এবং তাপ বাড়তে থাকলে কেবল বুদ্বু‌দ তৈরি হয়।

 

আরও পড়ুন:

 

 

 

Leave a Reply