ছাত্রীকে ইউনিফর্ম ছাড়া বোরকা পরে স্কুলে যাওয়ায় শাস্তি দেওয়ায়, শিক্ষিকা বরখাস্ত

ইউনিফর্ম ছাড়া বোরকা পরে স্কুলে যাওয়ায় হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শাস্তি দিয়েছেন মৌসুমী রায় নামে এক শিক্ষিকা। এ ঘটনায় সোমবার (১ আগস্ট) তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ছাত্রীকে এমন শাস্তি দেওয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মিডিয়া কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাভিদ সারওয়ার ক্ষুদে বার্তায় জানান, হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার সংবাদটি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়।

ছাত্রীকে অনৈতিকভাবে শাস্তি দেওয়ায় শিক্ষিকা বরখাস্ত

পরে প্রধান শিক্ষিকাকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। এর প্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

নিখোঁজ স্কুল-ছাত্রী এখন বড় বোন জামাইয়ের স্ত্রী

হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. রোকেয়া খানম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষিকা মৌসুমী রায়কে সোমবার (১ আগস্ট) বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ে বরখাস্তের নোটিশও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) শহরের মাহমুদাবাদ এলাকার বাসিন্দা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী নির্দিষ্ট স্কুলড্রেস ছাড়া বোরকা পরে শ্রেণিকক্ষে যায়। তখন সহকারী শিক্ষিকা মৌসুমী রায় তাকে অনৈতিকভাবে (বিধিবহির্ভূতভাবে) শাস্তি প্রদান করেন।

ছাত্রীকে অনৈতিকভাবে শাস্তি দেওয়ায় শিক্ষিকা বরখাস্ত

পরে শনিবার তার পরিবার বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি জরুরি সভা ডেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে সোমবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। শিক্ষিকা মৌসুমী রায় ওই বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করতেন। এদিকে উক্ত ঘটনায় ফেসবুকে তোলপাড় চলছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রীকে অনৈতিকভাবে শাস্তি দেওয়ায় শিক্ষিকা বরখাস্ত

সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, এনএসআই উপ-পরিচালক আজমুল হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষিকাসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। পরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলার আলেমদের সঙ্গে এক জরুরি সভা করেন।

শহীদ থাঙ্গল জেনারল বিপ্লবী জীবনী

সভায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করে সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করে সহনশীল আচরণ করার অনুরোধ জানানো হয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে জরুরি মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক। সভায় ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

Leave a Reply