ডোমেইন পার্কং কি? এটা কি বিক্রয়যোগ্য? কোথায় এবং কিভাবে ডোমেইন পার্ক থেকে আয় করা যায়?

ডোমেইন ব্যবসা কি?
বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কেট হলো ডোমেইন এর। ডোমেইন এর মাধ্যমে হয়ে যেতে পারেন কোটি কোটি টাকার মালিক। পৃথিবীতে সেরা দশজন বিলিয়নেয়ারের সবাই ই এই ডোমেইন এর মাধ্যমে এত টাকার মালিক হতে পারছে।

ডোমেইন নাম রেজিষ্ট্রেশন এর শুরু থেকে আজ পযন্ত প্রায় ৩৭০ মিলিয়ন ডোমেইন নাম নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে। যার মধ্যে ডট কম (.com) এবং ডট নেট (.net) এর ডোমেইন ই রেজিষ্ট্রেশন করা হয় প্রায় ১৭০ মিলিয়ন।

 

২০২০ সালের প্রথম থেকে শেষ মাস পযন্ত প্রায় ১ কোটি ডোমেইন নাম নিবন্ধন করা হয়।

যেখানে ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ ডট কম (.com) এবং ডট নেট (.net) ডোমেইন সহ আরো অনেক গুলো নাম নিবন্ধন করা হয়েছে।

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে দামি কয়েকটি ডোমেইন নাম নিচে দেওয়া হলো;

১. ভয়েস ডটকম (Voice.com) এর বাজার মূল্য প্রায় $৩০ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০১৯ সালে।

২. থ্রীসিক্সটি ডিগ্রী (360.com) এর বাজার মূল্য প্রায় $১৭ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০১৫ সালে।

৩. ফাউন্ড ডটকম (Fund.com) এর বাজার মূল্য প্রায় $১২ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০০৮ সালে।

৪. হোটেলস ডটকম (Hotels.com) এর বাজার মূল্য প্রায় $১১ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০০১ সালে।

৫. টেসলা ডটকম (Tesla.com) এর বাজার মূল্য প্রায় $১১ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০১৪ সালে।

৬.ফেসবুক ডটকম (Fb.com) এর বাজার মূল্য প্রায় $১০ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০১০ সালে।

৭. হেলথ ইনসুরেন্স ডটকম (HealthInsurance.com) এর বাজার মূল্য প্রায় $৮.১৫ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০১৯ সালে।

৮.উই ডটকম (We.com) এর বাজার মূল্য প্রায় $৮ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০১৫ সালে।

৯. ডাইমন্ড ডট কম (Diamond.com) এর বাজার মূল্য প্রায় $৭.৫ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০০৬ সালে।

১০. বির ডটকম (Beer.com ) এর বাজার মূল্য প্রায় $৭ মিলিয়ন ডলার। এই ডোমেইন টা রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০০৪ সালে ।

এখন আপনার যদি একটা ডোমেইন থাকে আর সেটার দাম ও যেকোনো সময়ে বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া ডোমেইন ব্যবসা করে ও প্রচুর ইনকাম করা যায়।

ডোমেইন কি ?
যারা ডোমেইন সম্পর্কে জানেন বা সামান্য হলেও ডোমেইন সম্পর্কে ধারনা আছে তাদের জন্য ডোমেইন ব্যবসা সহজ হবে আর যারা না জানেন তাদের জন্য এই ছোট্ট তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ডোমেইন ব্যবসা শুরু করার আগে সবার আগে জানা উচিত যে

ডোমেইন কি?
ডোমেইন কাকে বলে?
ডোমেইন কেন প্রয়োজন?

ডোমেইন কি?
প্রতিটা দোকানের বা যেকোনো কোম্পানির যেমন একটা নাম থাকে, ঠিক তেমনি প্রত্যেক টা ওয়েবসাইটের ও এক একটা আইপি এড্রেস থাকে। এক একটা ওয়েবসাইটের এক একটা আইপি অ্যাড্রেস থাকে। সেটা হতে পারে 1234.431.233 সংখ্যার একটা আইপি এড্রেস। আর সবার পক্ষে এই আইপি এড্রেস মনে রাখা সম্ভব থাকে না।

আর যার জন্য একটি নির্দিষ্ট নামের প্রয়োজন পড়ে। যাতে সবাই সেই নামটি মনে রেখে সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে। আর এজন্য একটি ওয়েবসাইটের আইপি এড্রেস কে সহজে মনে রাখার জন্য ডোমেইন নেম এর দরকার হয়।

ডোমেইন কাকে বলে?
ডোমেইন হলো ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট নাম বা ঠিকানা।যে নাম টা সবাই সহজে মনে রাখতে পারে। যেমন abcd.com এই নামটি কিন্তু সবাই সহজে মনে রাখতে পারবে। কিন্তু আবার যদি বলা হয় 123.124.125 এটা একটা ওয়েব সাইটের ঠিকানা। কিন্তু সবাই বা বেশিরভাগ ভিজিটর এই আইপি এড্রেস মনে রাখতে পারবে না।

যেই কারনে এই ওয়েবসাইটে ভিজিটরেরা সহজে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। আর যার জন্য একটা সহজে মনে রাখা যায় এমন একটা ডোমেইন নেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি দোকানে অনেক গুলো পণ্য বিক্রি করা হয়। তো সেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় করা হয় ঠিকই কিন্তু সেই দোকানের কোন নাম নেই।

যার কারনে কেউ একবার এই দোকান থেকে কিছু কিনলে পরবর্তী কোন কাস্টমার যদি তাকে বলে কোথাশ থেকে কেনা কাটা করছো তাহলে সেই দোকানের নাম না থাকায় বলতে পারবে না যে সে কোন দোকান থেকে কেনা কাটা করছে। আর এই নামটি যদি হতে পারে দেশবন্ধু স্টোর।

তাহলে সবাই কেনা কাটা করে পরবর্তী কাউকে বলতে পারবে যে, আমরা দেশবন্ধু স্টোর থেকে কেনা কাটা করছি। আর এই দেশবন্ধু স্টোর হল আপনার ডোমেইন নেম বা ঠিকানা।

ডোমেইনের ব্যবসা আপনি তিন ভাবে করতে পারবেন। টাকা ইনভেস্ট করে আর কোন টাকা ইনভেস্ট ছাড়াই ডোমেইন ব্যবসা। চলুন জেনে নেই টাকা ইনভেস্ট ছাড়াই কীভাবে ডোমেইন ব্যবসা সেলারের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

বিলাসী – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

ডোমেইন সেলার
ডোমেইন সেলার হতে হলে আপনাকে প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। ডোমেইন সেলারের মাধ্যমে কোন থার্ড পার্টি ছাড়াই যেকোনো ক্রেতার কাছে ডোমেইন বিক্রি করতে পারবেন। আপনার এতে অনকে টাকার প্রয়োজন পড়বে।

এছাড়া দক্ষ লোকবলের ও দরকার হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশির ভাগ ডোমেইন প্রভাইডার হলো কমিশন ভিক্তিক। সরাসরি সেলার নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র বাংলাদেশ কান্ট্রিকো ডটকমডটবিডি (.com.bd) ছাড়া।

ডোমেইন রিসেলার
বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন কোম্পানী রয়েছে।

 

বিপ্লবী নীরা আর্য | নেতাজিকে বাঁচাতে নিজের স্বামীকে হত্যা করতেও পিছপা হননি বীরাঙ্গনা নীরা আর্য

যেমন;

ডোমেইন ডটকম (Domain.com),

গো ড্যাডি ডটকম (GoDaddy.com),

নেমচিপ ডটকম (Namecheap.com),

নেম ডটকম (Name.com),

গুগল ডোমেইন (Google Domains),

ইনোম ডটকম (Enom.com),

ডায়না ডট ডটকম (Dynadot.com),

নেমসিলো ডটকম (NameSilo.com)।

এসব ওয়েবসাইট গুলো কমিশন ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন বিক্রি করার জন্য আপনাকে পারমিট দিবে তাদের সার্ভার থেকে ডোমেইন কিনার জন্য। আপনি যদি তাদের মাধ্যমে বা তাদের সার্ভার থেকে কোন ডোমেইন বিক্রি করে দিতে পারেন

তাহলে তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রদান করবে। উদাহরণস্বরূপ তাদের একটি ডোমেইন এর দাম ১০ ডলার। এখন আপনি যদি কোন থার্ড পার্সন কে তাদের সার্ভার থেকে একটি ডোমেইন কিনে দিতে পারেন, তাহলে এইসব ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে ৫০ সেন্ট বা ১ ডলারের মতো কমিশন প্রদান করবে।

এভাবে আপনি যত ডোমেইন বিক্রি করতে পারবেন আপনার কমিশন ততই বাড়বে। তবে হ্যাঁ ডোমেইনে বর্তমানে কমিশন একটু কমই দেয় কিন্তু হোস্টিং এ বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে কমিশন দিয়ে থাকে। যা প্রায় বিক্রির 50 শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকে। যদি আপনার হোস্টিং সম্পর্কে একটু ধারনা থাকে।

তাহলে আপনি হোস্টিং এবং ডোমেইন দুটো একসাথেই রিসেলার এর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন। ডোমেইন ও হোস্টিং এর একসাথে বিক্রি করে প্রচুর আয় করতে পারবেন। যারা নতুন বা যারা এসবে জড়াতে চান না তাদের জন্য আমি আজকে আপনাদের সাথে একটি নতুন ডোমেইন ব্যবসার ধারণা সম্পর্কে বলবো।

আপনারা এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ এর জন্য আপনার হয়তো কিছুটা পুঁজির প্রয়োজন হবে। কিন্তু সেই পুঁজি বা সমস্ত পুঁজি আপনি একটা ডোমেইন নেমের মাধ্যমে উঠিয়ে আনতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেই কিভাবে ডোমেইন কিনে তারপরে সেই ডোমেইন বিক্রি করে ব্যবসা শুরু করবেন।

ডোমেইন কিনে বিক্রি করার ব্যবসা
আপনি বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে পারেন। আর রেজিষ্ট্রেশন করার পর সেই সব ডোমেইন গুলো তিন মাস অথবা ছয় মাস পর চড়া মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন।

বিভিন্ন ধরনের অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যাদের মাধ্যমে ডোমেইন বিক্রি করা যায়। আপনি সেখানে পোষ্টের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার রেজিস্ট্রেশন করা ডোমেইন টি চড়া মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন।

ডোমেইন নেম কিভাবে কিনবেন?
বর্তমানে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের বিক্রি করে থাকে

যেমন ডোমেইন ডটকম (Domain.com)

গো ড্যাডি ডটকম (GoDaddy.com)

নেমচিপ ডটকম (Namecheap.com)

নেম ডটকম (Name.com)

গুগল ডোমেইন (Google Domains)

ইনোম ডটকম (Enom.com)

ডায়না ডট ডটকম (Dynadot.com)

নেমসিলো ডটকম (NameSilo.com)।

এসব ওয়েবসাইট গুলো বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন বিক্রি করে থাকে। আপনি এইসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার নির্দিষ্ট নাম দিয়ে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। আর ডোমেইন নামটি যেন বেশি শব্দের না হয়, এমন নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন।

যে নাম গুলো সহজে যেন মনে রাখা যায়, অথবা এমন একটি ইউনিক নাম বেছে নিয়ে রেজিস্ট্রার করবেন। যেটা বানান করতে সহজ হয়। আর হ্যাঁ সব সময় ডটকম (.com) ডোমেইন নেয়ার চেষ্টা করবেন। এর পরে ডট ওআরজি (.org) অথবা ডট নেট (.net) এই তিনটি ডোমেইন ছাড়া অন্য কোন ডোমেইন কখনো কিনতে বা রেজিস্ট্রেশন করতে যাবেন না।

ডটনেট, ডট ওআরজি এবং সবচেয়ে বেশি দাম ডটকম ডোমেইনের। তাই সব সময় বেশির ভাগ ডটকম ডোমেইন কে প্রাধান্য দিবেন। একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে প্রায় ৮ থেকে ১০ ডলারের মতো খরচ হবে। আপনি এভাবে ১০ থেকে ২০ টি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করে ডোমেইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ধরলাম আপনি ১০টি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করলেন। এতে আপনার প্রায় ১০০ ডলারের মতো খরচ হল। আপনি ১০ টি ডোমেইন এর মধ্যে ১ টিই বিক্রি করতে পারবেন ১০০ ডলার।

ডোমেইন নেম কিভাবে বিক্রি করবেন ?
ডোমেইন বেচা কেনার এমন অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। এসব ওয়েবসাইট কমিশনের মাধ্যমে আপনি তিন থেকে ছয় মাস পরে বিটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। এইসব ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে খুব সহজে ডোমেইন বিক্রি করতে পারবেন।

আপনার কেনা ডোমেইনটি তিন থেকে ছয় মাস পরে বিটের মাধ্যমে অথবা নির্দিষ্ট দামে বিক্রি করতে পারবেন। বিটের মাধ্য়মে বিক্রি করার নিয়ম হলো আপনি আপনার ডোমেইনটা ১০০ ডলার বিড করলেন। আর সময় দিলে ৭ দিন।

এখন যদি কেউ আপনার ডোমেইনটা কিনতে চায় তাহলে ১০০ ডলার বিড করলো। দেখা গেলো অন্য কেউ আবার ১৫০ ডলার বিড করলো। যে বপশি বিড করবে সেই ডোমেইন টা কিনতে পারবে। অথবা আপনি ১০০ ডলার দাম ও ডোমেইন নাম দিয়ে সেল পোস্ট করলেন।

এখন কেউ যদি ১০০ ডলার দিয়ে কিনতে চায় তাহলে সরাসরি ১০০ ডলার দিয়ে কিনতে পারবে। এভাবে আপনার ১০ ডলারের ডোমেইন টা ১০০ ডলারে বিক্রি করতে পারেন।

ডোমেইন কিনে বিক্রি করার ব্যবসাটি খুবই সহজ যদিও যারা না বুঝেন তারা ইউটিউবে বা গুগলে একটু ঘাটাঘাটি করে জেনে নিতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই ডোমেইন কিনতে পারবেন এবং খুব সহজেই ডোমেইন বিক্রি করতে পারবেন।

যদিও প্রথম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার একটু সমস্যা হতে পারে তবে ভয়ের কোন কারণ নেই। যত সমস্যা থাকুক সব সমস্যার সমাধান করার রাস্তা ও রয়েছে।

চাইলে আজ থেকেই শুরু করে দিতে পারেন ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা। যদি আপনি আমার পোষ্টটি এখনই পড়ে থাকেন তাহলে এখন থেকেই চাইলে ডোমেইন গুলো কিনে রেখে দিতে পারেন এবং পরবর্তীতে সেই সব ডোমেইন গুলো খুব চড়া মূল্যে বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।

ডোমেইন নেম বিক্রি কিভাবে বিক্রি করবেন ?
ডোমেইন নেম কেনা যেমন সমস্যা রয়েছে তেমনি বিক্রি করার মধ্যেও কিছু সমস্যা রয়েছে। এই সব সমস্যার সমাধান এ যদি আপনি পারফেক্ট না হন তাহলে দেখা যায় অনেক সময় আপনি নির্দিষ্ট দামে আপনার ডোমেইন বিক্রি করতে পারবেন না।

কেননা দেখা যায় আপনার ডোমেইন নেমটি হঠাৎ ৫০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। তাই সবসময় মার্কেট ভ্যালু দেখে আপনি আপনার ডোমেইন বিক্রি করবেন। আপনার ডোমেইনটি যত পুরোনো হবে ততই আপনার ডোমেইনটির দাম আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে।

কখনো কমবে না, তবে হ্যাঁ সবসময় মনে রাখবেন ডোমেইন নেম টা যেন ইউনিক এবং সহজে মনে রাখা যায় এমন হয়। আর সবসময় ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে ডোমেইন নেমটি রেজিষ্ট্রেশন করবেন। হাবি জাবি নামে কোন ডোমেইন কিনবেন না।

আর ডোমেইন এর শব্দ যত পারা যায় কম যেন হয়। ৫ শব্দের হলে বেশি ভালো হয়। যেমন Catlove দিয়ে একটি ডোমেইন কিনলেন। সহজে মনে রাখা যায় cat love। এখন যদি catlover ডোমেইন কিনতেন তাহলে সহজে মনে না থাকার কারনে আপনার ডোমেইন তেমন ভ্যালু পাবে না।

তাই সব সময়ে সঠি শব্দের ডোমেইন কিনবেন।

ডোমেইন পার্কং কি?

ডোমেইন পার্ক হলো ধরুন আপনি খুব ভালো নামের একটি ডোমেইন কিনে রেখেছেন যার চাহিদা হয়তো ভবিষ্যৎএ খুব বাড়তে পারে সেটাকে বিক্রীর জন্য কোন সাইটে রাখা তাই হচ্ছে ডোমেইন পার্কিং। যেমন ধরুন ওয়াল্ডর্কাপ ২০১১ বা আইপিএল ২০১২ এরকম বিভিন্ন ইভেন্টের ডেমোইন আগেই কিনে রাখলেন পরে তারা যখন ওই ডোমেইন খুজবে না পেয়ে আপনার ডোমেইনটি কিনতে চাইলেই আপনার পোয়াবারো বিশাল দামে বিক্রী করতে পারবেন অনয়াসেই। আর যদি বিক্রি না হয় তবে যে আপনার খুব বেশি ক্ষতি হবে তা কিন্তু নয়। কেননা আপনার ডোমেইনে যে এ্যাড প্রদর্শিত হবে তা থেকেই উঠে আসবে আপনার বার্ষিক ডোমেইন রি-নিউ খরচ। তবে এজন্য কিন্তু আপনাকে কম হলেও কিছুটা এসইও জানতে হবে। ডোমেইন পার্কের জন্য পরিচিত একটি প্লাটফর্ম হচ্ছে গুগল। যেটি দেখতে পাবেন গুগল এ্যাডসেন্সে লগইন করার পরে। কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে – http://goo.gl/zAA55 । প্রতি বছর প্রচুর পরিমান ডোমেইন বিক্রি হয়ে থাকে এ সাইট থেকে।

কোথায় করবেন পার্ক?

ডোমেইন পার্ক করার জন্য সবচেয়ে ভাল হল Sedo.com এবং এখানে বিক্রীর সুযোগও সর্বাপেক্ষা বেশী। তাই আমার মতে ডোমেইন পার্ক করতে চাইলে প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত অবশ্যই সেডো। অবশ্য গুগল এডসেন্সও ডোমেইন পার্ক করতে পারেন। ## কিভাবে করবেন পার্ক সেডোতে পার্ক করার জন্য প্রথমেই রেজিষ্ট্রশন করুন। এরপর পার্ক ডোমেইন ট্যাব থেকে ডোমেইন লিস্টেড করলেই হবে। তবে এখানে একটু জটিলতা আছে তা হল তাদের এগ্রিমেন্ট ডাউনলোড করে তাতে আপনার স্বাক্ষর দিয়ে তা আবার তাদের মেইল করতে হবে তারপরই আপনার একাউন্ট থেকে পার্ক করা যাবে। ## কিভাবে হবে আয়? আপনারা যদি পার্ক করা ডোমেইন www.worldcup-t20.com টি দেখে থাকেন তবে অবশ্যই খেয়াল করবেন ওখানে কোন কনটেন্ট নেই আছে বিভিন্ন স্পন্সর লিংক যেহেতু মূল জায়গা গুলোতেই স্পন্সর লিংক তাই স্বাভাবিকভাবেই ক্লিকের পরিমান বেশী হবে। আর আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এখানে ক্লিক প্রতি আয়ও খারাপ না। আর আপনার ডোমেইনটি পার্ক করার সাথে সাথে যদি বিক্রীর জন্যও রেখে থাকেন তবে তা যেমন মার্কেটপ্লেসে দেখাবে তেমনি তা আপনার সাইটের পেজেও দেখাবে যে এটি বিক্রীর জন্য আছে অবশ্য সেডোর মার্কেট প্লেস থেকেই বিক্রী হয় বেশী। তবে সমস্যা যেটি তা হল আপনার আয় ২৫০ ইউরো না হলে আপনি তুলতে পারবেন না যা ডোমেইন বিক্রী না হলে হতে একটু সময়ই লাগে যদি আপনার ডোমেইনটি জনপ্রিয় না হয়। অবশ্য বিক্রী হলে কিন্তু এক তুড়িতেই এই অংক ছাড়িয়ে যাবার ঢের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পার্ক করলে বিক্রীর চিন্তায়ই করা উচিত। ## কোথা হতে আসে এই অর্থ? ডোমেইন অনেকেই পার্ক করে তার মধ্য কেউ কেউ তাদের ডোমেইনকে দ্রুত বিক্রীর জন্য পার্ক করা অন্য ডোমেইন গুলোর পেজে এড দেয়ার জন্য অর্থ প্রদান করে কতৃপক্ষকে। যেই স্পন্সর লিংকগুলোই শো করে পার্ক করা ডোমেইন এর পেজে। ## কিভাবে হাতে পাবেন টাকা? অনেকেই বলবেন যে আয় তো হলো কিন্তু টাকা পাবেন কিভাবে? এটাও খুব ইজি কারন সেডো থেকে টাকা পেপাল ছাড়া ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি ট্রান্সফার করা যায়। তাই কোন ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত টাকা হাতে পেয়ে যাবেন যদি আয় করতে পারেন।

পার্ক ডোমেইন এর সুবিধা কি কি?

ভালো ডোমেইন নিয়ে যদি পার্ক করেন তাহলে অবশ্যই সেটি ভালো দামে বিক্রি হবে। এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। মাত্র ১০ ডলারে কেনা www.unipaybank.com ৭ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। বারাক ওবামার নামে কেনা একটি ডোমেইন এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ডলার দাম উঠেছে। শুধুই কি বড় দামের আশায় ডোমেইন পার্ক করবেন? না, কারণ বড় দামের আশায় ডোমেইন পার্ক করলে কবে প্রত্যাশিত দাম পাবেন তা বলা দুরূহ। যদি আপনি কয়েক শ ডলারে ডোমেইন বিক্রির চিন্তা করেন তাহলে খুব সহজেই এর ক্রেতা পাবেন। কারণ একটি ডোমেইনের দাম মাত্র ৭৫০ টাকা বা ১০ ডলার। এখন আপনার মধ্যে প্রশ্ন আসতে পারে ১০ ডলারে কেনা একটি ডোমেইন কেনার পর যদি বিক্রি করতে না পারেন তাহলে প্রতিবছর ডোমেইন রিনিউ করতে হবে, এতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে। ক্ষতি হবার কোনো কারণ নেই, আপনি যে ওয়েবসাইটে ডোমেইনটি পার্ক করবেন সেখান থেকে আপনার কম হলেও ডোমেইন রিনিউ করার ফি উঠে আসবে। আরেকটি লাভ হবে সেটি হলো : আপনার ডোমেইনের ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে, যেটি ডোমেইন বিক্রি হবার অন্যতম কারণ।

পার্ক ডোমেইন এর অসুবিধা কিকি?

অনেকে ডোমেইন পার্কিং ব্যবসা শুরুর পর পরই অভিযোগ করে, খুব বেশি লাভ তো হচ্ছে না। তাদের জন্য জানা জরুরি, আপনি হয়ত মাসে ৫০,০০০ ডলার শুধু ডোমেইন পার্কিং থেকে আয় করতে পারবেন না। কিন্তু একটি ডোমেইন বিক্রি করে এর চেয়ে বেশিও আয় করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য। ডোমেইন পার্কিং ব্যবসাকে রিস্ক ফ্রি বলা হয়, কেননা এক বছর যে কোম্পানিতেই ডোমেইন পার্কিংয়ে থাকুক না কেন, তাতে বছরে কিছু না হলেও রিনিউ এর টাকা উঠে আসে।

ডোমেইন পার্কিং ব্যবসা সম্পর্কে ন্যূনতম না জেনেই অনেকে শুরু করেছে এ ব্যবসা। সে ক্ষেত্রে ভুল নাম নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো লাভের মুখ দেখছে না। এ ছাড়াও পার্কিংয়ের মাধ্যমে আয় করার প্রযুক্তিটা সম্পর্কে ধারণা না থাকার ফলে শুধু ডোমেইনই কিনে যাচ্ছে। ফলে প্রতি বছর রিনিউয়ের সময় গুনতে হচ্ছে বড় অঙ্কের টাকা। তাই পুরো পদ্ধতিটার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে তারপর শুরু করা উচিত এ ব্যবসা। আশা করি উপরোক্ত বিষয়টি জানার পর একটু হলেও এ পদ্ধতি পরিষ্কার হয়েছে।

সংগ্রহ ইন্টারনেট থেকে

Leave a Reply