তুর্কী ওসমানী সাম্রাজ্য: প্রবল পরাক্রমশালী অটোমান শাসকদের পতন হয়েছিল যেভাবে

তুরস্কের একজন গোত্রপতির হাত ধরে বহু বছর ধরে যে বিশাল সাম্রাজ্যের জন্ম হয়েছিল, তার পতন হতে সময় লেগেছিল মাত্র কয়েক বছর।

 

একের পর এক যুদ্ধ দিয়ে যারা ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দেশ দখল করে নিয়েছিল, একটি মহাযুদ্ধ সেই সাম্রাজ্যকে কয়েক বছরের মধ্যেই ধ্বংস করে দিয়েছিল।

 

বিদেশি ভাষায় বা ইংরেজিতে অটোমান সাম্রাজ্য বলে বর্ণনা করা হলেও, তুরস্কের ভাষায় সেই সাম্রাজ্যের নাম ওসমানী সাম্রাজ্য। তার দলের সদস্যদের বলা হতো ওসমানী। তুরস্কের ভাষায় ওথমান।

 

বর্তমান তুরস্কের আনাতোলিয়ার ছোট একটি এলাকা থেকে এই রাজত্বের শুরু হয়েছিল, পরবর্তীতে তা লাখ লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।

 

তবে ছয়শ বছর ধরে তৈরি হওয়া সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিল আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগে, মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে।

 

অটোমান রাজত্বের শুরু

অটোমান সুলতানদের পূর্বপুরুষ তুরকিকরা ছিলেন মধ্য এশিয়ার বাসিন্দা। তারা ছিলেন অনেকটা যাযাবর গোষ্ঠী।

 

সেখান থেকে দশম শতকে তারা পার্সিয়া বা আধুনিক ইরানের ভেতর দিয়ে নিজেদের বসবাসের উপযোগী জমির সন্ধানে অভিবাসন শুরু করেন।

 

‘ওসমান’স ড্রিম’ বইয়ে গবেষক ও ইতিহাসবিদ ক্যারোলিন ফিঙ্কেল অটোমান সাম্রাজের প্রতিষ্ঠা থেকে পতন পর্যন্ত ঘটনাবলীর বর্ণনা করেছেন।

 

একাদশ শতকের দিকে তারা আর্মেনিয়া এবং আনাতোলিয়ার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সময় ওই এলাকা ছিল বাইজেন্টাইন রাজত্বের অধীনে। প্রাচীন রোমান সেই শাসকদের জৌলুশ ততদিনে কমতে শুরু করেছে।

 

কে ছিলেন অটোমান সম্রাট সুলতান সুলেমান?

তুরস্কে গত পাঁচ বছরের যে ঘটনা মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে

তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে কোন কোন দেশ

ইতিহাসবিদদের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে একটি সালতানাত বা রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেলজুক রাজবংশ। তাদের পক্ষে সীমান্ত এলাকায় লড়াই করে ভূমি বরাদ্দ পেয়েছিলেন এরকম একটি অভিবাসন গোত্রপতি কাইর গোত্রের প্রধান এরতুরুল, যা পরবর্তীতে অটোমান বেলিক নামে পরিচিতি পেয়েছে।

 

ইতিহাসবিদ স্যার এডওয়ার্ড শেফার্ড ক্রেসির ‘হিস্টোরি অফ দি অটোমান টার্কস, ফ্রম দি বিগেনিং অফ দেয়ার এমপায়ার টু দি প্রেজেন্ট টাইম’ বইতে সেই সময়কার ঘটনাবলীর বিস্তারিত বর্ণনা আছে।

 

তুরস্কের ভাষায় বেলিক মানে ছোট ছোট অধিপতি, যারা নিজেদের গোত্র বা বিশেষ এলাকা শাসন করতেন। সেলজুক নিয়মে এসব বেলিক প্রধানদের বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার নিশ্চয়তা দিতেন সুলতান। বদলে প্রয়োজনে তার পক্ষে যুদ্ধ করতে হতো। তবে তারা নিজেদের রীতিনীতি মেনে চলতে পারতো।

এরতুরুল থেকে ওসমান

সালতানাতের দূরবর্তী সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় কাইর গোষ্ঠী সেই এলাকার পশ্চিম আনাতোলিয়ায় বসবাসকারী অন্যান্য গোত্রের সঙ্গে মিলে একটি সামরিক শক্তি তৈরি করে।

মোঙ্গলদের হামলায় সেলজুক রাজত্বের অবসান হলে তাদের এলাকা বিভিন্ন বেলিক বা গোত্রপতিদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। তারা মোঙ্গলদের কর দিয়ে নিজেদের এলাকা শাসন করতেন।

এরতুরুল-এর মৃত্যুর পর গোত্রপতি হন তার সন্তান প্রথম ওসমান। তার নামেই পরবর্তীতে ওসমানী রাজত্ব বা অটোমান এমপায়ারের জন্ম হয়। তার দলের লোকজনদের ডাকা হতো ওসমানী।

‘ওসমান’স ড্রিম’ বইয়ে ক্যারোলিন ফিঙ্কেল লিখেছেন, বাইজেন্টাইন সীমান্তের কাছাকাছি তার গোত্র বসবাস করলেও, ওসমানের কথা জানা যায় ১৩০১ সালে যখন তিনি প্রথম বাইজেন্টাইন একটি বাহিনীকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। ওই যুদ্ধক্ষেত্র বাইজেন্টাইন রাজধানী কনস্টান্টিনোপল থেকে দূর ছিল না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি দেখতে চাইলে

তথ্য সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply