Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
শরীরের ফাটা দাগ দূর করার ক্রিমের নাম, মহিলাদের

ত্বকের ফাটা দাগ নির্মূল করতে | মাত্র ৭ দিনে গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ সহ শরীরের যেকোনো ফাটা দাগ দূর করার উপায়

মাতৃত্বকালীন দাগ একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। যে সকল মেয়েরা গর্ভধারণ করে তাদের পেটের চামড়া  পেটের চাপের কারণে ফেটে যায় এবং এটা বাচ্চা হবার পরেও থেকে যায়।

গর্ভ অবস্থায় এই ধরনের দাগ হওয়া অনিবার্য। ক্রমবর্ধমান পেটের বৃদ্ধির  জন্য জায়গা তৈরি করতে জরায়ু বড় হতে থাকে এবং এতে পেটের চারপাশের ত্বক প্রসারিত হয়। ত্বকের এরকম প্রসারণ এর ফলে ত্বকে ফাটল সৃষ্টি হলে সেখানে এক ধরনের সাদা দাগ তৈরি হয়ে যায় এবং ত্বকের কোলাজেন এ ফাটলকে পূর্ণ করতে পারে না।

যার ফলে লম্বা দাগের সৃষ্টি হয়ে যায়। কিছু হরমোন থাকে যেটা টান পড়লেও যেন ফেটে না যায় তার জন্য কাজ করে। শরীরে সেসব হরমোনের উৎপাদন কম থাকলেও এই দাগ গুলো হয়ে থাকে।

শুধুমাত্র মোটা মানুষের ওপরে বা নারীদেরই পরে তা কিন্তু নয় অনেক হালকা পাতলা মানুষদের ও এ দাগ হতে পারে। পুরুষদেরও হতে পারে এক্ষেত্রে প্রথমে লাল নীল সবশেষে ফাটা দাগ দেখা যায়।

শিশুর জন্মের আগে অনেক ধরণের দাগ দেখা যায় । তবে এর পিছনে কিছুটা বংশগত কারণ ও থাকতে পারে।

ফাটা-দাগ

শিশু জন্মের আগে গর্ভ কালীন দাগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

এখন আমরা জানবো কি করে আমরা এই ধরনের দাগ গুলো কমাবো।  অর্থাৎ প্রতিরোধমূলক অবস্থা গ্রহণ করা।ত্বক সুন্দর এবং মোলায়েম দেখাতে এবং গর্ভাবস্থায় যেসকল দাগ দেখা যায় সেগুলো দুর করতে আমাদের যে সকল উপায় অবলম্বন করতে হবে সেগুলো হল

  • শিশু গর্ভে বেড়ে উঠার সাথে সাথে পেটে চারপাশে নিচের দিকে উপরের দিকে চাপ পড়ে বলে জায়গাগুলোতে স্ট্রেচ মার্ক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাহলে যেখানে স্ট্রেস হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন স্থানগুলোতে আস্তে আস্তে মালিশ করুন দিনে দুইবার।

মনে রাখবেন খুব বেশি চাপ দেওয়ার প্রয়োজন নেই ধীরে ধীরে মালিশ করুন। শুকিয়ে যাবার পরে গোসলের সময় আস্তে আস্তে ধুয়ে ফেলুন।

  • ভিটামিন B ও ভিটামিন  K,  ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের যত্নে  এসব ভিটামিন সাহায্য করে। এটি কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন সি-এর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের পুনর্জন্ম হতে সাহায্য করে।
  • পানি পানি শরীরকে বিষ মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং আপনার ত্বকে স্ট্রেসের চাপকে খুব মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় অবশ্যই ৬  থেকে ৮  গ্লাস পানি পান করতে হবে।
  • সাধারণত মনে করা হয় যে গর্ভবতী নারীর ব্যায়াম করা ঠিক নয়।  এবং তারা শুধু বিশ্রাম করবে। কিন্তু এই ধারণাটি একেবারেই ঠিক নয়। গর্ভবতী নারীর ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ব্যায়াম করলে অভ্যন্তরীণ জন্ম প্রক্রিয়াটি সহজ এবং লেবার পেইন ম্যানেজ করতে সাহায্য করে। ব্যায়াম করলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে। শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এবং অনেক বেশি অক্সিজেন দহনে সাহায্য করে। অধিক অক্সিজেন ও রক্ত চলাচল ত্বক টানটান হতে সাহায্য করে। যার ফলে ফাটলের সৃষ্টি হয় না।
  • হাঁটা, সাঁতার কাটা এই ধরনের ব্যায়াম প্রেগনেন্সির সময় অনায়াসে করা যায়।তবে পেটে চাপ পড়ে বা বেশিক্ষণ দম বন্ধ করে রাখতে হয় এমন ব্যায়ামগুলো প্রেগনেন্সির সময় করা যাবে না।

এছাড়া প্রেগনেন্সি পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো আপনার নিতে হবে, শরীরের প্রেগনেন্সি দাগগুলো কমানোর জন্য এতক্ষণ ধরে যে  উপায়গুলো বললাম সেগুলো হলো গর্ভাবস্থায় সন্তান যখন গর্ভে থাকে।

এখন যেগুলো বলবো সেগুলো সন্তান জন্ম দেওয়ার পরবর্তী উপায়

যে সকল উপায়ে ব্যবহার করলে মাতৃত্বকালীন জন্মদাগ গুলো আপনি খুব সহজে দূর করতে পারবেন, এর জন্য যে সকল উপকরণ গুলো আপনার ব্যবহার করতে হবে্‌

  • ডিমের সাদা অংশ ঘরে থাকে। প্রতিদিন প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আমরা সবাই ডিম খেতে পছন্দ করি। ডিমের সাদা অংশ আমাদের নিয়েআলাদা করে ফেলতে হবে।  এখন ডিমের সাদা অংশ গর্ভ জনিত দাগ দূর করার জন্য খুবই ভাল একটি উপাদান। ডিমের অ্যামাইনো এসিড ও প্রোটিন ত্বকে নতুন জীবন দান করতে সক্ষম।  প্রতিদিন গোসলের আগে ডিমের সাদা অংশ কাটা চামচ দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে দাগের মাঝে মেকআপ ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে।  পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • পেট পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিয়ে লাগাতে হবে অলিভ অয়েল। এ পদ্ধতি দুই সপ্তাহ পালন করলে পেটের দাগ চলে যাবে অনেকাংশেই।
  •  এরপরে যে উপকরণগুলো লাগাতে হবে সেটি হলো লেবু।  ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করার জন্য লেবুর তুলনা মেলা ভার।  লেবু যেহেতু এসিড তাই এর রস যেকোনো দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী।

লেবুর টুকরো করে কেটে নিয়ে পেটের দাগের অংশে লাগিয়ে ভালো মতো করে মাস্যাজ করে নিতে হবে তিন থেকে চার মিনিট।  ম্যাসাজ করার পর ১০  মিনিটের জন্য লেবুর রস পেটে রেখে দিতে হবে। এরপর উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। লেবুর রসের সাথে খানিকটা শসার রস লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।  মাতৃত্বজনিত দাগ হালকা করার জন্য এটি খুবই কার্যকরী উপাদান।

  • আলুর রস এই ধরনের দাগ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি  আমাদেরকে যেভাবে ব্যবহার করতে হবে তা হল, বাজারে পাওয়া যায় এমন বড় আলুর রস খুব ভালো কাজ দেবে। এই কাজে একটি বড় সাইজের আলু নিয়ে চামড়া গুলো আলাদা করে নিয়ে ফেলতে  হবে। এরকম রস নিয়ে লাগাতে হবে এবং শুকিয়ে  গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • মাতৃত্বজনিত দাগ এর জন্য এলোভেরা জেল সরাসরি লাগানো যায়।  একটি অ্যালোভেরার পাতা নিয়ে চামচ পরিমাণ জেল পাতা থেকে তুলে নিয়ে দাগের জায়গায় লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহখানেক করলে আপনার দাগ কমে আসবে ইনশাল্লাহ।

ত্বকের এই ফাটা দাগ দূরীকরণ যেন এক অসম্ভব কাজ। কিন্তু না, এখন আর অসম্ভব নয়। বরং খুব সম্ভব। কীভাবে জানতে চান?

১. গ্লাইকলিক অ্যাসিডযুক্ত বিভিন্ন বিউটি পণ্য যেমন টোনার, ক্লিনজার ও ময়শ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এই অ্যাসিড ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

২. ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করুন। দিনে ৩ বার ফাটা দাগের উপর ম্যাসেজ করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম না পেলে সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টটি দিনে ৩ বার খেতে হবে।

৩. প্রতিদিন ৩ বার ফাটা স্থানের উপর ডিমের সাদা অংশ ৫-১০ মিনিটের জন্য ম্যাসেজ করুন। যতদিন দাগটি নির্মূল না হয় ততদিন এই পদ্ধতিটি শরীরে এ্যাপ্লাই করে যাবেন।

৪. শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে লেবুর একটি টুকরা নিয়ে দাগের উপর ১৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

৫. ফাটা দাগ নির্মূলে বিভিন্ন ধরণের তেল মিশিয়ে দাগের উপর প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন। উপকার পাওয়া যাবে।

৬. চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে তা প্রতিদিন ফাটা দাগের উপর প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন।

৭. এর জন্য আরেকটি প্রসেজ এ্যাপ্লাই করতে পারেন। এটি হল একটি আলু নিয়ে তা মোটা করে ২ টুকরা করে ফাটা দাগের উপওে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এর রস ভালো মত লাগলে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন স্থানটি।

৮. ঘৃতকুমারির পাতা নিয়ে এর ভেতর থেকে জেলী সদৃশ অংশটি বের করে দাগের উপরে লাগিয়ে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৯. এপ্রিকট ফলের বিচি ফেলে দিয়ে এর পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন প্রতিদিন ২ বার।

১০. প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, ডিমের সাদা অংশ, দই, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, তরমুজের বীজ খাবেন। এগুলো আপনার ত্বককে জলযোয়িত রাখবে। শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়তা করবে।

শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক তথা ফাটা দাগ দেখা দিতে পারে বহু কারণে। গর্ভাবস্থায় তলপেট, কোমর, নিতম্বে সবচেয়ে বেশি ফাটা দাগ তৈরি হয়। এছাড়া বাড়তি ওজন ও বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের বাড়ন্ত সময়ে ঘাড়, হাত-পা, পিঠসহ বহু স্থানেই চামড়া ফেটে ফাটা দাগ দেখা দেয়।

প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন, ত্বকের ফাটা দাগ কখনোই পুরোপুরি দূর হয় না। কারণ একটি স্থানের চামড়া প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রসারিত হওয়ায় ত্বকের উপরিভাগে ফাটা দাগ তৈরি হয়। এই দাগ সম্পূর্ণভাবে দূর না হলেও কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের ঘরোয়া ব্যবহার ফাটা দাগকে অনেকখানি কমিয়ে আনতে ও হালকা করতে সাহায্য করবে।

অ্যালোভেরা

 

ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা অনন্য এক উপাদান। বিশেষত ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালোভেরার গুরুত্ব ও উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। কারণ এতে থাকা আরামদায়ক উপাদান ও ধর্ম ত্বককে প্রশান্তি এনে দেয়। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টমূলক ধর্ম ত্বকের ক্ষতকে সারিয়ে তুলতে কাজ করে। যা ত্বকের ফাটা দাগকে অনেকখানি হালকা করে আনে। ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা পাতার জেল সরাসরি ফাটা দাগযুক্ত স্থানের উপর ম্যাসাজ করতে হবে ১০ মিনিট। এরপর শুকানো জন্য অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানিতে স্থানটি ধুয়ে নিতে হবে।

শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ

 

প্রাকৃতিকভাবেই লেবুর রসে থাকা অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের ফাটা দাগকে কমিয়ে আনতে এবং শসার রসের আরামদায়ক অনুভূতি ত্বকে প্রশান্তি এনে দিতে কাজ করে। ব্যবহারের জন্য সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে ফাটা স্থানে ম্যাসাজ করতে হবে। অন্তত দশ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানিতে স্থানটি ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করে নিতে হবে।

ডিমের সাদা অংশ ও অলিভ অয়েল

 

ডিমের সাদা অংশে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও প্রোটিন। যা ত্বকের ফাটা দাগকে কমিয়ে আনতে কাজ করে। অন্যদিকে অলিভ অয়েল ত্বককে তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা প্রদান করে কোমল রাখে। যা ফাটা স্থানের ফাটাভাব প্রসারিত হওয়া রোধ করে। ব্যবহারের জন্য দুইটি ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে সমানভাবে অ্যাপ্লাই করতে হবে। স্থানটি শুকিয়ে আসলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের সময় ত্বকের উপর হালকাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

শরীরের ফাটা দাগ দূর করার ক্রিমের নাম, মহিলাদের পেটের দাগ দূর করার ক্রিম, এর নাম শরীরের ফাটা দাগ কেন হয়, শরীরের ফাটা দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়, শরীরের ফাটা দাগ দূর করার উপায়, বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস ক্রিম, গর্ভাবস্থায় পেটে কালো দাগ, শরীরে কাটা দাগ মেশানোর, উপায়,ত্বকের ফাটা দাগ নির্মূল করতে

Leave a Reply