দেখেনিন দেশের সবথেকে লম্বা পরিবারের সাথে, পায়ের জুতো বিদেশ থেকে আনাতে হয়!

প্রত্যেক মানুষের সুপ্ত বাসনা থাকে লম্বা হওয়ার। এমনকি প্রত্যেক মা-বাবাই চান যেন তাদের বাচ্চা যথেষ্ট লম্বা হয়। সেই কারণে প্রত্যেক মা-বাবা তাদের বাচ্চাকে শৈশব থেকেই নানা রকম ব্যায়াম ও শরীরচর্চার মাধ্যমে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। মানুষের উচ্চতা তার খাওয়া-দাওয়ার উপর নির্ধারণ করে তা কিন্তু নয় ; মানুষের উচ্চতা তার বংশগত কারণেও হয়ে থাকে।

বংশপরম্পরায় কোন কোন পরিবারের প্রত্যেক মানুষই অনেক লম্বা হয়ে থাকেন। আবার বংশানুক্রমিকভাবে কোন পরিবারের সদস্যরা বেঁটে হয়ে থাকেন। এটিকে জিনগত প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে। এ রকমই এক পরিবার হচ্ছে মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনের কুলকার্নি পরিবার। এই পরিবারের সব থেকে ছোট সদস্যের উচ্চতা 6 ফুট 4 ইঞ্চি। সরোদ কুলকর্ণী এবং তাঁর পত্নী সঞ্জত কুলকর্ণী বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা জুটির রেকর্ড তৈরি করেছেন।

পরিবারের প্রধান অর্থাৎ সরোদ কুলকর্ণী উচ্চতা হচ্ছে 7 ফুট 1.5 ইঞ্চি এবং তার স্ত্রী সঞ্জত কুলকর্ণীর উচ্চতা হচ্ছে 6 ফুট 2.5 ইঞ্চি। এই কারণে 1989 সালে তারা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে উচ্চতা বিশিষ্ট জুটির খেতাব পেয়েছেন। তাদের নাম লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে রয়েছে। কিশোর বয়স থেকেই এত লম্বা উচ্চতার জন্য তিনি স্পোর্টস জয়েন করেন এবং তিনি দেশের হয়ে বাস্কেটবলও খেলেছেন।

অদম্য তামান্নাকে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ফোন

এরপর তিনি 1988 সালে সঞ্জতকে বিবাহ করেন। এই দম্পতি দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তাদের প্রথম প্রথম সন্তান মুরুগার উচ্চতা হল 6 ফুট 1 ইঞ্চি সেখানেই তাদের ছোট কন্যা সানিয়া 6 ফুট 4 ইঞ্চি লম্বা। ভারতীয় পাবলিক ট্রান্সপোর্টের উচ্চতা সাড়ে 5 ফুট। কুলকার্নি পরিবার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন না। কারণ – তাদেরকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টর মধ্যে দীর্ঘ সময় ঘাড় নিচু করে যাতায়াত করতে হয়।

তাই তারা বেশিরভাগ সময় পায়ে হেঁটে না হলে নিজেদের ব্যক্তিগত স্কুটিতে যাতায়াত করেন।

এই পরিবারটি ভারতের মধ্যে সবথেকে উচ্চতা বিশিষ্ট পরিবারের রেকর্ড তৈরি করেছে। এছাড়াও এই পরিবারটি আরও অনেক রেকর্ড তৈরি করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই পরিবারের নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নেয়। এত লম্বা কারণে এই পরিবারের ছোট ছোট চাহিদাগুলি মেটানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

৬ বছর ধরে কুমিরটির গলায় আটকে ছিল টায়ার

কারণ তাদের শরীরের মাপের পোশাক ও তাদের পায়ের মাপে জুতো পাওয়া যায় না। তাই তাদের ইউরোপীয় দেশ থেকে এই সব নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আনাতে হয়। এছাড়াও যাতে তাদের বাড়িতে চলাফেরা করতে অসুবিধা না হয় সেজন্য তাদের বাড়ির দরজা-জানালা 6-8 ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। এত লম্বা হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ তাদের দিকে অনেক অবাক ভাবে এবং অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকেন তবে। শেষে একটাই কথা বলা উচিত যে কোন মানুষকে এরকম ভাবে বিচার করা ঠিক নয় প্রত্যেক মানুষের সাথে নৈতিক ভাবে আচরণ করা উচিত। সবার মধ্যেই কিছু না কিছু বিশেষ গুণ থাকে।

Leave a Reply