নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে ও বাংলায় (পাঁচটি রচনা)

ইন্টারভিউ কিংবা বিভিন্ন জায়গাতে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন হলো, নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে বলা। আপনি যত সুন্দর এবং স্মার্ট পদ্ধতিতে নিজের সম্পর্কে বলতে পারবেন, আপনার চাকরির নিশ্চয়তা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

নিজের সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু্ই জানি। আমাদের সম্পর্কে আমাদের চেয়ে আর ভালো কে জানবে! কিন্তু, যখন আমাদের নিজেদের সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হয় তখন, অনেক সময় বলতে পারি না। মানুষ যখন আপনার সম্পর্কে জানবে, তখন আপনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে। আপনি কেমন, আপনি কি পছন্দ করেন এ সম্পর্কেও মানুষ জানতে পারবে।

কিভাবে নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে বলা যায় তা আজ আমরা জানবো। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু কিছু বাক্য ভিন্ন হতে পারে। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এক রকম হবে। নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে দেয়া হলো।

Set. 01

নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে

এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা  দেখুন 

১. My name is Dilruba = আমার নাম দিলরুবা।

২. I am from Mirpur = আমি মিরপুর থেকে এসেছি।

৩. I live in Dhaka = আমি ঢাকায় বাস করি।

৪. I was born at Narsingdi = আমি নরসিংদীতে জন্মগ্রহণ করেছি।

৫. I have completed graduation and post graduation from National University = আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছি।

৬. There are 4 members in my Family = আমাদের পরিবারে সদস্য সংখ্যা চারজন।

৭. I am the elder daughter of my family = আমি পরিবারের বড় মেয়ে।

৮. At present I am a teacher = বর্তমানে আমি একজন শিক্ষিকা।

৯. My Hobby is gardening = আমার শখ বাগান করা।

১০. I like to read Novels = আমি বই পড়তে পছন্দ করি।

উপরের বলা বাক্য গুলো সাধারন। একজন মানুষ তার নিজের সম্পর্কে বলতে গেলে সাধারনত এই বাক্যগুলো বলে থাকে। তবে, কোন কোন ক্ষেত্রে এইগুলো একটু পরিবর্তন হয়ে থাকে। কারণ, সব মানুষ এক রকম হয় না। এক এক মানুষ এক এক রকম হয়ে থাকে।

  • Related: ইংরেজিতে নিজের পরিচয় দেওয়া ও লেখার নিয়ম।

তাই, তাদের ব্যক্তিত্ব ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আর যেহেতু নিজের সম্পর্কে বলার মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্ব ও ফুটে উঠে তাই, বাক্য বলার ধরন ও ভিন্ন হয়।

সাধারনত তিন ধরনের ব্যক্তিত্ব দেখা যায়। যথা:

১. Extrovert

এই ধরনের ব্যক্তি চরিত্র গুলো খুব উচ্ছ্বল, প্রানবন্ত ও হৈ হুল্লোড় প্রিয় হয়ে থাকে। এই ধরনের মানুষ তার পরিচয় দেওয়ার জন্য সাধারনত নিচের বাক্যগুলো ব্যবহার করতে পারে।

  • I like to travel-
    এর মানে হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো আপনি খুব পছন্দ করেন। ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর ফলে আপনি অনেক ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হতে পছন্দ করেন।
  • I feel good to talk to people-
    এর মাধ্যমে আপনি বুঝাতে চাচ্ছেন যে আপনি বিভিন্ন অপরিচিত মানুষের সাথে কথা বলতে, তাদের চিন্তা ভাবনা সম্পর্কে জানতে পছন্দ করেন।
  • I like socializing-
    এর মাধ্যমে আপনি প্রকাশ করবেন যে আপনি সামাজিক বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে সানন্দে যোগদান করেন।
  • I like to make new friends-
    এর মাধ্যমে আপনি প্রকাশ করবেন যে আপনি সবার সাথে মিশতে পছন্দ করেন এবং খুব সহজেই সবার বন্ধু হতে পারেন।

এখানে নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে দেয়ার ক্ষেত্রে উপরের ৪টির যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারেন অথবা ৪টিই ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা এই রকমের যেকোন বাক্য ব্যবহার করতে পারেন।

বিসিএসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সুশান্ত পালের জীবনের গল্প!

২. Introvert

ইন্ট্রোভার্ট চরিত্রগুলা একটু চুপচাপ স্বভাবের হয়ে থাকে। এর খুব বেশি মানুষের উপস্থিতি বা ভিড় এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে থাকে। এই স্বভাবের মানুষ তাদের পরিচয় দেওয়ার ক্ষেত্রে নিচের বাক্যগুলো ব্যবহার করতে পারে।

  • I like to be alone- এর মাধ্যমে আপনি বুঝাবেন যে আপনি খুব বেশি কথা বলা পছন্দ করেন না। কেউ আপনার সাথে বেশি কথা বলুক সেটা ও আপনার পছন্দ নয়। একটু নিরিবিলি পরিবেশ আপনার পছন্দ।
  • I like to share my feelings only close friends-
    এর মানে হচ্ছে আপনি সবার সাথে খোলামেলা ভাবে কথা বলতে পছন্দ করেন না। আপনার কাছের বন্ধু খুব কম এবং আপনি তাদের ছাড়া আর কাউকে সময় দেন না।
  • I love to listen more than speak-
    এর মাধ্যমে আপনি বুঝাবেন যে আপনি কথা কম বলা পছন্দ করেন। নিজে কথা বলার চেয়ে অন্যের কথা শুনতে আপনার আগ্রহ বেশি।

নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে দেয়ার ক্ষেত্রে উপরের বাক্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা এই রকমের যেকোন বাক্য ব্যবহার করতে পারেন।

৩. Ambivert

Ambivert স্বভাবের মানুষ গুলোর দুই ধরনের ব্যক্তিত্বই দেখা যায়।  Extrovert এবং Introvert।  এরা সাধারনত পরিবেশ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে নিজেদের ইচ্ছা পরিবর্তন করতে পারে। এরা একাও থাকতে পারে আবার সবার সাথে খুব সহজেই মিশে যেতেও পারে। এমন হলে সাধারনত নিচের বাক্যগুলো দ্বারা নিজেকে প্রকাশ করা যাবে।

  • I can change myself based on the situation-
    এ দ্বারা আপনি বুঝাবেন যে আপনি যেমন বিভিন্ন উৎসবে যোগ দিয়ে হৈ হুল্লোড় করতে পারেন। আবার তেমনি প্রয়োজনে খুব চুপচাপ, একাকি ও কাটাতে পারেন।
  • Sometimes it feels bore to talk other people-
    এর মানে হচ্ছে আপনি সাধারনত সবার সাথে আলাপ পরিচয় করতে পছন্দ করেন কিন্তু, কখনো কখনো আপনার এত কথা বলতে বিরক্তও লাগে।
  • I like to talk with people when any interesting topic comes-
    এ দ্বার আপনি বুঝাবেন যে সাধারনত আপনি চুপচাপ থাকেন কিন্তু যখন কোন মজার জিনিস বা মজার ঘটনা আলোচনা করা হয় তখন আপনি সেখানে কথা বলা পছন্দ করেন।

উপরের বলা বাক্যগুলো হলো নিজের সম্পর্কে বলা সাধারন কিছু বাক্য।

আমরা যখন নিজেকে অন্যের কাছে পরিচিত করাতে যাই তখন, আমাদের নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে হয়। নিজের সম্পর্কে বলা সুন্দর সু্ন্দর বাক্যগুলোর দ্বারা সামনের মানুষটি প্রভাবিত হয় এবং তার মধ্যে বিশ্বাস ও ভরসার জন্ম হয়।

তবে, যখন কোন চাকরির ইন্টারভিউ দেয়া হবে তখন যদি নিজের সম্পর্কে বলতে বলা হয় সেই বাক্যগুলো খুব সতকর্তার সাথে বলতে হবে। নিজেকে তাদের সামনে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরতে হবে।

ইন্টারভিউতে নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন প্রশ্নটির উত্তর কিভাবে দিব?

নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে

১. নিজের অভিজ্ঞতার সম্পর্কে বলুন

চাকরি ক্ষেত্রে নিজের সম্পর্কে বলতে বলা হলে খুব সুন্দর ভাবে সংক্ষিপ্ত আকারে নিজের শিক্ষা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে হবে। ঠিক কি কারণে চাকরিদাতা আপনাকে চাকরি দিবে এবং আপনার দ্বারা তারা কি কি উপকার পাবে এই বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে। এর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

২. নিজের শক্তিশালি দিক গুলি তুলে ধরুন

প্রতিটি মানুষেরই কিছু কিছু স্ট্রং পয়েন্ট থাকে। কিছু পজিটিভ দিক থাকে। ইন্টারভিউ দেয়ার সময় এই বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে।

৩. আপনি অন্যদের থেকে কেন আলাদা তা তুলে ধরুন

কাজ করার ক্ষেত্রে বা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্য সবার থেকে আপনার মধ্যে আলাদা কি গুণ আছে তা তুলে ধরতে হবে। আবার এটা হতে পারে কোন নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা যেটা অন্যদের নেই।

৪. নিজের ব্যক্তিগত কিছু তথ্য বলুন

সব কিছু বলার পর নিজের সম্পর্কে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দেয়া যায়। যেমন আমি ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি বা বই পড়তে পছন্দ করি। তবে নিজের সম্পর্কে বেশি কথা না বলাই ভালো।

  • Related: চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল।

চাকরির ইন্টারভিউ দেয়ার সময় রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিষয়ে কোন কথা না বলাই শ্রেয়। চাকরির ইন্টারভিউওতে যে নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে বলতে হবে এমন নয়। উনারা যদি স্পেসিফিক করে বলে ১০টি বাক্য কেবল তখনই বলবেন।

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করার সময় নিজের সম্পর্কে কিছু বলা

কারো সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করার সময় যদি নিজের ব্যক্তিত্ব তুলে ধরতে হয় তাহলে নিচের কাজগুলো করা যায়।

নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে

১. অন্যের প্রতি আগ্রহ দেখানো

কেউ যখন কোন কথা বলতে তখন তা মন দিয়ে শোনা উচিত এবং মাঝে মাঝে কথার উত্তর দেয়া উচিত। কারো সাথে কথা বলার সময় তার দিকে তাকিয়ে কথা বলা উচিত বা কথা শোনার সময় ও তার দিকে তাকানো উচিত।

২. বুঝে শুনে কথা বলা

কারো সাথে পরিচিত হবার সময় নিজের সম্পর্কে খুব বেশি কথা বলা যাবেনা। খেয়াল রাখতে হবে সামনের মানুষটি যেন বিরক্ত না হয়।

৩. নিজের খুশি শেয়ার করা এবং অন্যকেও উৎসাহিত করা

নিজের আনন্দ সবার সাথে শেয়ার করার পাশাপাশি অন্যের আনন্দে ও সামিল হতে হবে।

৪. কথা বলার মাঝে বিরতি নেয়া

নিজের সম্পর্কে খুব বেশি কথা বলা যাবে না। যদি এমন হয় যে নিজের সম্পর্কে আরো অনেক কথা বলা জরুরি তখন মাঝখানে থেকে সামনের জন কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে তার থেকে উত্তর জানতে হবে। তারপর আবার নিজের কথা বলতে হবে।

উপসংহার

আশা করি উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল যে কিভাবে নিজের সম্পর্কে অন্যের কাছে বলবেন। নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করবেন। আশা করি, নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে বলতে বললে এখন আর আপনার মনে কোন ভীতি কাজ করবে না।

একসঙ্গে জন্ম তিন ভাই-বোনের, একসঙ্গেই জিপিএ-৫ পেয়েছেন চারবার

Set. 02

নিজের সম্পর্কে পাঁচটি লাইন বলতে বলা হলে আপনি কোন কথাগুলো বলবেন?

আমার দাদুর সাত ছেলে সাত মেয়ে।বাবা ১০ নম্বর।ভাগাভাগি হয়নি এখনো।বুঝতেই পারছেন আমি বিশাল এক জনসমুদ্র মারকা পরিবারের সন্তান। বিশাল পরিবারে কেবল আমার মায়ের কাছেই আমি আদর্শ ছেলে।বাকী সবাই বেয়াদব বলেই জানে।পরিবারের নবাগত সন্তানদের শেখানো হয় “ওর মতো জানোয়ার হইয়ো না”।তাতে ঠিক আমার তেমন কিছু যায় আসেনা।তাদের চোখে আমার মাঝারি দোষ হলো আমি কখনো বিসিএস প্রিলিমিনারিতে বসিনি।বড় দোষ না বলি।

,

আমি প্রচুর ধুমপান করি।এবং পরিবারে একমাত্র আমিই করি। আমার মায়ের সামনে যাবার কয়েক ঘন্টার মধ্যে কখনোই ধুমপান করিনা।কেবলমাত্র মা এ বিষয়ে কথা বললেই আমার অনুশোচনা হয়।শুধু তার কথাতেই আমি মাঝে মাঝে ছেড়ে দেই।আর বাকী সবাই কি বলে তা আমার কাছে উলুবনের মুক্তা।

,

সংসারের ব্যাপারে আমি বেশ দায়িত্ব-জ্ঞানহীন। আমার বউ এ ব্যাপারটা জানে এবং বোঝে।ও ঠিক আমার ১ বছরের ভার্সিটি এবং বাস্তবেও সিনিয়র হওয়ায় বিষয়টাকে ছেলেমানুষি হিসেবে কাউন্ট করলেও এসবের আড়ালে আমি ওকে পৃথিবীর সবার থেকে বেশী ভালোবাসি এবং মেনে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করি।

,

আমার দ্বারা আমার থেকেও গরীব কিংবা অসহায় কেউ কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং হবেও না।আমার অসহায়কে হারাতে ভালো লাগেনা।যে দু’পয়সা দিতে পারেনা তার থেকে কিছু আপোসে নেওয়াটা ছিনতাইয়ের শামিল।

,

আমি সবসময় পরাজিতের পক্ষে।আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করা শুরু করি এই নিতী থেকেই।সামাজিক জীবনেও আমার হেরে যাওয়া মানুষের পক্ষ নিতে ভালো লাগে।এইজন্য আমি ওনেক মারামারির রাজ-অপরাধী।এখন কেউ শুধু শুধু থাপ্পড় মাড়লে চোখ উচু করে শুধু দেখি কে মারলো,সে দুর্বল হলেও প্রতিবাদ করতে এখন আর ভালোলাগেনা।

,

মুসলিম এবং আস্তিক হওয়ায় আমি স্বভাবতই ইসলামিক নিয়মগুলিকে শ্রদ্ধা করি। তবে বাকী সব ধর্মের কথা শুনতেও আমার ভালো লাগে এবং মনের সাথে মিলে গেলে আমি সেগুলিকেও শ্রদ্ধা করি।আমার নাস্তিক বন্ধুদেরকে আমি ঘৃণা করিনা।আমার মনে হয় এটাও একটা ধর্ম যার বৈশিষ্ট্য হলো-আমরা ধর্মে বিশ্বাস করিনা।যেহেতু আমার কবরে ও যাবেনা তাই ওর পরিবর্তন আমাকে ভাবায় না।

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১১ মার্চ শিক্ষকবন্ধন কর্মসূচি শুক্রবার সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে।

Set. 03

চাকরির ইন্টারভিউ : যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ

আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন?- প্রশ্নের উত্তর কিভাবে দিবেন

চাকরির সাক্ষাৎকারে যে প্রশ্নের সম্মুখীন প্রায়শই হতে হয় তাই হল নিজের সম্পর্কে বলা। সাধারণত সাক্ষাৎকারের শুরুতেই নিয়োগকর্তা এই ধরণের প্রশ্নটি করে থাকেন। বলা হয় এই একটি প্রশ্ন ঠিক করে দেয় চাকরিদাতা আপনাকে নিবেন কি নিবেন না। আবার এটিই অন্যতম সুযোগ নিজেকে দক্ষ হিসেবে নিয়োগকর্তার কাছে তুলে ধরা। কিন্তু কিভাবে এবং কেমন করে জানাবেন আপনার সম্পর্কে , কিভাবে বলবেন আপনার কথা। আসুন জেনে নেই।


কেন এই প্রশ্নটি করা হয়

প্রশ্নটির উত্তর জানার আগে জেনে নেয়া উচিত চাকরিদাতারা এই প্রশ্নটি কেন করে থাকেন। তাহলে উত্তরটি তৈরি করতে সহজ হয়। নিয়োগকর্তা এই প্রশ্নটি করে থাকেন কারন:

১. তিনি আপনাকে জানতে চান , অর্থাৎ আপনি প্রার্থী হিসেবে কতটা যোগ্য তা বুঝতে চান।

২. আপনি নিজেকে কত ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন তা দেখতে চান।

৩. সর্বোপরি আপনার ভেতরের জড়তাকে ভেঙে আপনাকে সহজ ও সাবলীল করে তুলতে চান যাতে পরবর্তী প্রশ্নগুলোতে আপনি সহজ ও সাবলীল ভাবে উত্তর দিতে পারেন।


যা বলবেন

আপনার সম্পর্কে বলুন। কেবল আপনার সম্পর্কে। কোনো ভাবেই অপ্রাসঙ্গিক কিছু বলা যাবে না। মনে করুন আপনি একটি দোকানে মোবাইল কিনতে গেছেন, আপনার চোখে একটি সুন্দর মোবাইল পড়লো, তো যথারীতি আপনি সেলস ম্যানকে জিজ্ঞাসা করলেন মোবাইলের ফিচার সম্পর্কে বলতে।ভাবুন ঠিক এই সময় যদি সেলস ম্যান মোবাইলটি কিভাবে বানানো হয়েছে তা বলে আপনি কি আর শুনতে আগ্রহী হবেন নাকি মোবাইলের ফিচার সম্পর্কে বললে, যা আপনার কাজে আসবে তা শুনতে আপনি বেশি আগ্রহী হবেন? আপনার সম্পর্কে বলাটাও ঠিক এমন। এমন কিছু বলুন যা চাকরিদাতাদের আপনার সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলে। এমন কিছু নয় যা অপ্রাসঙ্গিক। অর্থাৎ এমন কিছু যা অন্য প্রার্থীদের থেকে আপনাকে আলাদা করে। আপনাকে সব থেকে সেরা প্রার্থী হিসেবে প্রমাণ করে। তাই এই ক্ষেত্রে যা বলতে পারেন তা হলো:

১. নিজেকে দিয়ে শুরু করুন , আপনার স্কুল , পড়ালেখা , কোন বিষয়ের উপর পড়ালেখা করেছেন তা বলুন।

২. কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য থেকে থাকলে তা উল্লেখ করুন – যেমন স্কলারশিপ, প্রথম স্থান অধিকার করা ইত্যাদি।

৩. তবে আপনার যদি কাজের অভিজ্ঞতা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলুন, আপনার সাফল্য , প্রাপ্তি , দক্ষতা ইত্যাদি বক্তব্যের মাঝে তুলে ধরুন।

৪. যে দুটি গুণ সম্পর্কে বলেছেন তার প্রমাণ দিন , কেন মনে করেন এইগুলো আপনার ভালো গুণ।

৫. একটি দুর্বলতার কথা বলুন, এবং সাথে সাথে বলুন কিভাবে দুর্বলতাকে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন।

৬. ২ থেকে ৩ মিনিটে পুরো বক্তব্যটি শেষ করুন।


যা বলবেন না

এই ধরনের প্রশ্নের জবাবে, কিছু জিনিস যা কখনোই বলা ঠিক নয়, এই বিষয়গুলো হলো:

১. আপনার পারিবারিক বিষয়গুলো তুলে আনা , যেমন আপনার বাবা কি করেন , মা কি করেন , পরিবারে কয়জন ইত্যাদি।

২. যে পদের জন্য সাক্ষাতকার দিচ্ছেন তার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় বা কোনো ভাবেই সংশ্লিষ্ট পদে কাজে আসবে না এই রকম কোনো গুণের কথা বলা।

নিজের সম্পর্কে আমরা সবাই জানি।কিন্তু সঠিকভাবে নিজেকে তুলে ধরতে না পারলে তা কখনোই ভালো ফল এনে দিতে পারে না। অন্যদিকে নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন শত শত প্রার্থী থেকে নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরতে সহায়তা করে। যা একজন সফল কর্মীর পরিচায়ক। তাই নিজেকে জানুন আর নিজেকে তুলে ধরুন সফল ভাবে।

নিজের সম্পর্কে প্যারাগ্রাফ, নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন, এর উত্তর ইন্টারভিউ প্রশ্ন এবং উত্তর, ইংরেজিতে ইন্টারভিউতে নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন ,প্রশ্নটির উত্তর কিভাবে দিব নিজের সম্পর্কে সমালোচনা করুন, নিজের সম্পর্কে কিছু স্ট্যাটাস ফেসবুকে নিজের সম্পর্কে ইংরেজিতে নিজের পরিচয়
তথ্যসূত্র :priyocareer

Leave a Reply