Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
নৃশংস এক সৎমা, মাটি খুঁড়ে তোলা হলো সন্তানের দেহ

নৃশংস এক সৎমা, মাটি খুঁড়ে তোলা হলো সন্তানের দেহ

শিশু নিখোঁজের ঘটনায় সৎমাকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সৎমা সন্ধান দেন নিহত শিশুর। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বসতঘরের খাটের নিচের মাটির ভেতর থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। বিজ্ঞাপন নিহত শিশু আহম্মদ শাহ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের শাহ মিরান হাবিব উল্যার ছেলে। আটক কোহিনুর রামগঞ্জ উপজেলার উত্তর দরবেশপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। কোহিনুর মিরানের দ্বিতীয় স্ত্রী। পুলিশ সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার উত্তর দরবেশপুর গ্রামের চৌকিদারবাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে পুলিশ তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। থানা পুলিশ জানায়, কোহিনুর তিন দিন আগে স্বামীর বাড়ি (হাজীগঞ্জ) থেকে আহম্মদকে নিয়ে রামগঞ্জে বাবার বাড়িতে আসেন। ছেলেকে সঙ্গে নেওয়ার বিষয়টি বাবা মিরানের জানা ছিল না। পরে তিনি একা স্বামীর বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু বাবা ছেলের হদিস পাচ্ছিলেন না।

পরে মিরান রবিবার (২৮ আগস্ট) হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে অবগত করেন। এ সময় ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে পুলিশ মিরানের বাড়ির আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে দেখা যায়, শিশু আহম্মদ সৎমা কোহিনুরের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল।

স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছেন, এক বছরের সন্তানকে কোলে নিয়েই রিকশা চালান রাজেশ

কিন্তু ফেরার সময় কোহিনুর একাই এসেছেন। পরে পুলিশ কোহিনুরকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে তিনি শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পুলিশকে কোহিনুর জানান, বাবার বাড়িতে নিয়ে তাকে হত্যার পর ঘরের মধ্যে খাটের নিচে পুঁতে রাখা হয়েছে।

এরপর কোহিনুরকে নিয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় উত্তর দরবেশপুর গ্রামের বাড়ির ঘরে পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, শিশু নিখোঁজ হওয়ার জিডির সূত্র ধরে সৎমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক আটক

এরপর তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে রামগঞ্জ থানার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদি সৎমায়ের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে বলেন, শিশুকে হত্যার পর দা দিয়ে মাটি খুঁড়ে খাটের নিচেই পুঁতে রাখা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত কোহিনুর পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। কী কারণে, কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় হত্যা মামলা হবে।

Leave a Reply