প্রতিবন্ধী হয়েও সফল যারা #সফলতার_গল্প_অনুপ্রেরণামূলক

পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন যারা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে পৌঁছে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কর্মই তাদের গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়েও একজন মানুষ সফল হতে পারে সেটা দেখিয়েছেন তারা। বিশ্বের এমন ১০ জন বিখ্যাত মানুষ রয়েছেন যাদের কাছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যা তারা অনায়াসেই জয় করেছেন।

স্টিফেন হকিং: বিখ্যাত এই পদার্থ বিজ্ঞানী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হন। ২১ বছর বয়সেই তিনি অ্যামিওট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস (এএলএস)-এ আক্রান্ত হন। ফলে তিনি কথা বলা ও চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।

জন ন্যাস: যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা গণিতবিদ। গেলো বছর পরপারে পাড়ি জমান বিখ্যাত এ গণিতজ্ঞ। তিনি প্যারানয়েড স্রিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হন। এই রোগে মস্তিষ্কের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। চিন্তাশক্তি হারিয়ে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ন্যাস গণিত নিয়ে নতুন নতুন খোঁজ চালিয়ে যান। জ্যামিতি ও ক্যালকুলাসের জন্য বিখ্যাত তিনি।

ক্রিস্টি ব্রাউন: বিখ্যাত এই আইরিশ লেখক সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত হবার পরেও হাল ছাড়েননি। লিখে গিয়েছেন। দু’হাত অসাড় থাকার কারণে পায়ে টাইপ করে বইয়ের স্ক্রিপ্ট লিখতেন। তার আত্মজীবনী ‘মাই লেফ্‌ট ফুট’ বিশ্বে সাড়া জাগানো গ্রন্থ।

ডেমোস্থিনিস: আথেন্সের এই বক্তার জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৪-তে। তার বাণী শোনার জন্য লোক ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতেন। তার বাণী ছিল অনুপ্রেরণার। এই মহান বক্তা কিন্তু তোতলা ছিলেন। সেই প্রতিবন্ধকতা পেরিয়েই তিনি নিজেকে বিশ্বখ্যাতকরেছিলেন।

ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ: বিশ্বখ্যাত এই চিত্রশিল্পী মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। তারপরেও তার হাত থেকে রত্ন চিত্র বেরিয়ে এসেছে একের পর এক।

ফ্রিডা কাহলো: নিজের ছবি আঁকাতে অন্যতম সেরা এই চিত্রকর। অন্যের নয় নিজের ছবি আঁকতেই বেশি ভালবাসতেন তিনি। মহান এ চিত্রশিল্পী পোলিও রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

হেলেন কেলার: আমেরিকার খ্যাতনামা লেখক ও সমাজসেবী। জন্ম থেকেই তিনি দৃষ্টিহীন ও বধির। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা তাকে কখনো দমাতে পারেনি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন তার মতো মানুষদের অনুপ্রাণিত করতে। নিজের কর্মের মাধ্যমে তিনি পৌঁছে গেছেন অন্য উচ্চতায়

মারলা রুনিয়ান: মার্কিন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেট। বিশ্ব বিখ্যাত এ দৌড়বিদ ৩ বার ৫ হাজার মিটার চ্যাম্পিয়ন।

৯ বছর বয়সেই স্টার্গার্টস রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তারপরেও তিনি অলিম্পিকে অংশ নেন। তিন বার ৫ হাজার মিটার চ্যাম্পিয়ন হন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে ঘরে আটকে রাখতে পারেনি। নিজ কর্মে অমর হয়ে থাকবেন সবার কাছে।

সুধা চন্দ্রন: ভারতীয় এ ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী সুধা চন্দ্রনের জন্ম কেরালাতে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। অস্ত্রোপচারের পর তার পা কেটে ফেলা হয়। কিন্তু দমে যাননি তিনি। অসীম মনের জোর নিয়ে কৃত্রিম পা লাগিয়ে ফের মঞ্চে ফিরে আসেন স্বমহিমায়। জয় করেন গোটা বিশ্বকে।

The fastest man on two hands: Meet Zion Clark

The fastest man on hands, Zion The fastest man on hands, Zion The fastest man on hands, Zion

“No excuses,” says the incredible Zion Clark (USA), the fastest man on two hands

For some people, no obstacle is hard enough to overcome. They don’t make excuses but instead achieve their goals no matter what the odds are. Zion Clark is one such man who has defied all odds, time and again, to set Guinness World Records not once but three times.

The wrestler was born without legs because of a rare condition called Caudal Regression Syndrome. He set the record for being the world’s fastest man on two hands on February 15, 2021, when

The fastest man on hands, Zion

he walked 20m on his hands in just 4.78 seconds. And now he has set two other world records. A video posted by the official Twitter account of Guinness World Records Wednesday shows Clark attempting to break two records.

“গনিম-আল-মুফতাহ্”

কাতারের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং বিখ্যাত একজন ব্যক্তি।। কারণ,, এনার হাত ধরেই বেজে উঠলো ফিফা বিশ্বকাপের দামামা।। 2022 সালের বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলের আসরের উদ্বোধন করলেন গনিম-আল-মুখতাহ্।।” আল বাইয়াত ষ্টেডিয়ামের এই অনুষ্ঠান উপভোগ করলো গোটা বিশ্বের ফুটবল প্রেমী মানুষ।।

“গনিম-আল-মুখতাহ্” এর শরীরের নিচের অংশ নেই,, জন্মের আগেই দুটো পা হারিয়ে ফেলেন।। “কোডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম” রোগে আক্রান্ত গনিমের শরীরের নিম্নাংশ না থাকা সত্বেও তিনি গোটা কাতার তথা আরব দুনিয়ার একজন রোল মডেল।। আরবের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর ভক্ত,, সমর্থকবৃন্দ।।

তিনি একজন বিশ্ববিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পীকার।। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে উজ্জীবিত,, বর্ণময় হয়ে ওঠে হাজার বর্ণহীন জীবন।।

গনিম যখন মাতৃগর্ভে রয়েছেন,, তখনই আলট্রা-সাউন্ড মেশিনে ধরা পড়ে তাঁর শরীরের অবিকশিত অংশ।। ডাক্তার গর্ভপাতের নিদান দেন।। কারণ,, অপূর্ণাঙ্গ সন্তানের জন্ম দেওয়ার চেয়ে তাকে জঠরে হত্যা করে দেওয়া শ্রেয়।।

গনিমের মাতা-পিতা এই সিন্ধান্ত মেনে নিতে পারলেন না।। কারণ,, ইসলামের নিদান অনুযায়ী গর্ভপাত হলো চূড়ান্ত অপরাধ।।

মাতা “ইমান-উল-আবদেলি” এবং পিতা “মুহাম্মদ-আল-মুফতাহ্” এটাকে মহান আল্লাহর সিন্ধান্ত হিসেবে মেনে নিয়ে,, বিকলাঙ্গ সন্তানের জন্ম দিলেন।। মাতা পিতার উদ্দেশ্যে বলেন – “আমি হবো সন্তানের বাম পা,, আর,, তুমি হবে তার ডান পা।। আমরা দুজনে সন্তানকে কখনো নিম্নাংশের অভাব টেপ পেতে দেবো না।।”

5-ই মে 2002 সালে পৃথিবীর আলো দেখেন গনিম।। শিশুকাল থেকেই পদে পদে সামাজিক বঞ্চনার শিকার হয়ে পড়েন তিনি।। স্কুল,, খেলার মাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে অপমানিত করা হতো।। তিনি এসবের তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যেতেন নিজ পথে,, একেবারে নিজস্ব ছন্দে।। বন্ধুদের বোঝাতেন – তাঁর অসম্পূর্ণ শরীরের জন্য তিনি মোটেও দোষী নন।। আল্লাহ তাঁকে যে পরিমাণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ প্রদান করে পাঠিয়েছেন,, এর জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।।

নিজের সহপাঠী,, বন্ধুবান্ধব-কে এসব বোঝাতে বোঝাতে নিজের অজান্তেই তিনি হয়ে ওঠেন একজন মোটিভেশনাল স্পীকার।।

একদিন যাঁর ভুমিষ্ট হওয়া নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ ছিলো,, তাঁর হাতে উদ্বোধন হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত এক প্রতিযোগিতার আসর।।

কাতারের 20 বছর বয়সী প্রতিবন্ধী যুবক আজ সেদেশের শান্তির দূত হিসাবে গোটা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গেছেন।। এছাড়া তিনি একজন মোটিভেশনাল স্পীকার,, কবি,, সাহিত্যিক,, দারুণ বক্তা হিসাবে আরব দুনিয়া তথা গোটা বিশ্বের কাছে সমাদৃত।।

আজ তিনি কাতার সরকারের প্রধান প্রতিনিধি হিসাবে বিশ্বের দরবারে নিজের পরিচিতি তুলে ধরলেন।।

ধন্যবাদ,, গনিম-আল-মুফতাহ্।।”

আপনি প্রমাণ করে দিলেন,, শারিরীক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে কোনো অন্তরাল হয়ে উঠতে পারে না।।

এসব বিখ্যাত মানুষ শত প্রতিকূলতা পার হয়েও নিজেকে বিখ্যাত করেছেন সবার কাছে। নিজ আলোয় উজ্জল করেছেন গোটা বিশ্বকে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনো তাদের আটকে রাখতে পারেনি। এসব বিখ্যাত ব্যক্তি প্রমাণ করেছেন অদম্য ইচ্ছাশক্তি মানুষকে বড় করে তোলে।

Leave a Reply