প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২২ এপ্রিল

প্রাথমিকের ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।

কেন্দ্রীয়ভাবে এই পরীক্ষা চার ধাপে ঢাকায় নেয়ার কথা থাকলেও অবশেষে পরীক্ষাটি নেয়া হচ্ছে জেলা পর্যায়ে। দেশের ৬১ জেলায় একযোগে নেয়া হবে প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ পরীক্ষাটি।

সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের সাথে জুম সভায় প্রাথমিকের ডিজি (ডিপিই মহাপরিচালক) এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সারা দেশের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ ছাড়া এ পরীক্ষাটি জেলা পর্যায়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক মত এসেছে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন সংক্রান্ত চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৮ এপ্রিল থেকে সরকারি প্রাথমিকের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে পারে। পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ পরীক্ষা আগামী ১৩ মে শেষ হবে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮, ১৫ ও ২২ এপ্রিল এবং ১৩ মে বিকেল ৩টায় গ্রহণের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও বলা হয়, উল্লিখিত তারিখসমূহে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রদানের অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন: রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বন্ধ নিয়ে গুজব, সতর্ক করল মন্ত্রণালয়

গত ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ১ এপ্রিল পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়।

৪০তম বিসিএসের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৯৬৩

সভায় জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে।

এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত অনলাইন

Leave a Reply