বর্তমান সময়ের প্রথম সারীর 23 জন ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক সেক্যুলারের এর লিস্ট। The most notorious 4th bengali

নাস্তিক্যবাদ, মূলত ব্যাপক অর্থে বলতে বুঝায়, উপাস্যদের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস প্রত্যাখ্যান করা। নেতিবাচক অর্থে, নাস্তিক্যবাদ হলো, যে কোন উপাস্যের অস্তিত্বে অবিশ্বাস করা। সর্বাধিকভাবে, কেবল উপাস্যদের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাসের অভাবের কারণে নাস্তিক্যবাদ গড়ে উঠে।

ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক

বর্তমান সময়ের প্রথম সারীর  শীর্ষ বাঙালী 23 সেক্যুলারের

বর্তমান সময়ের কুখ্যাত চার জন বাঙালি নাস্তিক আছেন যারা ইসলামের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন।তাদের কারণে লাখ লাখ তরুণ যুবসমাজ আজ বিভ্রান্তে আছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে ইসলাম ত্যাগ করে ফেলেছেন। এর পেছনে এই চার জন নাস্তিকের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তারা ইসলাম ত্যাগ করে বর্তমানে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বসে তারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে ইসলাম সম্পর্কে নানারকম কটূক্তি এবং নবী রাসুল ও আল্লাহ পাক সম্পর্কে অপপ্রচার করছেন। আজ এমন কুখ্যাত চার জন বাঙালি নাস্তিক সম্পর্কে আলোচনা করব।

প্রথম সারীর ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক এর লিস্ট।

সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত জন বাঙালী নাস্তিক

বাংলার বিখ্যাত প্রথম সারীর  জন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকএর তালিকা যারা এই বাংলাদেশে নাস্তিকতার জন্ম দিয়ে পবিত্র দিন ইসলামের বিরোধিতা করে গেছে ও করছে ।

 বাউল লালন শাহঃ সুবিধাবাদী সেক্যুলার। কোন ধর্ম পালন করতো না। জীবনে যতবার গাঁজা টেনেছে ততবার ভাত খেয়েছে কিনা সন্দেহ। দেশের সকল নাস্তিক লালন বলতে অজ্ঞান। লালনের অনুসারিরা লালনের জন্মদিনে গাঁজা খাওয়ার উৎসব করে থাকে। লালন এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতো যেখানে ধর্ম বলে কিছু থাকবে না, হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান এরকম কোন ধর্মীয় পরিচয় মানুষের থাকবে না।

আরও পড়ুন:করোনা দেশের শিক্ষা-স্বাস্থ্যখাতের স্বরূপ উন্মোচন করেছে । অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন

আরজ আলী মাতব্বর: অতি সাধারন অশিক্ষিত এক কৃষক হয়েও সে বাংলার নাস্তিক সমাজের মধ্যমনি। ইসলামী জ্ঞানের স্বল্পতা থাকার দরুন না বুঝেই ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। কুরআন-হাদীসের ভূল ধরতে গিয়ে সে কেবল তার নের সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরতে পেরেছে।তবুও শুধুমাত্র ইসলাম বিরোধীতা করার কারনে নাস্তিকরা তাকে নিজেদের ধর্মগুরু বানিয়ে নিয়েছে।

আহমেদ শরীফ: নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই নাস্তিকের নাম জানে না। তার একটা বিখ্যাত উক্তি-“পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকার? নারীরাও যেভাবে খুশি যৌনাঙ্গ বিলাতে পারবে।” স্বঘোষিত নাস্তিক তার ইচ্ছা মেনে মৃত্যূর পর তার জানাজা এবং কবর কোনটাই হয়নি।

হুমায়ুন আজাদ: বাংলা সাহিত্যের অশ্লীল ও কুরুচিপুর্ণ লেখার জনক। সারাজীবন ধর্মের প্রতি বিষোদগার করে গেলেও মৃত্যূর পর ধর্ম মেনে ঠিকই তার জানাজা ও কবর দেয়া হয়েছে, সে এটাই চেয়েছিল কারন মুখে নাস্তিকতার বড় বড় বুলি আওড়ালেও মৃত্যূ পরবর্তী জীবন নিয়ে সম্ভবত সে ভীত ছিল। মেয়ে মৌলি আজাদের ভাষায়-মাত্রাতিরিক্ত সেক্সের প্রাধান্য থাকতো বাবার উপন্যাসে। তাই মাঝে মধ্যে বিরক্তই হতাম হুমায়ুন আজাদের কুখ্যাত কিছু উক্তি-এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি।মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমারহাত-পা বাঁধা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে।

কবি শামসুর রহমান: শামসুর রহমানের একটি কুখ্যাত উক্তি- আযানের ধ্বনি বেশ্যার খদ্দের ডাকার ধ্বনির মত মনে হয় নাউজুবিল্লাহ। এই একটা উক্তিই প্রমান করে শামসুর রহমান কি পরিমাণ ইসলাম বিদ্বেষী ছিল। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি কি চান আপনার কবর হোক আপনার খালার কবরের পাশে? নাস্তিকটা জবাব দিয়েছিল-আমি তো আমার কবর হোক এটাই চাই না।

তসলিমা নাসরিন: তাকে চেনে না এমন লোক খুব কমই আছে। তার একটি বিখ্যাত উক্তি-পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবে, তাদের স্তন সবাই দেখবে লেখক ইমদালুল হক মিলন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্র মুহম্মদ, সৈয়দ শামসুল হক, মিনার মাহমুদ সহ আরো অসংখ্য পুরুষ বৈধ/অবৈধভাবে তাকে ভোগ করেছে বলে তসলিমা তার আত্মজীবনিতে অভিযোগ করেছে!! সে কি মাপের ইসলামবিদ্বেষী সেটা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। সে নিজেকে নাস্তিক দাবী করলেও খেয়াল করলে দেখবেন তার যত ক্ষোভ, যত ঘৃণা সব কিছুই ঝাড়ে কেবল ইসলাম ধর্মের উপর। সনাতন ধর্ম কিংবা খ্রিস্ট ধর্ম অথবা ইহুদীদের নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা তেমন চোখে পড়ে না।

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীঃ তাকে তো সবাই চেনেন। বেশি কিছু বলার নাই। আলোচিত কিছু উক্তি-ধর্ম তামাক ও মদের মত একটি নেশা। মোল্লাদের কোন কাজ নেই তাই তারা ঘন ঘন মসজিদ তৈরি করেছে।টাকা ইনকামের জন্য আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ হজ্জের প্রবর্তন করেছিল। সভা-সমাবেশের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করা দরকার।

জাফর ইকবাল: বাংলাদেশের নাস্তিকতা প্রচারের মিশন দিয়ে আমেরিকার একটি বিশেষ সংস্থা তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বলে ধারনা করা হয়। তরুন সমাজকে নাস্তিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিজে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও জাফর এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে পেট চালায়। জাফরের দাবী সে পাকিস্তানের দোষর রাজাকারদের ঘৃণা করে,কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য ৭১ সালে পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার সমর্থন ও সামরিক সাহায্য দেয়া রাষ্ট্র আমেরিকার ব্যাপারে তার কোন চুলকানিই নেই। জাফর নিজে আমেরিকায় চাকরী করতো, এখন সে তার ছেলে-মেয়েদেরকেও আমেরিকা পাঠিয়েছে পড়াশোনা করার জন্য।

লেখক আনিসুল হকঃ সেক্যূলারপন্থী লেখক আনিসুল হক নাস্তিকপন্থী পত্রিকা প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক। ১৯৯১ সালে সে কুরআনের একটি সূরাকে ব্যঙ্গ করে প্যারোডি সূরা রচনা করে, বছরখানেক আগে তার ঐ লেখা পুনঃপ্রকাশিত হলে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সেক্যুলারপন্থী আনিসুল হক ভয় পেয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চায়। এরপর সে আরো কৌশলী হয়ে যায়, সরাসরি ইসলাম অবমাননা না করে এখন সে তার নাটক-সিনেমা ও পত্রিকা দ্বারা ইসলাম বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

সুলতানা কামাল: জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও বিয়ে করেছে শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী নামে এক হিন্দুকে।কপালে সবসময় একটা ট্রেডমার্ক টিপ থাকে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই কুখ্যাত সেক্যুলার। ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রতি সে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে থাকে। আসিফ মহিউদ্দিন নামক উগ্র নাস্তিককে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে যখন ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তখন সে আসিফকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। সারারাত থানায় অবস্থান করে নাস্তিক আসিফকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিল।

প্রবীর ঘোষ: বর্তমান সময়ের একজন খাটি নাস্তিক। কলকাতার নাস্তিকদের মধ্যে সে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সকল ধর্মের বিরোধী প্রবীর ঘোষ ধর্মমুক্ত একটি বিশ্ব চায়। তার অসংখ্য,ভক্ত-সমর্থক রয়েছে।

কবির চৌধুরী (গজবতুল্লাহ): চরমপন্থী এই নাস্তিক একবার বলেছিল- তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও ঐ কালেমা শুনাবে না, বরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে এই উগ্র নাস্তিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল এবং ৭১ সালে পাক সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু নাস্তিক হওয়ার কারনে আজ তার সাত খুন মাফ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা আজ তাকে মাথায় তুলে নাচে।সংবিধানে ’বিসমিল্লাহ’ রাখার ব্যাপারেও কবির চৌধুরী আপত্তি তুলেছিলো। আজ সে মালিক ফিসিস্তার তত্ত্বাবধান আছে ।

সৈয়দ শামসুল হক: এটা আরেক উগ্র সেক্যুলার। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও ছিল নোংরামিতে সিদ্ধহস্ত। তার একটা কবিতা হল এরকম-যখন দু’স্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ মুহুর্তেই ঘুচে গেল তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাশ আরেকটা কবিতা এরকম- শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ দুজনের দেহ ছিড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমাআর তা নেমে আসে স্তনের চুড়ায় যাদের সাহিত্যের ভাষা এমন নোংরা তারা সেক্যুলার/নাস্তিক হবে এটাই স্বাভাবিক। এরা যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করতো তাহলে সেটাই বরং আশ্চর্য্যের ব্যাপার হত।

মুনতাসির মামুন: এই স্বঘোষিত নাস্তিক একবার বলেছিল-সভা-সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা বা কুরআন পড়ার দরকার নেই। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান সরূপ। আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিছমিল্লাহ থাকবে সেজন্য দেশ স্বাধীন করিনি। ধর্ম যেমন ভন্ডামী তেমনি মৌলবাদিদের সব ভন্ডামী । বঙ্গ ভবনের দেয়ালে কুরান শরীফের আয়াত লেখা এটা একটা চরম ভন্ডামী মুনতাসির মামুনের দূঃসাহসী আরেকটা মন্তব্য-এদেশে এক জন মুসলমানও যত দিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে

আরও পড়ুন: হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

ব্লগার রাজীব (থাবা বাবা): এই নাস্তিক নবীজী উনাকে হযরত মহাউন্মাদ কিংবা মোহাম্মক (মহা+আহাম্মক) নামে ডাকতো (নাউজুবিল্লাহ)। হাদীসকে চটি গ্রন্থ এবং কুরআনকে সে কৌতুকের বই বলে আখ্যায়িত করতো। বিভিন্ন সময়ে আল্লাহ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সাহাবীদেরকে নিয়ে চটি গল্প লিখে “ধর্মকারী” নামক ব্লগে প্রকাশ করতো। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে সেগুলোর নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ঠাট্টা ও হাসি-তামাশা করতো। তার এসব কার্যকলাপ তাকে এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকের মর্যাদা দিয়েছে। তার বেশিরভাগ লেখাই প্রকাশযোগ্য নয়। তার কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে ৫ জন ধর্মপ্রাণ মুসলিম এই মুরতাদকে হত্যা করে জাহান্নামের টিকিট ধরিয়ে দেয়। তার মৃত্যুর পর সরকার এবং শাহবাগের অন্যান্য নাস্তিকরা তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করে!!

ফরহাদ মজহার: এই লিস্টে উনার নাম দেখে অনেকেই চমকে গেছেন!! তাইনা?? আওয়ামীলীগ-বিরোধী অবস্থান নেয়ার কারনে অনেকে তার আসল পরিচয় জানে না। এক সময় সে ছিল একজন কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক, বর্তমানে তার ভূমিকা বেশ রহস্যজনক। সে এখন আর আগের মত নাস্তিকতা প্রচার করে বেড়ায় না, বরং ইসলামপন্থীদের পক্ষাবলম্বন করে কলাম লেখে-বিবৃতি দেয়। কিন্তু সেটা যতটা না আদর্শগত কারনে তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কারনে। {{সে এখনো নাস্তিক আছে নাকি তওবা করে মুসলমান হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।তওবা করেছে কিনা জানিনা }} নব্বইয়ের দশকে “এবাদত নামা” নামে একটি ইসলাম বিদ্বেষী কাব্যগ্রন্থ লিখে সে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল। কয়েকটা লাইন উল্লেখ করছি: বিবি খাদিজার নামে আমি এই পদ্যটি লিখি, বিসমিল্লাহ কহিব না, শুধু খাদিজার নাম নেবো। নবীজীর নাম? উহু, তার নামও নেবোনা মালিক শুধু খাদিজার নাম- দুনিয়ায় আমি সব নাম ভুলে যাব তোমাকেও ভুলে যাবো, ভুলে যাবে নবীকে আমার। তার আরেকটা কবিতা আরো মারাত্মক-দুনিয়া রেজিস্ট্রি কর,তিলেক হিম্মত নাই আধা ছটাকের নাই তেজ সাত আসমানে প্রভু খোদাতা’লা হয়ে বসে আছ মুখে খালি কহ শুনি দুনিয়ার তুমিই মালিক অথচ মালিক অন্যে, অন্যে কহিতেছে তারা খোদা মালিক এ জমিনের -প্রত্যেকেই তোমার শরিক তোমার শরিক নাই এই কথা তবে কি বোগাস? এদের দলিল যদি মিথ্যা হয় যাও আদালতে উকিল ধরিয়া করো দুনিয়া রেজিস্ট্রি নিজ নামে

শফিক রেহমান: বাংলাদেশে “ভ্যালেন্টাইন ডে” নামক বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবর্তক। ১৯৯৩ সালে এই নাস্তিক সর্বপ্রথম তার পত্রিকা যায়যায়দিন এর মাধ্যমে এদেশে ভালবাসা দিবস এর প্রচলন ঘটায়। শফিক রেহমানকে বাংলাদেশের চটি সাহিত্যের জনক বলা হয়। অশ্লীলতার দিক দিয়ে হুমায়ুন আজাদও উনার কাছে নস্যি। শফিক “মৌচাকে ঢিল” নামক একটি সেমি-চটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক। এছাড়া বাংলাদেশে লিভ টুগেদার ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান শফিক রেহমানের। তার বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগও রয়েছে।

 কবি দাউদ হায়দারঃ বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠা স্বঘোষিত নাস্তিকদের অন্যতম সে। তার কবিতাগুলো অশ্লীলতা ও গালাগালীতে ঠাসা ।তার “জন্মই আমার আজন্ম পাপ”বইয়ের একটি কবিতার কয়েটি লাইন এমন–“শালা শুয়োরের বাচ্চা ….. কোথায় যাও হে…. আমরাই পাপীরে হারামজাদা…”। অন্য এক জায়গায় আলেমদের উদ্দেশ্য করে লিখেছে–“মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি….. আননে কি রুপের বাহার…….এক্ষনি পশ্রাবে ভরে দেব মুখ” ।
সে কালো সূর্যের কালো জ্যোৎসায় কালো বন্যায়’ নামে একটি কবিতা লিখেছিল। ঐ কবিতাতে সে নবী মোহাম্মদ (সাঃ), যিশুখ্রীষ্ট এবং গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কিত অবমাননাকর উক্তি ছিল যা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছিল। তখন বাংলাদেশে তৌহিদবাদী মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিবাদ শুরু করে। ঢাকার এক কলেজ-শিক্ষক ঢাকার একটি আদালতে এই ঘটনায় দাউদ হায়দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সরকার নাস্তিকটাকে ১৯৭৩ সালে নিরাপত্তামূলক কাস্টডিতে নেয়া হয়। ১৯৭৪ এর ২০ মে সন্ধ্যায় তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং ২১শে মে সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটা রেগুলার ফ্লাইটে করে তাকে কলকাতায় পাঠানো হয়। ওই ফ্লাইটে সে ছাড়া আর কোনো যাত্রী ছিল না। তার কাছে সে সময় ছিল মাত্র ৬০ পয়সা এবং কাঁধে ঝোলানো একটা ছোট ব্যাগ । তার ভাষায় -“আমার কোন উপায় ছিল না। মৌলবাদীরা আমাকে মেরেই ফেলত ।মুজিব সরকারও আমার মৃত্যু কামনা করছিল”।
এই দুনিয়ার কোথাও নাস্তিকদের জন্য নিরাপদ নয় । মালিকহীন লাওয়ারিশ কুকুর হয়ে পথে ঘাটে অথবা পতিতালয়ে তাদের পাওয়া যায়।

তাই ব্লগ ও ফেসবুকে অপপ্রচারের খপ্পরে পড়ে অথবা কৌতূহলবশত আরজ আলী মাতুববর কিংবা হাল আমলের নাস্তিককুল শিরোমণি ক্রিস্টোফার হিচেন্স, রিচার্ড ডকিন্সদের বইপত্র নাড়া-চাড়া করতে গিয়ে শিক্ষার্থী তরুণরা যেন বিভ্রান্তির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সেই সাথে নাস্তিক্যবাদী ও মুখোশধারী কবি-সাহিত্যিকদের নষ্ট সাহিত্য অধ্যয়ন থেকে বিরত থাকতে হবে। আর অভিভাবকদেরও দায়িত্ব হবে কোনোরূপ শিথিলতা না দেখিয়ে তাদের সন্তানদের শৈশব থেকেই ইসলামী চেতনায় সমুন্নত করা। যেন জীবনের উষালগ্নে তারা কোনরূপ বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত না হয়। আল্লাহ আমাদেরকে এই নাস্তিকদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দেয়ার তাওফিক দান করুন এবং এদের কূটচাল থেকে এ দেশের মুসলিম সমাজকে হেফাজত করুন। আমিন!

 

হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদঃ

বর্তমান সময়ের কুখ্যাত বাঙালিদের মধ্যে অন্যতম নাস্তিক হলেন মুফতি মাসুদ। তিনি একজন হাফেজ মাওলানা ও মুফতি।তিনি কিছুদিন আগে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন। তিনি দীর্ঘকাল ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পশ্চিম মানিকদি আল আমিন জামে মসজিদে ইমামতি করেছেন। জানা যায় তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ইমামতি করেছিলেন এই মসজিদে। এছাড়াও তিনি ঢাকার একটি বৃহৎ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ছিলেন। বর্তমানে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও ছেড়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছেন। তিনি নবি ও রাসুল সম্পর্কে বিভিন্ন কটূক্তি করে কথা বলছেন।

মুফাসসিল ইসলামঃ 

মুফাসসিল ইসলাম বর্তমান সময়ের আরেকজন কুখ্যাত নাস্তিক। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডে আছেন। তবে তার অবস্থান সম্পর্কে নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। কারণ তিনি নিজেকে গাঁ ঢাকা দিয়ে রেখেছেন।কেননা তিনি ইসলাম সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক অপপ্রচার করছেন যার ফলে বিশ্বের মুসলমান জাতি তার উপরে ক্ষিপ্ত। সে কারণে তার সঠিক লোকেশন জানা যায় নি। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে শিশু ধর্ষক এমনকি উন্মাদ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আল্লাহ পাক বা কোন সৃষ্টি কর্তাকে বিশ্বাস করেন না। তিনি সৃষ্টি কর্তাকে বিশ্বাস করেন না সেটি তার ব্যাপার তবে তিনি অন্য কোন ধর্মের উপর আঘাত করেন না বরং ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধেই কথা বলছেন।

লোপা রহমানঃ

বাংলাদেশে মহিলা নাস্তিক একেবারেই নেই বললেই চলে। তবে বর্তমান সময়ে একজন মহিলা নাস্তিকের উৎপত্তি ঘটেছে তিনি হলেন লোপা রহমান। তিনি নবী ও আল্লাহ পাক সম্পর্কে নানারকম কটূক্তি করে কথা বলছেন। তিনি তার একটা ভিডিও তে বলেছেন আমাদের নবীর হর্স পাওয়ার ছিল তিনি নাকি বিভিন্ন নারীর সাথে ভালো বাসাবাসি খেলতেন। আমিও নবীর সাথে ভালো বাসাবাসি খেলব। তবে আমি কাওকে ভাগ দিব না। কারণ আমার অনেক প্রয়োজন। এছাড়াও তিনি ইসলাম সম্পর্কে নানারকম অশালীন কথাবার্তা বলছেন। তবে নাস্তিক মুফাসসিলের সাথে তার যোগসূত্র আছে । কারণ এই দুই নাস্তিকের একসাথে কতগুলো ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে।

আসিফ মহিউদ্দিনঃ

আসিফ মহিউদ্দিন একজন ব্লগার। তিনি ব্লগারের মাধ্যমে ইসলামের অপপ্রচারের যাত্রা শুরু করেন। ইসলাম সম্পর্কে নানারকম অযৌক্তিক কথাবার্তা লিখলে তার উপর কিছু যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করেন। বর্তমানে তিনি জার্মানিতে আছেন এবং সেখানে বসেই ইসলাম সম্পর্কে নানারকম সমালোচনা করছেন। আসিফ মহিউদ্দিন নিজেদের উদারপন্থী মুক্তচিন্তার নাস্তিক হিসেবে দাবী করে থাকেন। তারা দীর্ঘদিন থেকেই মুক্তচিন্তার নামে ধর্মকে, বিশেষ করে ইসলামকে নানা ভাবে হেয় করে আসছেন। একজন মানুষ তখনই নিজেকে সুস্থধারার মুক্তচিন্তার দাবী করতে পারেন, যখন তার আচরনে কোন আক্রোশ বা বিদ্বেষ প্রকাশ না পেয়ে বরং যৌক্তিকভাবে তার অভিমত প্রকাশ পাবে। আসিফ মহিউদ্দিন তাদের মুক্তচিন্তার মুখোশের আড়ালে ইসলামের প্রতি তাদের বিদ্বেষকে ঢেকে রাখতে পারেননি। সেটা তাদের বিভিন্ন লিখা থেকেই প্রকাশ পায়।

সেফুদার

সিফাত উল্লাহর ধর্ম : সিফাত উল্লাহকে ব্লগ, ফেসবুক গ্রুপ, পেজে নাস্তিক সম্বোধন করা হলেও নিজেকে তিনি সুন্নী মুসলিম হিসেবে দাবি করেন। তার মতে, তিনি কারো ধন সম্পদ আত্নসাৎ করেন না, স্রষ্টায় বিশ্বাসী, নামাজ-রোজা রাখেন, হজে যেতে চান।

জানা যায়, ২০১৩-১৪ সালে বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার তথা মুক্তচিন্তার মানুষদের হত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেফুদা।

সেফুদা খুলনার সোনাডাঙ্গায় ৫ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। ১৯৮৫ (মতান্তরে ১৯৮৮) সালে প্রথম সৌদি আরব যান এবং সেখান থেকে ১৯৮৮ সালে (মতান্তরে ১৯৯১) সালে অস্ট্রিয়ায় যান।

এরপর আর তিনি কখনো দেশে ফিরে আসেননি। বিদেশের মাটিতে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বসবাস করেন।

তথ্য অনুযায়ী, সেফাত উল্লাহ ১৯৭৯/১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে ভিয়েনায় এক স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসেবে রয়েছেন। পাশাপাশি একটি অনলাইন শপে পার্টটাইম কাজ করেন। স্বীকৃত কাজ ছাড়াও তিনি কবিতা লেখেন, গান লেখেন, স্থানীয় গনমাধ্যম তথা টেলিভিশনে কাজ করেন।

সেফুদার স্ত্রী এবং এক সন্তান রয়েছে। যদিও বর্তমানে তার স্ত্রী-সন্তান কিংবা পরিবারের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। পারিবারিক সম্পর্কবিহীন সিফাত উল্লাহ দেশের ওপর রাগ করে একাকী প্রবাস যাপন করছেন দীর্ঘদিন।

সিফাত উল্লাহর প্রিয় খাবার হলো চেরিফল, মদ/ওয়াইন। অধিকাংশ সময় লাইভে এসে এই খাবারগুলো খান এবং মানুষকে এগুলোর গুণাগুন বর্ণনা করেন। খেতে উৎসাহিত করেন। হাফপ্যান্ট এবং সবুজ কালারের টিশার্ট পরতে ভালোবাসেন। তার প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে একটা হলো বাংলাদেশের চলমান বিষয়গুলো নিয়ে অশ্লীলভাবে ব্যক্তি বিশেষকে গালাগালি করা।

সেফুদার উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তি :

*মদ খাবি মানুষ হবি
*আমার মতো হতে চাও
*আমাকে দেখে হিংসে হয়
*মদ খাও আর পরী…(অশ্লীল)
*শুটকি খাও আর পেত্নি
*ট্রস ট্রস করে মারবো
*কত মেয়েরা আমাকে ভালবাসে। আমি কি সবাইকে ভালবাসতে পারি?
*আমি প্রেম সম্রাট

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply