বাংলা ধাঁধা, কিংবদন্তি নিয়ে গবেষণায় পথিকৃৎ

বরুণ চক্রবর্তী

স্মরণিকাই হোক, কিংবা সম্মাননা জ্ঞাপক গ্রন্থই হোক, এই ধরনের গ্রন্থে এক ধরনের চর্বিত চর্বণ লক্ষিত হয়, লক্ষিত হয় নির্লজ্জ স্তাবকতা৷ সুখের বিষয় ‘শীলা-লিপিমালা’ এই সব বিচ্যুতি থেকে অনেকটাই মুক্ত৷ যাঁকে নিয়ে এই গ্রন্থের পরিকল্পনা সেই শীলা বসাক ছিলেন পেশায় শিক্ষক, কলেজে বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের পাঠ দিতেন৷ কিন্তু নেশায় তিনি ছিলেন লোক চারণিক৷ শীলা বসাক রচিত গ্রন্থের সংখ্যা সাকুল্যে চারটি; কিন্তু বিষয় বৈচিত্রে আলোচনার গভীরতায় প্রতিটি গ্রন্থই স্বাতন্ত্র‌্যে সমুজ্জ্বল, বিপুল ভাবে পাঠক-গবেষক সমাদৃত৷ লৌকিক ধাঁধা, বাংলার ব্রত পার্বণ, বাংলার নকশি কাঁথা, বাংলার কিংবদন্তি এ বলে আমাকে দেখ, ও বলে আমাকে৷ এর মধ্যে দু’টি গ্রন্থ রচনায় শীলা বসাক পথিকৃতের ভূমিকায় আসীন-ধাঁধা এবং কিংবদন্তি৷

সর্বমোট পাঁচটি পর্যায়ে আলোচ্য গ্রন্থটি বিন্যস্ত৷ সূচনা হয়েছে স্মৃতিচারণা দিয়ে৷ স্বভাবতই এই পর্যায়ের লেখক ও লেখকের তালিকাটি দীর্ঘ, ৫৫ জনের লেখা স্থান পেয়েছে৷ বিশিষ্টদের মধ্যে রয়েছেন আনিসুজ্জামান, ওয়াকিল আহমেদ, তপোধীর ভট্টাচার্য, নবনীতা দেবসেন, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, বারিদবরণ ঘোষ প্রমুখ৷ গ্রন্থ আলোচনা পর্যায়ে পাঁচজনকে স্থান দেওয়া হয়েছে- তারাপদ সাঁতরা, আনিসুজ্জামান, সুধীর চক্রবর্তী প্রমুখ৷ এ ছাড়া ২১ জনের মৌলিক রচনা সন্নিবিষ্ট হয়েছে৷ এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিন্ময় গুহ, আবুল আহসান চৌধুরী, পবিত্র সরকার, সুমিতা চক্রবর্তী প্রমুখ৷ এ ছাড়াও ‘পত্রপত্রিকায় শীলা’ এবং ‘চিঠিপত্র’ সন্নিবিষ্ট হওয়ায় গ্রন্থটির উৎকর্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে৷

প্রচ্ছদটি আকর্ষণীয়৷ ফোক মটিফগুলিকে চমত্কার ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য গ্রন্থটির নামকরণ অনবদ্য৷ এজন্য ধন্যবাদার্হ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান৷ স্মৃতিচারণমূলক লেখাগুলিতে ব্যক্তি শীলা চমৎকার ভাবে উপস্থাপিত৷ অহংবোধ শূন্য সহজ সরল মনের মানুষটি কেমন করে লোকসংস্কতির চর্চায় নিমগ্ন ছিলেন তার সবিস্তার পরিচিতি পাঠককে মুগ্ধ করবে৷ দুই বাংলার বুদ্ধিজীবী রচিত লেখাগুলির বিষয় বৈচিত্র এবং মননঋদ্ধ আলোচনা পাঠককে সমৃদ্ধ করবে অবশ্যই৷

‘লোককথার কথনশৈলী-দেশান্তরে বেশান্তরে’-তে বিপ্লব চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন, ‘১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে লালবিহারী দে প্রথম বাংলা লোককথার সংগ্রহ প্রকাশ করেন৷’ (পৃ. ৩০৫)

কিন্তু অবিমিশ্র লোককথা সংগ্রহ লালবিহারী দে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করলেও লোককথার সংগ্রহ ইতঃপূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে৷ ১৮১২ সালে উইলিয়াম কেরি রচিত ও প্রকাশিত ‘ইতিহাসমালা’য় (লালবিহারী দে’র গ্রন্থটির ৭১ বৎসরের পূর্ববর্তী), ৮টি অবিমিশ্র রূপকথা আছে৷ তা ছাড়া ‘ড্যামান্ট ইন্ডিয়ান অ্যান্টিকুয়ারি’তে ২২টি লোককথা প্রকাশ করেছেন৷

‘বাংলা লোকসাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র চাঁদ সওদাগর’ (পৃ. ৪১৮) – মন্তব্যটি করেছেন সেলিনা হোসেন তাঁর রচিত ‘ফোকলোর-সংস্কৃতির শেকড়-রাষ্ট্র: দক্ষিণ এশিয়ার স্রোত’ প্রবন্ধে কিন্তু চাঁদ সওদাগর মঙ্গলকাব্যের একটি বিশিষ্ট চরিত্র, মনসা মঙ্গলে আমরা তাঁকে পাই৷ মঙ্গলকাব্য পরিশীলিত সাহিত্যের পর্যায়ে পড়ে, লোকসাহিত্যের পর্যায়ভুক্ত নয়৷

‘প্রসঙ্গ ব্রত’-তে সৈয়দ মোহাম্মদ সায়েদ ব্রতকথা সংগ্রহের প্রসঙ্গে পরমেশ প্রসন্ন রায়ের ‘মেয়েলি ব্রত ও কথা’র (১৩১৫) কিংবা ‘প্রবাসী’-তে প্রকাশিত নরেন্দ্রনাথ মজুমদারের ‘ব্রতকথা’র (১৩১৬) উল্লেখ করলেও অনুল্লিখিত থেকে গিয়েছেন অনেকেই৷

লেখক বলেছেন, ‘অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়,… প্রমুখ পণ্ডিতেরা’(পৃ. ৪২৯)৷

কিন্তু অবনীন্দ্রনাথের ‘বাংলার ব্রত’-র প্রকাশকাল ১৯২৩, অন্য দিকে তাঁর পূর্বসূরী অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ‘মেয়েলী ব্রত’-র প্রকাশকাল ১৩০৩ এবং আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মেয়েদের ব্রতকথা’-র প্রকাশকাল ১৩২১৷

‘শীলা বসাক তাঁর ব্রতযাত্রা’য় তপোধীর ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন-‘…নিঃসন্দেহে বাংলা ধাঁধার বিষয় বৈচিত্র ও সামাজিক পরিচয় শীলা বসাকের অভিজ্ঞান৷ এই প্রতিবেদক মনে করে, এ তাঁর ম্যাগনাম ওপাস’ (পৃ. ৫৩)৷ লেখকের এই বক্তব্যের সঙ্গে বর্তমান আলোচকও একমত৷

তরুণ মুখোপাধ্যায়ের ‘অনন্যা শীলা বসাক’ রচনাটিতে মূলত ‘আমি তোমাদের লোক’ গ্রন্থটিকে উপজীব্য করা হয়েছে৷ গ্রন্থটি কিংবদন্তি লোকসংস্কতিবিদ আশরাফ সিদ্দিকীকে নিয়ে রচিত৷ তরুণবাবু সিদ্দিকী সাহেবের লেখা অনেকগুলি গ্রন্থের উল্লেখ করেছেন৷ তার মধ্যে অনুল্লিখিত থেকে গেছে ইংরেজিতে লেখা ‘Bengali Folklore Collections and Studies (1800-1947)’৷ তরুণবাবু শীলা দেবীর নাম উল্লেখ করে বলেছেন লোকসাহিত্যের তিনটি দিক- নৃতাত্ত্বিক, ভারতবাদী ও জাতীয়তাবাদী (পৃ. ৫৭)৷ জাতীয়তাবাদী একটি পদ্ধতি সে না হয় বোঝা গেল, কিন্ত্ত ‘ভারতবাদী’ ব্যাপারটি বোধগম্য হল না৷

আরও পড়তে পারেন:ভুলে গেছেন ফোনের পাসওয়ার্ড, পিন বা প্যাটার্ন? কীভাবে সেকেন্ডে করবেন আনলক, জানুন

আরও পড়ুনকালিদাস পণ্ডিতের ধাঁধাঁ – ১। পর্ব -২ moral stories Kalidas Pondit In Bangla কালিদাস

Read More:  কালিদাস গোপাল ভাঁড় খনার জনপ্রিয় বচন ধাঁধাঁ 1000 | শালি দুলাভাই এর রসের ধাঁধা | Bangla Dhadha সমগ্র কালেকশন

নবনীতা দেবসেন ‘বাংলার লোকসংস্কতির একনিষ্ঠ ব্রতিনী, শীলা বসাক’ এই শিরোনামের রচনায় বলেছেন: ‘বাংলার ব্রতকথা নিয়ে প্রচুর কাজ হয়ে চলেছে অনেকদিন ধরেই, একশো বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে, ১৩১৯ থেকেই ব্রতকথা নিয়ে বই বেরুচ্ছে…’ (পৃ. ৬৫)৷

কিন্তু ব্রতকথা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ বই প্রকাশিত হয় ১৩০৩ বঙ্গাব্দে, অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ‘মেয়েলী ব্রত’-র প্রকাশকাল অর্থাৎ নবনীতা দেবসেন কথিত সময়েরও ১৬ বছর পূর্বেই৷

নবনীতা দেবসেন উল্লেখ করেননি অঘোরনাথের কথা, উল্লেখ করেননি আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মেয়েদের ব্রতকথা’র প্রসঙ্গ (১৩২৩), এমনকি ১৩৩৩-এ প্রকাশিত ইন্দুমতী দেবীর ‘বঙ্গনারীর ব্রতকথা’ও অনুল্লিখিত থেকে গিয়েছে৷ অচিন্ত্য বিশ্বাস তাঁর প্রবন্ধে নাগরিক লোকসংস্ক‌ৃতির স্বরূপ সন্ধান করেছেন৷ প্রবন্ধের শেষে বলেছেন: ‘শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষক অধ্যাপকদের মুদ্রাদোষ, ভাবভঙ্গি নিয়ে তৈরি হয় নানান আখ্যান বা লোককথা৷ একেও নাগরিক লোককথা হিসাবে গ্রহণ করতে হয়’ (পৃ. ২২৫)৷
আখ্যান বা লোককথার একটা Story element থাকে, কিন্তু শিক্ষক অধ্যাপকদের মুদ্রাদোষ বা ভাবভঙ্গি নিয়ে মিমিক্রি করা সম্ভব হলেও তা কখনওই লোককথায় উন্নীত হতে পারে না৷ আবুল আহসান চৌধুরী রচিত ‘বিজয়ী বাউল ও অলজ্জ অন্ধতা’ দীর্ঘ ১৮ পৃষ্ঠার প্রবন্ধ৷ তথ্যনিষ্ঠ, সুলিখিত৷

চন্দ্রমল্লী সেনগুপ্ত (মিথ পুরাণের ভাঙ্গাগড়া খ্যাত) ‘মিথগড়া সেকালে একালে-একটি নিরীক্ষা’ চমৎকার রচনা৷ সুপাঠ্য৷ কিন্তু একালের মিথ হিসাবে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেন তাঁর দেশে পারমাণবিক অস্ত্রের বিপুল ভাণ্ডার লুকিয়ে রেখে আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিন্ত ছিলেন বলে লেখিকা উল্লেখ করেন, তখন সংশয়ের সৃষ্টি হয় মিথ মানেই কি মিথ্যা কথা? এ ক্ষেত্রে Primitive Science কোথায়?

পবিত্র সরকার লিখেছেন ‘নাটকের বিষয় আশয়’ চিন্তা উদ্রেককারী প্রবন্ধ৷ মূলত নাট্যদর্শনের নন্দনতত্ত্বের দু’একটি দিকের প্রতি লেখক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন৷ প্রযুক্তির এত উন্নতি সত্ত্বেও গৃহে অনেককিছু সুলভ হলেও মানুষ কেন নাটক দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যায়? নানা কৃত্রিমতা সত্ত্বেও দর্শক বেশকিছু সময় রঙ্গালয়ে অতিবাহিত করে৷ লেখক বলেছেন, ‘দর্শক মায়াকে মায়ার সম্মান দিয়ে গ্রহণ করেন, নিজের অবিশ্বাসকে শিল্পের কাছে কিছু সময়ের জন্য বন্ধক রাখে৷ এতেই নাটকের শক্তির পরিচয় লভ্য৷’

শিবেন্দু মান্না লিখেছেন ‘কুবির গোঁসাই এর গানে দেশ-কাল-সমাজ’ প্রবন্ধটি৷ শিবেন্দুবাবু বলেছেন, ‘কুবির গোঁসাই এক হাজার থেকে বারশো গান রচনা করে গেছেন৷ যখসামান্যই প্রচলিত আছে অথবা উদ্ধার পেয়েছে’৷ সম্প্রতি শুভ্রা ঘোষ কুবির গোঁসাইকে নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং তাঁর ১১১৯টি গান আমাদের উপহার দিয়েছেন তাঁর গবেষণা গ্রন্থের মাধ্যমে৷ সুমিতা চক্রবর্তী ‘লোকসাহিত্য, লোকসংস্ক‌ৃতি: জীবনানন্দ, বিষ্ণু দে’ শীর্ষক সুদীর্ঘ রচনায় জীবনানন্দ এবং বিষ্ণু দে’র কবিতায় লোকসাংস্ক‌ৃতিক উপাদান ব্যবহারের অনুসন্ধান করেছেন৷ লেখিকার মূল্যায়ন জীবনানন্দ এবং বিষ্ণু দে’র প্রসঙ্গে- বিষ্ণু দে’র কবিতায় লোক ঐতিহ্যের ও উপাদানের যে অর্থবহ ব্যবহার লক্ষিত হয়, জীবনানন্দের কবিতাতেও একইভাবে তা দৃশ্যমান হয় না, লেখিকার ভাষায় ‘অনেকাংশে সর্বাংশে অবশ্যই নয়’, তখন এই মূল্যায়নকে অস্বীকার করার উপায় থাকে না৷

বাংলা ধাঁধা উত্তর সহ 300 | গোপাল ভাড়ের জীবনের পরিচয় | Gopal Bhar মজার ধাঁধা

গ্রন্থভুক্ত সব লেখাই বাংলাতে৷ ব্যতিক্রম মাত্র দু’টি৷ একটি ‘Embroidered beauty: The art of the Nakshi Kantha’, রচয়িতা নিয়াজ জমান, দ্বিতীয়টি ‘Biharail Buddha: A Historic Investigation’, লেখক প্রতিষ্ঠিত প্রত্নতাত্ত্বিক সৈফুদ্দিন চৌধুরী৷ নিয়াজ জমান মূলত শীলা বসাকের কাঁথা নিয়ে লেখা বইটি সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন৷ আলোচক শীলার আলোচনার বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন৷ শীলা বসাক তাঁর গ্রন্থে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ দুইকেই যুক্ত করেছেন, শুধু তাই নয়, শীলা কাঁথাকে অন্যান্য আঞ্চলিক রূপ-নির্মিতির সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনায় এনেছেন৷ আলোচক সঠিকভাবেই বলেছেন শীলা বসাক তাঁর গ্রন্থে বাংলাদেশের জাতীয় সংগ্রহশালার মাত্র পাঁচটি কাঁথার আলোচনা করেছেন, তালিকাটি বৃদ্ধি পেলে ভালো হত৷

এইবারে সৈফুদ্দিন চৌধুরীর প্রবন্ধ প্রসঙ্গে৷ প্রবন্ধটি নাতিদীর্ঘ৷ কিন্তু তথ্যবহুল৷ বরেন্দ্র গবেষণা সংগ্রহশালার ২১৭ সংখ্যক প্রত্নবস্তুটি সম্পর্কে লেখক আলোকপাত করেছেন৷ বর্তমান আলোচকের কাছে সর্বোত্তম মনে হয়েছে জগদীশ বসাকের ‘এই গ্রন্থের নেপথ্যে’৷ এমন স্বতঃস্ফ‌ূর্ত অকপট নিবেদন কদাচিৎ লভ্য৷ কুমারেশ চক্রবর্তীর বক্তব্যকে উদ্ধ‌ৃত করার প্রলোভন সংবরণ করতে পারছি না-‘বিশ্বের বহু সফল পুরুষের সাফল্যের নেপথ্যে একজন নারীর ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত৷… কিন্তু ক’জন নারীর সাফল্যে পুরুষের সর্বস্ব ত্যাগের নজির আছে?’ জগদীশ বসাক নিজে কিছু না করে স্ত্রীকে তুলে ধরেছেন৷ শুধু মুখে স্ত্রী স্বাধীনতার কথা নয়, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে প্রমাণ করেছেন প্রকৃত পৌরুষ কাকে বলে৷ অতএব, নেপথ্যের পর্দাটি উন্মোচিত৷ জগদীশবাবুকে ধন্যবাদ এমন একটি মাঙ্গলিক প্রয়াসের জন্য৷ গ্রন্থটি শীলানুরাগী ছাড়াও সংস্কৃতি মনস্ক পাঠকের কাছে আদৃত হবে অবশ্যই৷

Leave a Reply