বাপ্পি লাহিড়ীর সংগ্রাম ও সফলতার গল্প

আই অ্যাম আ ডিসকো ড্যান্সার’ গান শোনেননি, এমন সংগীতপ্রিয় মানুষ পাওয়া যাবে না। এমনকি ‘চলতে চলতে মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখ না, কভি অলবিদা না কেহ না’ হিন্দি গানের পাশাপাশি বাংলা সিনেমা ‘অমরসঙ্গী’র ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের জন্ম দিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী। দীর্ঘ ৬৯ বছরের পথচলা শেষ হলো তাঁর। ছবিতে প্রয়াত এই গায়কের জীবনীর কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো

১ / ১০

বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের বছর ভারতের জন্ম নেন এই গুণী সংগীতশিল্পী। শৈশব থেকেই গানের চর্চায় সঙ্গে পরিচিত। তাঁর বাবা অপরেশ লাহিড়ী ও মা বাঁশরী লাহিড়ী দুজনেই ছিলেন সংগীতজগতের মানুষ। সুরের মধ্যেই তাঁর বেড়ে ওঠা

বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের বছর ভারতের জন্ম নেন এই গুণী সংগীতশিল্পী। শৈশব থেকেই গানের চর্চায় সঙ্গে পরিচিত। তাঁর বাবা অপরেশ লাহিড়ী ও মা বাঁশরী লাহিড়ী দুজনেই ছিলেন সংগীতজগতের মানুষ। সুরের মধ্যেই তাঁর বেড়ে ওঠা।

 

২ / ১০

বাবা-মায়ের দেখাদেখি বাপ্পি মাত্র তিন বছর বয়সেই তবলা বাজানো শিখে ফেলেন। কৈশোরেই বুঝতে পারেন, সংগীত তাঁর আসল জায়গা। একমাত্র সন্তানের চাওয়াকে মা-বাবা বাধা দেননি। তাঁরাই দায়িত্ব নেন ছেলেকে গানের দীক্ষা দিতে। ছোট থেকেই বাপ্পি নিজেকে গানে আলাদা করে তুলতে থাকেন। ছবিতে আশা ভোসলের সঙ্গেবাপ্পির শেখায় অনেক দক্ষতা ছিল। এক সাক্ষাৎকার বলেছিলেন, বাবা-মাকে দেখে মাত্র ১১ বছর বয়সেই প্রথম গানে সুর দিয়েছিলেন।

 

৪ /

গানে শিক্ষা নিয়েই মাত্র ১৯ বছর বয়সে বাংলা ‘দাদু’ সিনেমায় একটি গান করেন। সেই সময় তাঁর কলকাতাতে মন টিকছিল না। আরও ভালো করার জন্য পা রাখেন বলিউডপাড়া

গানে শিক্ষা নিয়েই মাত্র ১৯ বছর বয়সে বাংলা ‘দাদু’ সিনেমায় একটি গান করেন। সেই সময় তাঁর কলকাতাতে মন টিকছিল না। আরও ভালো করার জন্য পা রাখেন বলিউডপাড়ায়।

 

৫ /

১৯৭০ সালে মুম্বাইতে এসে তাঁকে আবার নতুন করে অনেক কিছু শিখতে হয়। নতুন পরিবেশে গানে আরও সময় নেন আর ঘুরতে থাকেন কাজের খোঁজে। জীবনের বাস্তবতা অনেকটাই স্বচক্ষে দেখে

১৯৭০ সালে মুম্বাইতে এসে তাঁকে আবার নতুন করে অনেক কিছু শিখতে হয়। নতুন পরিবেশে গানে আরও সময় নেন আর ঘুরতে থাকেন কাজের খোঁজে। জীবনের বাস্তবতা অনেকটাই স্বচক্ষে দেখেনছবি: সংগৃহী

৬ / ১

১৯৭৩ সালে মুম্বাইতে কাজের সুযোগ পান। ‘নানহা শিকারি’ সিনেমায় কাজ করেন। সেই সময়েই নিজের সাজসজ্জায় পরিবর্তন আনেন। মূলত সত্তর দশক থেকেই গলায় চেইন, টানটান শার্ট, ব্রেসলেট, সানগ্লাসসহ নিজেকে নতুন করে হাজির করেন। এমন সাজের কারণে তখন থেকেই তাঁকে আলাদা করে চেনা যেত।ছয় ফিট জমিতে পাঁচতলা বাড়ি, এ যেন আইফেল টাওয়ার!

তবে ক্যারিয়ারে তখনো তিনি আলোচিত ১৯৭৩ সালে মুম্বাইতে কাজের সুযোগ পান। ‘নানহা শিকারি’ সিনেমায় কাজ করেন। সেই সময়েই নিজের সাজসজ্জায় পরিবর্তন আনেন। মূলত সত্তর দশক থেকেই গলায় চেইন, টানটান শার্ট, ব্রেসলেট, সানগ্লাসসহ নিজেকে নতুন করে হাজির করেন। এমন সাজের কারণে তখন থেকেই তাঁকে আলাদা করে চেনা যেত। তবে ক্যারিয়ারে তখনো তিনি আলোচিত নন

১৯৭৫ সাল তাঁর ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। ‘জখমি’ সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। সেই সিনেমার ৫টি গানের সংগীত আয়োজন করেন বাপ্পি। গানগুলো গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোসলে, কিশোর কুমার, মোহাম্মদ রাফি প্রমুখ। সিনেমায় কিশোর কুমার ও মোহাম্মদ রাফির সঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন বাপ্পি। সিনেমাটি মুক্তির পর বলিউডে শক্ত অবস্থান তৈরি হয়। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা

৮ / ১

পরে ১৯৭৬ সালে ‘চলতে চলতে’ তাঁর ক্যারিয়ারকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। পরে আশি সালে ‘ডিসকো ড্যান্সার’ গানটি প্রকাশ হওয়ার পর রীতিমতো ভারতজুড়ে আলোচনা তৈরি হয়, কে এই বাপ্পি লাহিড়ী। তার পর থেকে টানা জনপ্রিয় সব গান উপহার দিয়েছেন। পরে তিনি অভিনয়েও নাম লেখান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি রিমা ও বাপ্পা নামে দুই সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম চিত্রাণী। ফিল্ম ফেয়ারে আজীবন সম্মাননাসহ একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনিপরে ১৯৭৬ সালে ‘চলতে চলতে’ তাঁর ক্যারিয়ারকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। পরে আশি সালে ‘ডিসকো ড্যান্সার’ গানটি প্রকাশ হওয়ার পর রীতিমতো ভারতজুড়ে আলোচনা তৈরি হয়, কে এই বাপ্পি লাহিড়ী। তার পর থেকে টানা জনপ্রিয় সব গান উপহার দিয়েছেন। পরে তিনি অভিনয়েও নাম লেখান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি রিমা ও বাপ্পা নামে দুই সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম চিত্রাণী। ফিল্ম ফেয়ারে আজীবন সম্মাননাসহ একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনিছবি: সংগৃহীত

আইএমডিবির তথ্যমতে, দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাপ্পি লাহিড়ী পাঁচ হাজার গানে সুর দিয়েছেন। এই সময়ে পাঁচ শতাধিক সিনেমার গান গেয়েছেন। তবে নব্বই দশকে একবার সবকিছু থেকেই কিছুটা বিরতি নিয়েছিলেন।

 

Leave a Reply