তাকে বলা হয় তারকাদের তারকা। ঢাকা চলচ্চিত্রের রোমান্টিক তারকাদের মধ্যে সবার প্রথমেই তার নাম চলে আসে। তিনি আর কেউ নন সবার প্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ। পুরো নাম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক।
অনেক বসন্ত পার করে ৪৮ বছর বয়সে পা দিয়েছেন তিনি। ১৯৭২ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সিনেমা বা টেলিভিশন দুই পর্দাতেই তিনি তার অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়েছেন। তবে তার পথচলার শুরুটা সিনেমা জগতে না হয়ে একটু ভিন্ন আবহেই কেটেছে।
কর্মজীবন শুরু করেছিলেন বিমানবাহিনীতে। নিজেকে পাইলট হিসেবে দেখতেই তখন বেশি স্বাছন্দ্যবোধ করতেন। স্বপ্ন দেখতেন সেই আকাশ ছোঁয়া, তবে সেই স্বপ্ন থেকে ছিটকে এসেও তিনি অন্য এক জগতের আকশ ঠিকই ছুঁয়েছেন। সিনেমা জগতে তার খ্যাতি উপচেপড়া। এক রিয়াজ নামেই যেন কতজনের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠত। প্রয়াত নায়ক জসীমের হাত ধরে ‘বাংলার নায়ক’ নামের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক রিয়াজের অভিষেক হয় ১৯৯৫ সালে। ১৯৯৭ সালে মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় নায়কে পরিণত হন রিয়াজ।
এরপর তিনি বাংলাদেশের অনেক প্রখ্যাত পরিচালকের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি হুমায়ূন আহমেদের দুই দুয়ারী চলচ্চিত্রে রহস্য মানব চরিত্রে, তৌকির আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ চলচ্চিত্রে শুভ্র চরিত্রে এবং কি যাদু করিলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
তার অভিনীত সাম্প্রতিকতম চলচ্চিত্রগুলো হলো সুইটহার্ট ও কৃষ্ণপক্ষবর্তমানে তিনি মুক্তি প্রতীক্ষিত সুন্দরবনে র্যাবের দুঃসাহসিক অভিযান নিয়ে নির্মিতব্য অপারেশন সুন্দরবন চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তবে রিয়াজ যে সব চরিত্রের জন্য পারফেক্ট তার প্রমাণ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শাস্তি’ সিনেমায় ছিদাম, জহির রায়হানের কালজয়ী উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের মন্তু এবং ‘মেঘের পরে মেঘ’ ছবিতে ডাবল রোলের রিয়াজ, এই সব চরিত্র যেন কথা বলে।