বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বর্তমান সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন

অদ্য ৫ ই অক্টোবর ২০২১খ্রি. মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকাস্থ নাজনীন স্কুল এন্ড কলেজে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বর্তমান সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও করোনা কালে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখায় শিক্ষা বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জনাব এন. আই খান।

এর সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সংগ্রামী সভাপতি জনাব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস। সভায় মূল প্রবন্ধ উত্থান করেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ মজিবুর রহমান বাবুল। মূল প্রবন্ধে বর্তমান শিক্ষা বন্ধব সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়।প্রবন্ধে বিশ্বশিক্ষক দিবস পালনের প্রসঙ্গিকতা তুলে ধরা হয়।ইউনেস্কো ও আই.এল. ও অনুমোদিত সুপারিশমালা যা শিক্ষকদের মর্যাদা সনদ হিসাবে খ্যাত তা আমাদের দেশে কতটুকু বাস্তবায়িত হল তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী , সহ সভাপতি জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল,জনাব মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, জনাব রামকৃষ্ণ মিত্র, জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম জনাব গৌতম কুমার সাহা জনাব এস.এম ফেরদৌস হেলাল, জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম জনাব মোঃ মাইনূল ইসলাম, জনাব সুলতানা বেগম রত্না জনাব ব্রজেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জনাব মোঃ শামসুল আলম যুগ্ম সম্পাদক জনাব আলতাফ হোসেন নাজির জনাব কাজী গিয়াস উদ্দিন জনাব আফজাল হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিনে সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল হোসেন মিলন, ঢাকা উত্তরের সভাপতি জনাব আহমেদ হোসেন ঢাকা জেলার সভাপতি জনাব মোঃ এনামুল হকগাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল কালাম আজাদ নরসিংদী জেলার সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ মাসুম বিল্লাহসহ সংগঠনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী বলেরআমাদের দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সব সরকারের আমলে কমবেশি কাজ হয়েছে তবে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সমাধিত হয়েছে। তাঁর দুরদর্শিত পরিকল্পনায় শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বৈষম্য নিরসন হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সংগঠনের সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ মজিবুর রহমান বাবুল মূল প্রবন্ধে বলেছেন শিক্ষকদের মর্যাদা সনদ এর বেশকিছু দাবি বাস্তবায়ন হয়েছে। শিক্ষা উন্নয়ন ও করোনা কালে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখায় বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান করেন। পাশাপাশি এত কিছু উন্নয়নের পরেও শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছু বৈষম্য রয়েছে তা পর্যায়ক্রমে নিরসনের প্রস্তাব করছি। বৈষম্যগুলো নিম্নরূপ:

০১.সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগনের ন্যায় বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগনের বেতন ৬ষ্ট গ্রেডে উন্নীতকরণ।
০২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহ প্রধানদের চাকরি জীবনে ২টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থা করণ।
০৩. সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান।
০৪.সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষকদের বেসিকের উপর বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।
০৫. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ এন.টি.আর.সিএর মাধ্যমে দেওয়ার প্রস্তাব করছি।
আমরা বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের পক্ষ থেকে উল্লেখিত বৈষম্যগুলো পর্যায়ক্রমে নিরসনের প্রস্তাব করছি। প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল এম.পি শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করায় তিনি বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন আমি আপনাদের এ ধন্যবাদ প্রস্তাব কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করব।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষদ যে বৈষম্যগুলোর কথা বলেছেন তার প্রত্যেকটির সাথে একমত। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ বৈষম্যের বিষয়গুলো তুলে ধরব। সভায় বিশেষ অতিথি জনাব এন.আই. খান বলেন আমি সচিব থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকদের এত বড় সমাবেশ দেখি নাই।

আপনাদের বৈষম্যগুলো একটা একটা করে আপনারা এক দফা জাতীয়করন দাবি তুলুন। আপনারা প্রতিষ্ঠান প্রধানগন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন দেখে আমি খুব খুশি হলাম। সারা বাংলাদেশ থেকে প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি সমাবেশ ডাকুন আমি উক্ত সমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে প্রধান অতিথি হিসেবে এনে দেওয়ার চেষ্টা করব।আমাদের সংগঠনের সভাপতি নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস জনাব এন.আই. খান স্যারকে সংগঠনের প্রধান অতিথি করার প্রস্তাব করেন। আমাদের প্রস্তাব এন.আই. খান স্যার গ্রহণ করেন।সভা সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক জনাব মোঃ মঞ্জুর আলম।

বার্তা প্রেরক
মোঃ আয়ুব আলী
দপ্তর সম্পাদক
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

Leave a Reply