যেহেতু জেলেনস্কি ইয়ানুকভিচের মতো রুশপন্থী নেতা ছিলেন না, তাই রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর বিরোধ চরমে ওঠে।
ছিলেন কৌতুক অভিনেতা। কিন্তু কখন যে তিনি রাষ্ট্রনেতা হয়ে গিয়েছিলেন তা হয়ত বুঝতেও পারেননি। এমনই বর্ণময় জীবন রুশ সেনার আক্রমণে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। ক্ষমতায় আসার তিন বছরের মধ্যেই বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশের মানুষকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আইনের ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু আইনজীবী হওয়ার কোনও আগ্রহ তাঁর ছিল না। আইনে স্নাতক হন কিয়েভ ন্যাশনাল ইকনমিক ইউনিভার্সিটি থেকে। আইনের সওয়াল জবাবের মধ্যে না গিয়ে অভিনয়ের জগতে ঢুকে পড়েন জেলেনস্কি। নিজেকে এক কৌতুক অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন। এরপরই ‘সারভেন্ট অফ দ্য পিউপিল’ নামে একটি টেলিভিশন শোয়ের মাধ্যমে সারা দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন জেলেনস্কি। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকভিচ ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপরই ক্রমশ প্রেসিডেন্ট পদের দিকে আস্তে আস্তে অগ্রসর হতে শুরু করেন জেলেনস্কি। কোনওরকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি এবং বিপুলভোটে জয়লাভও করেন।
কিন্তু এরপর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে জেলেনস্কির চরম বিরোধ শুরু হয়। যেহেতু জেলেনস্কি ইয়ানুকভিচের মতো রুশপন্থী নেতা ছিলেন না, তাই রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর বিরোধ চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ বেঁধে যায়। রাশিয়ার একের পর এক আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় ইউক্রেন। ক্ষমতা চলে যাওয়া এখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছে এখন সময়ের অপেক্ষা।