ভলোদিমির ওলেকসান্দ্রোভিচ জেলেনস্কি এ জীবনী বায়োগ্রাফি

ভলোদিমির ওলেকসান্দ্রোভিচ জেলেনস্কি একজন ইউক্রেনীয় অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, কৌতুক অভিনেতা, ২০১৯ সালের ৬ মে থেকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০ মে রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। জন্ম: ২৫ জানুয়ারী, ১৯৭৮ (বয়স ৪৪ বছর), এই বীর প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার আক্রমণের পর ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নি , ইউক্রেনকে রাশিয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অস্ত্র হাতে তার সৈন্যদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করছেন , হয় তো তিনি যুদ্ধে শহীদ হবেন, একদিন ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লিখা হবে তার দেশপ্রেম ও বীরত্বের কথা , তিনি মাথা নত না করে গণতন্ত্র ও দেশ রক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন , তার প্রতি সন্মান জানাই, কামনা করি তিনি যেন বেঁচে থাকেন যুদ্ধ শেষে ইউক্রেনের বিজয় না হওয়া পর্যন্ত |
“তার দিকে তাকান, তার বয়স 44 বছর এবং তার একটি সুন্দর পরিবার আছে, তিনি বর্তমানে বিশ্বের সর্বশেষ আসল পুরুষ, একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাশিয়ান আগ্রাসীর কাছ থেকে পালিয়ে যাননি! “
তিনি টাকা দিয়ে একটি বিমান ভর্তি করে ইউক্রেন ছাড়তে পারেন, তিনি তা করেননি, তিনি বাঙ্কারে লুকাতে পারেননি, তিনি পারেননি, তিনি দেশটি রাশিয়ানদের হাতে তুলে দিতে পারেন, তিনি করেননি।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই মানুষটি চলে যেতে পারে, কিন্তু তিনি দেশের জন্য যা করেছেন তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কেউ করতে পারেনি!

যেহেতু জেলেনস্কি ইয়ানুকভিচের মতো রুশপন্থী নেতা ছিলেন না, তাই রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর বিরোধ চরমে ওঠে।

‌ছিলেন কৌতুক অভিনেতা। কিন্তু কখন যে তিনি রাষ্ট্রনেতা হয়ে গিয়েছিলেন তা হয়ত বুঝতেও পারেননি। এমনই বর্ণময় জীবন রুশ সেনার আক্রমণে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। ক্ষমতায় আসার তিন বছরের মধ্যেই বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশের মানুষকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আইনের ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু আইনজীবী হওয়ার কোনও আগ্রহ তাঁর ছিল না। আইনে স্নাতক হন কিয়েভ ন্যাশনাল ইকনমিক ইউনিভার্সিটি থেকে। আইনের সওয়াল জবাবের মধ্যে না গিয়ে অভিনয়ের জগতে ঢুকে পড়েন জেলেনস্কি। নিজেকে এক কৌতুক অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন। এরপরই ‘‌সারভেন্ট অফ দ্য পিউপিল’‌ নামে একটি টেলিভিশন শোয়ের মাধ্যমে সারা দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন জেলেনস্কি। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকভিচ ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপরই ক্রমশ প্রেসিডেন্ট পদের দিকে আস্তে আস্তে অগ্রসর হতে শুরু করেন জেলেনস্কি। কোনওরকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি এবং বিপুলভোটে জয়লাভও করেন।

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

কিন্তু এরপর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে জেলেনস্কির চরম বিরোধ শুরু হয়। যেহেতু জেলেনস্কি ইয়ানুকভিচের মতো রুশপন্থী নেতা ছিলেন না, তাই রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর বিরোধ চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ বেঁধে যায়। রাশিয়ার একের পর এক আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় ইউক্রেন। ক্ষমতা চলে যাওয়া এখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছে এখন সময়ের অপেক্ষা।

……..……………………………………………………………
এটা আমাদের শতাব্দীর দুনিয়া, কেউ মুক্তির জন্য মরে, আর কেউ তামাশা করে!
ইউরোপে জেলিনস্কির শেষ নায়ক!
Emil Iulian Mladin
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের আপডেট খবর পেতে লাইক দিন আমাদের এই পেইজে

Leave a Reply